ভারতকে সব অশুল্ক বাধা দূর করতে হবে -সিআইআইয়ের সাবেক মহাপরিচালকের সুপারিশ
বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বাণিজ্য সম্প্রসারণসহ দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদার করতে ভারত সরকারকে সব ধরনের অশুল্ক বাধা অপসারণে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।
কনফেডারেশন অব ইন্ডিয়ান ইন্ডাস্ট্রিজের (সিআইআই) সাবেক মহাপরিচালক ও প্রধান উপদেষ্টা তরুণ দাস এই আহ্বান জানিয়েছেন।
টাইমস অব ইন্ডিয়ায় গতকাল বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক জোরদার করার লক্ষ্যে তিনি যে ২৪ দফা প্রস্তাব উপস্থাপন করেছেন, তাতে অশুল্ক বাধা অপসারণের বিষয়টি গুরুত্ব পেয়েছে।
তরুণ দাসের প্রস্তাবে বলা হয়েছে, ভারত ইতিমধ্যেই বাংলাদেশসহ স্বল্পোন্নত দেশগুলো থেকে পণ্য আমদানিকে শুল্কমুক্ত সুবিধা প্রদান করেছে। এখন বাংলাদেশ থেকে পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে সব ধরনের আধাশুল্ক ও অশুল্ক বাধা দূর করতে পারে।
বাংলাদেশের রপ্তানিকারক ও ব্যবসায়ীরা দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন ধরনের অশুল্ক বাধা অপসারণের দাবি জানিয়ে আসছেন। তাঁরা বলছেন যে অশুল্ক বাধার কারণে শুল্ক ছাড় পাওয়ার পরও অনেক সময় পণ্য রপ্তানি করা সম্ভব হচ্ছে না।
বিভিন্ন ধরনের অশুল্ক বাধার মধ্যে আছে পণ্যের শ্রেণীকরণ জটিলতা, পণ্যের গুণগত মান পরীক্ষা, বিভিন্ন পণ্যে ভারতীয় বিভিন্ন সংস্থার ছাড়পত্র, ভারতীয় স্থলবন্দরে পণ্য সংরক্ষণের জন্য গুদামের অপর্যাপ্ত ব্যবস্থা ইত্যাদি।
উল্লেখ্য, তরুণ দাস ১৯৭৪ থেকে ২০০৪ পর্যন্ত সিআইআইয়ের মহাপরিচালক ছিলেন। এরপর ২০০৯ সাল পর্যন্ত তিনি সিআইআইয়ের প্রধান উপদেষ্টা (চিফ মেনটর) ছিলেন। তিনি সিআইআইয়ের সঙ্গে দীর্ঘ ৪৫ বছর যুক্ত ছিলেন।
দুই দেশের মধ্যে পণ্য বহন ও স্থানান্তর সহজীকরণের জন্য স্থল সীমান্তের কাস্টমস সংলগ্ন অবকাঠামো উন্নয়নে যৌথভাবে কাজ করারও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে এতে।
তরুণ দাসের প্রস্তাবে আরও বলা হয়েছে, বাংলাদেশ থেকে বস্ত্র, চামড়াজাত পণ্য, পাট, কাগজজাত পণ্য, সিরামিক, সামুদ্রিক খাদ্য, সিমেন্টসহ বিভিন্ন পণ্য আমদানি বাড়াতে হবে। এ জন্য বাংলাদেশি পণ্য কেনার বিশেষ প্রকল্প (বাই বাংলাদেশ প্রজেক্ট) গ্রহণের প্রস্তাব করা হয়েছে।
প্রস্তাবে ব্যবসায়ীদের জন্য ভিসাপ্রক্রিয়া সহজ করার এবং এ কাজে বাছাই করা বাণিজ্য সংগঠনের সুপারিশ নেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
২৪ দফা প্রস্তাবের মধ্যে নেপাল ও ভুটানের মতো সার্কভুক্ত দেশগুলোর সঙ্গে বাণিজ্য সম্প্রসারণে বাংলাদেশকে ট্রানজিট-সুবিধা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
এতে আরও বলা হয়েছে, পণ্যের মানের ক্ষেত্রে উভয় দেশের মান নির্ধারণকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে সংযোগ স্থাপনের ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে।
No comments