নওয়াজের ফিরে আসা -পাকিস্তানে ঐতিহাসিক নির্বাচন ২০১৩
১৯৯৯ সালে জেনারেল পারভেজ মোশাররফের অভ্যুত্থানে প্রধানমন্ত্রিত্ব হারান নওয়াজ শরিফ। মোশাররফের নির্দেশে গ্রেপ্তারও হয়েছিলেন। কয়েকটি মামলায় জড়ানো হয়েছিল তাঁকে। আদালতে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয় তাঁর। পরে সৌদি আরবের সঙ্গে মোশাররফ সরকারের সমঝোতার সূত্র ধরে সপরিবারে সৌদি আরবে নির্বাসনে গেলেন।
এক দশক নির্বাসিত জীবনের পর ২০০৮ সালে আবার দেশে ফিরলেন নওয়াজ শরিফ। ভাগ্য এবার পুরোই তাঁর পক্ষে। দেশছাড়া করা মোশাররফ নিজে সাব-জেলের কড়িকাঠ গুনলেও নওয়াজ প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পথে।
১৯৪৯ সালে লাহোরের এক বনেদি ব্যবসায়ী পরিবারে জন্ম নেন নওয়াজ। বাবার গড়ে তোলা ইস্পাত ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ইত্তেফাক গ্রুপের প্রধান হিসেবে ব্যবসা চালিয়েছেন সফলভাবে। রাজনীতিতেও সামনের সারিতে উঠে আসেন দ্রুত।
আশির দশকে সামরিক শাসক জিয়াউল হকের বিশেষ স্নেহভাজন ছিলেন নওয়াজ শরিফ। ওই সময় পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী হন। ১৯৮৮ সালে জিয়াউল হক রহস্যময় বিমান দুর্ঘটনায় নিহত হওয়ার পর নওয়াজের রাজনৈতিক জীবন নাটকীয় মোড় নেয়। ওই বছরই পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন) গঠন করে তার প্রধান হন। ১৯৯০ সালের নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী হয়ে ১৯৯৩ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় ছিলেন। এর পরই ক্ষমতায় আসেন বেনজির ভুট্টো। ১৯৯৭ সালে পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়ার পর ওই বছর আবার প্রধানমন্ত্রী হন নওয়াজ। কিন্তু দুই বছরের মধ্যে তৎকালীন সেনাপ্রধান জেনারেল পারভেজ মোশাররফের সঙ্গে তাঁর বিরোধ বাধে। তিনি মোশাররফকে সেনাপ্রধানের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলেও শেষ পর্যন্ত ব্যর্থ হন। মোশাররফই তাঁকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেন।
বিশ্লেষকেরা মনে করছেন, তৃতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেওয়ার পর নওয়াজকে অনেক বড় চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে। নওয়াজ বলেছেন, ক্ষমতায় গেলে যুক্তরাষ্ট্রের সন্ত্রাসবাদবিরোধী যুদ্ধে সহায়তা বন্ধ করবেন। আবার তালেবানের বিষয়ে নমনীয় মনোভাব প্রদর্শনেরও তিনি ঘোরবিরোধী। এ কারণে দেশের ভেতরের উগ্রপন্থীদের সামাল দেওয়া ও পশ্চিমা শক্তিগুলোর সঙ্গে সদ্ভাব বজায় রাখা তাঁর জন্য বেশ কঠিন হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
এক দশক নির্বাসিত জীবনের পর ২০০৮ সালে আবার দেশে ফিরলেন নওয়াজ শরিফ। ভাগ্য এবার পুরোই তাঁর পক্ষে। দেশছাড়া করা মোশাররফ নিজে সাব-জেলের কড়িকাঠ গুনলেও নওয়াজ প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পথে।
১৯৪৯ সালে লাহোরের এক বনেদি ব্যবসায়ী পরিবারে জন্ম নেন নওয়াজ। বাবার গড়ে তোলা ইস্পাত ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ইত্তেফাক গ্রুপের প্রধান হিসেবে ব্যবসা চালিয়েছেন সফলভাবে। রাজনীতিতেও সামনের সারিতে উঠে আসেন দ্রুত।
আশির দশকে সামরিক শাসক জিয়াউল হকের বিশেষ স্নেহভাজন ছিলেন নওয়াজ শরিফ। ওই সময় পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী হন। ১৯৮৮ সালে জিয়াউল হক রহস্যময় বিমান দুর্ঘটনায় নিহত হওয়ার পর নওয়াজের রাজনৈতিক জীবন নাটকীয় মোড় নেয়। ওই বছরই পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন) গঠন করে তার প্রধান হন। ১৯৯০ সালের নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী হয়ে ১৯৯৩ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় ছিলেন। এর পরই ক্ষমতায় আসেন বেনজির ভুট্টো। ১৯৯৭ সালে পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়ার পর ওই বছর আবার প্রধানমন্ত্রী হন নওয়াজ। কিন্তু দুই বছরের মধ্যে তৎকালীন সেনাপ্রধান জেনারেল পারভেজ মোশাররফের সঙ্গে তাঁর বিরোধ বাধে। তিনি মোশাররফকে সেনাপ্রধানের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলেও শেষ পর্যন্ত ব্যর্থ হন। মোশাররফই তাঁকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেন।
বিশ্লেষকেরা মনে করছেন, তৃতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেওয়ার পর নওয়াজকে অনেক বড় চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে। নওয়াজ বলেছেন, ক্ষমতায় গেলে যুক্তরাষ্ট্রের সন্ত্রাসবাদবিরোধী যুদ্ধে সহায়তা বন্ধ করবেন। আবার তালেবানের বিষয়ে নমনীয় মনোভাব প্রদর্শনেরও তিনি ঘোরবিরোধী। এ কারণে দেশের ভেতরের উগ্রপন্থীদের সামাল দেওয়া ও পশ্চিমা শক্তিগুলোর সঙ্গে সদ্ভাব বজায় রাখা তাঁর জন্য বেশ কঠিন হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
No comments