ডিএসইর সূচক নির্ণয়ে নীতিমালার ব্যত্যয় হয়নি: এসইসি -সংবাদ সম্মেলনে বিকৃতির কথাও স্বীকার করা হয়েছে
শেয়ারবাজারের সূচক নির্ণয়ে ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন অব সিকিউরিটিজ কমিশনসের (আইওএসসিও) নীতিমালার কোনো ব্যত্যয় ঘটেনি। নতুন তালিকাভুক্ত কোম্পানির শেয়ারের প্রারম্ভিক মূল্যের ভিত্তিতে সূচক নির্ধারণ পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর আন্তর্জাতিক এই ফোরামের নীতিমালার পরিপন্থী নয়।
সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (এসইসি) আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে গতকাল মঙ্গলবার এ দাবি করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক ফরহাদ আহমেদ আইওএসসিওর নীতিমালায় উল্লিখিত সংশ্লিষ্ট ধারা উল্লেখ করে বলেন, ‘এই নীতিমালায় কোন দিনের মূল্যের ভিত্তিতে কোম্পানির তথ্য সূচকে অন্তর্ভুক্ত করা হবে, তা নির্দিষ্ট করে বলা নেই। সংশ্লিষ্ট দেশের সিকিউরিটিজ কমিশন ও স্টক এক্সচেঞ্জগুলোর তালিকাভুক্তির মান অনুযায়ী এটি নির্ধারণ করা হয়ে থাকে। তাই ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সূচক ভুল ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়ে আছে বলে যে বক্তব্য সংবাদপত্রে ছাপা হয়েছে তা যথার্থ নয়।’
তবে সূচক নির্ণয়ে কিছুটা বিকৃতির (ডিসটরশন) কথা স্বীকার করে ফরহাদ আহমেদ বলেন, এর বড় কারণ, উন্নত দেশগুলোতে প্রাথমিক শেয়ারের মূল্য এবং তালিকাভুক্তির পর বাজারমূল্যের মধ্যে সাধারণত বড় কোনো ব্যবধান থাকে না। কিন্তু বাংলাদেশে এই ব্যবধান প্রায় ক্ষেত্রেই অনেক বেশি হয়। আর এ কারণেই প্রথম দিনের পরিবর্তে দ্বিতীয় দিনের মূল্যের ভিত্তিতে সূচক নির্ণয়ের পক্ষে এসইসি।
ফরহাদ আহমেদ আরও বলেন, সূচকের মাধ্যমে যাতে বাজারের প্রকৃত চিত্র পাওয়া যায়, সে জন্য দুই স্টক এক্সচেঞ্জে একক নির্ভরযোগ্য পদ্ধতি অনুসরণের বিষয়ে গত বছরের ২৮ মে এসইসি, ডিএসই ও সিএসইর একটি যৌথ বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়। এমনকি গ্রামীণফোনের লেনদেনের প্রথম দিন সূচকের পরিবর্তনের বিষয়েও বিস্তারিত জানতে চেয়ে ডিএসইকে চিঠি দিয়েছে এসইসি।
এসইসির এই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা আরও বলেন, তাই বলে সূচক ভুলভাবে নির্ণয় হচ্ছে জেনেও এসইসি বিষয়টি আমলে নেয়নি—এমন বক্তব্যও সঠিক নয়। কারণ বিষয়টি প্রথমে এসইসিরই নজরে আসে এবং সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের এ ব্যাপারে জানাতে বলা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে ফরহাদ আহমেদ বলেন, দেশের দুটি স্টক এক্সচেঞ্জ ভিন্ন ভিন্ন পদ্ধতিতে সূচক নির্ণয় করত। এ ক্ষেত্রে সমতা আনতে গত ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত এসইসি, ডিএসই ও সিএসইর যৌথ বৈঠকে অভিন্ন পদ্ধতিতে সূচক নির্ণয়ের সিদ্ধান্ত হয়।
এই সিদ্ধান্ত অনুসারে ভবিষ্যতে তালিকাভুক্ত প্রথম কোম্পানির লেনদেন থেকেই অভিন্ন সূচক নির্ণয় শুরু হবে। নতুন পদ্ধতিতে সূচক নির্ণয় হবে প্রথম দিনের সমাপনী মূল্যের ভিত্তিতে। ফরহাদ আহমেদ বলেন, গত বছরের ২৮ মে অনুষ্ঠিত বৈঠকের সিদ্ধান্তে সূচক কার্যকর না করার ক্ষেত্রে কারও কোনো গাফলতি রয়েছে কি না, এসইসি তা খতিয়ে দেখছে। যদি এ ক্ষেত্রে কারও গাফলতি পাওয়া যায়, তাহলে তাঁর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে এসইসি।
সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (এসইসি) আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে গতকাল মঙ্গলবার এ দাবি করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক ফরহাদ আহমেদ আইওএসসিওর নীতিমালায় উল্লিখিত সংশ্লিষ্ট ধারা উল্লেখ করে বলেন, ‘এই নীতিমালায় কোন দিনের মূল্যের ভিত্তিতে কোম্পানির তথ্য সূচকে অন্তর্ভুক্ত করা হবে, তা নির্দিষ্ট করে বলা নেই। সংশ্লিষ্ট দেশের সিকিউরিটিজ কমিশন ও স্টক এক্সচেঞ্জগুলোর তালিকাভুক্তির মান অনুযায়ী এটি নির্ধারণ করা হয়ে থাকে। তাই ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সূচক ভুল ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়ে আছে বলে যে বক্তব্য সংবাদপত্রে ছাপা হয়েছে তা যথার্থ নয়।’
তবে সূচক নির্ণয়ে কিছুটা বিকৃতির (ডিসটরশন) কথা স্বীকার করে ফরহাদ আহমেদ বলেন, এর বড় কারণ, উন্নত দেশগুলোতে প্রাথমিক শেয়ারের মূল্য এবং তালিকাভুক্তির পর বাজারমূল্যের মধ্যে সাধারণত বড় কোনো ব্যবধান থাকে না। কিন্তু বাংলাদেশে এই ব্যবধান প্রায় ক্ষেত্রেই অনেক বেশি হয়। আর এ কারণেই প্রথম দিনের পরিবর্তে দ্বিতীয় দিনের মূল্যের ভিত্তিতে সূচক নির্ণয়ের পক্ষে এসইসি।
ফরহাদ আহমেদ আরও বলেন, সূচকের মাধ্যমে যাতে বাজারের প্রকৃত চিত্র পাওয়া যায়, সে জন্য দুই স্টক এক্সচেঞ্জে একক নির্ভরযোগ্য পদ্ধতি অনুসরণের বিষয়ে গত বছরের ২৮ মে এসইসি, ডিএসই ও সিএসইর একটি যৌথ বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়। এমনকি গ্রামীণফোনের লেনদেনের প্রথম দিন সূচকের পরিবর্তনের বিষয়েও বিস্তারিত জানতে চেয়ে ডিএসইকে চিঠি দিয়েছে এসইসি।
এসইসির এই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা আরও বলেন, তাই বলে সূচক ভুলভাবে নির্ণয় হচ্ছে জেনেও এসইসি বিষয়টি আমলে নেয়নি—এমন বক্তব্যও সঠিক নয়। কারণ বিষয়টি প্রথমে এসইসিরই নজরে আসে এবং সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের এ ব্যাপারে জানাতে বলা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে ফরহাদ আহমেদ বলেন, দেশের দুটি স্টক এক্সচেঞ্জ ভিন্ন ভিন্ন পদ্ধতিতে সূচক নির্ণয় করত। এ ক্ষেত্রে সমতা আনতে গত ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত এসইসি, ডিএসই ও সিএসইর যৌথ বৈঠকে অভিন্ন পদ্ধতিতে সূচক নির্ণয়ের সিদ্ধান্ত হয়।
এই সিদ্ধান্ত অনুসারে ভবিষ্যতে তালিকাভুক্ত প্রথম কোম্পানির লেনদেন থেকেই অভিন্ন সূচক নির্ণয় শুরু হবে। নতুন পদ্ধতিতে সূচক নির্ণয় হবে প্রথম দিনের সমাপনী মূল্যের ভিত্তিতে। ফরহাদ আহমেদ বলেন, গত বছরের ২৮ মে অনুষ্ঠিত বৈঠকের সিদ্ধান্তে সূচক কার্যকর না করার ক্ষেত্রে কারও কোনো গাফলতি রয়েছে কি না, এসইসি তা খতিয়ে দেখছে। যদি এ ক্ষেত্রে কারও গাফলতি পাওয়া যায়, তাহলে তাঁর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে এসইসি।
No comments