চার মাসে বাজেট ঘাটতি ১০৮৯ কোটি টাকা -অর্থ মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিসংখ্যানে গরমিল
চলতি ২০০৯-১০ অর্থবছরের প্রথম চার মাসে দেশে বাজেট ঘাটতি অর্থায়ন আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ব্যাপকভাবে হ্রাস পেয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিসংখ্যান থেকে দেখা যায়, চলতি অর্থবছরের জুলাই-অক্টোবর সময়কালে ঘাটতি অর্থায়নের জন্য সরকারকে ব্যয় করতে হয়েছে মাত্র এক হাজার ৮৯ কোটি ১৭ লাখ টাকা।
আর ২০০৮-০৯ অর্থবছরের প্রথম চার মাসে এই কাজে ব্যয় করতে হয়েছিল দুই হাজার ৮৭৫ কোটি ৮২ লাখ টাকা।
মূলত উন্নয়ন ব্যয়ে সেভাবে গতি সঞ্চার না হওয়ায় ঘাটতি অর্থায়ন কমে গেছে বলে মনে করা হচ্ছে। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ভর্তুকি কমে যাওয়া।
বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিসংখ্যান থেকে দেখা যায় যে এই চার মাসে সরকার ব্যাংক থেকে কার্যত কোনো ঋণ গ্রহণ করেনি। বরং যে পরিমাণ ঋণ গ্রহণ করেছে, তার চেয়ে বেশি ঋণ ফেরত দেওয়ায় নিট ঋণ নেতিবাচক হয়ে গেছে।
অন্যদিকে গত অর্থবছরের একই সময়ে সরকার চার হাজার ৭২৪ কোটি ১০ লাখ টাকা ব্যাংক থেকে নিট ঋণ হিসেবে নিয়েছিল।
অবশ্য চলতি অর্থবছরের প্রথম চার মাসে সরকার ব্যাংক-বহির্ভূত উত্স থেকে বিপুল পরিমাণ ঋণ নিয়েছে।
পরিসংখ্যান থেকে দেখা যায় যে এই ঋণের পরিমাণ চার হাজার ৪৩৪ কোটি ৭৯ লাখ টাকা।
আর গত অর্থবছরের জুলাই-অক্টোবর সময়কালে এর পরিমাণ ছিল এক হাজার ৩৪৯ কোটি ১৬ লাখ টাকা।
ব্যাংক-বহির্ভূত উেসর প্রায় পুরোটাই আসে বিভিন্ন ধরনের সঞ্চয়পত্র বিক্রি করে।
আলোচ্য সময়কালে মোট সঞ্চয়পত্র বিক্রির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে আট হাজার ৩৬৪ কোটি ৬৮ লাখ টাকা, যা গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় প্রায় ৭৯ শতাংশ বেশি।
অবশ্য এই চার মাসে গ্রাহকেরা চার হাজার ৪৩৪ কোটি ৫৬ লাখ টাকা নগদায়ন করায় মূল বাবদ সরকারকে এই অর্থ ফেরত দিতে হয়েছে।
এর ফলে সঞ্চয়পত্রের নিট বিক্রি দাঁড়িয়েছে তিন হাজার ৯৩০ কোটি ১২ লাখ টাকা, যা গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ৩১৩ শতাংশ বেশি।
২০০৮-০৯ অর্থবছরের জুলাই-অক্টোবর সময়কালে সঞ্চয়পত্রের নিট বিক্রির পরিমাণ ছিল ৯৫১ কোটি ১৩ লাখ টাকা।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিসংখ্যান থেকে আরও দেখা যায় যে চলতি অর্থবছরের প্রথম চার মাসে সরকার বিদেশি ঋণ সহায়তা বাবদ মাত্র ২২৩ কোটি টাকা পেয়েছে, যেখানে গত অর্থবছরের একই সময়ে এর পরিমাণ ছিল ছয় হাজার ৭৩ কোটি টাকা।
তবে ঘাটতি অর্থায়নের পরিসংখ্যান নিয়ে আবারও প্রশ্ন উঠেছে। বাংলাদেশ ব্যাংক ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের পরিসংখ্যানের মধ্যে পার্থক্য পরিলক্ষিত হচ্ছে।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের পরিসংখ্যান অনুসারে অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে ঘাটতি অর্থায়নের পরিমাণ ৯১৭ কোটি ৫০ লাখ টাকা। অথচ বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিসংখ্যান অনুসারে এটি ৮৯০ কোটি ৪১ লাখ টাকা।
আবার অর্থ মন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুসারে চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে ব্যাংক থেকে নিট তিন হাজার ১১৭ কোটি টাকার ঋণ নেওয়া হয়েছে, যেখানে বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিসংখ্যান অনুসারে নিট ঋণ নেতিবাচক দুই হাজার ৫৪৩ কোটি ৬০ লাখ টাকা।
অর্ধবার্ষিকী অর্থনৈতিক পর্যালোচনায় গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগও (সিপিডি) বিষয়টি তুলে ধরেছে।
সিপিডির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অর্থ মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিসংখ্যানের মধ্যে যে পার্থক্য দেখা যাচ্ছে, তার একটা নিষ্পত্তি হওয়া দরকার।
এতে আরও বলা হয়েছে, মনে হচ্ছে অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রতিবেদন তৈরির প্রক্রিয়ায় বড় ধরনের পদ্ধতিগত পরিবর্তন আনা হয়েছে। তাই ঘাটতি অর্থায়নের তথ্য বিশ্লেষণে অনেক বেশি সতর্ক হওয়া প্রয়োজন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিসংখ্যান থেকে দেখা যায়, চলতি অর্থবছরের জুলাই-অক্টোবর সময়কালে ঘাটতি অর্থায়নের জন্য সরকারকে ব্যয় করতে হয়েছে মাত্র এক হাজার ৮৯ কোটি ১৭ লাখ টাকা।
আর ২০০৮-০৯ অর্থবছরের প্রথম চার মাসে এই কাজে ব্যয় করতে হয়েছিল দুই হাজার ৮৭৫ কোটি ৮২ লাখ টাকা।
মূলত উন্নয়ন ব্যয়ে সেভাবে গতি সঞ্চার না হওয়ায় ঘাটতি অর্থায়ন কমে গেছে বলে মনে করা হচ্ছে। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ভর্তুকি কমে যাওয়া।
বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিসংখ্যান থেকে দেখা যায় যে এই চার মাসে সরকার ব্যাংক থেকে কার্যত কোনো ঋণ গ্রহণ করেনি। বরং যে পরিমাণ ঋণ গ্রহণ করেছে, তার চেয়ে বেশি ঋণ ফেরত দেওয়ায় নিট ঋণ নেতিবাচক হয়ে গেছে।
অন্যদিকে গত অর্থবছরের একই সময়ে সরকার চার হাজার ৭২৪ কোটি ১০ লাখ টাকা ব্যাংক থেকে নিট ঋণ হিসেবে নিয়েছিল।
অবশ্য চলতি অর্থবছরের প্রথম চার মাসে সরকার ব্যাংক-বহির্ভূত উত্স থেকে বিপুল পরিমাণ ঋণ নিয়েছে।
পরিসংখ্যান থেকে দেখা যায় যে এই ঋণের পরিমাণ চার হাজার ৪৩৪ কোটি ৭৯ লাখ টাকা।
আর গত অর্থবছরের জুলাই-অক্টোবর সময়কালে এর পরিমাণ ছিল এক হাজার ৩৪৯ কোটি ১৬ লাখ টাকা।
ব্যাংক-বহির্ভূত উেসর প্রায় পুরোটাই আসে বিভিন্ন ধরনের সঞ্চয়পত্র বিক্রি করে।
আলোচ্য সময়কালে মোট সঞ্চয়পত্র বিক্রির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে আট হাজার ৩৬৪ কোটি ৬৮ লাখ টাকা, যা গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় প্রায় ৭৯ শতাংশ বেশি।
অবশ্য এই চার মাসে গ্রাহকেরা চার হাজার ৪৩৪ কোটি ৫৬ লাখ টাকা নগদায়ন করায় মূল বাবদ সরকারকে এই অর্থ ফেরত দিতে হয়েছে।
এর ফলে সঞ্চয়পত্রের নিট বিক্রি দাঁড়িয়েছে তিন হাজার ৯৩০ কোটি ১২ লাখ টাকা, যা গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ৩১৩ শতাংশ বেশি।
২০০৮-০৯ অর্থবছরের জুলাই-অক্টোবর সময়কালে সঞ্চয়পত্রের নিট বিক্রির পরিমাণ ছিল ৯৫১ কোটি ১৩ লাখ টাকা।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিসংখ্যান থেকে আরও দেখা যায় যে চলতি অর্থবছরের প্রথম চার মাসে সরকার বিদেশি ঋণ সহায়তা বাবদ মাত্র ২২৩ কোটি টাকা পেয়েছে, যেখানে গত অর্থবছরের একই সময়ে এর পরিমাণ ছিল ছয় হাজার ৭৩ কোটি টাকা।
তবে ঘাটতি অর্থায়নের পরিসংখ্যান নিয়ে আবারও প্রশ্ন উঠেছে। বাংলাদেশ ব্যাংক ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের পরিসংখ্যানের মধ্যে পার্থক্য পরিলক্ষিত হচ্ছে।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের পরিসংখ্যান অনুসারে অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে ঘাটতি অর্থায়নের পরিমাণ ৯১৭ কোটি ৫০ লাখ টাকা। অথচ বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিসংখ্যান অনুসারে এটি ৮৯০ কোটি ৪১ লাখ টাকা।
আবার অর্থ মন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুসারে চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে ব্যাংক থেকে নিট তিন হাজার ১১৭ কোটি টাকার ঋণ নেওয়া হয়েছে, যেখানে বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিসংখ্যান অনুসারে নিট ঋণ নেতিবাচক দুই হাজার ৫৪৩ কোটি ৬০ লাখ টাকা।
অর্ধবার্ষিকী অর্থনৈতিক পর্যালোচনায় গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগও (সিপিডি) বিষয়টি তুলে ধরেছে।
সিপিডির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অর্থ মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিসংখ্যানের মধ্যে যে পার্থক্য দেখা যাচ্ছে, তার একটা নিষ্পত্তি হওয়া দরকার।
এতে আরও বলা হয়েছে, মনে হচ্ছে অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রতিবেদন তৈরির প্রক্রিয়ায় বড় ধরনের পদ্ধতিগত পরিবর্তন আনা হয়েছে। তাই ঘাটতি অর্থায়নের তথ্য বিশ্লেষণে অনেক বেশি সতর্ক হওয়া প্রয়োজন।
No comments