অন্ধ্রপ্রদেশে রাজনৈতিক সংকট তীব্র রাষ্ট্রপতির শাসন জারির আশঙ্কা -তেলেঙ্গানা রাজ্য গঠনের সিদ্ধান্ত
ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশ রাজ্যের তেলেঙ্গানা অঞ্চলকে আলাদা রাজ্য হিসেবে গঠনের সরকারি সিদ্ধান্ত নিয়ে ওই রাজ্যে রাজনৈতিক সংকট তীব্র হয়েছে। বিবিসি জানিয়েছে, এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে গতকাল রোববার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী কে রোসাইয়াহর কাছে রয়ালাসিমা ও উপকূলীয় এলাকার ২০ জন মন্ত্রী পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। আর এর পরিপ্রেক্ষিতে ওই রাজ্যে রাষ্ট্রপতির শাসন জারি হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
গত শনিবার তেলেঙ্গানা রাষ্ট্র সমিতির (টিআরএস) প্রধান কে চন্দ্র শেখর রাও একটি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, তেলেঙ্গানা রাজ্য গঠনের ব্যাপারে সরকারি সিদ্ধান্ত ফিরিয়ে নেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। আর নতুন রাজ্য গঠন করা হলে হায়দরাবাদ হবে এর রাজধানী। তেলেঙ্গানা ও অন্ধ্রের যৌথ রাজধানী হিসেবে হায়দরাবাদকে গড়ে তোলার সম্ভাবনা নাকচ করেন তিনি।
তেলেঙ্গানাকে আলাদা রাজ্য হিসেবে গঠন করার দাবিতে চন্দ্র শেখর রাও অনশন শুরু করেন। তাঁর ১১ দিনের অনশনের পরিপ্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় সরকার দাবি মেনে নিয়ে ২৯তম রাজ্য হিসেবে তেলেঙ্গানা রাজ্য গঠন প্রক্রিয়া শুরু করার ঘোষণা দেয়। কিন্তু সরকারি সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে এবং অখণ্ড অন্ধ্রপ্রদেশ রাজ্য টিকিয়ে রাখার দাবিতে আন্দোলন শুরু করে রয়ালাসিমা ও উপকূলীয় এলাকার অধিবাসীরা।
এদিকে পদত্যাগপত্র জমা দিয়ে কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন রাজ্য সরকারের মন্ত্রীরা জানিয়েছেন, তাঁরা চান কেন্দ্র এ সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে নিক। এ ব্যাপারে রাজ্যের পৌর প্রশাসনবিষয়কমন্ত্রী রামনারায়ণ রেড্ডি বলেন, ‘আমরা অখণ্ড অন্ধ্রপ্রদেশ চাই। রাজ্যের বিভক্তি কারও স্বার্থ রক্ষা করবে না।’ পদত্যাগপত্র গ্রহণ করবেন কি না, জানতে চাইলে সরাসরি উত্তর না দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী রোসাইয়াহ বলেন, ‘একটি সংকট তৈরি হয়েছে। তবে আমি আশাবাদী, কংগ্রেসের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব এ সংকট সমাধান করতে পারবে।’ রাজ্যের মন্ত্রিসভার ৩৪ জন সদস্যের মধ্যে ১৩ জন তেলেঙ্গানা অঞ্চলের। মুখ্যমন্ত্রীসহ বাকি ২১ জন রয়ালাসিমা ও অন্ধ্র উপকূলীয় এলাকার। এরই মধ্যে অন্ধ্রের বিধানসভার ২৯৪ জন সদস্যের মধ্যে ১৪০ জন পদত্যাগ করেছেন। তাঁদের মধ্যে কংগ্রেস দলীয় বিধায়ক ৭৯ জন।
ওদিকে রাজনৈতিক সংকট সামাল দিতে পদত্যাগ করার প্রস্তাব দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী রোসাইয়াহ। কিন্তু কংগ্রেসের শীর্ষস্থানীয় নেতৃত্ব তাঁর ওই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে। তবে রাজ্যের ২০ জন মন্ত্রী পদত্যাগ করলে সেখানে কোনো সরকার থাকবে না। আর এতে অন্ধ্রপ্রদেশে রাষ্ট্রপতির শাসন জারি হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
তেলেঙ্গানা রাজ্য গঠনের সরকারি সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবিতে রয়ালাসিমা ও উপকূলীয় অঞ্চলে বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে। জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। গতকালও এসব এলাকায় বাস চলাচল বন্ধ ছিল। স্কুল, প্রশাসনিক দপ্তর ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলোও বন্ধ ছিল। তেলেঙ্গানা ইস্যুতে ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে বেশ কয়েকটি নতুন রাজ্য গঠনের দাবিও মাথাচাড়া দিচ্ছে।
উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী মায়াবতী প্রদেশটির পূর্বাঞ্চলকে নিয়ে একটি পৃথক ‘পূর্বাঞ্চল’ রাজ্য গঠনের দাবি জানিয়ে গতকাল প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের কাছে একটি চিঠি দিয়েছেন। এ ব্যাপারে তৃতীয়বারের মতো তিনি প্রধানমন্ত্রীর কাছে চিঠি দিলেন।
গত শনিবার তেলেঙ্গানা রাষ্ট্র সমিতির (টিআরএস) প্রধান কে চন্দ্র শেখর রাও একটি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, তেলেঙ্গানা রাজ্য গঠনের ব্যাপারে সরকারি সিদ্ধান্ত ফিরিয়ে নেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। আর নতুন রাজ্য গঠন করা হলে হায়দরাবাদ হবে এর রাজধানী। তেলেঙ্গানা ও অন্ধ্রের যৌথ রাজধানী হিসেবে হায়দরাবাদকে গড়ে তোলার সম্ভাবনা নাকচ করেন তিনি।
তেলেঙ্গানাকে আলাদা রাজ্য হিসেবে গঠন করার দাবিতে চন্দ্র শেখর রাও অনশন শুরু করেন। তাঁর ১১ দিনের অনশনের পরিপ্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় সরকার দাবি মেনে নিয়ে ২৯তম রাজ্য হিসেবে তেলেঙ্গানা রাজ্য গঠন প্রক্রিয়া শুরু করার ঘোষণা দেয়। কিন্তু সরকারি সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে এবং অখণ্ড অন্ধ্রপ্রদেশ রাজ্য টিকিয়ে রাখার দাবিতে আন্দোলন শুরু করে রয়ালাসিমা ও উপকূলীয় এলাকার অধিবাসীরা।
এদিকে পদত্যাগপত্র জমা দিয়ে কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন রাজ্য সরকারের মন্ত্রীরা জানিয়েছেন, তাঁরা চান কেন্দ্র এ সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে নিক। এ ব্যাপারে রাজ্যের পৌর প্রশাসনবিষয়কমন্ত্রী রামনারায়ণ রেড্ডি বলেন, ‘আমরা অখণ্ড অন্ধ্রপ্রদেশ চাই। রাজ্যের বিভক্তি কারও স্বার্থ রক্ষা করবে না।’ পদত্যাগপত্র গ্রহণ করবেন কি না, জানতে চাইলে সরাসরি উত্তর না দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী রোসাইয়াহ বলেন, ‘একটি সংকট তৈরি হয়েছে। তবে আমি আশাবাদী, কংগ্রেসের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব এ সংকট সমাধান করতে পারবে।’ রাজ্যের মন্ত্রিসভার ৩৪ জন সদস্যের মধ্যে ১৩ জন তেলেঙ্গানা অঞ্চলের। মুখ্যমন্ত্রীসহ বাকি ২১ জন রয়ালাসিমা ও অন্ধ্র উপকূলীয় এলাকার। এরই মধ্যে অন্ধ্রের বিধানসভার ২৯৪ জন সদস্যের মধ্যে ১৪০ জন পদত্যাগ করেছেন। তাঁদের মধ্যে কংগ্রেস দলীয় বিধায়ক ৭৯ জন।
ওদিকে রাজনৈতিক সংকট সামাল দিতে পদত্যাগ করার প্রস্তাব দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী রোসাইয়াহ। কিন্তু কংগ্রেসের শীর্ষস্থানীয় নেতৃত্ব তাঁর ওই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে। তবে রাজ্যের ২০ জন মন্ত্রী পদত্যাগ করলে সেখানে কোনো সরকার থাকবে না। আর এতে অন্ধ্রপ্রদেশে রাষ্ট্রপতির শাসন জারি হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
তেলেঙ্গানা রাজ্য গঠনের সরকারি সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবিতে রয়ালাসিমা ও উপকূলীয় অঞ্চলে বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে। জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। গতকালও এসব এলাকায় বাস চলাচল বন্ধ ছিল। স্কুল, প্রশাসনিক দপ্তর ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলোও বন্ধ ছিল। তেলেঙ্গানা ইস্যুতে ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে বেশ কয়েকটি নতুন রাজ্য গঠনের দাবিও মাথাচাড়া দিচ্ছে।
উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী মায়াবতী প্রদেশটির পূর্বাঞ্চলকে নিয়ে একটি পৃথক ‘পূর্বাঞ্চল’ রাজ্য গঠনের দাবি জানিয়ে গতকাল প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের কাছে একটি চিঠি দিয়েছেন। এ ব্যাপারে তৃতীয়বারের মতো তিনি প্রধানমন্ত্রীর কাছে চিঠি দিলেন।
No comments