বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড -দ্রুত রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নিতে হবে
দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি সবারই কাম্য। বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডকে একটি কার্যকর উপায় হিসেবে মনে করা হচ্ছে। আওয়ামী লীগ সরকার এই ব্যবস্থাটিকে বাঁচিয়ে রাখবে, তা কেউ আশা করেনি। এখন তাদের মনোভাব থেকে স্পষ্ট, তারা এ ব্যবস্থার অবসান ঘটানোকে ঝুঁকিপূর্ণ মনে করছে। তারা কেন নির্বাচনী ওয়াদা ভঙ্গ করল, সেই সমালোচনায় বিরোধী দলকে তেমন সোচ্চার দেখা যাচ্ছে না। সেদিক থেকে এই প্রশ্নে যেন একটি রাজনৈতিক সমঝোতার ইঙ্গিতও পাওয়া যায়।
এই পটভূমিতে হাইকোর্ট বিভাগের একটি দ্বৈত বেঞ্চ সম্প্রতি র্যাবের ওপর একটি রুল জারি করেন। মাদারীপুরে র্যাবের সঙ্গে তথাকথিত বন্দুকযুদ্ধে দুই ভাই নিহত হলে আদালত সুয়োমটো রুল দেন। আদালত শুনানিকালে সংগতভাবেই বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের বিরুদ্ধে সংসদে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া বক্তব্য উল্লেখ করেন। বর্তমান সরকার এ ক্ষেত্রে যে ডিগবাজি দেখাল, তা ছিল খুবই দুর্ভাগ্যজনক ও অনভিপ্রেত। কিন্তু একই সঙ্গে এ ঘটনা সমস্যার গভীরতার দিকেই ইঙ্গিতবহ। আদালত যেমনটা মন্তব্য করেছেন—র্যাবের ভেতরের বিচ্ছিন্ন কতিপয় দুষ্ট লোকের (ব্ল্যাকশিপ) কাজ। তাদের শাস্তি দিলেই এর বিলোপ ঘটবে। আমরা অবশ্যই দোষী ব্যক্তিদের শাস্তি চাই। প্রচলিত আইনে ব্যক্তিগত দায়দায়িত্ব অবশ্যই নির্ধারণ হওয়া আবশ্যক।
২০০৪ সালে র্যাব সৃষ্টির পর এ পর্যন্ত এক হাজার ৫৭ জনের মৃত্যু ঘটেছে। অধিকাংশ ঘটনা সম্পর্কে এই বাহিনীর ভাষ্য ছিল অভিন্ন। এটা অব্যাহতভাবে চলছে, যা চলতে পারে না। তবে বিষয়টি সম্ভবত এমনও নয়, হত্যাকাণ্ডের ঘটনাগুলো শুধুই ‘কতিপয় দুষ্টের’ কারসাজি। এটা স্পষ্টতই রাষ্ট্রের উচ্চপর্যায়ের রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের ফল। এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনাগুলো আমাদের প্রচলিত ব্যবস্থার ভঙ্গুরতা ও সীমাবদ্ধতা এবং দুর্নীতিগ্রস্ততার চিত্রও তুলে ধরে।
এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বহুসংখ্যক দাগি সন্ত্রাসীকে হত্যা করা হয়েছে, যাদের বিরুদ্ধে বিপুলসংখ্যক মামলা ছিল। প্রচলিত বিচারব্যবস্থাকে তারা ফাঁকি দিতে সক্ষম হচ্ছিল। বহু দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী উচ্চ আদালত থেকে জামিনে বেরিয়ে এসে আবারও হত্যাকাণ্ডের মতো ঘটনা ঘটিয়েছে। আমরা বারবার অবশ্য বলে আসছি, কোনো যুক্তি দিয়েই বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডকে যুক্তিগ্রাহ্য করা যাবে না। এটা অবশ্যই বন্ধ করতে হবে। আর সে জন্য অবশ্যই মন্ত্রিসভাকে সঠিক রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নিতে হবে। পুলিশ বিভাগের সংস্কার, স্বাধীন অপরাধ তদন্ত ও প্রসিকিউশন কাঠামো তৈরি এবং অধস্তন ও উচ্চ আদালত ব্যবস্থাপনার আধুনিকায়নেরও কোনো বিকল্প আমরা দেখি না। যে সংস্থার যা দায়িত্ব ও এখতিয়ার, তা তাদের পালন করতে হবে।
এই পটভূমিতে হাইকোর্ট বিভাগের একটি দ্বৈত বেঞ্চ সম্প্রতি র্যাবের ওপর একটি রুল জারি করেন। মাদারীপুরে র্যাবের সঙ্গে তথাকথিত বন্দুকযুদ্ধে দুই ভাই নিহত হলে আদালত সুয়োমটো রুল দেন। আদালত শুনানিকালে সংগতভাবেই বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের বিরুদ্ধে সংসদে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া বক্তব্য উল্লেখ করেন। বর্তমান সরকার এ ক্ষেত্রে যে ডিগবাজি দেখাল, তা ছিল খুবই দুর্ভাগ্যজনক ও অনভিপ্রেত। কিন্তু একই সঙ্গে এ ঘটনা সমস্যার গভীরতার দিকেই ইঙ্গিতবহ। আদালত যেমনটা মন্তব্য করেছেন—র্যাবের ভেতরের বিচ্ছিন্ন কতিপয় দুষ্ট লোকের (ব্ল্যাকশিপ) কাজ। তাদের শাস্তি দিলেই এর বিলোপ ঘটবে। আমরা অবশ্যই দোষী ব্যক্তিদের শাস্তি চাই। প্রচলিত আইনে ব্যক্তিগত দায়দায়িত্ব অবশ্যই নির্ধারণ হওয়া আবশ্যক।
২০০৪ সালে র্যাব সৃষ্টির পর এ পর্যন্ত এক হাজার ৫৭ জনের মৃত্যু ঘটেছে। অধিকাংশ ঘটনা সম্পর্কে এই বাহিনীর ভাষ্য ছিল অভিন্ন। এটা অব্যাহতভাবে চলছে, যা চলতে পারে না। তবে বিষয়টি সম্ভবত এমনও নয়, হত্যাকাণ্ডের ঘটনাগুলো শুধুই ‘কতিপয় দুষ্টের’ কারসাজি। এটা স্পষ্টতই রাষ্ট্রের উচ্চপর্যায়ের রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের ফল। এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনাগুলো আমাদের প্রচলিত ব্যবস্থার ভঙ্গুরতা ও সীমাবদ্ধতা এবং দুর্নীতিগ্রস্ততার চিত্রও তুলে ধরে।
এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বহুসংখ্যক দাগি সন্ত্রাসীকে হত্যা করা হয়েছে, যাদের বিরুদ্ধে বিপুলসংখ্যক মামলা ছিল। প্রচলিত বিচারব্যবস্থাকে তারা ফাঁকি দিতে সক্ষম হচ্ছিল। বহু দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী উচ্চ আদালত থেকে জামিনে বেরিয়ে এসে আবারও হত্যাকাণ্ডের মতো ঘটনা ঘটিয়েছে। আমরা বারবার অবশ্য বলে আসছি, কোনো যুক্তি দিয়েই বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডকে যুক্তিগ্রাহ্য করা যাবে না। এটা অবশ্যই বন্ধ করতে হবে। আর সে জন্য অবশ্যই মন্ত্রিসভাকে সঠিক রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নিতে হবে। পুলিশ বিভাগের সংস্কার, স্বাধীন অপরাধ তদন্ত ও প্রসিকিউশন কাঠামো তৈরি এবং অধস্তন ও উচ্চ আদালত ব্যবস্থাপনার আধুনিকায়নেরও কোনো বিকল্প আমরা দেখি না। যে সংস্থার যা দায়িত্ব ও এখতিয়ার, তা তাদের পালন করতে হবে।
No comments