ক্ষতিপূরণ আদায়ে নিরবচ্ছিন্ন উদ্যোগ জরুরি -জলবায়ু সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বুধবার ডেনমার্কের কোপেনহেগেনে বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলনে দেওয়া ভাষণে যেসব কথা বলেছেন, বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধির অন্যতম ভুক্তভোগী দেশ হিসেবে বাংলাদেশের তরফ থেকে সেগুলো যথার্থ। শিল্পোন্নত দেশগুলোর কৃতকর্মের ফলে আমাদের নানা অভূতপূর্ব প্রাকৃতিক দুর্যোগে ঘন ঘন বিপর্যস্ত হওয়া, এমনকি বিরাট অংশজুড়ে সাগরে তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কার প্রতিকার আমরা তো বিশ্বসমাজের কাছেই চাইব।
বৈশ্বিক উষ্ণতা ও সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা ক্রমাগত বাড়ার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী এর প্রতিবেশগত নেতিবাচক কিছু ফলাফলের কথা তুলে ধরেছেন। বিশেষত মানুষের বাস্তুচ্যুতি ও জীবিকা হারানোর ফলে অভ্যন্তরীণ অভিবাসন, শহরাঞ্চলে জনগোষ্ঠীর ঘনীভবন, এ থেকে সামাজিক অস্থিরতা সৃষ্টি এবং সবকিছু মিলিয়ে সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের পথে এগুলো বড় বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে, উন্নয়ন তহবিল থেকে অর্থ চলে যাচ্ছে এদের পুনর্বাসনের খাতে। সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে ৪০ বছরের মধ্যে বাংলাদেশের ১৮ শতাংশ সাগরে তলিয়ে যাবে, দুই কোটি মানুষ হয়ে পড়বে জলবায়ু উদ্বাস্তু, জীবিকা হারাবে চার কোটি মানুষ। সুতরাং ‘জলবায়ু ক্ষতিপূরণমূলক আর্থিক সহায়তা আমাদের দিতে হবে’—এমন দাবি উত্থাপন করার উত্কৃষ্ট স্থান জলবায়ু সম্মেলনই বটে। প্রধানমন্ত্রী সেখানে তাঁর ভাষণে শিল্পোন্নত দেশগুলোর প্রতি তাদের বার্ষিক প্রবৃদ্ধির দেড় শতাংশ অভিযোজন তহবিলে জমা দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে (মোস্ট ভালনারেবল কান্ট্রিজ—এমভিসি) এমন দেশগুলোর জন্য একটি তহবিল গঠনের ওপর জোর দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী গর্ডন ব্রাউন। বলা বাহুল্য, বাংলাদেশ এমন দেশগুলোর তালিকায় থাকবে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকটি ছিল দ্বিপক্ষীয়; এবং বহুপক্ষীয় সম্মেলনের সমান্তরালে এ রকম দ্বিপক্ষীয় যোগাযোগ ও বোঝাপড়াকেও আমরা গুরুত্বপূর্ণ মনে করি। জাতিসংঘের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক মহল তো বটেই, যুক্তরাজ্যের মতো দেশও আলাদাভাবে আমাদের জলবায়ু অভিযোজনের ক্ষেত্রে নানাভাবে সহযোগিতা দিতে পারে। এমন দ্বিপক্ষীয় কূটনৈতিক যোগাযোগ আরও বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন।
তবে আন্তর্জাতিকভাবে যেসব তহবিলের প্রস্তাব উঠছে, ভবিষ্যতে যেসব তহবিল গঠিত হবে, সেগুলো ভুক্তভোগী দেশগুলোর মধ্যে বণ্টনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের কেবল জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক শিকার হওয়ার বিষয়টিই বিবেচ্য নয়; মনে রাখা দরকার আমাদের জনসংখ্যার বিষয়টিও। আসলে তহবিল বণ্টনের ক্ষেত্রে জনসংখ্যার অনুপাতই হওয়া উচিত মূল বিবেচ্য। কারণ, ক্ষতির শিকার হচ্ছে মূলত মানুষ।
মূলত শিল্পোন্নত এবং সাম্প্রতিককালে বর্ধিষ্ণু অর্থনীতির দেশগুলোর গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণের ফলে পৃথিবী নামের গ্রহটি যে পরিবেশগত হুমকির মুখে পড়েছে, তার বড় ক্ষতির শিকার বাংলাদেশ—এটা যেমন সত্য, তেমনই আরও অনেক দেশ এবং জনগোষ্ঠী, চূড়ান্ত বিচারে গোটা মানবজাতিকেই এর নেতিবাচক প্রভাবের ফলে ভুগতে হবে। তাই বাংলাদেশের তরফে ন্যায্য ক্ষতিপূরণমূলক তহবিল আদায়ের বিষয়টি যেমন গুরুত্বপূর্ণ, তেমনি গুরুত্বপূর্ণ কার্বন নিঃসরণ কমিয়ে এনে বায়ুমণ্ডলের উষ্ণতা বৃদ্ধির হার কমানোর বৈশ্বিক আন্দোলনে আমাদের শরিক হওয়া। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফোরামে যেসব বক্তব্য দিয়েছেন, তাতে বাংলাদেশের তরফে সেই দায়িত্বশীলতার স্বাক্ষর আছে। এটা অব্যাহত থাকলে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হবে।
বৈশ্বিক উষ্ণতা ও সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা ক্রমাগত বাড়ার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী এর প্রতিবেশগত নেতিবাচক কিছু ফলাফলের কথা তুলে ধরেছেন। বিশেষত মানুষের বাস্তুচ্যুতি ও জীবিকা হারানোর ফলে অভ্যন্তরীণ অভিবাসন, শহরাঞ্চলে জনগোষ্ঠীর ঘনীভবন, এ থেকে সামাজিক অস্থিরতা সৃষ্টি এবং সবকিছু মিলিয়ে সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের পথে এগুলো বড় বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে, উন্নয়ন তহবিল থেকে অর্থ চলে যাচ্ছে এদের পুনর্বাসনের খাতে। সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে ৪০ বছরের মধ্যে বাংলাদেশের ১৮ শতাংশ সাগরে তলিয়ে যাবে, দুই কোটি মানুষ হয়ে পড়বে জলবায়ু উদ্বাস্তু, জীবিকা হারাবে চার কোটি মানুষ। সুতরাং ‘জলবায়ু ক্ষতিপূরণমূলক আর্থিক সহায়তা আমাদের দিতে হবে’—এমন দাবি উত্থাপন করার উত্কৃষ্ট স্থান জলবায়ু সম্মেলনই বটে। প্রধানমন্ত্রী সেখানে তাঁর ভাষণে শিল্পোন্নত দেশগুলোর প্রতি তাদের বার্ষিক প্রবৃদ্ধির দেড় শতাংশ অভিযোজন তহবিলে জমা দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে (মোস্ট ভালনারেবল কান্ট্রিজ—এমভিসি) এমন দেশগুলোর জন্য একটি তহবিল গঠনের ওপর জোর দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী গর্ডন ব্রাউন। বলা বাহুল্য, বাংলাদেশ এমন দেশগুলোর তালিকায় থাকবে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকটি ছিল দ্বিপক্ষীয়; এবং বহুপক্ষীয় সম্মেলনের সমান্তরালে এ রকম দ্বিপক্ষীয় যোগাযোগ ও বোঝাপড়াকেও আমরা গুরুত্বপূর্ণ মনে করি। জাতিসংঘের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক মহল তো বটেই, যুক্তরাজ্যের মতো দেশও আলাদাভাবে আমাদের জলবায়ু অভিযোজনের ক্ষেত্রে নানাভাবে সহযোগিতা দিতে পারে। এমন দ্বিপক্ষীয় কূটনৈতিক যোগাযোগ আরও বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন।
তবে আন্তর্জাতিকভাবে যেসব তহবিলের প্রস্তাব উঠছে, ভবিষ্যতে যেসব তহবিল গঠিত হবে, সেগুলো ভুক্তভোগী দেশগুলোর মধ্যে বণ্টনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের কেবল জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক শিকার হওয়ার বিষয়টিই বিবেচ্য নয়; মনে রাখা দরকার আমাদের জনসংখ্যার বিষয়টিও। আসলে তহবিল বণ্টনের ক্ষেত্রে জনসংখ্যার অনুপাতই হওয়া উচিত মূল বিবেচ্য। কারণ, ক্ষতির শিকার হচ্ছে মূলত মানুষ।
মূলত শিল্পোন্নত এবং সাম্প্রতিককালে বর্ধিষ্ণু অর্থনীতির দেশগুলোর গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণের ফলে পৃথিবী নামের গ্রহটি যে পরিবেশগত হুমকির মুখে পড়েছে, তার বড় ক্ষতির শিকার বাংলাদেশ—এটা যেমন সত্য, তেমনই আরও অনেক দেশ এবং জনগোষ্ঠী, চূড়ান্ত বিচারে গোটা মানবজাতিকেই এর নেতিবাচক প্রভাবের ফলে ভুগতে হবে। তাই বাংলাদেশের তরফে ন্যায্য ক্ষতিপূরণমূলক তহবিল আদায়ের বিষয়টি যেমন গুরুত্বপূর্ণ, তেমনি গুরুত্বপূর্ণ কার্বন নিঃসরণ কমিয়ে এনে বায়ুমণ্ডলের উষ্ণতা বৃদ্ধির হার কমানোর বৈশ্বিক আন্দোলনে আমাদের শরিক হওয়া। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফোরামে যেসব বক্তব্য দিয়েছেন, তাতে বাংলাদেশের তরফে সেই দায়িত্বশীলতার স্বাক্ষর আছে। এটা অব্যাহত থাকলে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হবে।
No comments