মেহেরপুরে ট্রান্সফরমার চুরি -নিরাপত্তার দায়িত্ব পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষকেই নিতে হবে
মেহেরপুরে ট্রান্সফরমার চুরি এখন নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ বছরই ১০৩টি ট্রান্সফরমার চুরি হয়েছে—এ সংখ্যা প্রমাণ করে, অবস্থা কতটা নিয়ন্ত্রণের বইরে চলে গেছে। গত তিন বছরের হিসাবে এ সংখ্যা সাড়ে পাঁচ শর বেশি। গ্রাহকদের ভোগান্তি এখন চরমে। ট্রান্সফরমার চুরির ফলে বিদ্যুত্ সরবরাহ বন্ধ থাকায় বেশ কিছু এলাকায় কৃষকদের সেচ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। এর ফলে চলতি মৌসুমে জেলার প্রায় ২৫ হাজার একর জমির ফসল উত্পাদন না হওয়ার আশঙ্কা করছে কৃষি বিভাগ।
উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন বিদ্যুত্ সঞ্চালন লাইন থেকে ট্রান্সফরমার চুরি শুধু দক্ষ লোকের পক্ষেই সম্ভব। এ ক্ষেত্রে সংঘবদ্ধ চক্রের সঙ্গে পল্লী বিদ্যুতের দক্ষ লাইনম্যানরা জড়িত বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। পুলিশের নিষ্ক্রিয়তা নিয়েও গ্রাহকদের বিস্তর অভিযোগ। ট্রান্সফরমার চুরির ঘটনায় গত দুই মাসে মেহেরপুর সদর থানায় ৩৫টি এবং গাংনী থানায় ১২৫টি লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। কিন্তু পুলিশ এ পর্যন্ত ট্রান্সফরমার চুরির ঘটনায় কোনো অভিযোগ এজাহার হিসেবে নেয়নি। গত তিন বছরে ট্রান্সফরমার চুরির ঘটনায় এ পর্যন্ত কোনো চোরকে সাজা দেওয়া যায়নি। ট্রান্সফরমার চোরদের শাস্তি দিতে না পারলে এ প্রবণতা কমবে কীভাবে?
চুরি যাওয়া ট্রান্সফরমারের কোনো দায় পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি কর্তৃপক্ষ বহন করে না। এর সম্পূর্ণ খরচ পরিশোধ করতে হয় ব্যক্তি গ্রাহক অথবা গ্রাহক সমিতিকে। এর সবচেয়ে ভুক্তভোগী হন সাধারণ কৃষকেরা। সেচসুবিধা বজায় রাখতে দ্রুত টাকা পরিশোধ করে বিদ্যুত্সংযোগ দ্রুত চালু করা ছাড়া তাঁদের কোনো উপায় থাকে না। একেকটি ট্রান্সফরমারের দাম ৩৬ থেকে ৫৬ হাজার টাকা। এত বিপুল পরিমাণ টাকা বারবার পরিশোধের ফলে কৃষকদের লোকসানের মুখে পড়তে হয়। এখানে সবচেয়ে বড় প্রশ্নটি হচ্ছে, ব্যবসা করবে পল্লী বিদ্যুত্ সমিতি আর ট্রান্সফরমার চুরি হলে ক্ষতিপূরণ দেবে গ্রাহক—এটা কেমন কথা? একজন গ্রাহক প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের মূল্য দিয়েই তাদের কাছ থেকে বিদ্যুত্ কিনছে। নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করা তাদের দায়িত্ব। গ্রাহকদের ঘাড়ের ওপর সব দায়িত্ব চাপিয়ে দেওয়ার এ প্রথা বদলানো প্রয়োজন। পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষকেই নিরাপত্তার বন্দোবস্ত করতে হবে।
উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন বিদ্যুত্ সঞ্চালন লাইন থেকে ট্রান্সফরমার চুরি শুধু দক্ষ লোকের পক্ষেই সম্ভব। এ ক্ষেত্রে সংঘবদ্ধ চক্রের সঙ্গে পল্লী বিদ্যুতের দক্ষ লাইনম্যানরা জড়িত বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। পুলিশের নিষ্ক্রিয়তা নিয়েও গ্রাহকদের বিস্তর অভিযোগ। ট্রান্সফরমার চুরির ঘটনায় গত দুই মাসে মেহেরপুর সদর থানায় ৩৫টি এবং গাংনী থানায় ১২৫টি লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। কিন্তু পুলিশ এ পর্যন্ত ট্রান্সফরমার চুরির ঘটনায় কোনো অভিযোগ এজাহার হিসেবে নেয়নি। গত তিন বছরে ট্রান্সফরমার চুরির ঘটনায় এ পর্যন্ত কোনো চোরকে সাজা দেওয়া যায়নি। ট্রান্সফরমার চোরদের শাস্তি দিতে না পারলে এ প্রবণতা কমবে কীভাবে?
চুরি যাওয়া ট্রান্সফরমারের কোনো দায় পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি কর্তৃপক্ষ বহন করে না। এর সম্পূর্ণ খরচ পরিশোধ করতে হয় ব্যক্তি গ্রাহক অথবা গ্রাহক সমিতিকে। এর সবচেয়ে ভুক্তভোগী হন সাধারণ কৃষকেরা। সেচসুবিধা বজায় রাখতে দ্রুত টাকা পরিশোধ করে বিদ্যুত্সংযোগ দ্রুত চালু করা ছাড়া তাঁদের কোনো উপায় থাকে না। একেকটি ট্রান্সফরমারের দাম ৩৬ থেকে ৫৬ হাজার টাকা। এত বিপুল পরিমাণ টাকা বারবার পরিশোধের ফলে কৃষকদের লোকসানের মুখে পড়তে হয়। এখানে সবচেয়ে বড় প্রশ্নটি হচ্ছে, ব্যবসা করবে পল্লী বিদ্যুত্ সমিতি আর ট্রান্সফরমার চুরি হলে ক্ষতিপূরণ দেবে গ্রাহক—এটা কেমন কথা? একজন গ্রাহক প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের মূল্য দিয়েই তাদের কাছ থেকে বিদ্যুত্ কিনছে। নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করা তাদের দায়িত্ব। গ্রাহকদের ঘাড়ের ওপর সব দায়িত্ব চাপিয়ে দেওয়ার এ প্রথা বদলানো প্রয়োজন। পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষকেই নিরাপত্তার বন্দোবস্ত করতে হবে।
No comments