নতুন বেতনকাঠামো -মূল্যস্ফীতি যেন না বাড়ে
সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য নতুন বেতনকাঠামো ঘোষণা করা হলো। প্রায় পৌনে বারো লাখ সরকারি চাকরিজীবী এবং প্রতিরক্ষা, স্বায়ত্তশাসিত ও এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহে কর্মরত ব্যক্তি ও তাঁদের পরিবারের জন্য এটি একটি বড় সুখবর। তাঁরা বহু দিন এর প্রতীক্ষায় ছিলেন। ২০০৫ সালে সর্বশেষ বেতন বৃদ্ধির পর গত চার বছরে দ্রব্যমূল্যসহ জীবনযাত্রার সামগ্রিক ব্যয় উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে কিন্তু সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন-ভাতা সে অনুপাতে বাড়েনি। তাই এই নতুন বেতনকাঠামো ঘোষণা একটি যুক্তিসংগত পদক্ষেপ। গত জুলাই থেকে মূল বেতন কার্যকর বলে গণ্য হবে, ফলে এ কয়েক মাসের বকেয়া মূল বেতন এ বছরই প্রদানের সিদ্ধান্ত বাড়তি আনন্দের বিষয়। ২০১০ সালের জুলাই থেকে অন্যান্য ভাতা কার্যকর হবে—এটাও তুলনামূলকভাবে সুখবর, কারণ এর আগেরবার নতুন বেতনকাঠামো অনুযায়ী মূল বেতন ও অন্যান্য ভাতা বাস্তবায়ন করা হয়েছিল তিন বছরে। সরকারকে ধন্যবাদ। সরকারি চাকরিজীবীদের অভিনন্দন।
এখন সরকারি চাকরিজীবীদের কাছে জনগণের প্রত্যাশার বিষয়টিও ভাবা উচিত। সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন-ভাতাসহ যাবতীয় ব্যয়ভার বহন করে জনগণ; বেতন-ভাতা বাড়ানো হলে বাড়তি অর্থের জোগানও দিতে হয় জনগণকেই। সুতরাং করদাতা জনগণ সরকারের কাছে আরও ভালো সেবা প্রত্যাশা করবে, এটাই স্বাভাবিক। সরকারি প্রশাসনযন্ত্রের কর্তাব্যক্তি থেকে শুরু করে জনপ্রশাসনের সর্বনিম্ন কর্মচারী পর্যন্ত সবারই জনগণের কাছে এই দায়বদ্ধতার কথা স্মরণ করা উচিত নতুন বেতনকাঠামো ঘোষণার সুবাদে। প্রত্যেকে নিজ নিজ পদ, ক্ষমতা, অবস্থান থেকে আরও ভালোভাবে দায়িত্ব পালনে উদ্যোগী হলে সে দায়বদ্ধতা পূরণ হয়, বেতন-ভাতা বৃদ্ধিরও ন্যায্যতা প্রতিপন্ন হয়।
এই সঙ্গে ভেবে দেখা যেতে পারে, সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন-ভাতা কয়েক বছরের ব্যবধানে ঘটা করে বাড়ানোর যে চল এ দেশে রয়েছে, তা কতটা যুক্তিসংগত। মূল্যস্ফীতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণভাবে তাঁদের বেতন-ভাতা বছরে বছরে সমন্বয় করা কি বেশি যুক্তিসংগত নয়? পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন-ভাতা বৃদ্ধির কাজটি সেভাবেই করা হয়। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে মূল্যস্ফীতির হিসাব থাকে; যে বছর যে হারে মূল্যস্ফীতি ঘটে সে বছর ওই হারে সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন-ভাতা বাড়ানো হয়। বার্ষিক ইনক্রিমেন্টকে মূল্যস্ফীতি সূচকের সঙ্গে বেঁধে দেওয়া হয়। সব দেশেই মূল্যস্ফীতি ঘটে ক্রমান্বয়ে, চার-পাঁচ বছর পর হঠাত্ করে নয়। সুতরাং দীর্ঘ সময় ধরে চাকরিজীবীদের মূল্যস্ফীতির চাপের মধ্যে রেখে চার বা পাঁচ বছর পর একবার বেতন-ভাতা বাড়ানো সঠিক পদ্ধতি নয়। এর কিছু নেতিবাচক দিকও রয়েছে। বিশেষত লক্ষ করা যায়, যখন সাড়ম্বরে সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন-ভাতা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হয়, তখন বাজারে জিনিসপত্রের দাম হঠাত্ করে বেড়ে যায়। এবার মূল্যস্ফীতির তুলনায় বেতন-ভাতা বাড়ানো হয়েছে অনেক বেশি হারে। চার বছরে মূল্যস্ফীতি ঘটেছে ৩১ শতাংশ, আর গ্রেডভেদে বেতন বেড়েছে ৫৬ থেকে ৭৪ শতাংশ পর্যন্ত। অর্থনীতিবিদদের কেউ কেউ আশঙ্কা প্রকাশ করছেন, নতুন বেতন-কাঠামো মূল্যস্ফীতির ওপর খানিকটা চাপ ফেলতে পারে। অবশ্য সরকারের তরফ থেকে এ রকম আশঙ্কা নাকচ করা হয়েছে। যাই হোক, বেতন বৃদ্ধির ঘটনার সুযোগ নিয়ে অসত্ ব্যবসায়ীরা যাতে দ্রব্যমূল্য না বাড়াতে পারেন, সে জন্য সরকারকে দক্ষতার সঙ্গে বাজার তদারক করতে হবে।
এখন সরকারি চাকরিজীবীদের কাছে জনগণের প্রত্যাশার বিষয়টিও ভাবা উচিত। সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন-ভাতাসহ যাবতীয় ব্যয়ভার বহন করে জনগণ; বেতন-ভাতা বাড়ানো হলে বাড়তি অর্থের জোগানও দিতে হয় জনগণকেই। সুতরাং করদাতা জনগণ সরকারের কাছে আরও ভালো সেবা প্রত্যাশা করবে, এটাই স্বাভাবিক। সরকারি প্রশাসনযন্ত্রের কর্তাব্যক্তি থেকে শুরু করে জনপ্রশাসনের সর্বনিম্ন কর্মচারী পর্যন্ত সবারই জনগণের কাছে এই দায়বদ্ধতার কথা স্মরণ করা উচিত নতুন বেতনকাঠামো ঘোষণার সুবাদে। প্রত্যেকে নিজ নিজ পদ, ক্ষমতা, অবস্থান থেকে আরও ভালোভাবে দায়িত্ব পালনে উদ্যোগী হলে সে দায়বদ্ধতা পূরণ হয়, বেতন-ভাতা বৃদ্ধিরও ন্যায্যতা প্রতিপন্ন হয়।
এই সঙ্গে ভেবে দেখা যেতে পারে, সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন-ভাতা কয়েক বছরের ব্যবধানে ঘটা করে বাড়ানোর যে চল এ দেশে রয়েছে, তা কতটা যুক্তিসংগত। মূল্যস্ফীতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণভাবে তাঁদের বেতন-ভাতা বছরে বছরে সমন্বয় করা কি বেশি যুক্তিসংগত নয়? পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন-ভাতা বৃদ্ধির কাজটি সেভাবেই করা হয়। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে মূল্যস্ফীতির হিসাব থাকে; যে বছর যে হারে মূল্যস্ফীতি ঘটে সে বছর ওই হারে সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন-ভাতা বাড়ানো হয়। বার্ষিক ইনক্রিমেন্টকে মূল্যস্ফীতি সূচকের সঙ্গে বেঁধে দেওয়া হয়। সব দেশেই মূল্যস্ফীতি ঘটে ক্রমান্বয়ে, চার-পাঁচ বছর পর হঠাত্ করে নয়। সুতরাং দীর্ঘ সময় ধরে চাকরিজীবীদের মূল্যস্ফীতির চাপের মধ্যে রেখে চার বা পাঁচ বছর পর একবার বেতন-ভাতা বাড়ানো সঠিক পদ্ধতি নয়। এর কিছু নেতিবাচক দিকও রয়েছে। বিশেষত লক্ষ করা যায়, যখন সাড়ম্বরে সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন-ভাতা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হয়, তখন বাজারে জিনিসপত্রের দাম হঠাত্ করে বেড়ে যায়। এবার মূল্যস্ফীতির তুলনায় বেতন-ভাতা বাড়ানো হয়েছে অনেক বেশি হারে। চার বছরে মূল্যস্ফীতি ঘটেছে ৩১ শতাংশ, আর গ্রেডভেদে বেতন বেড়েছে ৫৬ থেকে ৭৪ শতাংশ পর্যন্ত। অর্থনীতিবিদদের কেউ কেউ আশঙ্কা প্রকাশ করছেন, নতুন বেতন-কাঠামো মূল্যস্ফীতির ওপর খানিকটা চাপ ফেলতে পারে। অবশ্য সরকারের তরফ থেকে এ রকম আশঙ্কা নাকচ করা হয়েছে। যাই হোক, বেতন বৃদ্ধির ঘটনার সুযোগ নিয়ে অসত্ ব্যবসায়ীরা যাতে দ্রব্যমূল্য না বাড়াতে পারেন, সে জন্য সরকারকে দক্ষতার সঙ্গে বাজার তদারক করতে হবে।
No comments