আত্মসমালোচনাকে মূল্য দিয়ে ব্যবস্থা নিন -আওয়ামী লীগের বৈঠক
ক্ষমতায় যাওয়ার পর মূল দল গৌণ হয়ে পড়ে, আর সেখানে সাধারণত মন্ত্রী ও তাঁদের তল্পিবাহকেরাই সবকিছুর নিয়ন্তা হয়ে ওঠেন। ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠক এই চিরায়ত প্রথার ব্যতিক্রম। কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কথা শোনার জন্য দলের সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী গেছেন দলীয় কার্যালয়ে। সাধারণত দলকে সরকারের সঙ্গে গুলিয়ে ফেলা হয়। অতীতে এ ধরনের দলীয় সভা প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন, গণভবন, এমনকি প্রধানমন্ত্রীর সচিবালয়েও করতে দেখা গেছে। এবার সেটা হয়নি। জনগণের করের টাকা দলীয় কাজে ব্যয় না করা এক অর্থে সুবিবেচনার পরিচয়। প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে সভায় খোলামেলা আলোচনা হয়েছে। এমনকি ছাত্রলীগ ও যুবলীগ নামধারীদের চাঁদাবাজি-টেন্ডারবাজির প্রসঙ্গটিও বেশ ভালোভাবে এসেছে। ক্ষমতাসীন দলের জন্য অস্বস্তিকর হলেও প্রধানমন্ত্রী একে অপপ্রচার বা গণমাধ্যমের ‘আবিষ্কার’ বলে উড়িয়ে দেননি। আসলে বাস্তবতা এতই তিক্ত যে ওসব এড়িয়ে যাওয়া সম্ভব ছিল না।
এখন প্রশ্ন হলো, অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে সরকারের তরফ থেকে ব্যবস্থা নেওয়া হবে কি না। জেলা প্রশাসকেরাও নিরুপায় হয়ে সরকারদলীয় পরিচয়ধারীদের চাঁদাবাজি বন্ধে রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন। এর পরও নিশ্চুপ থাকলে সরকারের ওপর মানুষের আস্থা আরও নিচে চলে যাবে। চাঁদাবাজি-টেন্ডারবাজি আওয়ামী লীগ সমর্থন করে না বলে দলের সাধারণ সম্পাদক ও স্থানীয় সরকারমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম যে বক্তব্য দিয়েছেন, সেটা কোনো তাত্পর্য বহন করে না। অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে দলের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা নেওয়ার যে কথা তিনি বলেছেন, সেটাও জনগণের জন্য তেমন গুরুত্বপূর্ণ বার্তা বহন করে না। প্রশ্ন হলো, কজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, কজনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে এবং সেসব মামলার কোনো অগ্রগতি আছে কি না। টেন্ডারবাজির অভিযোগে রংপুরে ছাত্রলীগের যে কয়েকজন কর্মী গ্রেপ্তার হয়েছেন এবং দলীয় কয়েকজন নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে, সেটা বিচ্ছিন্ন ঘটনা হিসেবেই বিবেচিত হবে, যদি দেশের অন্যত্র এ ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া না হয়।
শুধু চাঁদাবাজি-টেন্ডারবাজিই নয়, গলাচিপা, চুয়াডাঙ্গা, যশোরসহ বিভিন্ন এলাকায় ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মীরা যেভাবে সাংবাদিকদের ওপর হামলা, তাঁদের হুমকি-ধমকি ও ভয়ভীতি দেখাচ্ছেন, মিথ্যা মামলা দিয়ে তাঁদের এলাকা ছাড়তে বাধ্য করছেন, তা অকল্পনীয়। দলের স্থানীয় নেতা বা সাংসদদের নানা অপকর্মের খবর পত্রিকায় ছাপানোর কারণে যদি এ রকম নির্যাতনের শিকার হতে হয়, তাহলে স্বাধীন সাংবাদিকতার অস্তিত্ব থাকে কীভাবে? এটা শুধু ফৌজদারি অপরাধই নয়, আধুনিক বিশ্বের সাধারণ নীতি-নৈতিকতাবিরোধী জঘন্য কাজ। অবিলম্বে সাংবাদিক নির্যাতন বন্ধ করে হামলাকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া দরকার।
বিগত সরকারের আমলে চাঁদাবাজি-দখলবাজি-জুলুমবাজিতে অতিষ্ঠ হয়ে মানুষ বিপুল সংখ্যায় ভোট দিয়ে বর্তমান সরকারকে কি এ জন্যই ক্ষমতায় এনেছে? সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, সাংবাদিকদের মারপিট বা হয়রানি মানুষ দেখতে চায় না। এসব অপকর্মের উত্তাপ এরই মধ্যে ক্ষমতাসীন দল পেতে শুরু করেছে, নইলে দলের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকে এসব কথা উঠত নয়। যারা দলের নামে অন্যায়-অবিচার করছে, তাদের প্রত্যেককে প্রচলিত আইনের আওতায় আনতে কোনো রকম গড়িমসি করা চলবে না। প্রমাণ করুন, অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সরকারের কোনো পিছুটান নেই।
এখন প্রশ্ন হলো, অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে সরকারের তরফ থেকে ব্যবস্থা নেওয়া হবে কি না। জেলা প্রশাসকেরাও নিরুপায় হয়ে সরকারদলীয় পরিচয়ধারীদের চাঁদাবাজি বন্ধে রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন। এর পরও নিশ্চুপ থাকলে সরকারের ওপর মানুষের আস্থা আরও নিচে চলে যাবে। চাঁদাবাজি-টেন্ডারবাজি আওয়ামী লীগ সমর্থন করে না বলে দলের সাধারণ সম্পাদক ও স্থানীয় সরকারমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম যে বক্তব্য দিয়েছেন, সেটা কোনো তাত্পর্য বহন করে না। অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে দলের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা নেওয়ার যে কথা তিনি বলেছেন, সেটাও জনগণের জন্য তেমন গুরুত্বপূর্ণ বার্তা বহন করে না। প্রশ্ন হলো, কজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, কজনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে এবং সেসব মামলার কোনো অগ্রগতি আছে কি না। টেন্ডারবাজির অভিযোগে রংপুরে ছাত্রলীগের যে কয়েকজন কর্মী গ্রেপ্তার হয়েছেন এবং দলীয় কয়েকজন নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে, সেটা বিচ্ছিন্ন ঘটনা হিসেবেই বিবেচিত হবে, যদি দেশের অন্যত্র এ ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া না হয়।
শুধু চাঁদাবাজি-টেন্ডারবাজিই নয়, গলাচিপা, চুয়াডাঙ্গা, যশোরসহ বিভিন্ন এলাকায় ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মীরা যেভাবে সাংবাদিকদের ওপর হামলা, তাঁদের হুমকি-ধমকি ও ভয়ভীতি দেখাচ্ছেন, মিথ্যা মামলা দিয়ে তাঁদের এলাকা ছাড়তে বাধ্য করছেন, তা অকল্পনীয়। দলের স্থানীয় নেতা বা সাংসদদের নানা অপকর্মের খবর পত্রিকায় ছাপানোর কারণে যদি এ রকম নির্যাতনের শিকার হতে হয়, তাহলে স্বাধীন সাংবাদিকতার অস্তিত্ব থাকে কীভাবে? এটা শুধু ফৌজদারি অপরাধই নয়, আধুনিক বিশ্বের সাধারণ নীতি-নৈতিকতাবিরোধী জঘন্য কাজ। অবিলম্বে সাংবাদিক নির্যাতন বন্ধ করে হামলাকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া দরকার।
বিগত সরকারের আমলে চাঁদাবাজি-দখলবাজি-জুলুমবাজিতে অতিষ্ঠ হয়ে মানুষ বিপুল সংখ্যায় ভোট দিয়ে বর্তমান সরকারকে কি এ জন্যই ক্ষমতায় এনেছে? সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, সাংবাদিকদের মারপিট বা হয়রানি মানুষ দেখতে চায় না। এসব অপকর্মের উত্তাপ এরই মধ্যে ক্ষমতাসীন দল পেতে শুরু করেছে, নইলে দলের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকে এসব কথা উঠত নয়। যারা দলের নামে অন্যায়-অবিচার করছে, তাদের প্রত্যেককে প্রচলিত আইনের আওতায় আনতে কোনো রকম গড়িমসি করা চলবে না। প্রমাণ করুন, অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সরকারের কোনো পিছুটান নেই।
No comments