পেট ব্যথা কেন ঝুঁকিপূর্ণ? পেটে ব্যথা হলে কী করবেন?
হঠাৎ
পেটে ব্যথা। বুঝতে পারছেন না এটি গ্যাস্ট্রিক নাকি অন্য কিছু। কী ওষুধ
খাবেন, কার কাছে যাবেন, তা-ও বুঝতে পারছেন না। পেটে ব্যথার সঠিক স্থান,
ধরন-ধারণ, আনুষঙ্গিক উপসর্গ ইত্যাদি মিলিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হয়। প্রয়োজনীয়
পরীক্ষা-নিরীক্ষা তো আছেই। প্রথমেই খেয়াল করতে হবে ওপর পেটে ব্যথা হচ্ছে,
না তলপেটে। ওপরে হলে ব্যথা এক আঙুল দিয়ে নির্দেশ করলে সেটা কোন জায়গায় ওপর
ডান, নাকি ওপর বাম? ব্যথাটা কোন দিকে ছড়াচ্ছে? কামড়ে ধরে আছে নাকি চিনচিন
করছে, না জ্বালা করছে? সঙ্গে বমি, অরুচি, পায়খানার সমস্যা ইত্যাদি আছে কি
না। কোনো কিছু খেলে বাড়ে নাকি খালি পেটে বাড়ে?
১. পেপটিক আলসার বা গ্যাস্ট্রিকের ব্যথা সাধারণত পেটের ওপর দিকে মাঝখানে শুরু হয়। এটি খালি পেটে বাড়ে, কখনো চিনচিনে, কখনো জ্বালাপোড়ার মতো মনে হয়। এর সঙ্গে বমিভাব, টক ঢেকুর, পেট ফাঁপা ইত্যাদি থাকতে পারে। অ্যান্টাসিড বা অন্য গ্যাস্ট্রিকের ওষুধে বেশ উপশম মেলে।
২. একই জায়গায় বা একটু বাঁ দিকে অগ্ন্যাশয়ের প্রদাহ হতে পারে। কিন্তু এই ব্যথা প্রচণ্ড তীব্র, পেছন দিকেও অনুভূত হয়। রোগী ব্যথায় কুঁকড়ে যায়। সামনে ঝুঁকে থাকলে আরাম মেলে। সঙ্গে বমি থাকতে পারে।
৩. ওপরের পেটের ডান দিকে ব্যথা হতে পারে পিত্তথলিতে প্রদাহ বা পাথর থাকলে। এই ব্যথাও ডান দিকে পেছন পর্যন্ত ছড়ায়, সঙ্গে বমি হতে পারে। বিশেষ করে চর্বিযুক্ত খাবার খেলে এটি বাড়ে। যকৃতের প্রদাহেও একই জায়গায় ব্যথা হয়। চিনচিন করে ব্যথা, সঙ্গে জ্বর, জন্ডিস, অরুচি ইত্যাদি হেপাটাইটিস বা যকৃতে প্রদাহ নির্দেশ করে। যকৃতে ফোঁড়া হলে এই ব্যথা তীব্র হয়, সঙ্গে কাঁপুনি দিয়ে জ্বর।
৪. পেটের ওপরের দিকে ডান অথবা বাঁ কিডনিতে পাথর, প্রদাহ বা সংক্রমণ হলে সেই পাশে ও পেছনে ব্যথা হয়। এই ব্যথা ক্রমেই নিচে নেমে তলপেটেও ছড়ায়। কিডনির ব্যথা প্রচণ্ড তীব্র হয়, একটু পরপর ছাড়ে, আবার আসে। সঙ্গে বমি, কাঁপুনি দিয়ে জ্বর থাকতে পারে।
৫. নাভির মাঝখান থেকে ব্যথা যদি ক্রমেই তলপেটের ডান দিকে ছড়িয়ে যায়, সেখানে হাত দিলেই ব্যথা হয়, ধীরে ধীরে তীব্রতা বাড়তে থাকে, তাহলে তা অ্যাপেন্ডিসাইটিস কি না, ভাবতে হবে।
৬. তলপেটে ব্যথার সঙ্গে প্রস্রাবের জ্বালাপোড়া ও জ্বর প্রস্রাবের সংক্রমণ নির্দেশ করে। মেয়েদের জরায়ু ও ডিম্বাশয়ের নানা সমস্যায় ব্যথা হতে পারে।
৭. সাধারণ আমাশয়, ফুড পয়জনিং ও বদহজম থেকে ব্যথা পেটজুড়ে থাকে। বমি বমি ভাব, পেটে শব্দ, পাতলা পায়খানা ইত্যাদি হয়। আবার কোষ্ঠকাঠিন্য থেকেও পেটে ব্যথা হয়।
৮. দীর্ঘদিনের পেটের ব্যথার সঙ্গে ওজন হ্রাস, রক্তশূন্যতা, দুর্বলতা ইত্যাদি সতর্কসংকেত। অন্ত্রে ক্যানসার বা টিবিরও লক্ষণ এই পেটে ব্যথা। তাই পেটের ব্যথাকে ছোট করে দেখবেন না।
পেটে ব্যথা হলে কী করণীয়?
যদি গ্যাসের কারণে পেটে ব্যথা মনে করেন এবং এর সঙ্গে অন্যান্য ঝুঁকিপূর্ণ লক্ষণগুলো প্রকাশ না হয়, তাহলে গ্যাসের ওষুধ দিতে পারেন। সিরাপ দিতে পারেন। ব্যথা কমানোর জন্য অনেক ওষুধ আছে সেগুলো দিতে পারেন। তবে নিশ্চিত হতে হবে আপনার ঝুঁকির বিষয়গুলো হয়নি। হঠাৎ করে সমস্যা হয়েছে কি না, বমি হয়েছে কি না, জ্বর আছে কি না—এই বিষয়গুলো সঙ্গে না থাকলে খুব চিন্তিত হওয়ার কিছু নেই। প্রাথমিকভাবে চিকিৎসা করলেই হয়।[১]
পেটে ব্যথা কখন ঝুঁকিপূর্ণ?
বিভিন্ন কারণে পেটে ব্যথা হয়। এটি সাধারণ থেকে গুরুতর কারণেও হতে পারে।
প্রশ্ন : অনেক কারণ রয়েছে পেটে ব্যথার। জীবনের কোনো না কোনো ক্ষেত্রে, কোনো না কোনো সময়ে, এই পেটে ব্যথাগুলো সবারই হয়। একটু জানতে চাইব পেটে ব্যথার প্রধান কারণগুলো কী ?
উত্তর : আমাদের কাছে সাধারণত যত রোগী আসে, এর এক তৃতীয়াংশ রোগী পেটের ব্যথা নিয়ে আসে। আর এই পেটের ব্যথা সাধারণ থেকে শুরু করে ঝুঁকিপূর্ণও হতে পারে। সবটাই নির্ভর করে রোগীর বয়স, ব্যথার সময়, অন্যান্য সমস্যা- যেমন জ্বর হচ্ছে কি না, বমি হচ্ছে কি না, পায়খানা কেমন হচ্ছে, এই সবই মিলে আমরা ধারণা করি পেটের ব্যথা সাধারণ না কি ঝুঁকিপূর্ণ।
প্রশ্ন : পেটের ব্যথা হলে অনেকেই মনে করেন গ্যাসট্রিকের ব্যথা বা গ্যাসের সমস্যা। আপনাদের কাছে যখন আসে তখন কী কী সমস্যা নিয়ে আসে?
উত্তর : অনেকে পেট ব্যথা হলেই ভাবে গ্যাসের কারণে ব্যথা। তবে এটি ভুল। পেটের ব্যথায় যদি রোগী গ্যাসের কারণে ব্যথা ভেবে ওষুধ খেয়ে ফেলে তখন আমাদের কাছে এটি একটি সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়। যেমন : একজন রোগী বলছে আমার পেটে গ্যাস আটকে গেছে। আমার কাছে যখন এলো, তখন সে রীতিমতো তিন চার মাস দেরি করে ফেলছে। আমি তার পেটে হাত দিয়ে দেখলাম চাপ দিলে কোনো ব্যথা পাচ্ছে না। কিন্তু তার শরীরটা ঘেমে গেছে, ভিজে অস্থির হয়ে যাচ্ছে। এতে মনে হচ্ছে তার কোনো পদ্ধতিগত সমস্যা হচ্ছে। এই ক্ষেত্রে রোগীর জীবন খুবই ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থার মধ্যে পড়ে। অনেক সময় দেখা যায় আমাদের হার্টের নিচের সীমায় যদি সংক্রমণ হয়ে যায়, তখন পেটের ব্যথা হতে পারে। এই ক্ষেত্রে যদি রোগী গ্যাস মনে করে বাড়িতে অপেক্ষা করে তবে ক্ষতি হতে পারে। কাজেই যদি কখনো কারো এ রকম একটি অবস্থা হয়, তাহলে চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে।
প্রশ্ন : ঝুঁকিপূর্ণ পেটের ব্যথা আমরা কীভাবে বুঝব?
উত্তর : শুধু পেটের ব্যথা নয়, যেকোনো ব্যথায়, বিশেষ করে পেট ও বুকের কথা বলছি, সঙ্গে সঙ্গে তাকে চিন্তা করতে হবে আমার এর সাথে আর কী কী রয়েছে। আমার শরীরটা ঘেমে গেল আমি অস্থির হয়ে গেলাম, দুর্বল হয়ে গেলাম। অথবা আমার পেট ব্যথা রয়েছে। এর সাথে আমার জ্বর আসছে। অথবা এর সাথে পাতলা পায়খানা হয়েছে। এই জিনিসগুলো বুঝতে হবে। এগুলো দিয়ে আমরা বুঝব এটি সাধারণ নয়। যখন তাদের এই অবস্থা হচ্ছে তখন দেরি না করে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে। চিকিৎসকরাও কিন্তু প্রথম পর্যায়ে জানবে না তার কী হয়েছে। তখন তাকে পর্যালোচনা করবে। তার বয়স দেখবে, তার ইতিহাস নেবে, তার কিছু পরীক্ষা-নীরিক্ষা করাবে। তার শারীরিক পরীক্ষা করাবে। এরপর ধরা হবে তার কী কারণে পেট ব্যথা হয়েছে।
হয়তো তরুণ একটি মেয়ে এসেছে, তার হয়তো দুই তিন বছর আগে বিয়ে হয়েছে, সে ভালোই আছে। হঠাৎ করে সে প্রচুর তলপেটে ব্যথা নিয়ে এলো। কিছুক্ষণের মধ্যেই সে পড়ে গেল। এখন সে যদি সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের কাছে না আসে কী হতে পারে? চিকিৎসকের কাছে আসার পর দেখা গেল তার রক্তচাপ কমে গেছে এবং সে ফ্যাকাসে হয়ে গেছে। ইতিহাস নিয়ে দেখা গেল, তার গত মাসে ঋতুস্রাব হয়নি। তার মানে তার পেটে টিউমার হয়েছে সেটি ফেটে গিয়ে হয়তো পেটের মধ্যে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়ে, পেট ব্যথা করছে।
জরুরি অবস্থা তখনই বুঝতে পারবে যখন তার পেট ব্যথা হলো সাথে তার আরো অনেক লক্ষণ বা সমস্যা হলো। আসলে একটি ব্যথার সাথে আরো যেই শারীরিক বিষয়গুলো হচ্ছে সেগুলোই বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
প্রশ্ন : কোন কারণে পেটে ব্যথা হচ্ছে সেটি নির্ণয়ে কী কী ধরনের পরীক্ষা –নিরীক্ষা করা হয়?
উত্তর : এটি নির্ভর করে রোগীর ইতিহাসের ওপর। যদি একটি রোগী এসে বলে আমার পেটে ব্যথা হয়েছে সাথে একবার দুইবার বমি হয়েছে, একটু একটু জ্বর হচ্ছে- তাকে আমরা একটু পরীক্ষা করে দেখব তার অ্যাপেনডিসাইটিক্স হয়েছে কি না, তার প্যানক্রিয়াটিটস হয়েছে কি না। অথবা কেবল গ্যাসট্রিকের ব্যথা কি না। সাধারণ গ্যাসট্রিকের ব্যথায় তার জ্বর হতে পারে, বমি হতে পারে। এই ক্ষেত্রে শারীরিক পরীক্ষা করার পর আমরা তার একটি রক্ত পরীক্ষা করাব। সিবিসি, সিরাম ইলেকট্রোলাইট, সিরাম এমএল, লিভার ফাংশন টেস্ট এগুলো দিতে পারি এবং ইউরিন পরীক্ষাও করতে পারি এর সাথে। কারণ পেটের মধ্যে কিডনিও আছে সেখানে সংক্রমণ হয়ে ব্যথা হতে পারে। এর সাথে একটি আলট্রাসোনোগ্রাম করি, কখনো কখনো পেটের এক্সরেও করি। যেগুলো দ্রুত করতে হয়, সেগুলো হলো, পেটের এক্সরে, কিছু রক্তের পরীক্ষা ও আল্ট্রাসোনোগ্রাম। এগুলো করলে ৯৫ ভাগ আমরা ধরে ফেলতে পারব তার কী কারণে ব্যথা হয়েছে। আর কারণের ওপর নির্ভর করবে চিকিৎসা।
প্রশ্ন : কোন কোন কারণের ক্ষেত্রে কী কী ধরনের চিকিৎসা দিয়ে থাকেন?
উত্তর : যদি শুধু গ্যাসের জন্য সমস্যা হচ্ছে মনে করি তাহলে আর রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি করার প্রয়োজন পড়ে না। হয়তো দ্রুত কিছু চিকিৎসা করলাম। বাকি ওষুধগুলো চিকিৎসাপত্রে লিখে তাকে ছেড়ে দিলাম। পাশাপাশি তাকে কিছু পরামর্শ দিয়ে দিলাম।
যদি দেখি তার বিলিয়ারিতে ব্যথা হচ্ছে , দেখতে হবে পাথরের জন্য ব্যথা হচ্ছে কি না। পাথর কোথায় হয়েছে, কোথাও আটকে গেছে কি না এবং সেটিতে সার্জারির প্রয়োজন হবে কি না, সেটিও আমরা পরীক্ষার মাধ্যমে ধরে ফেলতে পারব। আর যদি প্যানক্রিয়াটাটিস হয়, এই ক্ষেত্রে রোগীকে ভর্তি করতে হবে।
প্রশ্ন : পেটে ব্যথা নিয়ে কখন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের কাছে যাওয়া উচিত?
উত্তর : সাধারণত একজন বৃদ্ধ মানুষের যদি পেটে ব্যথা হয়, সে যদি বমি করে এবং ঘেমে যায়, তখন তাকে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। একটি বাচ্চা যদি প্রচুর চিৎকার করে বমি করে এবং তার জ্বর আসে, তখন তাকে নিয়ে চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে। তবে প্রাপ্ত বয়স্করা হয়তো একটু দেরি করতে পারে।
প্রশ্ন : তাহলে এই যে গ্যাসের ব্যথা মনে করা হচ্ছে এবং ওষুধ খেয়ে নেওয়া হচ্ছে, একে কতটুকু যৌক্তিক মনে করেন? কখন আসলে এটি খাওয়া উচিত?
উত্তর : যদি কারো ব্যথা হয়, তবে ব্যথাটি অতো তীব্র না হয়, হঠাৎ করে ব্যথাটি শুরু না হয়, ওষুধ খাওয়ার পর আস্তে আস্তে যদি তার ব্যথাটা কমে যায়, বমি, জ্বর, পাতলা পায়খানা, শরীর ঘামা- এসব সমস্যা না হয়, তখন সে ওষুধ খেয়ে অপেক্ষা করতে পারে।
প্রশ্ন : পেটে ব্যথা হলে প্রাথমিকভাবে কী করণীয়?
উত্তর : যদি আপনি গ্যাসের কারণে পেটে ব্যথা মনে করেন এবং এর সাথে অন্যান্য ঝুঁকিপূর্ণ লক্ষণগুলো প্রকাশ না হয়, তাহলে গ্যাসের ওষুধ দিতে পারেন। সিরাপ দিতে পারেন। ব্যথা কমানোর জন্য অনেক ওষুধ আছে সেগুলো দিতে পারেন। তবে আপনাকে নিশ্চিত হতে হবে আপনার ঝুঁকির বিষয়গুলো হয়নি।
বয়স কত, হঠাৎ করে সমস্যা হয়েছে কি না, তার বমি হয়েছে কি না, জ্বর এসছে কি না-এই বিষয়গুলো সাথে না থাকলে খুব চিন্তিত হওয়ার কিছু নেই। প্রাথমিকভাবে চিকিৎসা করলেই হয়।[২]
পেট ব্যাথার ৫ প্রাকৃতিক সমাধান
পেটে ব্যাথা খুবই যন্ত্রণাদায়ক। এ ব্যাথা নানান রকম হতে পারে। সমাধানের জন্য ঘরোয়া কিছু প্রাকৃতিক উপায় রয়েছে। এগুলো হলো,
১. হজম সমস্যা এবং অরুচিজনিত পেটে ব্যাথায় আদা স্লাইস করে কেটে নিয়ে লেবুর রসে লবন মিশিয়ে তাতে ওই আদা ডুবিয়ে রাখতে হবে খানিকক্ষণ। এরপর আদা রোদে শুকিয়ে প্রতিবেলা খাবার পর খেতে হবে। এতে করে পেট ব্যথা দূর হবে চিরকালের মতো।
২. অ্যাসিডিটি ও গ্যাসের জ্বালাপোড়ার ব্যথায় ২০ টি কিশমিশ এক গ্লাস পানিতে সরারাত ভিজিয়ে রাখতে হবে। সকালে উঠে কিশমিশগুলো পিষে খালি পেটে খেলে পেট ঠাণ্ডা হবে এবং অ্যাসিডিটি ও গ্যাসের জ্বালাপোড়ার ব্যাথা থেকে উপশম পাওয়া যাবে।
৩. নারীদের মাসিকজনিত পেটে ব্যাথায় সমাধানে এক মুঠো তুলসি পাতা ছেঁচে রস বের করে নিন এবং দুই চা চামচ তুলসি পাতার রস এক কাপ কুসুম গরম পানিতে মিশিয়ে দিনে তিন বার পান করতে হবে। এতে এ ব্যাথা উপশম হবে।
৪. ডায়রিয়া ও ডিসেন্ট্রিজনিত ব্যাথায় এক কাপ পরিমাণে বেদানার রস প্রতিদিন দুইবার পান করতে হবে। এতে পেটে ব্যাথা তো দূর হবেই একই সঙ্গে ডায়রিয়ার সমস্যাও দূর হবে।
৫. কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যার কারণে পেটে ব্যাথায় এক চা চামচ ত্রিফলা কুসুম গরম পানিতে মিলিয়ে প্রতিরাতে ঘুমানোর আগে পান করতে হবে।এতে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর হবে। এবং পেটে ব্যাথার সমস্যা এমনকি গ্যাস, অ্যাসিডিটির সমস্যা থেকেও রেহাই পাওয়া যাবে।[৩]
[১] ডা. গোবিন্দ চন্দ্র রায়,সহযোগী অধ্যাপক, মেডিসিন বিভাগ শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল, ঢাকা।
[২] অধ্যাপক ডা. এম এ মান্নান, মেডিসিন বিভাগ, গ্রিন লাইফ মেডিকেল।
[৩] অনলাইন ডেস্ক
১. পেপটিক আলসার বা গ্যাস্ট্রিকের ব্যথা সাধারণত পেটের ওপর দিকে মাঝখানে শুরু হয়। এটি খালি পেটে বাড়ে, কখনো চিনচিনে, কখনো জ্বালাপোড়ার মতো মনে হয়। এর সঙ্গে বমিভাব, টক ঢেকুর, পেট ফাঁপা ইত্যাদি থাকতে পারে। অ্যান্টাসিড বা অন্য গ্যাস্ট্রিকের ওষুধে বেশ উপশম মেলে।
২. একই জায়গায় বা একটু বাঁ দিকে অগ্ন্যাশয়ের প্রদাহ হতে পারে। কিন্তু এই ব্যথা প্রচণ্ড তীব্র, পেছন দিকেও অনুভূত হয়। রোগী ব্যথায় কুঁকড়ে যায়। সামনে ঝুঁকে থাকলে আরাম মেলে। সঙ্গে বমি থাকতে পারে।
৩. ওপরের পেটের ডান দিকে ব্যথা হতে পারে পিত্তথলিতে প্রদাহ বা পাথর থাকলে। এই ব্যথাও ডান দিকে পেছন পর্যন্ত ছড়ায়, সঙ্গে বমি হতে পারে। বিশেষ করে চর্বিযুক্ত খাবার খেলে এটি বাড়ে। যকৃতের প্রদাহেও একই জায়গায় ব্যথা হয়। চিনচিন করে ব্যথা, সঙ্গে জ্বর, জন্ডিস, অরুচি ইত্যাদি হেপাটাইটিস বা যকৃতে প্রদাহ নির্দেশ করে। যকৃতে ফোঁড়া হলে এই ব্যথা তীব্র হয়, সঙ্গে কাঁপুনি দিয়ে জ্বর।
৪. পেটের ওপরের দিকে ডান অথবা বাঁ কিডনিতে পাথর, প্রদাহ বা সংক্রমণ হলে সেই পাশে ও পেছনে ব্যথা হয়। এই ব্যথা ক্রমেই নিচে নেমে তলপেটেও ছড়ায়। কিডনির ব্যথা প্রচণ্ড তীব্র হয়, একটু পরপর ছাড়ে, আবার আসে। সঙ্গে বমি, কাঁপুনি দিয়ে জ্বর থাকতে পারে।
৫. নাভির মাঝখান থেকে ব্যথা যদি ক্রমেই তলপেটের ডান দিকে ছড়িয়ে যায়, সেখানে হাত দিলেই ব্যথা হয়, ধীরে ধীরে তীব্রতা বাড়তে থাকে, তাহলে তা অ্যাপেন্ডিসাইটিস কি না, ভাবতে হবে।
৬. তলপেটে ব্যথার সঙ্গে প্রস্রাবের জ্বালাপোড়া ও জ্বর প্রস্রাবের সংক্রমণ নির্দেশ করে। মেয়েদের জরায়ু ও ডিম্বাশয়ের নানা সমস্যায় ব্যথা হতে পারে।
৭. সাধারণ আমাশয়, ফুড পয়জনিং ও বদহজম থেকে ব্যথা পেটজুড়ে থাকে। বমি বমি ভাব, পেটে শব্দ, পাতলা পায়খানা ইত্যাদি হয়। আবার কোষ্ঠকাঠিন্য থেকেও পেটে ব্যথা হয়।
৮. দীর্ঘদিনের পেটের ব্যথার সঙ্গে ওজন হ্রাস, রক্তশূন্যতা, দুর্বলতা ইত্যাদি সতর্কসংকেত। অন্ত্রে ক্যানসার বা টিবিরও লক্ষণ এই পেটে ব্যথা। তাই পেটের ব্যথাকে ছোট করে দেখবেন না।
পেটে ব্যথা হলে কী করণীয়?
যদি গ্যাসের কারণে পেটে ব্যথা মনে করেন এবং এর সঙ্গে অন্যান্য ঝুঁকিপূর্ণ লক্ষণগুলো প্রকাশ না হয়, তাহলে গ্যাসের ওষুধ দিতে পারেন। সিরাপ দিতে পারেন। ব্যথা কমানোর জন্য অনেক ওষুধ আছে সেগুলো দিতে পারেন। তবে নিশ্চিত হতে হবে আপনার ঝুঁকির বিষয়গুলো হয়নি। হঠাৎ করে সমস্যা হয়েছে কি না, বমি হয়েছে কি না, জ্বর আছে কি না—এই বিষয়গুলো সঙ্গে না থাকলে খুব চিন্তিত হওয়ার কিছু নেই। প্রাথমিকভাবে চিকিৎসা করলেই হয়।[১]
পেটে ব্যথা কখন ঝুঁকিপূর্ণ?
বিভিন্ন কারণে পেটে ব্যথা হয়। এটি সাধারণ থেকে গুরুতর কারণেও হতে পারে।
প্রশ্ন : অনেক কারণ রয়েছে পেটে ব্যথার। জীবনের কোনো না কোনো ক্ষেত্রে, কোনো না কোনো সময়ে, এই পেটে ব্যথাগুলো সবারই হয়। একটু জানতে চাইব পেটে ব্যথার প্রধান কারণগুলো কী ?
উত্তর : আমাদের কাছে সাধারণত যত রোগী আসে, এর এক তৃতীয়াংশ রোগী পেটের ব্যথা নিয়ে আসে। আর এই পেটের ব্যথা সাধারণ থেকে শুরু করে ঝুঁকিপূর্ণও হতে পারে। সবটাই নির্ভর করে রোগীর বয়স, ব্যথার সময়, অন্যান্য সমস্যা- যেমন জ্বর হচ্ছে কি না, বমি হচ্ছে কি না, পায়খানা কেমন হচ্ছে, এই সবই মিলে আমরা ধারণা করি পেটের ব্যথা সাধারণ না কি ঝুঁকিপূর্ণ।
প্রশ্ন : পেটের ব্যথা হলে অনেকেই মনে করেন গ্যাসট্রিকের ব্যথা বা গ্যাসের সমস্যা। আপনাদের কাছে যখন আসে তখন কী কী সমস্যা নিয়ে আসে?
উত্তর : অনেকে পেট ব্যথা হলেই ভাবে গ্যাসের কারণে ব্যথা। তবে এটি ভুল। পেটের ব্যথায় যদি রোগী গ্যাসের কারণে ব্যথা ভেবে ওষুধ খেয়ে ফেলে তখন আমাদের কাছে এটি একটি সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়। যেমন : একজন রোগী বলছে আমার পেটে গ্যাস আটকে গেছে। আমার কাছে যখন এলো, তখন সে রীতিমতো তিন চার মাস দেরি করে ফেলছে। আমি তার পেটে হাত দিয়ে দেখলাম চাপ দিলে কোনো ব্যথা পাচ্ছে না। কিন্তু তার শরীরটা ঘেমে গেছে, ভিজে অস্থির হয়ে যাচ্ছে। এতে মনে হচ্ছে তার কোনো পদ্ধতিগত সমস্যা হচ্ছে। এই ক্ষেত্রে রোগীর জীবন খুবই ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থার মধ্যে পড়ে। অনেক সময় দেখা যায় আমাদের হার্টের নিচের সীমায় যদি সংক্রমণ হয়ে যায়, তখন পেটের ব্যথা হতে পারে। এই ক্ষেত্রে যদি রোগী গ্যাস মনে করে বাড়িতে অপেক্ষা করে তবে ক্ষতি হতে পারে। কাজেই যদি কখনো কারো এ রকম একটি অবস্থা হয়, তাহলে চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে।
প্রশ্ন : ঝুঁকিপূর্ণ পেটের ব্যথা আমরা কীভাবে বুঝব?
উত্তর : শুধু পেটের ব্যথা নয়, যেকোনো ব্যথায়, বিশেষ করে পেট ও বুকের কথা বলছি, সঙ্গে সঙ্গে তাকে চিন্তা করতে হবে আমার এর সাথে আর কী কী রয়েছে। আমার শরীরটা ঘেমে গেল আমি অস্থির হয়ে গেলাম, দুর্বল হয়ে গেলাম। অথবা আমার পেট ব্যথা রয়েছে। এর সাথে আমার জ্বর আসছে। অথবা এর সাথে পাতলা পায়খানা হয়েছে। এই জিনিসগুলো বুঝতে হবে। এগুলো দিয়ে আমরা বুঝব এটি সাধারণ নয়। যখন তাদের এই অবস্থা হচ্ছে তখন দেরি না করে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে। চিকিৎসকরাও কিন্তু প্রথম পর্যায়ে জানবে না তার কী হয়েছে। তখন তাকে পর্যালোচনা করবে। তার বয়স দেখবে, তার ইতিহাস নেবে, তার কিছু পরীক্ষা-নীরিক্ষা করাবে। তার শারীরিক পরীক্ষা করাবে। এরপর ধরা হবে তার কী কারণে পেট ব্যথা হয়েছে।
হয়তো তরুণ একটি মেয়ে এসেছে, তার হয়তো দুই তিন বছর আগে বিয়ে হয়েছে, সে ভালোই আছে। হঠাৎ করে সে প্রচুর তলপেটে ব্যথা নিয়ে এলো। কিছুক্ষণের মধ্যেই সে পড়ে গেল। এখন সে যদি সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের কাছে না আসে কী হতে পারে? চিকিৎসকের কাছে আসার পর দেখা গেল তার রক্তচাপ কমে গেছে এবং সে ফ্যাকাসে হয়ে গেছে। ইতিহাস নিয়ে দেখা গেল, তার গত মাসে ঋতুস্রাব হয়নি। তার মানে তার পেটে টিউমার হয়েছে সেটি ফেটে গিয়ে হয়তো পেটের মধ্যে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়ে, পেট ব্যথা করছে।
জরুরি অবস্থা তখনই বুঝতে পারবে যখন তার পেট ব্যথা হলো সাথে তার আরো অনেক লক্ষণ বা সমস্যা হলো। আসলে একটি ব্যথার সাথে আরো যেই শারীরিক বিষয়গুলো হচ্ছে সেগুলোই বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
প্রশ্ন : কোন কারণে পেটে ব্যথা হচ্ছে সেটি নির্ণয়ে কী কী ধরনের পরীক্ষা –নিরীক্ষা করা হয়?
উত্তর : এটি নির্ভর করে রোগীর ইতিহাসের ওপর। যদি একটি রোগী এসে বলে আমার পেটে ব্যথা হয়েছে সাথে একবার দুইবার বমি হয়েছে, একটু একটু জ্বর হচ্ছে- তাকে আমরা একটু পরীক্ষা করে দেখব তার অ্যাপেনডিসাইটিক্স হয়েছে কি না, তার প্যানক্রিয়াটিটস হয়েছে কি না। অথবা কেবল গ্যাসট্রিকের ব্যথা কি না। সাধারণ গ্যাসট্রিকের ব্যথায় তার জ্বর হতে পারে, বমি হতে পারে। এই ক্ষেত্রে শারীরিক পরীক্ষা করার পর আমরা তার একটি রক্ত পরীক্ষা করাব। সিবিসি, সিরাম ইলেকট্রোলাইট, সিরাম এমএল, লিভার ফাংশন টেস্ট এগুলো দিতে পারি এবং ইউরিন পরীক্ষাও করতে পারি এর সাথে। কারণ পেটের মধ্যে কিডনিও আছে সেখানে সংক্রমণ হয়ে ব্যথা হতে পারে। এর সাথে একটি আলট্রাসোনোগ্রাম করি, কখনো কখনো পেটের এক্সরেও করি। যেগুলো দ্রুত করতে হয়, সেগুলো হলো, পেটের এক্সরে, কিছু রক্তের পরীক্ষা ও আল্ট্রাসোনোগ্রাম। এগুলো করলে ৯৫ ভাগ আমরা ধরে ফেলতে পারব তার কী কারণে ব্যথা হয়েছে। আর কারণের ওপর নির্ভর করবে চিকিৎসা।
প্রশ্ন : কোন কোন কারণের ক্ষেত্রে কী কী ধরনের চিকিৎসা দিয়ে থাকেন?
উত্তর : যদি শুধু গ্যাসের জন্য সমস্যা হচ্ছে মনে করি তাহলে আর রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি করার প্রয়োজন পড়ে না। হয়তো দ্রুত কিছু চিকিৎসা করলাম। বাকি ওষুধগুলো চিকিৎসাপত্রে লিখে তাকে ছেড়ে দিলাম। পাশাপাশি তাকে কিছু পরামর্শ দিয়ে দিলাম।
যদি দেখি তার বিলিয়ারিতে ব্যথা হচ্ছে , দেখতে হবে পাথরের জন্য ব্যথা হচ্ছে কি না। পাথর কোথায় হয়েছে, কোথাও আটকে গেছে কি না এবং সেটিতে সার্জারির প্রয়োজন হবে কি না, সেটিও আমরা পরীক্ষার মাধ্যমে ধরে ফেলতে পারব। আর যদি প্যানক্রিয়াটাটিস হয়, এই ক্ষেত্রে রোগীকে ভর্তি করতে হবে।
প্রশ্ন : পেটে ব্যথা নিয়ে কখন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের কাছে যাওয়া উচিত?
উত্তর : সাধারণত একজন বৃদ্ধ মানুষের যদি পেটে ব্যথা হয়, সে যদি বমি করে এবং ঘেমে যায়, তখন তাকে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। একটি বাচ্চা যদি প্রচুর চিৎকার করে বমি করে এবং তার জ্বর আসে, তখন তাকে নিয়ে চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে। তবে প্রাপ্ত বয়স্করা হয়তো একটু দেরি করতে পারে।
প্রশ্ন : তাহলে এই যে গ্যাসের ব্যথা মনে করা হচ্ছে এবং ওষুধ খেয়ে নেওয়া হচ্ছে, একে কতটুকু যৌক্তিক মনে করেন? কখন আসলে এটি খাওয়া উচিত?
উত্তর : যদি কারো ব্যথা হয়, তবে ব্যথাটি অতো তীব্র না হয়, হঠাৎ করে ব্যথাটি শুরু না হয়, ওষুধ খাওয়ার পর আস্তে আস্তে যদি তার ব্যথাটা কমে যায়, বমি, জ্বর, পাতলা পায়খানা, শরীর ঘামা- এসব সমস্যা না হয়, তখন সে ওষুধ খেয়ে অপেক্ষা করতে পারে।
প্রশ্ন : পেটে ব্যথা হলে প্রাথমিকভাবে কী করণীয়?
উত্তর : যদি আপনি গ্যাসের কারণে পেটে ব্যথা মনে করেন এবং এর সাথে অন্যান্য ঝুঁকিপূর্ণ লক্ষণগুলো প্রকাশ না হয়, তাহলে গ্যাসের ওষুধ দিতে পারেন। সিরাপ দিতে পারেন। ব্যথা কমানোর জন্য অনেক ওষুধ আছে সেগুলো দিতে পারেন। তবে আপনাকে নিশ্চিত হতে হবে আপনার ঝুঁকির বিষয়গুলো হয়নি।
বয়স কত, হঠাৎ করে সমস্যা হয়েছে কি না, তার বমি হয়েছে কি না, জ্বর এসছে কি না-এই বিষয়গুলো সাথে না থাকলে খুব চিন্তিত হওয়ার কিছু নেই। প্রাথমিকভাবে চিকিৎসা করলেই হয়।[২]
পেট ব্যাথার ৫ প্রাকৃতিক সমাধান
পেটে ব্যাথা খুবই যন্ত্রণাদায়ক। এ ব্যাথা নানান রকম হতে পারে। সমাধানের জন্য ঘরোয়া কিছু প্রাকৃতিক উপায় রয়েছে। এগুলো হলো,
১. হজম সমস্যা এবং অরুচিজনিত পেটে ব্যাথায় আদা স্লাইস করে কেটে নিয়ে লেবুর রসে লবন মিশিয়ে তাতে ওই আদা ডুবিয়ে রাখতে হবে খানিকক্ষণ। এরপর আদা রোদে শুকিয়ে প্রতিবেলা খাবার পর খেতে হবে। এতে করে পেট ব্যথা দূর হবে চিরকালের মতো।
২. অ্যাসিডিটি ও গ্যাসের জ্বালাপোড়ার ব্যথায় ২০ টি কিশমিশ এক গ্লাস পানিতে সরারাত ভিজিয়ে রাখতে হবে। সকালে উঠে কিশমিশগুলো পিষে খালি পেটে খেলে পেট ঠাণ্ডা হবে এবং অ্যাসিডিটি ও গ্যাসের জ্বালাপোড়ার ব্যাথা থেকে উপশম পাওয়া যাবে।
৩. নারীদের মাসিকজনিত পেটে ব্যাথায় সমাধানে এক মুঠো তুলসি পাতা ছেঁচে রস বের করে নিন এবং দুই চা চামচ তুলসি পাতার রস এক কাপ কুসুম গরম পানিতে মিশিয়ে দিনে তিন বার পান করতে হবে। এতে এ ব্যাথা উপশম হবে।
৪. ডায়রিয়া ও ডিসেন্ট্রিজনিত ব্যাথায় এক কাপ পরিমাণে বেদানার রস প্রতিদিন দুইবার পান করতে হবে। এতে পেটে ব্যাথা তো দূর হবেই একই সঙ্গে ডায়রিয়ার সমস্যাও দূর হবে।
৫. কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যার কারণে পেটে ব্যাথায় এক চা চামচ ত্রিফলা কুসুম গরম পানিতে মিলিয়ে প্রতিরাতে ঘুমানোর আগে পান করতে হবে।এতে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর হবে। এবং পেটে ব্যাথার সমস্যা এমনকি গ্যাস, অ্যাসিডিটির সমস্যা থেকেও রেহাই পাওয়া যাবে।[৩]
[১] ডা. গোবিন্দ চন্দ্র রায়,সহযোগী অধ্যাপক, মেডিসিন বিভাগ শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল, ঢাকা।
[২] অধ্যাপক ডা. এম এ মান্নান, মেডিসিন বিভাগ, গ্রিন লাইফ মেডিকেল।
[৩] অনলাইন ডেস্ক
No comments