মালদ্বীপ: সৈকত ছাড়িয়ে
যেখানে মরিচিকাকেই মনে হবে বাস্তব। খুঁজতে
গেলে একের পর এক উন্মুক্ত হবে অবিশ্বাস্য সব রত্ম, সৌন্দর্য্য সম্ভার।
হ্যাঁ, মালদ্বীপের কথাই বলছি। ভ্রমণপিয়াসীদের বিমুগ্ধ ও বিস্ময়াবিভূত করার
বিস্ময়কর ক্ষমতা আছে এখানকার সমুদ্রসৌকতগুলোর। সাদাবালির সৈকত সেই অনাদিকাল
থেকে একই রকম রয়ে গেছে। নারকেলবীথির দ্বীপ। স্বচ্ছ নীল পানির প্রশান্তি।
মুক্তামালার মতো বিস্তৃত ভারত মহাসাগরের এই দ্বীপরাজ্যে ভ্রমণে যাওয়ার কথা
ভাবলেই কারো মানসপটে ওইসব ভাবনা উঁকি দেবে। কিন্তু, আমি এখানে এক ভিন্ন
মালদ্বীপের খবর দেব যেখানে রয়েছে সৈকত ছাড়িয়েও বেশুমার অভিজ্ঞতা লাভের
হাতছানি। আমাদের ক’জনাই বা জানে যে দ্বাদশ শতাব্দির আগে এটি ছিলো একটি
বৌদ্ধ রাষ্ট্র? ইয়নাভিরাম সাদাবালুর সৈকতে বসে সবজি খাওয়ার বাইরেও আরো অনেক
কিছু দেখা ও করার আছে মালদ্বীপে।
রাজধানী মালেতে চৌদ্দশ বছর আগে বৌদ্ধ সাম্রাজ্যের কিছু এখন আর অবশিষ্ট নেই। তার জায়গায় ৩৫টি মসজিদের দৃষ্টিনন্দন স্থাপত্য সৌকর্য্য সদর্পে দ্বীপের বর্তমান সমাজ-সংস্কৃতির পরিচিতি ঘোষণা করছে। মালের সবচেয়ে পুরনো এবং বিখ্যাত ‘ওল্ড ফ্রাইডে মস্ক’- এ গেলে বিগত দিনের অনেক স্মারক চোখে পড়বে।
রাজধানী শহরের জনসংখ্যা এক লাখের মতো। স্কুটার ও হালকা ধরনের মটরসাইকেলের সড়কগুলো ভর্তি। বর্ণিলভাবে সাজানো ক্রিসক্রস লেনগুলো নগরির দর্শনীয় স্থানগুলোকে এমনভাবে সংযুক্ত করেছে মনে হবে সবকিছুই হাতের নাগালে। মালদ্বীপের আরেকটি বৈশিষ্ট্য হলো এখানে ইসলাম ছাড়া আর কোন ধর্ম পালনের চর্চা নেই। দেশটির জনগোষ্ঠীর সবাই সুন্নি মুসলমান। পর্যটকরা মালেতেই খুঁজে পাবেন মালদ্বীপের সত্যিকারের রূপ।
এখানকার জাতীয় যাদুঘরটি স্টিল ও কাঁচের কাঠামোর ওপর নির্মিত। এক দ্বিপাক্ষিক চুক্তির আওতায় চীন এই স্থাপত্য নিদর্শন তৈরি করে দেয়। ২০১০ সালে শেষ হয় এর নির্মাণ কাজ। দ্বিতল এই ভবনে দেখার মতো রয়েছে বিখ্যাত সোনালী বার্ণিশের ওয়ার্কবক্স, পুরনো আমলের কামান, বৌদ্ধ ও হিন্দু মূর্তি, রাজনৈতিক ঘটনাবলী’র পটে আঁকা ছবি এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো একটি কলমের রেপ্লিকা। এই কলম দিয়ে বৃটিশ সাম্রাজ্যেরকাছ থেকে পাওয়া “স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রে” স্বাক্ষর করা হয়েছিলো।
দ্বাদশ শতাব্দিতে আবু আল বারাকাত নামের এক মুসলিম বনিক মালদ্বীপে যান। তখন এটি একটি বৌদ্ধ রাষ্ট্র। বারাকাতের দ্বারা উদ্বুদ্ধ হয়ে দেশটির রাজা ইসলাম গ্রহণ করেন। দেশটির পরবর্তী ইতিহাস ইসলামেরই ইতিহাস। বৌদ্ধ রাজার ইসলাম গ্রহণের পর বৌদ্ধ মন্দিরের জায়গায় নির্মাণ করা হয় একটি মসজিদ। এরপর বহুসংস্কার, পরিবর্তন ও পরিবর্ধনের মধ্য দিয়ে আজকের ‘ওল্ড ফ্রাইডে মস্ক’-এ রূপ নিয়েছে। এর সবচেয়ে সংস্কারটি করা হয় ১৬৫৬ সালের দিকে। সেসময় কোরাল পাথর দিয়ে তৈরি করা মসজিদের দরজা ও জানালাগুলো এখন ভঙ্গুরপ্রায়।
মালদ্বীপ ভ্রমণের সবচেয়ে দুর্লভ অভিজ্ঞতা পাওয়া যাবে সূর্যাস্ত দেখায়। অত্যাশ্চর্য এক পরিবেশের সৃষ্টি হয় তখন। আকাশের যত রং সবগুলো জীবন্ত হয়ে দর্শকের চোখে ধরা দেয় এসময়। মালদ্বীপের সন্ধ্যগুলোকে মনে হবে ভ্রাম্যমাণ চিত্রকরের মতো।
মালদ্বীপের অর্থনীতির বড় অংশ পর্যটন খাতের ওপর নির্ভরশীল। দেশটির সরকার এখন বসতিহীন বহুদ্বীপ বিভিন্ন বেসরকারি কোম্পানির কাছে লিজ দিচ্ছে। সেখানে পর্যটকদের জন্য বিশ^মানের রিসর্ট নির্মাণ করা হচ্ছে। আগামী বছর এমন ২০টি রিসর্ট উদ্বোধনের ঘোষণা দিয়েছে সেখানকার সরকার। আর অন্যান্য দ্বীপগুলোতে যাত্রীযাপন করলে মালদ্বীপবাসীর জীবনযাত্রার একেবারে গভীর পর্যন্ত উপলব্ধি করা যায়।
রাজধানী মালেতে চৌদ্দশ বছর আগে বৌদ্ধ সাম্রাজ্যের কিছু এখন আর অবশিষ্ট নেই। তার জায়গায় ৩৫টি মসজিদের দৃষ্টিনন্দন স্থাপত্য সৌকর্য্য সদর্পে দ্বীপের বর্তমান সমাজ-সংস্কৃতির পরিচিতি ঘোষণা করছে। মালের সবচেয়ে পুরনো এবং বিখ্যাত ‘ওল্ড ফ্রাইডে মস্ক’- এ গেলে বিগত দিনের অনেক স্মারক চোখে পড়বে।
রাজধানী শহরের জনসংখ্যা এক লাখের মতো। স্কুটার ও হালকা ধরনের মটরসাইকেলের সড়কগুলো ভর্তি। বর্ণিলভাবে সাজানো ক্রিসক্রস লেনগুলো নগরির দর্শনীয় স্থানগুলোকে এমনভাবে সংযুক্ত করেছে মনে হবে সবকিছুই হাতের নাগালে। মালদ্বীপের আরেকটি বৈশিষ্ট্য হলো এখানে ইসলাম ছাড়া আর কোন ধর্ম পালনের চর্চা নেই। দেশটির জনগোষ্ঠীর সবাই সুন্নি মুসলমান। পর্যটকরা মালেতেই খুঁজে পাবেন মালদ্বীপের সত্যিকারের রূপ।
এখানকার জাতীয় যাদুঘরটি স্টিল ও কাঁচের কাঠামোর ওপর নির্মিত। এক দ্বিপাক্ষিক চুক্তির আওতায় চীন এই স্থাপত্য নিদর্শন তৈরি করে দেয়। ২০১০ সালে শেষ হয় এর নির্মাণ কাজ। দ্বিতল এই ভবনে দেখার মতো রয়েছে বিখ্যাত সোনালী বার্ণিশের ওয়ার্কবক্স, পুরনো আমলের কামান, বৌদ্ধ ও হিন্দু মূর্তি, রাজনৈতিক ঘটনাবলী’র পটে আঁকা ছবি এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো একটি কলমের রেপ্লিকা। এই কলম দিয়ে বৃটিশ সাম্রাজ্যেরকাছ থেকে পাওয়া “স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রে” স্বাক্ষর করা হয়েছিলো।
দ্বাদশ শতাব্দিতে আবু আল বারাকাত নামের এক মুসলিম বনিক মালদ্বীপে যান। তখন এটি একটি বৌদ্ধ রাষ্ট্র। বারাকাতের দ্বারা উদ্বুদ্ধ হয়ে দেশটির রাজা ইসলাম গ্রহণ করেন। দেশটির পরবর্তী ইতিহাস ইসলামেরই ইতিহাস। বৌদ্ধ রাজার ইসলাম গ্রহণের পর বৌদ্ধ মন্দিরের জায়গায় নির্মাণ করা হয় একটি মসজিদ। এরপর বহুসংস্কার, পরিবর্তন ও পরিবর্ধনের মধ্য দিয়ে আজকের ‘ওল্ড ফ্রাইডে মস্ক’-এ রূপ নিয়েছে। এর সবচেয়ে সংস্কারটি করা হয় ১৬৫৬ সালের দিকে। সেসময় কোরাল পাথর দিয়ে তৈরি করা মসজিদের দরজা ও জানালাগুলো এখন ভঙ্গুরপ্রায়।
মালদ্বীপ ভ্রমণের সবচেয়ে দুর্লভ অভিজ্ঞতা পাওয়া যাবে সূর্যাস্ত দেখায়। অত্যাশ্চর্য এক পরিবেশের সৃষ্টি হয় তখন। আকাশের যত রং সবগুলো জীবন্ত হয়ে দর্শকের চোখে ধরা দেয় এসময়। মালদ্বীপের সন্ধ্যগুলোকে মনে হবে ভ্রাম্যমাণ চিত্রকরের মতো।
মালদ্বীপের অর্থনীতির বড় অংশ পর্যটন খাতের ওপর নির্ভরশীল। দেশটির সরকার এখন বসতিহীন বহুদ্বীপ বিভিন্ন বেসরকারি কোম্পানির কাছে লিজ দিচ্ছে। সেখানে পর্যটকদের জন্য বিশ^মানের রিসর্ট নির্মাণ করা হচ্ছে। আগামী বছর এমন ২০টি রিসর্ট উদ্বোধনের ঘোষণা দিয়েছে সেখানকার সরকার। আর অন্যান্য দ্বীপগুলোতে যাত্রীযাপন করলে মালদ্বীপবাসীর জীবনযাত্রার একেবারে গভীর পর্যন্ত উপলব্ধি করা যায়।
No comments