প্রস্রাবের সমস্যা থেকে সহজে মুক্তি পাওয়ার ৯টি ঘরোয়া উপায়
মুত্রনালীর সংক্রমণ বা ইউরিন ইনফেকশন একটি অত্যন্ত অস্বস্তিকর সমস্যা।
প্রস্রাবের বেগ হওয়া সত্ত্বেও ঠিকমতো প্রস্রাব না হওয়া বা খুবই সামান্য প্রস্রাব হওয়া, ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়া, প্রস্রাবের সময় জ্বালাপোড়া করা, প্রস্রাবের রং পরিবর্তন হয়ে যাওয়া, প্রস্রাবে দুর্গন্ধ হওয়া, পেটে ব্যথা, জ্বর, বমি বমি ভাব ও বমি হওয়া,অবসন্ন ও ক্লান্ত অনুভব করা – এই উপসর্গ গুলো দেখা দিলে বুঝতে হবে যে আপনার মূত্রনালীর সংক্রমণ হয়েছে।
এই সমস্যায় তখনই মানুষ আক্রান্ত হয় যখন মুত্রাশয় এবং তার প্রস্থান টিউব ব্যাকটেরিয়া দ্বারা আক্রান্ত হয়। এছাড়াও আরও কিছু কারণ আছে এই সমস্যা হওয়ার তা হল- যৌনমিলন, দীর্ঘ সময় প্রস্রাব ধরে রাখা, গর্ভাবস্থা, মেনোপজ, এবং ডায়াবেটিস।
ছেলেদের চেয়ে মেয়েরাই এই রোগে বেশী আক্রান্ত হয়। কারণ মেয়েদের ইউরিথ্রা বা মূত্রনালী পায়ুর খুব কাছাকাছি থাকে ফলে মলদার দিয়ে নির্গত ব্যাকটেরিয়া সহজেই মূত্রনালিতে প্রবেশ করতে পারে।
এছাড়াও মেয়েদের মুত্রনালী ছোট হওয়ায় ব্যাকটেরিয়া খুব সহজেই মুত্রথলিতে ও কিডনিতে পৌঁছে ইনফেকশন ঘটাতে পারে।
প্রস্রাব পরীক্ষার মাধ্যমে মূত্রনালির সংক্রমন বা ইউটিআই নির্ণয় করা যায়।
কী জীবাণুর সংক্রমণ হয়েছে তা দেখে ডাক্তার আপনাকে এন্টিবায়োটিক সেবন করতে দেবেন।এন্টিবায়োটিক-এর কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আছে বলাই বাহুল্য।
যেমন- ডায়রিয়া, বমি , র্যা শ ও চুলকানি হওয়া ইত্যাদি। এই সংক্রমণ প্রাথমিক অবস্থায় ধরা পড়লে দ্রুত সুস্থ হওয়া যায়।
এখন আমরা এমন কিছু ঘরোয়া পদ্ধতির কথা জানবো যা ব্যাবহার করে মুত্রনালীর সংক্রমন থেকে পরিপূর্ণ ভাবে মুক্ত হওয়া যায়।
(১) অ্যাপেল সাইডার ভিনেগারঃ
এই ভিনেগারে আছে নানান রকম এনজাইম, পটাশিয়াম এবং গুরুত্বপূর্ণ মিনারেল যা ইউরিনারি নালীর ইনফেকশন রোধ করতে সক্ষম।
এই ভিনেগার প্রাকৃতিক অ্যান্টবায়টিক হিসেবে কাজ করে এই সমস্যা রোধ করতে।
১। একগ্লাস পানির সাথে ২ চামচ অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার মিশিয়ে খেয়ে নিন।
এছাড়াও আপনি লেবুর রসের সাথে মধু মিশিয়ে খেতে পারেন।
২। দ্রুত ইনফেকশন সারিয়ে তোলার জন্য এই পানীয়টি প্রতিদিন ২ বার খান।
(২) বেকিং সোডাঃ
বেকিং সোডার এসিড উপাদান, এসিড জাতীয় প্রস্রাবের সমস্যা রোধ করে এবং ব্যথাও দূর করে।
তাই এই সমস্যা এড়াতে একচামচ বেকিং সোডার সাথে একগ্লাস পানি মিশিয়ে প্রতিদিন ১/২ বার খেয়ে নিন।
(৩) আনারসঃ
সুস্বাদু ফল আনারসে আছে একটি এনজাইম উপাদান যা ব্রোমেলাইন নামে পরিচিত এবং এই উপদানটি ইউরিনারি ইনফেকশন এর জ্বালাপোড়া রোধ করে।
এই সমস্যায় শুধু আনারস না খেয়ে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী অ্যান্টিবায়টিকও খাওয়া ভালো দ্রুত ইনফেকশন রোধ করার জন্য।
প্রতিদিন ১ কাপ আনারস খাওয়া ভালো ইউরিনারি ইনফেকশন রোধ করার জন্য।
চাইলে আপনি আনারস জুস বানিয়েও খেতে পারেন তবে ক্যানে বহন করা আনারস না খাওয়া ভালো কারণ এগুলোতে প্রিজারভেটিভ দেয়া থাকে।
(৪) প্রচুর পানি পান করুনঃ
যাদের ইউটিআই আছে তাদের প্রচুর পানি পান করা প্রয়োজন ।
বেশী পানি পান করলে প্রস্রাবের বেগ বৃদ্ধি পায় এবং প্রস্রাবের সাথে শরীর থেকে ব্যাকটেরিয়া বের হয়ে যায়।
(৫) সোডা পান করুনঃ
না কোন সফট ড্রিংক এর কথা বলছি না, বেকিং সোডার কথা বলছি।
এক গ্লাস পানিতে এক চামচ বেকিং সোডা মিশিয়ে সপ্তাহে একদিন সকাল বেলা পান করুন প্রস্রাবের জ্বালা পোড়া কমবে।
(৬) কিছু সেলারি বীজ চিবানঃ
সেলারি বীজ মূত্র বর্ধক হিসাবে কাজ করে।
এক মুঠো সেলেরি বীজ চিবিয়ে রস খেতে পারেন অথবা এক কাপ গরম পানিতে কিছু সেলেরি বীজ দিয়ে ঢেকে দিন ,৮ মিনিট পর মিশ্রণটি ছেঁকে নিয়ে পান করুন।
এটা ইউ টি আই প্রতিরোধ করে।
(৭) শসা খানঃ
শসাতে প্রচুর পানি আছে। প্রতিদিন কম পক্ষে একটি শসা স্লাইস করে খেতে পারেন।
(৮) গরম সেঁক নিনঃ
হট ওয়াটার ব্যাগ এ গরম পানি নিয়ে আপনার তলপেটের উপর রাখুন, এতে খুব দ্রুত প্রস্রাবের জ্বালা পোরা ও ব্যথা দূর হবে।
(৯) আরামদায়ক পোশাক পড়ুনঃ
স্যাঁতস্যাঁতে জায়গায় ব্যাকটেরিয়া জন্মায়। সূতির অন্তর্বাস পরলে ও ঢিলেঢালা পোশাক পরলে স্পর্শকাতর অঙ্গে ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধি ব্যাহত হয়।
প্রস্রাবের বেগ হওয়া সত্ত্বেও ঠিকমতো প্রস্রাব না হওয়া বা খুবই সামান্য প্রস্রাব হওয়া, ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়া, প্রস্রাবের সময় জ্বালাপোড়া করা, প্রস্রাবের রং পরিবর্তন হয়ে যাওয়া, প্রস্রাবে দুর্গন্ধ হওয়া, পেটে ব্যথা, জ্বর, বমি বমি ভাব ও বমি হওয়া,অবসন্ন ও ক্লান্ত অনুভব করা – এই উপসর্গ গুলো দেখা দিলে বুঝতে হবে যে আপনার মূত্রনালীর সংক্রমণ হয়েছে।
এই সমস্যায় তখনই মানুষ আক্রান্ত হয় যখন মুত্রাশয় এবং তার প্রস্থান টিউব ব্যাকটেরিয়া দ্বারা আক্রান্ত হয়। এছাড়াও আরও কিছু কারণ আছে এই সমস্যা হওয়ার তা হল- যৌনমিলন, দীর্ঘ সময় প্রস্রাব ধরে রাখা, গর্ভাবস্থা, মেনোপজ, এবং ডায়াবেটিস।
ছেলেদের চেয়ে মেয়েরাই এই রোগে বেশী আক্রান্ত হয়। কারণ মেয়েদের ইউরিথ্রা বা মূত্রনালী পায়ুর খুব কাছাকাছি থাকে ফলে মলদার দিয়ে নির্গত ব্যাকটেরিয়া সহজেই মূত্রনালিতে প্রবেশ করতে পারে।
এছাড়াও মেয়েদের মুত্রনালী ছোট হওয়ায় ব্যাকটেরিয়া খুব সহজেই মুত্রথলিতে ও কিডনিতে পৌঁছে ইনফেকশন ঘটাতে পারে।
প্রস্রাব পরীক্ষার মাধ্যমে মূত্রনালির সংক্রমন বা ইউটিআই নির্ণয় করা যায়।
কী জীবাণুর সংক্রমণ হয়েছে তা দেখে ডাক্তার আপনাকে এন্টিবায়োটিক সেবন করতে দেবেন।এন্টিবায়োটিক-এর কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আছে বলাই বাহুল্য।
যেমন- ডায়রিয়া, বমি , র্যা শ ও চুলকানি হওয়া ইত্যাদি। এই সংক্রমণ প্রাথমিক অবস্থায় ধরা পড়লে দ্রুত সুস্থ হওয়া যায়।
এখন আমরা এমন কিছু ঘরোয়া পদ্ধতির কথা জানবো যা ব্যাবহার করে মুত্রনালীর সংক্রমন থেকে পরিপূর্ণ ভাবে মুক্ত হওয়া যায়।
(১) অ্যাপেল সাইডার ভিনেগারঃ
এই ভিনেগারে আছে নানান রকম এনজাইম, পটাশিয়াম এবং গুরুত্বপূর্ণ মিনারেল যা ইউরিনারি নালীর ইনফেকশন রোধ করতে সক্ষম।
এই ভিনেগার প্রাকৃতিক অ্যান্টবায়টিক হিসেবে কাজ করে এই সমস্যা রোধ করতে।
১। একগ্লাস পানির সাথে ২ চামচ অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার মিশিয়ে খেয়ে নিন।
এছাড়াও আপনি লেবুর রসের সাথে মধু মিশিয়ে খেতে পারেন।
২। দ্রুত ইনফেকশন সারিয়ে তোলার জন্য এই পানীয়টি প্রতিদিন ২ বার খান।
(২) বেকিং সোডাঃ
বেকিং সোডার এসিড উপাদান, এসিড জাতীয় প্রস্রাবের সমস্যা রোধ করে এবং ব্যথাও দূর করে।
তাই এই সমস্যা এড়াতে একচামচ বেকিং সোডার সাথে একগ্লাস পানি মিশিয়ে প্রতিদিন ১/২ বার খেয়ে নিন।
(৩) আনারসঃ
সুস্বাদু ফল আনারসে আছে একটি এনজাইম উপাদান যা ব্রোমেলাইন নামে পরিচিত এবং এই উপদানটি ইউরিনারি ইনফেকশন এর জ্বালাপোড়া রোধ করে।
এই সমস্যায় শুধু আনারস না খেয়ে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী অ্যান্টিবায়টিকও খাওয়া ভালো দ্রুত ইনফেকশন রোধ করার জন্য।
প্রতিদিন ১ কাপ আনারস খাওয়া ভালো ইউরিনারি ইনফেকশন রোধ করার জন্য।
চাইলে আপনি আনারস জুস বানিয়েও খেতে পারেন তবে ক্যানে বহন করা আনারস না খাওয়া ভালো কারণ এগুলোতে প্রিজারভেটিভ দেয়া থাকে।
(৪) প্রচুর পানি পান করুনঃ
যাদের ইউটিআই আছে তাদের প্রচুর পানি পান করা প্রয়োজন ।
বেশী পানি পান করলে প্রস্রাবের বেগ বৃদ্ধি পায় এবং প্রস্রাবের সাথে শরীর থেকে ব্যাকটেরিয়া বের হয়ে যায়।
(৫) সোডা পান করুনঃ
না কোন সফট ড্রিংক এর কথা বলছি না, বেকিং সোডার কথা বলছি।
এক গ্লাস পানিতে এক চামচ বেকিং সোডা মিশিয়ে সপ্তাহে একদিন সকাল বেলা পান করুন প্রস্রাবের জ্বালা পোড়া কমবে।
(৬) কিছু সেলারি বীজ চিবানঃ
সেলারি বীজ মূত্র বর্ধক হিসাবে কাজ করে।
এক মুঠো সেলেরি বীজ চিবিয়ে রস খেতে পারেন অথবা এক কাপ গরম পানিতে কিছু সেলেরি বীজ দিয়ে ঢেকে দিন ,৮ মিনিট পর মিশ্রণটি ছেঁকে নিয়ে পান করুন।
এটা ইউ টি আই প্রতিরোধ করে।
(৭) শসা খানঃ
শসাতে প্রচুর পানি আছে। প্রতিদিন কম পক্ষে একটি শসা স্লাইস করে খেতে পারেন।
(৮) গরম সেঁক নিনঃ
হট ওয়াটার ব্যাগ এ গরম পানি নিয়ে আপনার তলপেটের উপর রাখুন, এতে খুব দ্রুত প্রস্রাবের জ্বালা পোরা ও ব্যথা দূর হবে।
(৯) আরামদায়ক পোশাক পড়ুনঃ
স্যাঁতস্যাঁতে জায়গায় ব্যাকটেরিয়া জন্মায়। সূতির অন্তর্বাস পরলে ও ঢিলেঢালা পোশাক পরলে স্পর্শকাতর অঙ্গে ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধি ব্যাহত হয়।
No comments