হার্টের অসুখ ও ডায়াবেটিসের জন্য সুখবর!
মানুষের
কেন হৃদপিন্ডের নানা রকম অসুখ হয় এবং কেন ডায়াবেটিসে আক্রন্ত হয় তার
জেনেটিক কারণ অনুসন্ধানে নতুন করে গবেষণা শুরু হয়েছে বৃটেনের ব্রাডফোর্ডে।
সেখানে বসবাস করেন বিপুল সংখ্যক বাংলাদেশী ও পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত অথবা এই
দুটি দেশের নাগরিক। বৃটেনে এই এলাকাতে অনেকের স্বাস্থ্যের অবস্থা সবচেয়ে
নাজুক। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, বৃটেনে টাইপ-২ ডায়াবেটিসে আক্রান্তের যে
হার, ব্রাডফোর্ডে এই হার তার চারগুণ। এ ছাড়া এসব রোগের কারণের সঙ্গে
বৃটিশদের উপসর্গ হুবহু মেলে না। তাই ওই এলাকায় নতুন করে গবেষণা শুরু হয়েছে।
এ খবর দিয়েছে বৃটেনের অনলাইন দ্য টেলিগ্রাফ অ্যান্ড ড্রাগস।
এতে বলা হয়, হার্টের অসুখ কিভাবে বৃদ্ধি পায় এবং ডায়াবেটিস কিভাবে বেড়ে ওঠে তার জেনেটিক কারণ অনুসন্ধানে উচ্চাভিলাষী এই গবেষণা শুরু হয়েছে ব্রাডফোর্ডে।
দক্ষিণ এশিয়ার যেসব মানুষ বৃটেনে বসবাস করেন তাদের এবং দক্ষিণ এশিয়ার মানুষদের চিকিৎসার ধরণ এতে পাল্টে যেতে পারে। এ লক্ষ্যে যে প্রকল্প নেয়া হয়েছে তার নাম দেয়া হয়েছে ‘বর্ন ইন ব্রাডফোর্ড’ (বিআইবি)। ব্রাডফোর্ড রয়েল ইনফারমেরির (বিআরআই) ওপর ভিত্তি করে এটা করা হচ্ছে। বর্তমানে তারা ১৩৫০০ শিশুর জন্মের আগে থেকে তাদের বয়ঃপ্রাপ্তি পর্যন্ত সময়কালের ওপর গবেষণা করছে। এ ছাড়া ইস্ট লন্ডন জিনস অ্যান্ড হেলথ-এর গবেষণায় স্বেচ্ছায় অংশ নিচ্ছেন ৩৬ হাজারের বেশি বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত ও পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত বৃটিশ নাগরিক।
ব্রাডফোর্ডে দক্ষিণ এশিয়ার ২০ হাজারেরও বেশি মানুষের জিন নিয়ে বিশ্লেষণ করার পরিকল্পনা করেছেন বিজ্ঞানী ও গবেষকরা। একই কাজ করা হচ্ছে পূর্ব লন্ডনে। মানুষের জিনগত কারণে তার স্বাস্থ্য কেমন হবে সে বিষয়ে যে পূর্বাভাস দেয়া হবে, তা অঙ্গীভূত হবে বৃটেনের জাতীয় স্বাস্থ্য বিষয়ক স্কিমে।
এ জন্য বৃটেনে বিশাল আকারের একটি গবেষণায় ইউকে বায়োব্যাংক যুক্ত করেছে ৫ লাখ মানুষ। কিন্তু তারা সবাই ভাল স্বাস্থ্যবান। সম্পদশালী এবং ইউরোপীয় শ্বেতাঙ্গ। এর অর্থ হলো ওই গবেষণার ফল দক্ষিণ এশিয়ানদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নাও হতে পারে। তাই ব্রোডফোর্ড জিনস অ্যান্ড হেলথ বিষয়টিকে আরো ব্যাপক অর্থে নিয়েছে। তারা বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর জিন নিয়ে গবেষণা করছে, যাতে সব সম্প্রদায় স্বাস্থ্যসুবিধা পায়।
এই গবেষণায় নেতৃত্ব দিচ্ছেন ব্রাডফোর্ড ইন্সটিটিউট ফর হেলথ রিসার্চ (বিআইএইচআর)-এর পরিচালক প্রফেসর জন রাইট। তিনি বলেছেন, এই গবেষণা বলে দেবে জিন কিভাবে আমাদেরকে স্বাস্থ্যবান রাখে। আমরা আশা করছি, এই গবেষণার ওপর ভিত্তি করে বিজ্ঞানীরা দক্ষিণ এশিয়ার মানুষদের জন্য নতুন ওষুধ তৈরি করতে পারবেন। আমরা পেশাগত জীবনে মাঝে মাঝেই দেখতে পাই যে, ইউরোপীয়ান শ্বেতাঙ্গ সম্প্রদায়ের ক্ষেত্রে যে ওষুধ সফলতা দিচ্ছে, তা দক্ষিণ এশিয়ার মানুষদের ক্ষেত্রে কাজ করছে না। তাই আমরা যেসব মানুষের দেহে অত্যন্ত উচ্চ মাত্রায় ও অত্যন্ত নি¤œ মাত্রায় কোলেস্টেরল আছে তাদের জিন পরীক্ষা করতে চাইছি, যাতে হার্টের বিভিন্ন রকম রোগের কারণ ও স্ট্রোকের বিষয় জানা যায়। এক্ষেত্রে বাংলাদেশী ও পাকিস্তানি প্রাপ্ত বয়স্কদের জিন পরীক্ষা করা হবে।
এ গবেষণায় নেয়া হবে ১৬ বছরের ওপরে বয়স এমন পাকিস্তানি, পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত বৃটিশ, বাংলাদেশী, বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত বৃটিশদের। স্বাস্থ্যগত কোনো সমস্যা থাক বা না থাকÑ তবু তাদেরকে এই গবেষণার আওতায় নেয়া হবে।
এতে বলা হয়, হার্টের অসুখ কিভাবে বৃদ্ধি পায় এবং ডায়াবেটিস কিভাবে বেড়ে ওঠে তার জেনেটিক কারণ অনুসন্ধানে উচ্চাভিলাষী এই গবেষণা শুরু হয়েছে ব্রাডফোর্ডে।
দক্ষিণ এশিয়ার যেসব মানুষ বৃটেনে বসবাস করেন তাদের এবং দক্ষিণ এশিয়ার মানুষদের চিকিৎসার ধরণ এতে পাল্টে যেতে পারে। এ লক্ষ্যে যে প্রকল্প নেয়া হয়েছে তার নাম দেয়া হয়েছে ‘বর্ন ইন ব্রাডফোর্ড’ (বিআইবি)। ব্রাডফোর্ড রয়েল ইনফারমেরির (বিআরআই) ওপর ভিত্তি করে এটা করা হচ্ছে। বর্তমানে তারা ১৩৫০০ শিশুর জন্মের আগে থেকে তাদের বয়ঃপ্রাপ্তি পর্যন্ত সময়কালের ওপর গবেষণা করছে। এ ছাড়া ইস্ট লন্ডন জিনস অ্যান্ড হেলথ-এর গবেষণায় স্বেচ্ছায় অংশ নিচ্ছেন ৩৬ হাজারের বেশি বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত ও পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত বৃটিশ নাগরিক।
ব্রাডফোর্ডে দক্ষিণ এশিয়ার ২০ হাজারেরও বেশি মানুষের জিন নিয়ে বিশ্লেষণ করার পরিকল্পনা করেছেন বিজ্ঞানী ও গবেষকরা। একই কাজ করা হচ্ছে পূর্ব লন্ডনে। মানুষের জিনগত কারণে তার স্বাস্থ্য কেমন হবে সে বিষয়ে যে পূর্বাভাস দেয়া হবে, তা অঙ্গীভূত হবে বৃটেনের জাতীয় স্বাস্থ্য বিষয়ক স্কিমে।
এ জন্য বৃটেনে বিশাল আকারের একটি গবেষণায় ইউকে বায়োব্যাংক যুক্ত করেছে ৫ লাখ মানুষ। কিন্তু তারা সবাই ভাল স্বাস্থ্যবান। সম্পদশালী এবং ইউরোপীয় শ্বেতাঙ্গ। এর অর্থ হলো ওই গবেষণার ফল দক্ষিণ এশিয়ানদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নাও হতে পারে। তাই ব্রোডফোর্ড জিনস অ্যান্ড হেলথ বিষয়টিকে আরো ব্যাপক অর্থে নিয়েছে। তারা বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর জিন নিয়ে গবেষণা করছে, যাতে সব সম্প্রদায় স্বাস্থ্যসুবিধা পায়।
এই গবেষণায় নেতৃত্ব দিচ্ছেন ব্রাডফোর্ড ইন্সটিটিউট ফর হেলথ রিসার্চ (বিআইএইচআর)-এর পরিচালক প্রফেসর জন রাইট। তিনি বলেছেন, এই গবেষণা বলে দেবে জিন কিভাবে আমাদেরকে স্বাস্থ্যবান রাখে। আমরা আশা করছি, এই গবেষণার ওপর ভিত্তি করে বিজ্ঞানীরা দক্ষিণ এশিয়ার মানুষদের জন্য নতুন ওষুধ তৈরি করতে পারবেন। আমরা পেশাগত জীবনে মাঝে মাঝেই দেখতে পাই যে, ইউরোপীয়ান শ্বেতাঙ্গ সম্প্রদায়ের ক্ষেত্রে যে ওষুধ সফলতা দিচ্ছে, তা দক্ষিণ এশিয়ার মানুষদের ক্ষেত্রে কাজ করছে না। তাই আমরা যেসব মানুষের দেহে অত্যন্ত উচ্চ মাত্রায় ও অত্যন্ত নি¤œ মাত্রায় কোলেস্টেরল আছে তাদের জিন পরীক্ষা করতে চাইছি, যাতে হার্টের বিভিন্ন রকম রোগের কারণ ও স্ট্রোকের বিষয় জানা যায়। এক্ষেত্রে বাংলাদেশী ও পাকিস্তানি প্রাপ্ত বয়স্কদের জিন পরীক্ষা করা হবে।
এ গবেষণায় নেয়া হবে ১৬ বছরের ওপরে বয়স এমন পাকিস্তানি, পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত বৃটিশ, বাংলাদেশী, বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত বৃটিশদের। স্বাস্থ্যগত কোনো সমস্যা থাক বা না থাকÑ তবু তাদেরকে এই গবেষণার আওতায় নেয়া হবে।
No comments