১৫০ দেশে শুরু হলো বিশ্ব জলবায়ু আন্দোলন
আগামী
সোমবার জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে জাতিসংঘের সম্মেলন হওয়ার কথা রয়েছে।
সম্মেলনটির আগ দিয়ে শুরু হয়েছে বিশ্ব জলবায়ু আন্দোলন। ১৬ বছর বয়সী
পরিবেশকর্মী গ্রেটা থুনবার্গের উদ্যোগে শুক্রবার থেকে যাত্রা শুরু করে এই
আন্দোলন। সব মিলিয়ে ১৫০টি দেশ এ আন্দোলনে অংশ নেয়ার কথা রয়েছে। এদিন লাখ
লাখ আন্দোলনকারী জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় পদক্ষেপ গ্রহণের দাবিতে রাস্তায়
নেমে আসে প্রশান্ত-মহাসাগরীয় অঞ্চলের কয়েকশ’ শহরে। সিডনি থেকে শুরু করে
সিউল ও সাও পাওলো পর্যন্ত বিশ্বের বিভিন্ন দেশের শিশু-কিশোররা তাদের ক্লাস
বাদ দিয়ে নিজ নিজ অবস্থান থেকে আন্দোলনে নেমেছে। আন্দোলনকারীদের বেশিরভাগই
স্কুল শিক্ষার্থী। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায়ও স্কুল-শিক্ষার্থীরা এই
আন্দোলনের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করেছে। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলোয় বলা হচ্ছে,
উৎসাহ, উদ্দীপনা উৎসবমুখর ও আবেগঘন পরিবেশের মধ্য দিয়ে আন্দোলন চলছে।
আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপগুলো জলবায়ু পরিবর্তনের সম্মুখভাবে রয়েছে। সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বাড়লে ডুবে যাবে অসংখ্য শহর। তাই জলবায়ু পরিবর্তন থামাতে বৈশ্বিক পর্যায়ে জরুরি-ভিত্তিতে পদক্ষেপ গ্রহণ করা আবশ্যক। সরকারের প্রতি পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানিয়ে শুক্রবার নিউজিল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া ও থাইল্যান্ডসহ রাস্তায় নেমে এসেছে ওই অঞ্চলের লাখ লাখ মানুষ।
টুইটারে আন্দোলনের প্রতি সমর্থন প্রকাশ করেছেন থুনবার্গ। এক টুইটে লিখেছেন, অবিশ্বাস্য সব ছবি দেখতে পাচ্ছি। সিডনীতে জনতার সমাবেশ বড় হয়ে ওঠছে। অস্ট্রেলিয়া আন্দোলনের মানদ- ঠিক করে দিচ্ছে। প্রসঙ্গত, শুক্রবার নিউ ইয়র্ক থেকে বিক্ষোভের নেতৃত্ব দেয়ার কথা রয়েছে তার। উল্লেখ্য, পরিবেশ নিয়ে কাজ করার অবদানস্বরূপ থুনবার্গকে নোবেল পুরস্কারের জন্য মনোনীত করা হয়েছে ইতোমধ্যে। এই আন্দোলনের শুরু হয় তার হাত ধরেই। এই স্কুল-পড়–য়া বিশ্বখ্যাত পরিবেশকর্মীই প্রথম ক্লাস পালিয়ে জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ে প্রতিবাদ করতে সুইডিশ পার্লামেন্টের বাইরে জড়ো হয়েছিল। তার ভাষ্য, বেশিরভাগ বড়রা এখনো বুঝতে পারে না জলবায়ু সংকট মোকাবিলা কেবলমাত্র আমাদের মতো তরুণদের পক্ষে সম্ভব নয়। এটা একটি নির্দিষ্ট কোনো প্রজন্মের কাজ নয়। এটা আমাদের পুরো মানবজাতির দায়িত্ব।
সব মিলিয়ে অস্ট্রেলিয়ার ১১০টি শহরে এই আন্দোলন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। বিশ্বের সবচেয়ে বড় কয়লা ও তরল প্রাকৃতিক গ্যাস রফতানিকারী দেশ অস্ট্রেলিয়া। আন্দোলনকারীরা দেশটির সরকারকে ২০৩০ সালের মধ্যে কার্বন নির্গমণ শূন্যের কোথায় নিয়ে আসার প্রতিশ্রুতি দেয়ার আহ্বান জানাচ্ছে। আন্দোলনের অংশ নেয়ার জন্য দেশটির অন্তত ২০০০ প্রতিষ্ঠান তাদের কর্মীদের সাময়িক ছুটি দিয়েছে।
শুক্রবার সর্বমোট ১৫০টি দেশে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে আন্দোলন হওয়ার কথা রয়েছে। সবশেষে নিউ ইয়র্কে অনুষ্ঠিত হবে শুক্রবারের সমাপনী আন্দোলন। থুনবার্গের নেতৃত্বে এদিন শহরজুড়ে আন্দোলন হবে। আন্দোলন শেষে পদযাত্রা হবে জাতিসংঘের সদরদপ্তরের উদ্দেশ্যে। নিউ ইয়র্কে এদিন ১১ লাখ শিশুর জড়ো হওয়ার কথা রয়েছে। ১৮০০টি সরকারি স্কুলের শিক্ষার্থীদের এদিন ক্লাস বাদ দেয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। ২৩ সেপ্টেম্বর শহরটিতে জাতিসংঘের সম্মেলনে অংশ নেবেন বিশ্বের শীর্ষ নেতারা। জলবায়ু পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করবেন তারা।
এদিকে, বিশ্বজুড়ে আন্দোলন হলেও বিশ্বের সবচেয়ে বড় কার্বন নির্গমনকারী দেশ চীনে আন্দোলনের অনুমোদন দেয়া হয়নি। চীনের ইয়ুথ ক্লাইমেট একশন নেটওয়ার্কের প্রধান ঝেং শিয়াওয়েন জানান, প্রয়োজনে অনুমোদন ছাড়াই চীনের তরুণরা জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় পদক্ষেপ নেবে। তিনি বলেন, চীনের তরুণদের নিজস্ব পদ্ধতি রয়েছে। আমরাও জলবায়ু নিয়ে উদ্বিগ্ন। জলবায়ু নিয়ে আমরা গভীরভাবে চিন্তা করছি, কাজ করছি। আমাদের সঙ্গে বহু মানুষ এই ইস্যুতে একমত পোষণ করে।
আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপগুলো জলবায়ু পরিবর্তনের সম্মুখভাবে রয়েছে। সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বাড়লে ডুবে যাবে অসংখ্য শহর। তাই জলবায়ু পরিবর্তন থামাতে বৈশ্বিক পর্যায়ে জরুরি-ভিত্তিতে পদক্ষেপ গ্রহণ করা আবশ্যক। সরকারের প্রতি পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানিয়ে শুক্রবার নিউজিল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া ও থাইল্যান্ডসহ রাস্তায় নেমে এসেছে ওই অঞ্চলের লাখ লাখ মানুষ।
টুইটারে আন্দোলনের প্রতি সমর্থন প্রকাশ করেছেন থুনবার্গ। এক টুইটে লিখেছেন, অবিশ্বাস্য সব ছবি দেখতে পাচ্ছি। সিডনীতে জনতার সমাবেশ বড় হয়ে ওঠছে। অস্ট্রেলিয়া আন্দোলনের মানদ- ঠিক করে দিচ্ছে। প্রসঙ্গত, শুক্রবার নিউ ইয়র্ক থেকে বিক্ষোভের নেতৃত্ব দেয়ার কথা রয়েছে তার। উল্লেখ্য, পরিবেশ নিয়ে কাজ করার অবদানস্বরূপ থুনবার্গকে নোবেল পুরস্কারের জন্য মনোনীত করা হয়েছে ইতোমধ্যে। এই আন্দোলনের শুরু হয় তার হাত ধরেই। এই স্কুল-পড়–য়া বিশ্বখ্যাত পরিবেশকর্মীই প্রথম ক্লাস পালিয়ে জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ে প্রতিবাদ করতে সুইডিশ পার্লামেন্টের বাইরে জড়ো হয়েছিল। তার ভাষ্য, বেশিরভাগ বড়রা এখনো বুঝতে পারে না জলবায়ু সংকট মোকাবিলা কেবলমাত্র আমাদের মতো তরুণদের পক্ষে সম্ভব নয়। এটা একটি নির্দিষ্ট কোনো প্রজন্মের কাজ নয়। এটা আমাদের পুরো মানবজাতির দায়িত্ব।
সব মিলিয়ে অস্ট্রেলিয়ার ১১০টি শহরে এই আন্দোলন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। বিশ্বের সবচেয়ে বড় কয়লা ও তরল প্রাকৃতিক গ্যাস রফতানিকারী দেশ অস্ট্রেলিয়া। আন্দোলনকারীরা দেশটির সরকারকে ২০৩০ সালের মধ্যে কার্বন নির্গমণ শূন্যের কোথায় নিয়ে আসার প্রতিশ্রুতি দেয়ার আহ্বান জানাচ্ছে। আন্দোলনের অংশ নেয়ার জন্য দেশটির অন্তত ২০০০ প্রতিষ্ঠান তাদের কর্মীদের সাময়িক ছুটি দিয়েছে।
শুক্রবার সর্বমোট ১৫০টি দেশে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে আন্দোলন হওয়ার কথা রয়েছে। সবশেষে নিউ ইয়র্কে অনুষ্ঠিত হবে শুক্রবারের সমাপনী আন্দোলন। থুনবার্গের নেতৃত্বে এদিন শহরজুড়ে আন্দোলন হবে। আন্দোলন শেষে পদযাত্রা হবে জাতিসংঘের সদরদপ্তরের উদ্দেশ্যে। নিউ ইয়র্কে এদিন ১১ লাখ শিশুর জড়ো হওয়ার কথা রয়েছে। ১৮০০টি সরকারি স্কুলের শিক্ষার্থীদের এদিন ক্লাস বাদ দেয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। ২৩ সেপ্টেম্বর শহরটিতে জাতিসংঘের সম্মেলনে অংশ নেবেন বিশ্বের শীর্ষ নেতারা। জলবায়ু পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করবেন তারা।
এদিকে, বিশ্বজুড়ে আন্দোলন হলেও বিশ্বের সবচেয়ে বড় কার্বন নির্গমনকারী দেশ চীনে আন্দোলনের অনুমোদন দেয়া হয়নি। চীনের ইয়ুথ ক্লাইমেট একশন নেটওয়ার্কের প্রধান ঝেং শিয়াওয়েন জানান, প্রয়োজনে অনুমোদন ছাড়াই চীনের তরুণরা জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় পদক্ষেপ নেবে। তিনি বলেন, চীনের তরুণদের নিজস্ব পদ্ধতি রয়েছে। আমরাও জলবায়ু নিয়ে উদ্বিগ্ন। জলবায়ু নিয়ে আমরা গভীরভাবে চিন্তা করছি, কাজ করছি। আমাদের সঙ্গে বহু মানুষ এই ইস্যুতে একমত পোষণ করে।
No comments