যুক্তরাষ্ট্রে ইসরায়েলপন্থী সম্মেলনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ মিছিল
যুক্তরাষ্ট্রের
ওয়াশিংটনে ইসরায়েলপন্থী এক সম্মেলন চলাকালে ফিলিস্তিনিদের প্রতি
মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রতিবাদেই ওই আয়োজনের সামনে অবস্থান নিয়েছে শত শত
মার্কিনি। তারা বলেন, জায়নবাদ বর্ণবৈষম্যের সামিল। অন্যদিকে সম্মেলনে
বক্তাদের দাবি, ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে এই মুহূর্তে ইতিহাসের সেরা
সম্পর্ক বিরাজ করছে।
প্রতিবছরই এই খ্রিস্টান-জায়ন সম্মেলনে যু্ক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য দেশ থেকে হাজার হাজার প্রতিনিধি অংশ নেয়। ইসরায়েলি রাষ্ট্রের সমর্থনে এটা অন্যতম বড় প্ল্যাটফর্ম। আয়োজকদের দাবি, প্রথমদিনেই ইসরায়েলপন্থী অনেক বিশেষ অতিথি অংশ নিয়েছেন। আর এতে করে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়লের সম্পর্ক নতুন মাত্রা পাচ্ছে। মার্কিন-ইসরায়েল সম্পর্ক ইতিহাসের সবচেয়ে ভালো অবস্থানে আছে বলে মন্তব্য করেছে ইসরায়েলপন্থী ওই খ্রিস্টানদের গ্রুপটি। সম্মেলনে অংশ নিয়েছে মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স, পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও ও হোয়াইট হাউসের নিরাপত্তা পরামর্শক জন বোল্টনের মতো কর্মকর্তারা। অন্যদিকে ভিডিও কনফারেন্সে অংশ নিয়েছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুও।
মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম মিডল ইস্ট আই এই আয়োজন নিয়ে কিছু জানতে চাইলে আয়োজকরা মন্তব্য করেননি। তাদের অনুষ্ঠানের সংবাদ সংগ্রহের অনুমতিও দেওয়া হয়নি।
এদিকে সম্মেলনের বাইরেই প্রায় ১০০ জন অধিকারকর্মী ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রতিবাদের আন্দোলন করছেন। জেরুজালেমে শান্তি নিয়ে কাজ করা খ্রিস্টান সংগঠন ফ্রেন্ডস অব সাবিল অব নর্থ আমেরিকার নির্বাহী পরিচালক তারেক আবুয়াত্তা বলেন, তার সংগঠনের সদস্যরা ইসরায়েল দখলদারিত্বের অবিচার সম্পর্কে তুলে ধরতে চায়। তিনি বলেন আমাদের অবস্থান নেওয়া জরুরি। এর আগে দিনের শুরুতে ওই সম্মেলনে আবুয়াত্তা বলেছিলেন, জায়নবাদ বর্ণবৈষম্যের সামিল।
আমেরিকান মুসলিমস ফর প্যালেস্টাইন এর সহযোগী পরিচালক তাহের হেরজাল্লাহ বলেন, পেন্স ও পম্মেপওর উপস্থিতি এই সম্মেলনকে বৈধতা দিয়েছে। তিনি বলেন, উগ্র শ্বেতাঙ্গবাদ ও ডানপন্থী ইভাঞ্জেলিকালসের মধ্যে সংযোগও এমন সম্মেলনে স্পষ্ট।
শিকাগোর নর্থ পার্ক বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যপ্রাচ্য ও ধর্ম বিষয়ক অধ্যাপক ডোনাল্ড ওয়াগনার বলেন, ধারণা করা হয় যুক্তরাষ্ট্রের ১৫ থোক ১৮ শতাংশ ইভাঞ্জেলিকাল খ্রিস্টান আসলে মৌলবাদী খ্রিস্টান জায়নিস্ট। আর তারাই ডোনাল্ড ট্রাম্পের সবচেয়ে বড় সমর্থক।
হেরজাল্লাহ বলেন, এই সম্মেলনে ট্রাম্প প্রশাসনের সমর্থন এটাই ইঙ্গিত দেয় যে ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনিদের মধ্যে শান্তি প্রক্রিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের কোনও আগ্রহ নেই।
ট্রাম্প প্রশাসনের সিনিয়র কমকর্তারা ফিলিস্তিনিদের চাপ প্রয়োগ করে কথিত ‘শতাব্দীর সেরা চুক্তি’ মেনে নিতে পবাধ্য করেছে। গত মাসে এই চুক্তির অর্থনৈতিক রুপরেখা প্রকাশ করা হলেও তা প্রত্যাখ্যান করে ফিলিস্তিনি নেতারা।
এর আগে সম্মেলনে উপস্থিতিদের উদ্দেশ্যে পম্পেও বলেন, ইসরায়েলের প্রতি ট্রাম্পের অঙ্গীকার রক্ষা তার অন্যতম সেরা কাজ। তিনি বলেন, ইরানের ওপর ইতিহাসের সর্বোচ্চ চাপ সৃষ্টি করেছি আমরা। আর এখানেই শেষ নয়। আমরা ইসরায়েলকের গোলান হাইটসকে তাদের নিজেদের ঘোষণার করার স্বীকৃতি দিয়েছি।
এছাড়া সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার ইরান চুক্তি থেকে ট্রাম্পের বেরিয়ে আসা নিয়েও আলোচনা করা হয়। নেতানিয়াহু এজন্য ট্রাম্পকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ইসরায়েল তার প্রতি গভীরভাবে কৃতজ্ঞ।
ইসারায়েলপন্থী গ্রুপ আমেরিকান ইসরায়েল পাবলিক অ্যাফেয়ার্স কমিটি (আইপ্যাক)সবকিছু পবেক্ষণ করলেও বিশেষজ্ঞদের দাবি মার্কিন নীতিতে খ্রিস্টান-জায়নবাদী সংগঠনগুলোর প্রভাব আড়ালেই থেকে যায়।
আইপ্যাকের দাবি, তাদের সদস্য সংখ্যা এক লাখ। অন্যদিকে সিইউএফআইয়ের সদস্য সংখ্যা ৫০ লাখেরও বেশি।
যুক্তরাষ্ট্রের মেনোনাইট গির্জায় কাজ করা ফিলিস্তিনি-আমেরিকান খ্রিস্টান জোনাথান বলেন, মার্কিন নীতির বেশিরভাগ বিশ্লেষণেই এগুলো বাদ দেওয়া হয় এবং গভীর পর্যবেক্ষণ করা হয় না। তিনি বলেন, আমি একে অনেক বড় সমস্যা মনে করি। মার্কিন কংগ্রেস ইসরায়েলের পক্ষপাতিত্ব করে। বিশেষ করে রিপাবলিকানরা।এর সাথে অবশ্যই যুক্তরাষ্ট্রে থাকা ইহুদি সম্প্রদায়ের যোগসাজস আছে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের এই নীতি খুবই স্বচ্ছ।
প্রতিবছরই এই খ্রিস্টান-জায়ন সম্মেলনে যু্ক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য দেশ থেকে হাজার হাজার প্রতিনিধি অংশ নেয়। ইসরায়েলি রাষ্ট্রের সমর্থনে এটা অন্যতম বড় প্ল্যাটফর্ম। আয়োজকদের দাবি, প্রথমদিনেই ইসরায়েলপন্থী অনেক বিশেষ অতিথি অংশ নিয়েছেন। আর এতে করে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়লের সম্পর্ক নতুন মাত্রা পাচ্ছে। মার্কিন-ইসরায়েল সম্পর্ক ইতিহাসের সবচেয়ে ভালো অবস্থানে আছে বলে মন্তব্য করেছে ইসরায়েলপন্থী ওই খ্রিস্টানদের গ্রুপটি। সম্মেলনে অংশ নিয়েছে মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স, পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও ও হোয়াইট হাউসের নিরাপত্তা পরামর্শক জন বোল্টনের মতো কর্মকর্তারা। অন্যদিকে ভিডিও কনফারেন্সে অংশ নিয়েছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুও।
মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম মিডল ইস্ট আই এই আয়োজন নিয়ে কিছু জানতে চাইলে আয়োজকরা মন্তব্য করেননি। তাদের অনুষ্ঠানের সংবাদ সংগ্রহের অনুমতিও দেওয়া হয়নি।
এদিকে সম্মেলনের বাইরেই প্রায় ১০০ জন অধিকারকর্মী ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রতিবাদের আন্দোলন করছেন। জেরুজালেমে শান্তি নিয়ে কাজ করা খ্রিস্টান সংগঠন ফ্রেন্ডস অব সাবিল অব নর্থ আমেরিকার নির্বাহী পরিচালক তারেক আবুয়াত্তা বলেন, তার সংগঠনের সদস্যরা ইসরায়েল দখলদারিত্বের অবিচার সম্পর্কে তুলে ধরতে চায়। তিনি বলেন আমাদের অবস্থান নেওয়া জরুরি। এর আগে দিনের শুরুতে ওই সম্মেলনে আবুয়াত্তা বলেছিলেন, জায়নবাদ বর্ণবৈষম্যের সামিল।
আমেরিকান মুসলিমস ফর প্যালেস্টাইন এর সহযোগী পরিচালক তাহের হেরজাল্লাহ বলেন, পেন্স ও পম্মেপওর উপস্থিতি এই সম্মেলনকে বৈধতা দিয়েছে। তিনি বলেন, উগ্র শ্বেতাঙ্গবাদ ও ডানপন্থী ইভাঞ্জেলিকালসের মধ্যে সংযোগও এমন সম্মেলনে স্পষ্ট।
শিকাগোর নর্থ পার্ক বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যপ্রাচ্য ও ধর্ম বিষয়ক অধ্যাপক ডোনাল্ড ওয়াগনার বলেন, ধারণা করা হয় যুক্তরাষ্ট্রের ১৫ থোক ১৮ শতাংশ ইভাঞ্জেলিকাল খ্রিস্টান আসলে মৌলবাদী খ্রিস্টান জায়নিস্ট। আর তারাই ডোনাল্ড ট্রাম্পের সবচেয়ে বড় সমর্থক।
হেরজাল্লাহ বলেন, এই সম্মেলনে ট্রাম্প প্রশাসনের সমর্থন এটাই ইঙ্গিত দেয় যে ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনিদের মধ্যে শান্তি প্রক্রিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের কোনও আগ্রহ নেই।
ট্রাম্প প্রশাসনের সিনিয়র কমকর্তারা ফিলিস্তিনিদের চাপ প্রয়োগ করে কথিত ‘শতাব্দীর সেরা চুক্তি’ মেনে নিতে পবাধ্য করেছে। গত মাসে এই চুক্তির অর্থনৈতিক রুপরেখা প্রকাশ করা হলেও তা প্রত্যাখ্যান করে ফিলিস্তিনি নেতারা।
এর আগে সম্মেলনে উপস্থিতিদের উদ্দেশ্যে পম্পেও বলেন, ইসরায়েলের প্রতি ট্রাম্পের অঙ্গীকার রক্ষা তার অন্যতম সেরা কাজ। তিনি বলেন, ইরানের ওপর ইতিহাসের সর্বোচ্চ চাপ সৃষ্টি করেছি আমরা। আর এখানেই শেষ নয়। আমরা ইসরায়েলকের গোলান হাইটসকে তাদের নিজেদের ঘোষণার করার স্বীকৃতি দিয়েছি।
এছাড়া সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার ইরান চুক্তি থেকে ট্রাম্পের বেরিয়ে আসা নিয়েও আলোচনা করা হয়। নেতানিয়াহু এজন্য ট্রাম্পকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ইসরায়েল তার প্রতি গভীরভাবে কৃতজ্ঞ।
ইসারায়েলপন্থী গ্রুপ আমেরিকান ইসরায়েল পাবলিক অ্যাফেয়ার্স কমিটি (আইপ্যাক)সবকিছু পবেক্ষণ করলেও বিশেষজ্ঞদের দাবি মার্কিন নীতিতে খ্রিস্টান-জায়নবাদী সংগঠনগুলোর প্রভাব আড়ালেই থেকে যায়।
আইপ্যাকের দাবি, তাদের সদস্য সংখ্যা এক লাখ। অন্যদিকে সিইউএফআইয়ের সদস্য সংখ্যা ৫০ লাখেরও বেশি।
যুক্তরাষ্ট্রের মেনোনাইট গির্জায় কাজ করা ফিলিস্তিনি-আমেরিকান খ্রিস্টান জোনাথান বলেন, মার্কিন নীতির বেশিরভাগ বিশ্লেষণেই এগুলো বাদ দেওয়া হয় এবং গভীর পর্যবেক্ষণ করা হয় না। তিনি বলেন, আমি একে অনেক বড় সমস্যা মনে করি। মার্কিন কংগ্রেস ইসরায়েলের পক্ষপাতিত্ব করে। বিশেষ করে রিপাবলিকানরা।এর সাথে অবশ্যই যুক্তরাষ্ট্রে থাকা ইহুদি সম্প্রদায়ের যোগসাজস আছে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের এই নীতি খুবই স্বচ্ছ।
No comments