কাশ্মীর নিয়ে জাতিসংঘের রিপোর্টে মানবাধিকার লঙ্ঘনের তদন্তের আহ্বান by রিফাত ফরিদ
জাতিসংঘ আবারও ভারতের বিরুদ্ধে কাশ্মীরে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ এনেছে এবং অভিযোগ তদন্তের জন্য কমিশন গঠনের আহ্বান জানিয়েছে।
অফিস অব দ্য ইউনাইটেড নেশান্স হাই কমিশনার ফর হিউম্যান রাইটস (ওএইচসিএইচআর) সোমবার ৪৩ পৃষ্ঠার একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। এতে একই সাথে পাকিস্তানের প্রতিও আহ্বান জানানো হয়েছে, যাতে তাদের নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের আটক করা হয়।
ভারত ও পাকিস্তান উভয়েই পুরো কাশ্মীর অঞ্চলকে নিজেদের বলে দাবি করে আসছে এবং এই অঞ্চল নিয়ে দুই দেশের মধ্যে দুইবার যুদ্ধও হয়েছে।
চলতি বছরের শুরুর দিকে ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে আত্মঘাতি হামলায় ভারতের ৪০ সেনা নিহত হওয়ার পর দুই দেশ আরেকবার যুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে চলে গিয়েছিল। পাকিস্তান-ভিত্তিক একটি বিদ্রোহী গ্রুপ ওই হামলার দায় স্বীকার করেছিল।
জাতিসংঘের রিপোর্টে ভারতের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে, যাতে ২০১৬ সালে বিদ্রোহী কমান্ডার বুরহান ওয়ানির হত্যার পরে যে সব সাধারণ মানুষ নিহত হয়েছে, তাদের বিষয়ে তদন্ত করা হয়।
ওয়ানির হত্যাকাণ্ডের পর পাঁচ মাস ধরে চলা বিক্ষোভে শতাধিক বিক্ষোভকারীকে হত্যা করা হয়। এটা ভারতের শাসকগোষ্ঠির বিরুদ্ধে নতুন করে ক্ষোভ তৈরি করে কাশ্মীরীদের মধ্যে।
নয়াদিল্লী জবাবে এ অঞ্চলে তাদের নিরাপত্তা অভিযান আরও জোরদার করে। ফলে আরও বিদ্রোহী ও বেসামরিক মানুষের মৃত্যু হয়।
জম্মু অ্যান্ড কাশ্মীর কোয়ালিশান অব সিভিল সোসাইটির (জেকেসিসিএস) তথ্য মতে, গত বছরে ১৬০ জন বেসামরিক নাগরিক, ২৬৭ জন বিদ্রোহী এবং ১৫৯ জন নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য নিহত হয়েছে। ২০০৮ সালের পর থেকে এই সংখ্যাটা সর্বোচ্চ।
মানবাধিকার পরিস্থিতির অবনতি
জাতিসংঘের রিপোর্টে বলা হয়েছে যে, ফেব্রুয়ারির আত্মঘাতী হামলার পর কাশ্মীরে যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে, সে পরিস্থিতিতে সাধারণের মানবাধিকার পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, ভারত-শাসিত কাশ্মীরের কর্তৃপক্ষ বিক্ষোভকারী, রাজনৈতিক বিরোধীপক্ষ এবং অন্যান্য নাগরিক সমাজের কর্মীদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরণের বিধিবহির্ভূত আটকাদেশ অব্যাহত রেখেছে।
কাশ্মীরে ভারতীয় সেনাদের যে বিশেষ দায়মুক্তি দেয়া হয়েছে, সেটির সমালোচনা করে রিপোর্টে বিতর্কিত আর্মড ফোর্সেস স্পেশাল পাওয়ার্স অ্যাক্ট (এএফএসপিএ) বাতিলের আহ্বান জানানো হয়েছে। এই অ্যাক্টের কারণে কাশ্মীরে মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে দায়বদ্ধতা নিশ্চিত করার বিষয়টি কার্যত অসম্ভব হয়ে পড়েছে।
রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে যে, সরকার সশস্ত্র বাহিনীর একজন সদস্যকেও বেসামরিক আদালতে বিচারের অনুমতি দেয়নি।
অফিস অব দ্য ইউনাইটেড নেশান্স হাই কমিশনার ফর হিউম্যান রাইটস (ওএইচসিএইচআর) সোমবার ৪৩ পৃষ্ঠার একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। এতে একই সাথে পাকিস্তানের প্রতিও আহ্বান জানানো হয়েছে, যাতে তাদের নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের আটক করা হয়।
ভারত ও পাকিস্তান উভয়েই পুরো কাশ্মীর অঞ্চলকে নিজেদের বলে দাবি করে আসছে এবং এই অঞ্চল নিয়ে দুই দেশের মধ্যে দুইবার যুদ্ধও হয়েছে।
চলতি বছরের শুরুর দিকে ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে আত্মঘাতি হামলায় ভারতের ৪০ সেনা নিহত হওয়ার পর দুই দেশ আরেকবার যুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে চলে গিয়েছিল। পাকিস্তান-ভিত্তিক একটি বিদ্রোহী গ্রুপ ওই হামলার দায় স্বীকার করেছিল।
জাতিসংঘের রিপোর্টে ভারতের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে, যাতে ২০১৬ সালে বিদ্রোহী কমান্ডার বুরহান ওয়ানির হত্যার পরে যে সব সাধারণ মানুষ নিহত হয়েছে, তাদের বিষয়ে তদন্ত করা হয়।
ওয়ানির হত্যাকাণ্ডের পর পাঁচ মাস ধরে চলা বিক্ষোভে শতাধিক বিক্ষোভকারীকে হত্যা করা হয়। এটা ভারতের শাসকগোষ্ঠির বিরুদ্ধে নতুন করে ক্ষোভ তৈরি করে কাশ্মীরীদের মধ্যে।
নয়াদিল্লী জবাবে এ অঞ্চলে তাদের নিরাপত্তা অভিযান আরও জোরদার করে। ফলে আরও বিদ্রোহী ও বেসামরিক মানুষের মৃত্যু হয়।
জম্মু অ্যান্ড কাশ্মীর কোয়ালিশান অব সিভিল সোসাইটির (জেকেসিসিএস) তথ্য মতে, গত বছরে ১৬০ জন বেসামরিক নাগরিক, ২৬৭ জন বিদ্রোহী এবং ১৫৯ জন নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য নিহত হয়েছে। ২০০৮ সালের পর থেকে এই সংখ্যাটা সর্বোচ্চ।
মানবাধিকার পরিস্থিতির অবনতি
জাতিসংঘের রিপোর্টে বলা হয়েছে যে, ফেব্রুয়ারির আত্মঘাতী হামলার পর কাশ্মীরে যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে, সে পরিস্থিতিতে সাধারণের মানবাধিকার পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, ভারত-শাসিত কাশ্মীরের কর্তৃপক্ষ বিক্ষোভকারী, রাজনৈতিক বিরোধীপক্ষ এবং অন্যান্য নাগরিক সমাজের কর্মীদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরণের বিধিবহির্ভূত আটকাদেশ অব্যাহত রেখেছে।
কাশ্মীরে ভারতীয় সেনাদের যে বিশেষ দায়মুক্তি দেয়া হয়েছে, সেটির সমালোচনা করে রিপোর্টে বিতর্কিত আর্মড ফোর্সেস স্পেশাল পাওয়ার্স অ্যাক্ট (এএফএসপিএ) বাতিলের আহ্বান জানানো হয়েছে। এই অ্যাক্টের কারণে কাশ্মীরে মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে দায়বদ্ধতা নিশ্চিত করার বিষয়টি কার্যত অসম্ভব হয়ে পড়েছে।
রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে যে, সরকার সশস্ত্র বাহিনীর একজন সদস্যকেও বেসামরিক আদালতে বিচারের অনুমতি দেয়নি।
No comments