সিরিয়ায় ১২ সদস্যের বৃটিশ জঙ্গি পরিবারের সবাই নিহত
বৃটেনের
লুটন শহরের বাসিন্দা মুহাম্মদ মান্নান। স্ত্রী, সন্তানসহ তার ১২ সদস্যের
যৌথ পরিবার। তাদের সবাইকে নিয়েই ২০১৫ সালে বৃটেন থেকে সিরিয়ায় পাড়ি জমান
তিনি। লক্ষ্য আবু বকর আল বাগদাদির নেতৃত্বে থাকা ইসলামিক স্টেটের খেলাফত
রক্ষায় যুদ্ধ করা। পরিবারের সকল সদস্য মিলে আইএসে যোগ দেয়ার এ ঘটনাটি সে
সময় বিশ্বব্যাপী ব্যাপক আলোচনার জন্ম দেয়। সমপ্রতি বৃটিশ ট্যাবলয়েড ডেলি
মেইল নিশ্চিত করেছে যে, সিরিয়ায় পাড়ি দেয়া এই জিহাদি পরিবারের সকল সদস্যই
একটি বিমান হামলায় নিহত হয়েছে। পরিবারটির ৩ সদস্য আগেই আইএসের হয়ে যুদ্ধ
করতে গিয়ে মারা পড়েছিল। এরপর এক বিমান হামলায় নিহত হয় পরিবারের বেঁচে থাকা
বাকি সদস্যরাও।
এর মধ্যে ছিল এক থেকে শুরু করে এগারো বছর বয়সের ৩ শিশুও। তবে মুহাম্মদ মান্নান ও তার স্ত্রী মিনেরা আইএসের সাবেক রাজধানীতে স্বাভাবিক মৃত্যুর সৌভাগ্য পেয়েছিল বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
জঙ্গি মুহাম্মদ মান্নান এর আগেও আরেকটি বিয়ে করেছিল। সেখানে থাকা তার এক সন্তান শালিম সিরিয়ার এই বিমান হামলার ঘটনা নিশ্চিত করেছেন। ডেলি মেইলকে তিনি বলেন, তারা সবাই নিহত হয়েছে। আমরা অনেক চেষ্টা করেছি নিশ্চিত হতে যে কবে ও কীভাবে তারা মারা গেছেন। এত দিন পর আমরা জানতে পেরেছি সত্যিকার অর্থে সিরিয়ায় কী হয়েছে। এটা ছিল এক বেদনাদায়ক পরিণতি।
মুহাম্মদ মান্নান ও তার পরিবার ২০১৫ সালের মে মাসে তুরস্ক থেকে প্রতিবেশী সিরিয়ায় প্রবেশ করে। তারা যখন বৃটেনে ফিরে আসছিল না তখন তাদের আত্মীয়রা তাদেরকে নিখোঁজ হিসেবে পুলিশকে জানান দেয়। এর ঠিক ২ মাসের মাথায় পরিবারটি এক বিবৃতি পাঠিয়ে ইসলামিক স্টেটের খেলাফতের পক্ষে নিজেদের সমর্থন প্রকাশ করে। এতে জঙ্গি পরিবারটি লেখে, এই খেলাফত শরিয়া আইনে পরিচালিত এবং দুর্নীতিমুক্ত। মুহাম্মদ মান্নানের আগের তোলা একটি ছবিও প্রকাশ করা হয়।
তবে তার এক সন্তান পরবর্তীকালে একটি সাক্ষাৎকারে দাবি করেছিল যে, তার পিতাকে ভুলিয়ে ভালিয়ে সিরিয়া নিয়ে যাওয়া হয়েছিল এবং একপর্যায়ে সে বৃটেনে ফিরে আসার জন্য তাদেরকে অনুরোধ করতে শুরু করে। ৭৫ বছর বয়স্ক মুহাম্মদ মান্নান ডায়াবেটিসসহ অনেক ধরনের রোগে আক্রান্ত ছিল। ছোটখাটো এসব রোগেই প্রায় বিনা চিকিৎসায় রাক্কাতে তার মৃত্যু হয়। তার স্ত্রী মিনেরাও ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে মারা যায়।
২০১৭ সালের অক্টোবরে মার্কিন সমর্থিত সেনাদের সঙ্গে যুদ্ধে তাদের দুই ছোট ছেলে মোহাম্মদ জায়েদ হুসাইন (২৫) ও মোহাম্মদ তৌফিক হুসাইন (১৯) নিহত হয়। এ যুদ্ধের মার্কিন সেনারা রাক্কা দখল করে নেয়। পরিবারের বাকি সদস্যরা অন্যান্য জিহাদিদের সঙ্গে পালিয়ে যায় এবং বাঘুজে এসে আশ্রয় নেয়। আইএসের সর্বশেষ আশ্রয়স্থল বাঘুজে এসে জড়ো হয় দেশজুড়ে পালিয়ে থাকা সব জঙ্গিরা। প্রায় এক মাস বাঘুজ ঘিরে রেখে কুর্দি যোদ্ধারা এর নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয়। এখানেই কুর্দিদের সঙ্গে যুদ্ধ করতে গিয়ে মারা পড়ে আরেক সন্তান মোহাম্মদ আবিল কাশেম সাকের (৩১)। পুরো বাঘুজে কুর্দি বাহিনী অতি আত্মবিশ্বাসী জিহাদিদের বিরুদ্ধে একচেটিয়া জয় পায়। এরপর পরিবারের বেঁচে থাকা শিশু সদস্য ও নারী জিহাদিরা বাঘুজ থেকে পালানোর চেষ্টা চালায়। কিন্তু এবার তারা সফল হয় না। এক বিমান হামলায় তারা সকলেই নিহত হয়। মুহাম্মদ মান্নানের এক কাজিন আব্দুল খালিদ জানান যে, বাঘুজে আইএসের সর্বশেষ দুর্গের পতনের পর প্রাণ বাঁচাতে তারা বিভিন্ন আশ্রয় শিবিরে লুকিয়ে থাকার পরিকল্পনা করে। কিন্তু বাঘুজের চারদিকে প্রচণ্ড বোমা বর্ষণ করা হচ্ছিল। আর এতেই সকলের মৃত্যু হয়। মুহাম্মদ মান্নান স্থানীয় মুসলিমদের মধ্যে নামাজি হিসেবে পরিচিত ছিল। লুটনের বারি পার্ক মসজিদে নিয়মিত নামাজ পড়ত তিনি। তাই তার ও তার পরিবারের মৃত্যুর খবর দ্রুতই অন্যদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। এই মসজিদের সভাপতি আবুল হুসাইন বলেন, মান্নান ছিলেন একজন ভাল মানুষ। আমরা যখন জানতে পেরেছি সে সিরিয়া চলে গেছে তখন সবাই বড় ধরনের ধাক্কা খেয়েছি। কেউই বিশ্বাস করতে পারিনি, তার মতো মানুষ এমন ঘৃণ্য কিছু করতে পারে। আমরা যে মান্নানকে চিনতাম সে এরকম ছিল না।
এর মধ্যে ছিল এক থেকে শুরু করে এগারো বছর বয়সের ৩ শিশুও। তবে মুহাম্মদ মান্নান ও তার স্ত্রী মিনেরা আইএসের সাবেক রাজধানীতে স্বাভাবিক মৃত্যুর সৌভাগ্য পেয়েছিল বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
জঙ্গি মুহাম্মদ মান্নান এর আগেও আরেকটি বিয়ে করেছিল। সেখানে থাকা তার এক সন্তান শালিম সিরিয়ার এই বিমান হামলার ঘটনা নিশ্চিত করেছেন। ডেলি মেইলকে তিনি বলেন, তারা সবাই নিহত হয়েছে। আমরা অনেক চেষ্টা করেছি নিশ্চিত হতে যে কবে ও কীভাবে তারা মারা গেছেন। এত দিন পর আমরা জানতে পেরেছি সত্যিকার অর্থে সিরিয়ায় কী হয়েছে। এটা ছিল এক বেদনাদায়ক পরিণতি।
মুহাম্মদ মান্নান ও তার পরিবার ২০১৫ সালের মে মাসে তুরস্ক থেকে প্রতিবেশী সিরিয়ায় প্রবেশ করে। তারা যখন বৃটেনে ফিরে আসছিল না তখন তাদের আত্মীয়রা তাদেরকে নিখোঁজ হিসেবে পুলিশকে জানান দেয়। এর ঠিক ২ মাসের মাথায় পরিবারটি এক বিবৃতি পাঠিয়ে ইসলামিক স্টেটের খেলাফতের পক্ষে নিজেদের সমর্থন প্রকাশ করে। এতে জঙ্গি পরিবারটি লেখে, এই খেলাফত শরিয়া আইনে পরিচালিত এবং দুর্নীতিমুক্ত। মুহাম্মদ মান্নানের আগের তোলা একটি ছবিও প্রকাশ করা হয়।
তবে তার এক সন্তান পরবর্তীকালে একটি সাক্ষাৎকারে দাবি করেছিল যে, তার পিতাকে ভুলিয়ে ভালিয়ে সিরিয়া নিয়ে যাওয়া হয়েছিল এবং একপর্যায়ে সে বৃটেনে ফিরে আসার জন্য তাদেরকে অনুরোধ করতে শুরু করে। ৭৫ বছর বয়স্ক মুহাম্মদ মান্নান ডায়াবেটিসসহ অনেক ধরনের রোগে আক্রান্ত ছিল। ছোটখাটো এসব রোগেই প্রায় বিনা চিকিৎসায় রাক্কাতে তার মৃত্যু হয়। তার স্ত্রী মিনেরাও ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে মারা যায়।
২০১৭ সালের অক্টোবরে মার্কিন সমর্থিত সেনাদের সঙ্গে যুদ্ধে তাদের দুই ছোট ছেলে মোহাম্মদ জায়েদ হুসাইন (২৫) ও মোহাম্মদ তৌফিক হুসাইন (১৯) নিহত হয়। এ যুদ্ধের মার্কিন সেনারা রাক্কা দখল করে নেয়। পরিবারের বাকি সদস্যরা অন্যান্য জিহাদিদের সঙ্গে পালিয়ে যায় এবং বাঘুজে এসে আশ্রয় নেয়। আইএসের সর্বশেষ আশ্রয়স্থল বাঘুজে এসে জড়ো হয় দেশজুড়ে পালিয়ে থাকা সব জঙ্গিরা। প্রায় এক মাস বাঘুজ ঘিরে রেখে কুর্দি যোদ্ধারা এর নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয়। এখানেই কুর্দিদের সঙ্গে যুদ্ধ করতে গিয়ে মারা পড়ে আরেক সন্তান মোহাম্মদ আবিল কাশেম সাকের (৩১)। পুরো বাঘুজে কুর্দি বাহিনী অতি আত্মবিশ্বাসী জিহাদিদের বিরুদ্ধে একচেটিয়া জয় পায়। এরপর পরিবারের বেঁচে থাকা শিশু সদস্য ও নারী জিহাদিরা বাঘুজ থেকে পালানোর চেষ্টা চালায়। কিন্তু এবার তারা সফল হয় না। এক বিমান হামলায় তারা সকলেই নিহত হয়। মুহাম্মদ মান্নানের এক কাজিন আব্দুল খালিদ জানান যে, বাঘুজে আইএসের সর্বশেষ দুর্গের পতনের পর প্রাণ বাঁচাতে তারা বিভিন্ন আশ্রয় শিবিরে লুকিয়ে থাকার পরিকল্পনা করে। কিন্তু বাঘুজের চারদিকে প্রচণ্ড বোমা বর্ষণ করা হচ্ছিল। আর এতেই সকলের মৃত্যু হয়। মুহাম্মদ মান্নান স্থানীয় মুসলিমদের মধ্যে নামাজি হিসেবে পরিচিত ছিল। লুটনের বারি পার্ক মসজিদে নিয়মিত নামাজ পড়ত তিনি। তাই তার ও তার পরিবারের মৃত্যুর খবর দ্রুতই অন্যদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। এই মসজিদের সভাপতি আবুল হুসাইন বলেন, মান্নান ছিলেন একজন ভাল মানুষ। আমরা যখন জানতে পেরেছি সে সিরিয়া চলে গেছে তখন সবাই বড় ধরনের ধাক্কা খেয়েছি। কেউই বিশ্বাস করতে পারিনি, তার মতো মানুষ এমন ঘৃণ্য কিছু করতে পারে। আমরা যে মান্নানকে চিনতাম সে এরকম ছিল না।
No comments