মার্কিন-তালেবান আলোচনায় শান্তির আশা জাগলেও, বাধা রয়ে গেছে by লি ওয়েইজিয়ান
তালেবানদের
সাথে আলোচনায় নেতৃত্ব দানকারী মার্কিন বিশেষ দূত জালমাই খলিলজাদ শনিবার
বলেছেন যে, চলমান আলোচনাটি এ যাবতকালের সমস্ত আলোচনার মধ্যে সবচেয়ে ফলপ্রসূ
হয়েছে। দুই পক্ষ গত মঙ্গলবারও কাতারে অনুষ্ঠিত এ আলোচনা অব্যাহত রাখবে।
জুনের শেষ দিকে সপ্তম দফা মার্কিন-তালেবান আলোচনা শুরু হয়। তালেবান ও যুক্তরাষ্ট্র উভয় পক্ষই বলেছে তারা এখানে সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন এবং একটা ফলাফল আশা করছেন।
এবারের আলোচনায় আফগানিস্তান থেকে বিদেশী সেনা প্রত্যাহারের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হচ্ছে এবং জানা গেছে, এ ব্যাপারে অগ্রগতি হয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প একাধিকবার বলেছেন যে, তিনি যুদ্ধবিধ্বস্ত আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনাদের সরিয়ে নিতে চান। মার্কিন নীতির এটা সাধারণ দিক। যে সব জায়গায় সেনা রাখা দরকার নেই বলে মনে করবে ওয়াশিংটন, সেখান থেকে তারা সেনা সরিয়ে নেবে।
যুক্তরাষ্ট্র আফগানিস্তানে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে, সেখানে সেনা মোতায়েন করেছে, বিপুল খরচ করেছে, কিন্তু অর্জন করেছে অতি সামান্য। ইরাক ও সিরিয়ার যুদ্ধেও একই রকম ফল পেয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
সাবেক প্রেসিডেন্ট জর্জ ডাব্লিউ বুশের সময় থেকে মধ্যপ্রাচ্য থেকে সেনা প্রত্যাহার শুরু করে যুক্তরাষ্ট্র। সেনা প্রত্যাহারের গতি আরও বাড়ান সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা আর ট্রাম্প চান আফগানিস্তান, সিরিয়া ও ইরাক থেকে মার্কিন সেনাদের পুরোপুরি দেশে ফিরিয়ে নিতে।
সন্ত্রাস দমনই আফগানিস্তানে যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান উদ্দেশ্য মনে করা হয়। ওসামা বিন লাদেনের মৃত্যুর পর যুক্তরাষ্ট্র মনে করেছিল তাদের প্রধান শত্রু শেষ হয়ে গেছে এবং এখন তারা এখান থেকে সরে যাবে। কিন্তু মার্কিন সেনাদের প্রস্থানের পর তালেবানরা আবার দেশের নিয়ন্ত্রণ নিক, এটা চায়নি যুক্তরাষ্ট্র।
যুক্তরাষ্ট্র আফগানিস্তানে স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে চায় এবং এটাও তারা বুঝেছে যে, তালেবানদের অত সহজে দমানো যাবে না। সে কারণে তালেবানদের সাথে আলোচনায় বসেছে যুক্তরাষ্ট্র, যাতে তারা সরে যাওয়ার পরও তাদের স্বার্থ ক্ষতিগ্রস্ত না হয়।
যুদ্ধ এলাকা থেকে সরে যাওয়া যুক্তরাষ্ট্রের একটা সাধারণ কৌশল। এর কিছুটা তাদের নিজেদের পদক্ষেপ, আর পরিস্থিতির কারণে কিছুটা সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে তাদের। এশিয়া-প্রশান্ত অঞ্চলে ওবামা যে ভারসাম্য ফিরিয়ে আনার পদক্ষেপ নিয়েছিলেন, মূলত চীনের উত্থানের প্রেক্ষিতেই সেটা করা হয়েছিল। ট্রাম্প চীনকে কৌশলগত প্রতিযোগি ঘোষণা দিয়ে তাদের অবস্থানকে আরও স্পষ্ট করেছেন এবং চীনের সাথে পুরোদমে প্রতিযোগিতায় নেমেছেন।
২৫ জুন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও পূর্বঘোষণা ছাড়াই আফগানিস্তান সফরে যান। সেই সফরে তিনি ঘোষণা দেন যে, ১ সেপ্টেম্বরের আগেই একটা শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে। কিন্তু এত দ্রুত চুক্তি হওয়ার সম্ভাবনা কম। বরং সাময়িকভাবে উত্তেজনা কমাবে, এ ধরনের কোন চুক্তি হতে পারে।
আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক পরিস্থিতির বিবেচনায়, এবং আফগানিস্তানের পরিবর্তনশীল রাজনৈতিক বাস্তবতা অনুসারে, একটি মাত্র আলোচনায় এমনকি সাময়িক চুক্তি হওয়াটাও খুবই কঠিন।
তালেবানরা যদি শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে আফগান রাজনীতিতে অংশ নেয়, তাহলে এ অঞ্চলের স্থিতিশীলতার জন্য সেটা হবে উল্লেখযোগ্য একটা অর্জন। তবে আলোচনার আরেকটি পক্ষ এখনও বাইরেই রয়ে গেছে, সেটা হলো তালেবানদের সাথে আফগান সরকারের আলোচনা।
শান্তি আলোচনা সঠিকপথেই এগুচ্ছে। কিন্তু এই প্রক্রিয়ায় আরও প্যাঁচ ও বাঁক অপেক্ষা করছে।
জুনের শেষ দিকে সপ্তম দফা মার্কিন-তালেবান আলোচনা শুরু হয়। তালেবান ও যুক্তরাষ্ট্র উভয় পক্ষই বলেছে তারা এখানে সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন এবং একটা ফলাফল আশা করছেন।
এবারের আলোচনায় আফগানিস্তান থেকে বিদেশী সেনা প্রত্যাহারের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হচ্ছে এবং জানা গেছে, এ ব্যাপারে অগ্রগতি হয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প একাধিকবার বলেছেন যে, তিনি যুদ্ধবিধ্বস্ত আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনাদের সরিয়ে নিতে চান। মার্কিন নীতির এটা সাধারণ দিক। যে সব জায়গায় সেনা রাখা দরকার নেই বলে মনে করবে ওয়াশিংটন, সেখান থেকে তারা সেনা সরিয়ে নেবে।
যুক্তরাষ্ট্র আফগানিস্তানে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে, সেখানে সেনা মোতায়েন করেছে, বিপুল খরচ করেছে, কিন্তু অর্জন করেছে অতি সামান্য। ইরাক ও সিরিয়ার যুদ্ধেও একই রকম ফল পেয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
সাবেক প্রেসিডেন্ট জর্জ ডাব্লিউ বুশের সময় থেকে মধ্যপ্রাচ্য থেকে সেনা প্রত্যাহার শুরু করে যুক্তরাষ্ট্র। সেনা প্রত্যাহারের গতি আরও বাড়ান সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা আর ট্রাম্প চান আফগানিস্তান, সিরিয়া ও ইরাক থেকে মার্কিন সেনাদের পুরোপুরি দেশে ফিরিয়ে নিতে।
সন্ত্রাস দমনই আফগানিস্তানে যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান উদ্দেশ্য মনে করা হয়। ওসামা বিন লাদেনের মৃত্যুর পর যুক্তরাষ্ট্র মনে করেছিল তাদের প্রধান শত্রু শেষ হয়ে গেছে এবং এখন তারা এখান থেকে সরে যাবে। কিন্তু মার্কিন সেনাদের প্রস্থানের পর তালেবানরা আবার দেশের নিয়ন্ত্রণ নিক, এটা চায়নি যুক্তরাষ্ট্র।
যুক্তরাষ্ট্র আফগানিস্তানে স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে চায় এবং এটাও তারা বুঝেছে যে, তালেবানদের অত সহজে দমানো যাবে না। সে কারণে তালেবানদের সাথে আলোচনায় বসেছে যুক্তরাষ্ট্র, যাতে তারা সরে যাওয়ার পরও তাদের স্বার্থ ক্ষতিগ্রস্ত না হয়।
যুদ্ধ এলাকা থেকে সরে যাওয়া যুক্তরাষ্ট্রের একটা সাধারণ কৌশল। এর কিছুটা তাদের নিজেদের পদক্ষেপ, আর পরিস্থিতির কারণে কিছুটা সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে তাদের। এশিয়া-প্রশান্ত অঞ্চলে ওবামা যে ভারসাম্য ফিরিয়ে আনার পদক্ষেপ নিয়েছিলেন, মূলত চীনের উত্থানের প্রেক্ষিতেই সেটা করা হয়েছিল। ট্রাম্প চীনকে কৌশলগত প্রতিযোগি ঘোষণা দিয়ে তাদের অবস্থানকে আরও স্পষ্ট করেছেন এবং চীনের সাথে পুরোদমে প্রতিযোগিতায় নেমেছেন।
২৫ জুন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও পূর্বঘোষণা ছাড়াই আফগানিস্তান সফরে যান। সেই সফরে তিনি ঘোষণা দেন যে, ১ সেপ্টেম্বরের আগেই একটা শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে। কিন্তু এত দ্রুত চুক্তি হওয়ার সম্ভাবনা কম। বরং সাময়িকভাবে উত্তেজনা কমাবে, এ ধরনের কোন চুক্তি হতে পারে।
আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক পরিস্থিতির বিবেচনায়, এবং আফগানিস্তানের পরিবর্তনশীল রাজনৈতিক বাস্তবতা অনুসারে, একটি মাত্র আলোচনায় এমনকি সাময়িক চুক্তি হওয়াটাও খুবই কঠিন।
তালেবানরা যদি শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে আফগান রাজনীতিতে অংশ নেয়, তাহলে এ অঞ্চলের স্থিতিশীলতার জন্য সেটা হবে উল্লেখযোগ্য একটা অর্জন। তবে আলোচনার আরেকটি পক্ষ এখনও বাইরেই রয়ে গেছে, সেটা হলো তালেবানদের সাথে আফগান সরকারের আলোচনা।
শান্তি আলোচনা সঠিকপথেই এগুচ্ছে। কিন্তু এই প্রক্রিয়ায় আরও প্যাঁচ ও বাঁক অপেক্ষা করছে।
No comments