সক্রিয় শতাধিক পাথরখেকো গ্রুপ: শারপিন টিলায় ফের মৃত্যুর মিছিল শুরু by ওয়েছ খছরু
সিলেটের
শারপিন টিলায় মৌসুমের শুরুতেই মৃত্যুর মিছিল। ইতিমধ্যে এ টিলাকে ঘিরে
শতাধিক পাথরখেকো সিন্ডিকেট ফের সক্রিয় হয়ে উঠেছে। সোমবার গর্তে পড়ে মারা
গেছেন দুই পাথর শ্রমিক। গত দুই মাসে ৪ শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে গত
তিন বছরে শারপিন টিলায় অন্তত ৩৫ জন পাথর শ্রমিকের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে।
মৃত্যুর মিছিল ঠেকাতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ঘোষণা দিয়ে পাথর উত্তোলন বন্ধ
করা হলেও পাথরখেকো চক্রের সদস্যরা সেই ঘোষণার কোনো তোয়াক্কা না করেই অবাধে
লুটপাট চালাচ্ছে। টিলার লিজ গ্রহীতা দাবি করে স্থানীয় মোহাম্মদ আলী
প্রতিদিনই লাখ লাখ টাকা আদায় করছেন। একই সঙ্গে আরো ৭ সিন্ডিকেট ৭ স্থান
থেকেও চাঁদা আদায় করছে।
পুলিশ জানিয়েছে, শ্রমিক মারা গেলেই হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। এরপরও পাথরখেকোদের দৌরাত্ম্য নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হচ্ছে না। আর অভিযান চালালে আগেই সটকে পড়ে তারা। ফলে শারপিন টিলায় কোনো ভাবেই পাথর লুটপাট বন্ধ করা যাচ্ছে না।
স্থানীয়দের মতে গেল কয়েক বছরে শারপিন টিলা থেকে প্রায় হাজার কোটি টাকার পাথর লুটপাট করা হয়েছে। এর ফলে এখন আর সেটি টিলা নেই। আকৃতি পরিবর্তন হয়ে পুকুরে রূপ নিয়েছে। এরপরও পাথর লুটপাটকারীরা ৪০ থেকে ৫০ ফুট গর্ত খুঁজে পাথর উত্তোলন করছে। ব্যবহার করছে যন্ত্রদানব বোমা মেশিন। আর জীবনের ঝুঁকি নিয়ে গভীর গর্ত থেকে পাথর উত্তোলন করতে গিয়ে প্রতিনিয়তই মৃত্যুকে আলিঙ্গন করছে কাজের সন্ধানে আসা শ্রমিকরা। সরকার এখান থেকে রয়্যালটি আদায় করলে অন্তত ২০০ কোটি টাকা আদায় করা যেতো বলে জানান স্থানীয়রা।
এক সময় বিশাল পাহাড় ছিল কোম্পানীগঞ্জের শারপিনটিলা। এই টিলায় একযুগ আগে দৃষ্টি পড়ে পাথরখেকোদের। তখন থেকেই শুরু হয় লুটপাট। পর্যটনকেন্দ্র শারপিন টিলায় শুরু হয় পাথর লুটপাটের মহোৎসব। স্থানীয় মোহাম্মদ আলী নামের এক ব্যক্তি ওই টিলা লিজ নিয়ে প্রথমে পাথর উত্তোলন শুরু করেন। পরে সেই টিলায় শুরু হয় জবরদখল। শতাধিক পাথরখেকো সিন্ডিকেট জোর করে টিলা দখলে নিয়ে পাথর লুটপাট চালায়। সব দলের রাজনৈতিক নেতাদের শেল্টার থাকায় অনেকটা নিরাপদেই চলে এ টিলায় পাথর লুটপাট। কিন্তু ২০১৬ ও ২০১৭ সালে এসে টিলায় মৃত্যুর মিছিল শুরু হয়। ওই বছর শারপিন টিলায় অন্তত ২০ পাথর শ্রমিকের মৃত্যু হয়। কোনো কোনো গর্তে ৮ থেকে ১০ জনের মতো শ্রমিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। আর শ্রমিকরা মারা গেলেই লাশ গুমের ঘটনাও ঘটে। ২০১৮ সালেও ওই টিলায় শ্রমিক মৃত্যুর কয়েকটি আলোচিত ঘটনা ঘটে। সব মিলিয়ে তিন বছরে টিলায় ৩৫ জনের মতো শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। এসব মৃত্যুর ঘটনায় মামলা হয়। প্রায় সব সিন্ডিকেটই মামলায় আক্রান্ত হয়। পরিবেশ অধিদপ্তর থেকে আলাদা মামলাও হয়। কিন্তু কোনোভাবেই ঠেকানো যায় না মৃত্যুর মিছিল।
গেল বছরের মাঝামাঝি সময়ে তৎকালীন ইউএনও আবু লাইছ শ্রমিক মৃত্যুর মিছিল ঠেকাতে শারপিন টিলায় যাতায়াতের সব রাস্তা বন্ধ করে দেন। টানিয়ে দেন লাল ফ্ল্যাগ। পাশাপাশি অভিযানও জোরদার করেন। এরপরও বিকল্প রাস্তা তৈরি করে চলে পাথর লুটপাট। চলতি মৌসুম শুরু হতেই ফের সক্রিয় হয়ে উঠেছে শারপিন টিলার পাথরখেকোরা। এ কারণে সোমবার বিকালে ওই টিলার রহিমের গর্তে পাথর উত্তোলনকালে দুই শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় নিহত সেলিম মিয়ার স্ত্রী রাজিয়া বেগম বাদী হয়ে কোম্পানীগঞ্জ থানায় মামলা করেন। টিলায় নিহত হয় দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার আনোয়ার হোসেনের ছেলে সেলিম মিয়া (২৫) ও ওয়াজিদ আলীর ছেলে নুরুল হক (৩০)। কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি তাজুল ইসলাম জানিয়েছেন, নিহত ২ শ্রমিকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহত সেলিম মিয়ার স্ত্রী বাদী হয়ে মামলা করেন। তিনি বলেন, শারপিন টিলা কিংবা কোম্পানীগঞ্জের যেকোনো জায়গায় শ্রমিক মারা গেলে সরাসরি গর্তের মালিকের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করা হচ্ছে। এতে কিছুটা পরিত্রাণ পাওয়া যাবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি। জানান, এত দিন গর্তের মালিকরা আইনের আওতায় আসতো না। এখন তদন্ত করে গর্তের মালিকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। এদিকে অবৈধভাবে পাথর উত্তোলন বন্ধ করতে গিয়ে হামলার শিকার হচ্ছে স্থানীয় প্রশাসন। সোমবার ভোলাগঞ্জের লিলাইবাজারে প্রশাসনের কর্মকর্তাদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় সোমবার রাতে কোম্পানীগঞ্জ ভূমি অফিস মামলা দায়ের করেছে। মামলায় ২৩ জনের নাম উল্লেখ করে ও ৫ থেকে ৬ শ’ অজ্ঞাতনামা জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়। মামলার বাদী কোম্পানীগঞ্জ ভূমি কর্মকর্তা মাসুদ রানা। ওসি জানান, ২৩ জনের নাম উল্লেখ করে ও ৫ থেকে ৬ শ’ অজ্ঞাতনামা জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়।
এদিকে শারপিন টিলার নিয়ন্ত্রক মোহাম্মদ আলী এখন আর নিজে পাথর উত্তোলন করেন না। তবে শতাধিক পাথরখেকো সিন্ডিকেট পাথর লুটপাট করে তাকে চাঁদা দিয়ে যাচ্ছে। প্রতিদিন মোহাম্মদ আলী ওই টিলা থেকে লক্ষাধিক টাকা চাঁদা নিচ্ছেন। মোহাম্মদ আলী নিজে পাথর উত্তোলনের জন্য শারপিন টিলায় একটি অংশ লিজ নিয়েছিলেন। পরে তার দেখাদেখি প্রভাবশালী পাথরখেকো সিন্ডিকেটরা ওই টিলা দখলে নেয়। গতকাল বিকালে মোহাম্মদ আলী মানবজমিনকে জানিয়েছেন, তিনি আদালতের নির্দেশে এখানকার বৈধ ইজারাদার। তবে লিজের ৭ নম্বর শর্তে ছিল টিলাকাটা এবং যন্ত্র মেশিন ব্যবহার করা যাবে না। সেটি তিনি রক্ষা করতে পারেন নি। টিলা কেটে পুকুর হয়েছে। আর বোমা মেশিন লাগিয়ে এখন পুকুরে পরিণত করা হয়েছে। যারাই শারপিন টিলা থেকে পাথর নেয় তাদের কাছ থেকে ট্রাক্টরপ্রতি ৫০০ টাকা হারে টাকা নেন বলে জানান।
তিনি বলেন, শুধু তিনিই নেন না। ওই টিলা থেকে যারাই ট্রাক্টর নিয়ে যায় তারা ঘাটে ঘাটে আরো ৭টি স্থানে চাঁদা দেয়। প্রতিটি স্থানে একশ’ টাকা করে চাঁদা আদায় করা হয়। রুস্তমপুর, নোয়াগাঁও, বাবুল নগর, চিকাঢর, জালিয়ারপাড়, শারপিন বাজার ও নতুন জালিয়ার পাড় এলাকায় চাঁদাবাজি করা হয় বলে জানান তিনি। আর এসব সিন্ডিকেটের মধ্য রয়েছে আঞ্জু গ্রুপ, আনাই গ্রুপ, বশর গ্রুপ, জুয়েল গ্রুপ, কেফায়েত গ্রুপ, দোলা মেম্বার গ্রুপ ও ময়না গ্রুপ। প্রশাসন কোনো ভাবেই নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না শারপিন টিলার লুটপাট। কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিজেন ব্যানার্জি গতকাল জানিয়েছেন, শারপিন টিলা এখন ঝুঁকিপূর্ণ। প্রশাসন রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছে। পাথরখেকোরা বিকল্প রাস্তা তৈরি করেছে। অভিযান চালানোর আগেই তারা সটকে যায়। বোমা মেশিন, শ্যালো মেশিন আটক করে জ্বালিয়ে দেয়ার পরও পাথরখেকোদের দমানো যাচ্ছে না। তিনি বলেন, বিষয়টি নিয়ে তিনি ঊর্ধ্বতনদের সঙ্গে কথা বলবেন। প্রয়োজন হলে প্রশাসন আরো কঠোর হবে বলে জানান তিনি।
পুলিশ জানিয়েছে, শ্রমিক মারা গেলেই হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। এরপরও পাথরখেকোদের দৌরাত্ম্য নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হচ্ছে না। আর অভিযান চালালে আগেই সটকে পড়ে তারা। ফলে শারপিন টিলায় কোনো ভাবেই পাথর লুটপাট বন্ধ করা যাচ্ছে না।
স্থানীয়দের মতে গেল কয়েক বছরে শারপিন টিলা থেকে প্রায় হাজার কোটি টাকার পাথর লুটপাট করা হয়েছে। এর ফলে এখন আর সেটি টিলা নেই। আকৃতি পরিবর্তন হয়ে পুকুরে রূপ নিয়েছে। এরপরও পাথর লুটপাটকারীরা ৪০ থেকে ৫০ ফুট গর্ত খুঁজে পাথর উত্তোলন করছে। ব্যবহার করছে যন্ত্রদানব বোমা মেশিন। আর জীবনের ঝুঁকি নিয়ে গভীর গর্ত থেকে পাথর উত্তোলন করতে গিয়ে প্রতিনিয়তই মৃত্যুকে আলিঙ্গন করছে কাজের সন্ধানে আসা শ্রমিকরা। সরকার এখান থেকে রয়্যালটি আদায় করলে অন্তত ২০০ কোটি টাকা আদায় করা যেতো বলে জানান স্থানীয়রা।
এক সময় বিশাল পাহাড় ছিল কোম্পানীগঞ্জের শারপিনটিলা। এই টিলায় একযুগ আগে দৃষ্টি পড়ে পাথরখেকোদের। তখন থেকেই শুরু হয় লুটপাট। পর্যটনকেন্দ্র শারপিন টিলায় শুরু হয় পাথর লুটপাটের মহোৎসব। স্থানীয় মোহাম্মদ আলী নামের এক ব্যক্তি ওই টিলা লিজ নিয়ে প্রথমে পাথর উত্তোলন শুরু করেন। পরে সেই টিলায় শুরু হয় জবরদখল। শতাধিক পাথরখেকো সিন্ডিকেট জোর করে টিলা দখলে নিয়ে পাথর লুটপাট চালায়। সব দলের রাজনৈতিক নেতাদের শেল্টার থাকায় অনেকটা নিরাপদেই চলে এ টিলায় পাথর লুটপাট। কিন্তু ২০১৬ ও ২০১৭ সালে এসে টিলায় মৃত্যুর মিছিল শুরু হয়। ওই বছর শারপিন টিলায় অন্তত ২০ পাথর শ্রমিকের মৃত্যু হয়। কোনো কোনো গর্তে ৮ থেকে ১০ জনের মতো শ্রমিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। আর শ্রমিকরা মারা গেলেই লাশ গুমের ঘটনাও ঘটে। ২০১৮ সালেও ওই টিলায় শ্রমিক মৃত্যুর কয়েকটি আলোচিত ঘটনা ঘটে। সব মিলিয়ে তিন বছরে টিলায় ৩৫ জনের মতো শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। এসব মৃত্যুর ঘটনায় মামলা হয়। প্রায় সব সিন্ডিকেটই মামলায় আক্রান্ত হয়। পরিবেশ অধিদপ্তর থেকে আলাদা মামলাও হয়। কিন্তু কোনোভাবেই ঠেকানো যায় না মৃত্যুর মিছিল।
গেল বছরের মাঝামাঝি সময়ে তৎকালীন ইউএনও আবু লাইছ শ্রমিক মৃত্যুর মিছিল ঠেকাতে শারপিন টিলায় যাতায়াতের সব রাস্তা বন্ধ করে দেন। টানিয়ে দেন লাল ফ্ল্যাগ। পাশাপাশি অভিযানও জোরদার করেন। এরপরও বিকল্প রাস্তা তৈরি করে চলে পাথর লুটপাট। চলতি মৌসুম শুরু হতেই ফের সক্রিয় হয়ে উঠেছে শারপিন টিলার পাথরখেকোরা। এ কারণে সোমবার বিকালে ওই টিলার রহিমের গর্তে পাথর উত্তোলনকালে দুই শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় নিহত সেলিম মিয়ার স্ত্রী রাজিয়া বেগম বাদী হয়ে কোম্পানীগঞ্জ থানায় মামলা করেন। টিলায় নিহত হয় দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার আনোয়ার হোসেনের ছেলে সেলিম মিয়া (২৫) ও ওয়াজিদ আলীর ছেলে নুরুল হক (৩০)। কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি তাজুল ইসলাম জানিয়েছেন, নিহত ২ শ্রমিকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহত সেলিম মিয়ার স্ত্রী বাদী হয়ে মামলা করেন। তিনি বলেন, শারপিন টিলা কিংবা কোম্পানীগঞ্জের যেকোনো জায়গায় শ্রমিক মারা গেলে সরাসরি গর্তের মালিকের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করা হচ্ছে। এতে কিছুটা পরিত্রাণ পাওয়া যাবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি। জানান, এত দিন গর্তের মালিকরা আইনের আওতায় আসতো না। এখন তদন্ত করে গর্তের মালিকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। এদিকে অবৈধভাবে পাথর উত্তোলন বন্ধ করতে গিয়ে হামলার শিকার হচ্ছে স্থানীয় প্রশাসন। সোমবার ভোলাগঞ্জের লিলাইবাজারে প্রশাসনের কর্মকর্তাদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় সোমবার রাতে কোম্পানীগঞ্জ ভূমি অফিস মামলা দায়ের করেছে। মামলায় ২৩ জনের নাম উল্লেখ করে ও ৫ থেকে ৬ শ’ অজ্ঞাতনামা জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়। মামলার বাদী কোম্পানীগঞ্জ ভূমি কর্মকর্তা মাসুদ রানা। ওসি জানান, ২৩ জনের নাম উল্লেখ করে ও ৫ থেকে ৬ শ’ অজ্ঞাতনামা জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়।
এদিকে শারপিন টিলার নিয়ন্ত্রক মোহাম্মদ আলী এখন আর নিজে পাথর উত্তোলন করেন না। তবে শতাধিক পাথরখেকো সিন্ডিকেট পাথর লুটপাট করে তাকে চাঁদা দিয়ে যাচ্ছে। প্রতিদিন মোহাম্মদ আলী ওই টিলা থেকে লক্ষাধিক টাকা চাঁদা নিচ্ছেন। মোহাম্মদ আলী নিজে পাথর উত্তোলনের জন্য শারপিন টিলায় একটি অংশ লিজ নিয়েছিলেন। পরে তার দেখাদেখি প্রভাবশালী পাথরখেকো সিন্ডিকেটরা ওই টিলা দখলে নেয়। গতকাল বিকালে মোহাম্মদ আলী মানবজমিনকে জানিয়েছেন, তিনি আদালতের নির্দেশে এখানকার বৈধ ইজারাদার। তবে লিজের ৭ নম্বর শর্তে ছিল টিলাকাটা এবং যন্ত্র মেশিন ব্যবহার করা যাবে না। সেটি তিনি রক্ষা করতে পারেন নি। টিলা কেটে পুকুর হয়েছে। আর বোমা মেশিন লাগিয়ে এখন পুকুরে পরিণত করা হয়েছে। যারাই শারপিন টিলা থেকে পাথর নেয় তাদের কাছ থেকে ট্রাক্টরপ্রতি ৫০০ টাকা হারে টাকা নেন বলে জানান।
তিনি বলেন, শুধু তিনিই নেন না। ওই টিলা থেকে যারাই ট্রাক্টর নিয়ে যায় তারা ঘাটে ঘাটে আরো ৭টি স্থানে চাঁদা দেয়। প্রতিটি স্থানে একশ’ টাকা করে চাঁদা আদায় করা হয়। রুস্তমপুর, নোয়াগাঁও, বাবুল নগর, চিকাঢর, জালিয়ারপাড়, শারপিন বাজার ও নতুন জালিয়ার পাড় এলাকায় চাঁদাবাজি করা হয় বলে জানান তিনি। আর এসব সিন্ডিকেটের মধ্য রয়েছে আঞ্জু গ্রুপ, আনাই গ্রুপ, বশর গ্রুপ, জুয়েল গ্রুপ, কেফায়েত গ্রুপ, দোলা মেম্বার গ্রুপ ও ময়না গ্রুপ। প্রশাসন কোনো ভাবেই নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না শারপিন টিলার লুটপাট। কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিজেন ব্যানার্জি গতকাল জানিয়েছেন, শারপিন টিলা এখন ঝুঁকিপূর্ণ। প্রশাসন রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছে। পাথরখেকোরা বিকল্প রাস্তা তৈরি করেছে। অভিযান চালানোর আগেই তারা সটকে যায়। বোমা মেশিন, শ্যালো মেশিন আটক করে জ্বালিয়ে দেয়ার পরও পাথরখেকোদের দমানো যাচ্ছে না। তিনি বলেন, বিষয়টি নিয়ে তিনি ঊর্ধ্বতনদের সঙ্গে কথা বলবেন। প্রয়োজন হলে প্রশাসন আরো কঠোর হবে বলে জানান তিনি।
No comments