জাতীয় সংলাপের উদ্যোগ, ট্রাইব্যুনালে যাচ্ছেন ঐক্যফ্রন্ট প্রার্থীরা
নির্বাচন
ইস্যুতে জাতীয় সংলাপ করবে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। এতে নাগরিক সমাজকে আমন্ত্রণ
জানানো হবে। পাশাপাশি নির্বাচনে অংশ নেয়া সব আসনের নির্বাচনের অনিয়মের বিষয়
উপস্থাপন করে নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে মামলা করবেন ফ্রন্টের প্রার্থীরা।
গতকাল শীর্ষ নেতাদের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়েছে। নির্বাচনের দিন ক্ষতিগ্রস্ত
হয়েছেন এমন নেতাকর্মীদের সঙ্গে কেন্দ্রীয় নেতাদের সাক্ষাতের সিদ্ধান্ত
হয়েছে বৈঠকে। বিকালে ড. কামাল হোসেনের বেইলী রোডের বাসায় অনুষ্ঠিত বৈঠক
শেষে ফ্রন্টের মুখপাত্র ও বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এসব
সিদ্ধান্তের কথা জানান। বৈঠক সূত্র জানায়, জাতীয় সংলাপের দিনক্ষণ চূড়ান্ত
না হলেও সংলাপে নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি এবং ঐক্যফ্রন্ট ও ২০ দলের বাইরে
থাকা রাজনৈতিক দলকে আমন্ত্রণ জানানো হবে। বাম গণতান্ত্রিক জোট ও ইসলামী
আন্দোলন বাংলাদেশ এ তালিকায় রয়েছে।
ফখরুল বলেন, পুনরায় নির্বাচনের দাবিতে শিগগিরই জাতীয় সংলাপের আয়োজন করা হবে। নির্বাচনের অনিয়ম নিয়ে দ্রুত সময়ের মধ্যে ট্রাইব্যুনালে মামলা করা হবে ও ভোটের দিন ক্ষতিগ্রস্ত নেতাকর্মীদের এলাকায় সফর করবেন ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতারা। বিশেষ করে সিলেটের বালাগঞ্জে নির্বাচনী সহিংসতায় ঐক্যফ্রন্টের এক কর্মীকে হত্যা করা হয়েছে। আগামী সপ্তাহে সেখানে সফর করবেন ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতারা। এর মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় সফর শুরু হবে। লিখিত বক্তব্যে ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ও সমাজ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে বাংলাদেশের জনগণ দেশ স্বাধীন করেছে। গণতন্ত্রের মূল কথা হচ্ছে জনগণের মধ্যে জনগণের শাসন অর্থাৎ জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধির মাধ্যমে নিজেদের ক্ষমতা প্রয়োগ করে, রাষ্ট্রের শাসনকার্য পরিচালনা করবে।
এর জন্য প্রয়োজন অবাধ, নিরপেক্ষ নির্বাচনের পদ্ধতি। সংবিধান অনুযায়ী নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের ক্ষমতা ও দায়-দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের। কিন্তু ৩০শে ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নির্বাচন কমিশন দেশের মালিক জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করেছে। অত্যন্ত ন্যক্কারজনকভাবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, প্রশাসনিক কর্মকর্তার অপব্যবহার করে সেনাবাহিনীর কার্যকর ভূমিকাকে নিষ্ক্রিয় করে নির্বাচনকে প্রহসনে পরিণত করেছে। নীল নকশা অনুযায়ী ভোটের পূর্ব রাতে নির্বাচন কমিশন পুলিশসহ প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের মৌখিক নির্দেশ দিয়ে সরকারি সমর্থনপুষ্ট সন্ত্রাসী বাহিনীকে ব্যালট পেপারে নৌকা ও লাঙ্গল মার্কায় সিল মেরে ব্যালট বাক্স ভর্তি করে রাখতে সাহায্য করেছে। ৩০শে ডিসেম্বরের নির্বাচনে সরকারি মদতপুষ্ট সন্ত্রাসী বাহিনীর কারণে ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে জনগণ ভোট দিতে পারেনি।
ফলে জনগণ নিজেদের মতামত প্রকাশের অধিকার ও গণতান্ত্রিক অধিকার তথা সাংবিধানিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়েছে। তিনি বলেন, হিউম্যান রাইটস ওয়াচের মতে শুধু সাংবিধানিক অধিকার নয় বরং একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জনগণের মানবাধিকারও কেড়ে নেয়া হয়েছে। বাংলাদেশের সংবিধান ও আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের এসব বেআইনি কর্মকাণ্ড গুরুতর অপরাধ। নির্বাচন কমিশনের নিকট আমাদের জোর দাবি হচ্ছে অনতিবিলম্বে কেন্দ্রভিত্তিক ফলাফলের সঠিক অনুলিপি প্রদানের ব্যবস্থা করা হোক। যাতে জনগণ কেন্দ্রভিত্তিক ফলাফলের অনুলিপি পাওয়ার পর তা আদালতে উপস্থাপনের মাধ্যমে প্রমাণ করতে পারে ৩০শে ডিসেম্বর এ দেশে সংবিধান অনুযায়ী কোনো নির্বাচন হয়নি। তিনি বলেন, বাংলাদেশের জনগণ নির্দলীয় সরকার ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের অধীনে পুনরায় একটি নির্বাচনের জোর দাবি জানাচ্ছে।
বৈঠকের পর ড. কামাল হোসেন বলেন, আমরা মিটিংয়ে একাদশ নির্বাচনের ঘটনাগুলো নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছি। কারণ আমরা আশা করেছিলাম নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণ তাদের প্রতিনিধি বাছাই করতে পারবে। কিন্তু সেটা হয়নি। নির্বাচনের পরিবর্তে কোনো একটা জিনিস হয়েছে। কিন্তু সেটাকে প্রচার করা হচ্ছে যে নির্বাচন হয়েছে। তার ফলাফলের ভিত্তিতে সরকার গঠন করা হয়েছে।
বিকাল পৌনে পাঁচটায় শুরু হওয়া বৈঠক চলে প্রায় ঘণ্টাব্যাপী। বৈঠকে ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষনেতা ড. কামাল হোসেন, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী, বীর উত্তম, জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি সুব্রত চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মোহসীন মন্টু, প্রেসিডিয়াম সদস্য জগলুল হায়দার আফ্রিক, নাগরিক ঐক্যের সমন্বয়ক শহীদুল্লাহ কায়সার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
ফখরুল বলেন, পুনরায় নির্বাচনের দাবিতে শিগগিরই জাতীয় সংলাপের আয়োজন করা হবে। নির্বাচনের অনিয়ম নিয়ে দ্রুত সময়ের মধ্যে ট্রাইব্যুনালে মামলা করা হবে ও ভোটের দিন ক্ষতিগ্রস্ত নেতাকর্মীদের এলাকায় সফর করবেন ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতারা। বিশেষ করে সিলেটের বালাগঞ্জে নির্বাচনী সহিংসতায় ঐক্যফ্রন্টের এক কর্মীকে হত্যা করা হয়েছে। আগামী সপ্তাহে সেখানে সফর করবেন ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতারা। এর মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় সফর শুরু হবে। লিখিত বক্তব্যে ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ও সমাজ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে বাংলাদেশের জনগণ দেশ স্বাধীন করেছে। গণতন্ত্রের মূল কথা হচ্ছে জনগণের মধ্যে জনগণের শাসন অর্থাৎ জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধির মাধ্যমে নিজেদের ক্ষমতা প্রয়োগ করে, রাষ্ট্রের শাসনকার্য পরিচালনা করবে।
এর জন্য প্রয়োজন অবাধ, নিরপেক্ষ নির্বাচনের পদ্ধতি। সংবিধান অনুযায়ী নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের ক্ষমতা ও দায়-দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের। কিন্তু ৩০শে ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নির্বাচন কমিশন দেশের মালিক জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করেছে। অত্যন্ত ন্যক্কারজনকভাবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, প্রশাসনিক কর্মকর্তার অপব্যবহার করে সেনাবাহিনীর কার্যকর ভূমিকাকে নিষ্ক্রিয় করে নির্বাচনকে প্রহসনে পরিণত করেছে। নীল নকশা অনুযায়ী ভোটের পূর্ব রাতে নির্বাচন কমিশন পুলিশসহ প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের মৌখিক নির্দেশ দিয়ে সরকারি সমর্থনপুষ্ট সন্ত্রাসী বাহিনীকে ব্যালট পেপারে নৌকা ও লাঙ্গল মার্কায় সিল মেরে ব্যালট বাক্স ভর্তি করে রাখতে সাহায্য করেছে। ৩০শে ডিসেম্বরের নির্বাচনে সরকারি মদতপুষ্ট সন্ত্রাসী বাহিনীর কারণে ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে জনগণ ভোট দিতে পারেনি।
ফলে জনগণ নিজেদের মতামত প্রকাশের অধিকার ও গণতান্ত্রিক অধিকার তথা সাংবিধানিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়েছে। তিনি বলেন, হিউম্যান রাইটস ওয়াচের মতে শুধু সাংবিধানিক অধিকার নয় বরং একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জনগণের মানবাধিকারও কেড়ে নেয়া হয়েছে। বাংলাদেশের সংবিধান ও আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের এসব বেআইনি কর্মকাণ্ড গুরুতর অপরাধ। নির্বাচন কমিশনের নিকট আমাদের জোর দাবি হচ্ছে অনতিবিলম্বে কেন্দ্রভিত্তিক ফলাফলের সঠিক অনুলিপি প্রদানের ব্যবস্থা করা হোক। যাতে জনগণ কেন্দ্রভিত্তিক ফলাফলের অনুলিপি পাওয়ার পর তা আদালতে উপস্থাপনের মাধ্যমে প্রমাণ করতে পারে ৩০শে ডিসেম্বর এ দেশে সংবিধান অনুযায়ী কোনো নির্বাচন হয়নি। তিনি বলেন, বাংলাদেশের জনগণ নির্দলীয় সরকার ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের অধীনে পুনরায় একটি নির্বাচনের জোর দাবি জানাচ্ছে।
বৈঠকের পর ড. কামাল হোসেন বলেন, আমরা মিটিংয়ে একাদশ নির্বাচনের ঘটনাগুলো নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছি। কারণ আমরা আশা করেছিলাম নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণ তাদের প্রতিনিধি বাছাই করতে পারবে। কিন্তু সেটা হয়নি। নির্বাচনের পরিবর্তে কোনো একটা জিনিস হয়েছে। কিন্তু সেটাকে প্রচার করা হচ্ছে যে নির্বাচন হয়েছে। তার ফলাফলের ভিত্তিতে সরকার গঠন করা হয়েছে।
বিকাল পৌনে পাঁচটায় শুরু হওয়া বৈঠক চলে প্রায় ঘণ্টাব্যাপী। বৈঠকে ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষনেতা ড. কামাল হোসেন, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী, বীর উত্তম, জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি সুব্রত চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মোহসীন মন্টু, প্রেসিডিয়াম সদস্য জগলুল হায়দার আফ্রিক, নাগরিক ঐক্যের সমন্বয়ক শহীদুল্লাহ কায়সার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
No comments