যেসব কারণে পশ্চিম এশিয়ার জনগণ ক্রমেই মার্কিন বিরোধী হয়ে উঠছে
মার্কিন
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গোপনে বাগদাদ সফরে আসায় শুধু যে ইরাকের জনগণ ও
কর্মকর্তারা তীব্র ক্ষোভ ও অসন্তোষ প্রকাশ করেছে তাই নয় একই সঙ্গে ট্রাম্প
এ কথা বলতে বাধ্য হয়েছেন সমগ্র পশ্চিম এশিয়া ও মধ্যপ্রাচ্য আজ আমেরিকার
বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প গত বুধবার গোপনে ইরাকের আল আনবার প্রদেশে অবস্থিত মার্কিন ঘাঁটি সফর করেন। বাগদাদ বিমানবন্দর থেকে সোজা তিনি সেনা ঘাঁটিতে চলে যান। এ সফর এতটাই গোপনীয় ছিল যে ইরাকের কোনো কর্মকর্তা ট্রাম্পকে স্বাগত জানাননি এমনকি দেশটির প্রধানমন্ত্রীও তার সঙ্গে সাক্ষাত করেননি। এদিকে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের এ সফরের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিক্রিয়া হয়েছে ইরাকের জনগণের মধ্যে। দেশটির কোনো কোনো সংবাদ সূত্র জানিয়েছে, বাগদাদে মার্কিন দূতাবাসের কাছে আল খাজরা এলাকায় বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প গোপনে ইরাক সফরের কথা স্বীকার করে বলেছেন, "আমরা পশ্চিম এশিয়ায় সাত ট্রিলিয়ন ডলার ব্যয় করেছি কিন্তু এসব দেশে আমাদেরকে গোপনে সফর করতে হয় যা খুবই দুঃখজনক ও লজ্জার।"
কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে পশ্চিম এশিয়া বিশেষ করে ইরাকের জনগণ কেন আমেরিকা বিরোধী হয়ে উঠেছে? ধারণা করা হচ্ছে, এই অঞ্চলের দেশগুলোতে সহিংসতা, রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তাহীনতা সৃষ্টির জন্য আমেরিকা দায়ী বলে মনে করছে পশ্চিম এশিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যের জনগণ। আমেরিকা সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধের অজুহাতে ইরাক, সিরিয়াসহ এ অঞ্চলের আরো অন্যান্য দেশে হামলা চালিয়ে সামরিক উপস্থিতি বজায় রেখেছে। ২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্প দায়েশসহ অন্যান্য সন্ত্রাসী গোষ্ঠী সৃষ্টিতে আমেরিকার হাত থাকার কথা স্বীকার করেছিলেন।
আমেরিকা গত কয়েক বছরে দায়েশ সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধের কথা বললেও বাস্তবে তারা এই সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি বরং নানাভাবে সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছে। আর এ বিষয়টা এ অঞ্চলের দেশগুলোর জনগণ ভালোভাবেই অবহিত আছে। মধ্যপ্রাচ্য জুড়ে মার্কিন বিরোধী ঘৃণা ছড়িয়ে পড়ার আরেকটি কারণ হচ্ছে ইসরাইল-ফিলিস্তিন সংকটের ব্যাপারে ট্রাম্পের পক্ষপাতমূলক আচরণ। ফিলিস্তিনকে ধ্বংস এবং দখলদার ইসরাইলকে আরো শক্তিশালী করার জন্য প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প শতাব্দির সেরা চুক্তি নামক যে পরিকল্পনা বা প্রস্তাব তুলে ধরেছেন তাতে এ অঞ্চলের জনগণ খুবই ক্ষুব্ধ। ট্রাম্প প্রশাসন ওই পরিকল্পনার আওতায় তেলআবিব থেকে বায়তুল মোকাদ্দাসে দূতাবাস স্থানান্তর করেছে। অথচ বায়তুল মোকাদ্দাস সারা বিশ্বের মুসলমানদের কাছে অতী পবিত্র জায়গা এবং এর ওপর ইসরাইলের কোনো মালিকানা নেই।
পশ্চিম এশিয়ার দেশগুলোর মানুষের মার্কিন বিরোধী হয়ে ওঠার তৃতীয় কারণ হচ্ছে, এ অঞ্চলের দেশগুলোর ব্যাপারে ওয়াশিংটনের নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি। মার্কিন সরকার এ দেশগুলোর স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে শুধু যে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করছে তাই নয় একই সঙ্গে তাদের স্বাধীনতা ও টিকে থাকার বিষয়টি আমেরিকার সহযোগিতার ওপর নির্ভর করে বলে প্রচার চালায়।
যাইহোক, পর্যবেক্ষকরা বলছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের গোপন ইরাক সফর এবং তার সঙ্গে ওই দেশটির কোনো কর্মকর্তার সাক্ষাত না হওয়ার ঘটনা এবং সিরিয়া থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের ঘোষণা থেকে তাদের ব্যর্থতার বিষয়টি ফুটে উঠেছে।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প গত বুধবার গোপনে ইরাকের আল আনবার প্রদেশে অবস্থিত মার্কিন ঘাঁটি সফর করেন। বাগদাদ বিমানবন্দর থেকে সোজা তিনি সেনা ঘাঁটিতে চলে যান। এ সফর এতটাই গোপনীয় ছিল যে ইরাকের কোনো কর্মকর্তা ট্রাম্পকে স্বাগত জানাননি এমনকি দেশটির প্রধানমন্ত্রীও তার সঙ্গে সাক্ষাত করেননি। এদিকে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের এ সফরের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিক্রিয়া হয়েছে ইরাকের জনগণের মধ্যে। দেশটির কোনো কোনো সংবাদ সূত্র জানিয়েছে, বাগদাদে মার্কিন দূতাবাসের কাছে আল খাজরা এলাকায় বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প গোপনে ইরাক সফরের কথা স্বীকার করে বলেছেন, "আমরা পশ্চিম এশিয়ায় সাত ট্রিলিয়ন ডলার ব্যয় করেছি কিন্তু এসব দেশে আমাদেরকে গোপনে সফর করতে হয় যা খুবই দুঃখজনক ও লজ্জার।"
কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে পশ্চিম এশিয়া বিশেষ করে ইরাকের জনগণ কেন আমেরিকা বিরোধী হয়ে উঠেছে? ধারণা করা হচ্ছে, এই অঞ্চলের দেশগুলোতে সহিংসতা, রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তাহীনতা সৃষ্টির জন্য আমেরিকা দায়ী বলে মনে করছে পশ্চিম এশিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যের জনগণ। আমেরিকা সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধের অজুহাতে ইরাক, সিরিয়াসহ এ অঞ্চলের আরো অন্যান্য দেশে হামলা চালিয়ে সামরিক উপস্থিতি বজায় রেখেছে। ২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্প দায়েশসহ অন্যান্য সন্ত্রাসী গোষ্ঠী সৃষ্টিতে আমেরিকার হাত থাকার কথা স্বীকার করেছিলেন।
আমেরিকা গত কয়েক বছরে দায়েশ সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধের কথা বললেও বাস্তবে তারা এই সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি বরং নানাভাবে সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছে। আর এ বিষয়টা এ অঞ্চলের দেশগুলোর জনগণ ভালোভাবেই অবহিত আছে। মধ্যপ্রাচ্য জুড়ে মার্কিন বিরোধী ঘৃণা ছড়িয়ে পড়ার আরেকটি কারণ হচ্ছে ইসরাইল-ফিলিস্তিন সংকটের ব্যাপারে ট্রাম্পের পক্ষপাতমূলক আচরণ। ফিলিস্তিনকে ধ্বংস এবং দখলদার ইসরাইলকে আরো শক্তিশালী করার জন্য প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প শতাব্দির সেরা চুক্তি নামক যে পরিকল্পনা বা প্রস্তাব তুলে ধরেছেন তাতে এ অঞ্চলের জনগণ খুবই ক্ষুব্ধ। ট্রাম্প প্রশাসন ওই পরিকল্পনার আওতায় তেলআবিব থেকে বায়তুল মোকাদ্দাসে দূতাবাস স্থানান্তর করেছে। অথচ বায়তুল মোকাদ্দাস সারা বিশ্বের মুসলমানদের কাছে অতী পবিত্র জায়গা এবং এর ওপর ইসরাইলের কোনো মালিকানা নেই।
পশ্চিম এশিয়ার দেশগুলোর মানুষের মার্কিন বিরোধী হয়ে ওঠার তৃতীয় কারণ হচ্ছে, এ অঞ্চলের দেশগুলোর ব্যাপারে ওয়াশিংটনের নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি। মার্কিন সরকার এ দেশগুলোর স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে শুধু যে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করছে তাই নয় একই সঙ্গে তাদের স্বাধীনতা ও টিকে থাকার বিষয়টি আমেরিকার সহযোগিতার ওপর নির্ভর করে বলে প্রচার চালায়।
যাইহোক, পর্যবেক্ষকরা বলছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের গোপন ইরাক সফর এবং তার সঙ্গে ওই দেশটির কোনো কর্মকর্তার সাক্ষাত না হওয়ার ঘটনা এবং সিরিয়া থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের ঘোষণা থেকে তাদের ব্যর্থতার বিষয়টি ফুটে উঠেছে।
No comments