ব্যালট বাক্স ভর্তি, লম্বা নকল লাইন, নিহত-১৩
ধানের
শীষের এজেন্ট নেই। কোথাও আগেই ব্যালট বাক্স ভর্তি। ভোট দিতে যাওয়া যেন
অপরাধ। রীতিমতো অবরুদ্ধ পরিস্থিতি। কেন্দ্রের বাইরে লম্বা নকল লাইন। জাল
ভোটতো মামুলি ব্যাপার। ভোট শুরুর প্রথম সাড়ে চার ঘন্টায় দেশের
বিভিন্নস্থানে এমন চিত্রই দেখা গেছে। আর রাত থেকে ভোট কেন্দ্রিক সহিংসতায় এ
পর্যন্ত অন্তত ১৩ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
বিভিন্ন আসনে প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থীরা ভোটবর্জন শুরু করেছেন।
বিবিসি বাংলার এক রিপোর্টে বলা হয়েছে, চট্টগ্রামের লালখান বাজারের একটি ভোট কেন্দ্রে সকাল ৭টা ৫০ মিনিটের দিকে বিবিসি সংবাদদাতা অধিকাংশ ব্যালট বাক্স পূর্ণ দেখতে পান। এ বিষয়ে ঐ কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসারকে প্রশ্ন করা হলে তিনি কোনো মন্তব্য করেননি।
ওদিকে, যশোর-৪ আসনে রাতেই ভোট শেষ হয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন এলাকার ভোটাররা। তাদেরকে ভোট কেন্দ্রে প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছে না। শত শত ভোটার কেন্দ্র থেকে ফিরে গেছেন। এ আসনের কোন কেন্দ্রেই বিএনপির এজেন্টদের ঢুকতে দেয়া হয়নি।
প্রথম আলো’র এক রিপোর্টে বলা হয়েছে, লক্ষীপুর-২ আসনের দক্ষিণ গাইয়াচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে গিয়ে দেখা গেছে, বাইরে নারী ও পুরুষের লম্বা লাইন থাকলেও কাউকে ভোট দিতে ভেতরে যেতে দেখা যাচ্ছে না। ভোটর না ঢুকলেও ভেতরে সিল মারা হচ্ছে। আজ রোববার লক্ষীপুরের এই কেন্দ্রে আধা ঘণ্টা পর্যবেক্ষণ করেও ভোটারকে ভেতরে ভোট দিতে যেতে দেখা যায়নি। দেবীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রেও কোন নারী ভোটার নেই। সকাল ৮টা থেকে ৯টা পর্যন্ত কোনো নারীকে ভোট দিতে আসতে দেখা যায়নি। রাস্তা থেকে নারীদের ফিরিয়ে দেয়া হচ্ছে। আয়েশা আক্তার নামের এক নারী ভোট দিতে আসছিলেন। তাকে রাস্তায় আটকে দেয় আওয়ামী লীগের কর্মী-সমর্থকরা। তিনি খুবই ক্ষিপ্ত হন, তিনি গালমন্দ করে উত্তেজিত হয়ে চলে যান।
এদিকে, নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার এবং রফিকুল ইসলাম ভোট কেন্দ্রে ধানের শীষের এজেন্ট দেখতে না পাওয়ার কথা জানিয়েছেন।
কুমিল্লা থেকে মানবজমিনের স্টাফ রিপোর্টার জানিয়েছেন, কুমিল্লা-১০ আসনের এক ভোটারকে পিটিয়ে হত্যা করেছে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। সকালে নাঙ্গলকোট উপজেলার বটতলী ইউনিয়নের মুরগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রের অদূরে এ ঘটনা ঘটে। বাচ্চু মিয়া (৫০) নামে এক ভোটার ওই কেন্দ্রে ভোট দিতে যাচ্ছিলেন। এ সময় কেন্দ্রের ৫০০ গজ দূরে ছাত্রলীগের লোকজন তাকে জিজ্ঞেস করেন, কই যান? জবাবে তিনি বলেন, ভোট দিতে। এ সময় ছাত্রলীগের নেতারা বলেন, ভোট হয়ে গেছে, আপনি চলে যান। তখন বাচ্চু বলেন, আমি আমার ভোট দিয়েই যাবো। তখন ছাত্রলীগ নেতারা ক্ষিপ্ত হয়ে বাচ্চুকে হকিস্টিক দিয়ে মারতে থাকেন। এক পর্যায়ে তিনি নিস্তেজ হয়ে পড়লে হামলাকারীরা তাকে ফেলে চলে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। বাচ্চু ওই এলাকার ইদ্রিস মিয়ার ছেলে। নাঙ্গলকোট থানার ওসি নজরুল ইসলাম, তার নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে জেলার চান্দিনায় বেলাশ্বর সরকারি বিদ্যালয়ে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষের সময় পুলিশের গুলিতে বিএনপি কর্মী মুজিবুর রহমান নিহত হন। সকাল সাড়ে ১০টায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনা আরও দুই বিএনপি কর্মী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।
কুমিল্লা-১১ আসনে ধানের শীষের প্রার্থী ডা. আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের ও ফরিদপুর-২ আসনের শামা ওবায়েদ এরই মধ্যে ভোট বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন।
বিভিন্ন আসনে প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থীরা ভোটবর্জন শুরু করেছেন।
বিবিসি বাংলার এক রিপোর্টে বলা হয়েছে, চট্টগ্রামের লালখান বাজারের একটি ভোট কেন্দ্রে সকাল ৭টা ৫০ মিনিটের দিকে বিবিসি সংবাদদাতা অধিকাংশ ব্যালট বাক্স পূর্ণ দেখতে পান। এ বিষয়ে ঐ কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসারকে প্রশ্ন করা হলে তিনি কোনো মন্তব্য করেননি।
ওদিকে, যশোর-৪ আসনে রাতেই ভোট শেষ হয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন এলাকার ভোটাররা। তাদেরকে ভোট কেন্দ্রে প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছে না। শত শত ভোটার কেন্দ্র থেকে ফিরে গেছেন। এ আসনের কোন কেন্দ্রেই বিএনপির এজেন্টদের ঢুকতে দেয়া হয়নি।
প্রথম আলো’র এক রিপোর্টে বলা হয়েছে, লক্ষীপুর-২ আসনের দক্ষিণ গাইয়াচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে গিয়ে দেখা গেছে, বাইরে নারী ও পুরুষের লম্বা লাইন থাকলেও কাউকে ভোট দিতে ভেতরে যেতে দেখা যাচ্ছে না। ভোটর না ঢুকলেও ভেতরে সিল মারা হচ্ছে। আজ রোববার লক্ষীপুরের এই কেন্দ্রে আধা ঘণ্টা পর্যবেক্ষণ করেও ভোটারকে ভেতরে ভোট দিতে যেতে দেখা যায়নি। দেবীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রেও কোন নারী ভোটার নেই। সকাল ৮টা থেকে ৯টা পর্যন্ত কোনো নারীকে ভোট দিতে আসতে দেখা যায়নি। রাস্তা থেকে নারীদের ফিরিয়ে দেয়া হচ্ছে। আয়েশা আক্তার নামের এক নারী ভোট দিতে আসছিলেন। তাকে রাস্তায় আটকে দেয় আওয়ামী লীগের কর্মী-সমর্থকরা। তিনি খুবই ক্ষিপ্ত হন, তিনি গালমন্দ করে উত্তেজিত হয়ে চলে যান।
এদিকে, নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার এবং রফিকুল ইসলাম ভোট কেন্দ্রে ধানের শীষের এজেন্ট দেখতে না পাওয়ার কথা জানিয়েছেন।
কুমিল্লা থেকে মানবজমিনের স্টাফ রিপোর্টার জানিয়েছেন, কুমিল্লা-১০ আসনের এক ভোটারকে পিটিয়ে হত্যা করেছে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। সকালে নাঙ্গলকোট উপজেলার বটতলী ইউনিয়নের মুরগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রের অদূরে এ ঘটনা ঘটে। বাচ্চু মিয়া (৫০) নামে এক ভোটার ওই কেন্দ্রে ভোট দিতে যাচ্ছিলেন। এ সময় কেন্দ্রের ৫০০ গজ দূরে ছাত্রলীগের লোকজন তাকে জিজ্ঞেস করেন, কই যান? জবাবে তিনি বলেন, ভোট দিতে। এ সময় ছাত্রলীগের নেতারা বলেন, ভোট হয়ে গেছে, আপনি চলে যান। তখন বাচ্চু বলেন, আমি আমার ভোট দিয়েই যাবো। তখন ছাত্রলীগ নেতারা ক্ষিপ্ত হয়ে বাচ্চুকে হকিস্টিক দিয়ে মারতে থাকেন। এক পর্যায়ে তিনি নিস্তেজ হয়ে পড়লে হামলাকারীরা তাকে ফেলে চলে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। বাচ্চু ওই এলাকার ইদ্রিস মিয়ার ছেলে। নাঙ্গলকোট থানার ওসি নজরুল ইসলাম, তার নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে জেলার চান্দিনায় বেলাশ্বর সরকারি বিদ্যালয়ে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষের সময় পুলিশের গুলিতে বিএনপি কর্মী মুজিবুর রহমান নিহত হন। সকাল সাড়ে ১০টায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনা আরও দুই বিএনপি কর্মী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।
কুমিল্লা-১১ আসনে ধানের শীষের প্রার্থী ডা. আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের ও ফরিদপুর-২ আসনের শামা ওবায়েদ এরই মধ্যে ভোট বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন।
No comments