রোহিঙ্গাই এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু: যুক্তরাষ্ট্রের নতুন রাষ্ট্রদূত by শেখ শাহরিয়ার জামান
রোহিঙ্গা
সংকটই বাংলাদেশের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু বলে মনে করেন
যুক্তরাষ্ট্রের নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূত আর্ল রবার্ট মিলার। গত ২৩ আগস্ট
অনুষ্ঠিত এক সিনেট শুনানিতে তিনি বলেন, ‘যদি সিনেট আমাকে নিশ্চিত করে, তবে
আমি প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি, যুক্তরাষ্ট্রের ঢাকা মিশনের কাছে এ বিষয়টি
গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হিসেবে অগ্রাধিকার পাবে।’
যুক্তরাষ্ট্রের নিয়ম অনুযায়ী রাষ্ট্রদূত নিয়োগ দেন দেশটির প্রেসিডেন্ট। সিনেট তার মনোনয়ন নিশ্চিত করে। এই নিশ্চিতের জন্য শুনানির মুখোমুখি হতে হয় রাষ্ট্রদূতকে।
শুনানিতে মিলারের সঙ্গে পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। এ সময় তিনি আরও বলেন, ‘এই সমস্যা আগামী বছর সমাধান হবে না। সম্ভবত দুই বা তিন বছরেও হবে না। কাজেই আমরা পড়াশোনা, জীবিকা অর্জনের জন্য প্রশিক্ষণে জোর দিচ্ছি। এটি খুব গুরুত্বপূর্ণ যে, প্রত্যাবাসন হতে হবে স্বতঃপ্রণোদিত, নিরাপদ ও সম্মানজনক।’ তিনি আরও বলেন, ‘মিয়ানমারকে অবশ্যই রাখাইনে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের পরিবেশ তৈরি করতে হবে। মিয়ানমার মিলিটারি ও নিরাপত্তা বাহিনীকে সহিংসতা বন্ধ করতে হবে। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে হবে। যারা জাতিগত নিধন ও অন্যান্য নির্যাতন করেছে, তাদের এর দায়িত্ব নিতে হবে।’
আটটি দেশে কাজ করার অভিজ্ঞতা সম্পন্ন মিলার বলেন, ‘বাংলাদেশে আমার প্রথম দিকের সফর হবে রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করা, যেন আমি সেখানে কী হচ্ছে, বুঝতে পারি।’
বাংলাদেশের প্রশংসা করে মিলার বলেন, তারা তাদের সীমান্ত উন্মুক্ত করে দিয়েছে। বাংলাদেশের জনগণ আন্তরিকভাবে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছে।
রোহিঙ্গাদের একটি দ্বীপে স্থানান্তরের বিষয়টির বিরোধিতা করে মিলার বলেন, ‘এটি একটি বিছিন্ন জায়গা। এর ফলে তারা ডাকাতি, মানবপাচার ও অন্যান্য অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের শিকার হতে পারে।’ তিনি বলেন, ‘প্রতিটি নির্যাতিত লোকের জানা জরুরি যে, তারা একা নয় বা তাদের কেউ ভুলে যায়নি। তাদের স্বাধীনতা আমাদের ওপর নির্ভর করছে কিন্তু আমাদের স্বাধীনতার গুণগত মান তাদের স্বাধীনতার ওপর নির্ভর করছে।’
যুক্তরাষ্ট্রের নতুন রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশ, জাতিসংঘ ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক অংশীদারদের সঙ্গে রোহিঙ্গা বিষয় নিয়ে কাজ করবো। মিয়ানমার চাপ দেবো, যেন রোহিঙ্গারা নিরাপদে, স্বতঃপ্রণোদিত ও সম্মানজনকভাবে ফেরত যেতে পারে।’
বাংলাদেশ কেন গুরুত্বপূর্ণ
বাংলাদেশকে কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে অভিহিত করে রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘আমরা দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে একটি গুরুত্বপূর্ণ সময় পার করছি।’ তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ জনসংখ্যার দিক থেকে অষ্টম ও তৃতীয় বৃহত্তম মুসলিম দেশ। এটি ধর্মনিরপেক্ষ ও বহুত্ববাদী সমাজ ব্যবস্থার জন্য পরিচিত। বাংলাদেশ শিগগিরই মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হবে। আমাদের একটি গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক অংশীদার ও যুক্তরাষ্ট্রের বিনিয়োগের একটি দেশ হবে। এটি দক্ষিণ ও দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার মধ্যে যোগসূত্র। আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক ক্ষেত্রে দেশটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।’
বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরও বাড়ানোর আশা করে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘আমেরিকান কোম্পানিগুলোর জ্বালানি, অবকাঠামো ও আইসিটি খাতে বিনিযোগ করার অবস্থা তৈরি হয়েছে।’
জাতীয় নির্বাচন
জাতীয় নির্বাচনের বিষয়ে মিলার বলেন, ‘আসন্ন নির্বাচন বাংলাদেশের জন্য একটি সুযোগ। কারণ স্বাধীন, নিরপেক্ষ, বিশ্বাসযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তারা গণতন্ত্রের প্রতি প্রতিশ্রুতি আবারও পুনর্ব্যক্ত করতে পারবে।’ এ জন্য সব দলকে রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করার স্বাধীনতা দিতে হবে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
উদ্বেগের জায়গা
সিনেট শুনানিতে মিলার বলেন, ‘বাংলাদেশের চলমান গণগন্ত্র ও মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র উদ্বিগ্ন। ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর ওপর সাম্প্রতিক হামলা, রাজনৈতিক সহিংসতা ও নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে আইন বহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের কারণে আমরা উদ্বিগ্ন।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমাকে সুযোগ দিলে দায়বদ্ধতা বাড়ানো, মানবাধিকার ও গণতন্ত্র শক্তিশালী করার ওপর আমি জোর দেবো।’
যুক্তরাষ্ট্রের নিয়ম অনুযায়ী রাষ্ট্রদূত নিয়োগ দেন দেশটির প্রেসিডেন্ট। সিনেট তার মনোনয়ন নিশ্চিত করে। এই নিশ্চিতের জন্য শুনানির মুখোমুখি হতে হয় রাষ্ট্রদূতকে।
শুনানিতে মিলারের সঙ্গে পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। এ সময় তিনি আরও বলেন, ‘এই সমস্যা আগামী বছর সমাধান হবে না। সম্ভবত দুই বা তিন বছরেও হবে না। কাজেই আমরা পড়াশোনা, জীবিকা অর্জনের জন্য প্রশিক্ষণে জোর দিচ্ছি। এটি খুব গুরুত্বপূর্ণ যে, প্রত্যাবাসন হতে হবে স্বতঃপ্রণোদিত, নিরাপদ ও সম্মানজনক।’ তিনি আরও বলেন, ‘মিয়ানমারকে অবশ্যই রাখাইনে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের পরিবেশ তৈরি করতে হবে। মিয়ানমার মিলিটারি ও নিরাপত্তা বাহিনীকে সহিংসতা বন্ধ করতে হবে। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে হবে। যারা জাতিগত নিধন ও অন্যান্য নির্যাতন করেছে, তাদের এর দায়িত্ব নিতে হবে।’
আটটি দেশে কাজ করার অভিজ্ঞতা সম্পন্ন মিলার বলেন, ‘বাংলাদেশে আমার প্রথম দিকের সফর হবে রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করা, যেন আমি সেখানে কী হচ্ছে, বুঝতে পারি।’
বাংলাদেশের প্রশংসা করে মিলার বলেন, তারা তাদের সীমান্ত উন্মুক্ত করে দিয়েছে। বাংলাদেশের জনগণ আন্তরিকভাবে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছে।
রোহিঙ্গাদের একটি দ্বীপে স্থানান্তরের বিষয়টির বিরোধিতা করে মিলার বলেন, ‘এটি একটি বিছিন্ন জায়গা। এর ফলে তারা ডাকাতি, মানবপাচার ও অন্যান্য অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের শিকার হতে পারে।’ তিনি বলেন, ‘প্রতিটি নির্যাতিত লোকের জানা জরুরি যে, তারা একা নয় বা তাদের কেউ ভুলে যায়নি। তাদের স্বাধীনতা আমাদের ওপর নির্ভর করছে কিন্তু আমাদের স্বাধীনতার গুণগত মান তাদের স্বাধীনতার ওপর নির্ভর করছে।’
যুক্তরাষ্ট্রের নতুন রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশ, জাতিসংঘ ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক অংশীদারদের সঙ্গে রোহিঙ্গা বিষয় নিয়ে কাজ করবো। মিয়ানমার চাপ দেবো, যেন রোহিঙ্গারা নিরাপদে, স্বতঃপ্রণোদিত ও সম্মানজনকভাবে ফেরত যেতে পারে।’
বাংলাদেশ কেন গুরুত্বপূর্ণ
বাংলাদেশকে কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে অভিহিত করে রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘আমরা দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে একটি গুরুত্বপূর্ণ সময় পার করছি।’ তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ জনসংখ্যার দিক থেকে অষ্টম ও তৃতীয় বৃহত্তম মুসলিম দেশ। এটি ধর্মনিরপেক্ষ ও বহুত্ববাদী সমাজ ব্যবস্থার জন্য পরিচিত। বাংলাদেশ শিগগিরই মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হবে। আমাদের একটি গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক অংশীদার ও যুক্তরাষ্ট্রের বিনিয়োগের একটি দেশ হবে। এটি দক্ষিণ ও দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার মধ্যে যোগসূত্র। আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক ক্ষেত্রে দেশটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।’
বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরও বাড়ানোর আশা করে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘আমেরিকান কোম্পানিগুলোর জ্বালানি, অবকাঠামো ও আইসিটি খাতে বিনিযোগ করার অবস্থা তৈরি হয়েছে।’
জাতীয় নির্বাচন
জাতীয় নির্বাচনের বিষয়ে মিলার বলেন, ‘আসন্ন নির্বাচন বাংলাদেশের জন্য একটি সুযোগ। কারণ স্বাধীন, নিরপেক্ষ, বিশ্বাসযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তারা গণতন্ত্রের প্রতি প্রতিশ্রুতি আবারও পুনর্ব্যক্ত করতে পারবে।’ এ জন্য সব দলকে রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করার স্বাধীনতা দিতে হবে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
উদ্বেগের জায়গা
সিনেট শুনানিতে মিলার বলেন, ‘বাংলাদেশের চলমান গণগন্ত্র ও মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র উদ্বিগ্ন। ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর ওপর সাম্প্রতিক হামলা, রাজনৈতিক সহিংসতা ও নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে আইন বহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের কারণে আমরা উদ্বিগ্ন।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমাকে সুযোগ দিলে দায়বদ্ধতা বাড়ানো, মানবাধিকার ও গণতন্ত্র শক্তিশালী করার ওপর আমি জোর দেবো।’
No comments