ওয়াশিংটন বৈঠকে উঠতে পারে বার্নিকাটের গাড়িতে হামলার বিষয়টি by মিজানুর রহমান
মার্কিন
রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাটের গাড়িতে হামলার ঘটনা তদন্তে এখনো কোনো
সুরাহা না হওয়ায় চলতি মাসের ওয়াশিংটন বৈঠকে বিষয়টি সামনে আসতে পারে- এমনটাই
মনে করছেন ঢাকার কর্মকর্তারা। অবশ্য এ নিয়ে সরকারের তরফে জবাবের
প্রস্তুতিও নেয়া হচ্ছে। কূটনৈতিক সূত্রগুলো বলছে, ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে
আগামী ১৩ই সেপ্টেম্বর ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ সরকারের কর্মকর্তাদের একটি
গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক রয়েছে। ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট কো-অপারেশন ফোরাম
এগ্রিমেন্ট-টিকফা’র আওতায় হবে সেই বৈঠক।
সেখানে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ ইস্যুতে দুই দেশের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট যাবতীয় বিষয়ে বিস্তৃত আলোচনা হবে। ২০১৩ সলের ২৫শে নভেম্বর বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সহযোগিতা বিষয়ে নিয়মিত আলোচনার জন্য টিকফা চুক্তি সই হয়। ওই চুক্তির আওতায় এটি চতুর্থ বৈঠক। আর ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে টিকফার এটি দ্বিতীয় পর্যালোচনা বৈঠক। আগের একাধিক বৈঠকে অংশ নেয়া সরকারি কর্মকর্তারা বলছেন, যদিও এটি বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও শ্রম খাত নিয়ে আলোচনার ফোরাম তথাপি তাতে সাম্প্রতিক ঘটনাগুলো বিশেষত বাণিজ্য ও বিনিয়োগের পরিবেশ-পরিস্থিতির সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত প্রসঙ্গগুলো স্থান পায়। ঘটনা-দুর্ঘটনা তো আছেই, খোদ রাষ্ট্রদূতের গাড়িতে হামলার বিষয়টি তা-ও বৈঠকের এক দেড় মাস আগের ঘটনা, যা তদন্তাধীন সেটি আসবে না এমনটি মনে করার কোনো কারণ নেই। আসন্ন বৈঠকে যোগদানের প্রস্তুতিতে থাকা সরকারি একজন কর্মকর্তা মানবজমিনকে বলেন- আলোচনায় কী কী বিষয় আসতে পারে তা নিয়ে সম্ভাব্য একটি ছক তৈরি করা হয়। সেটি ধরে আমরা বরাবরই প্রস্তুতি নিই। তাছাড়া বাংলাদেশ দূতাবাস বা মিশন থেকেও আমরা ইনপুট পাই। মিশন যেভাবে ধারণা দেয় সেভাবেই প্রস্তুতি সম্পন্ন হয় এবং বৈঠকের আগে মিশনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বৈঠক হয়। ওয়াশিংটন বৈঠকে বার্নিকাট প্রসঙ্গ আসতে পারে ধরেই আমরা জবাবের জন্য তৈরি হচ্ছি। যা ঘটনা আমরা তা-ই বলবো।
তদন্তের বিষয়ে আমরা নিয়মিতভাবে মার্কিন প্রশাসন ও দূতাবাসকে অবহিত করছি। ওয়াশিংটন বৈঠকে কথা উঠলে এ নিয়ে বিস্তারিত তথ্য হালনাগাদ করা হবে। ৪ঠা আগস্ট রাতের অনাকাঙ্ক্ষিত ওই ঘটনার সময় রাষ্ট্রদূতের প্রটেকশনে থাকা পুলিশ সদস্যরা যে ভূমিকা রেখেছিলেন তাতে দূতাবাস খুশি দাবি করে ওই কর্মকর্তা বলেন, যুক্তরাষ্ট্র বিবৃতিতে রাষ্ট্রদূতকে রক্ষায় প্রটেকশন পুলিশের তাৎক্ষণিক পদক্ষেপের ভূয়সী প্রশংসা করা হয়েছে। ঘটনার ১২ দিন পর সরকারের তরফে আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দিয়ে হামলার নিন্দা জানানো হয়েছে। যদিও ওয়াশিংটনে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতকে স্টেট ডিপার্টমেন্টে ডেকে নিয়ে হামলা পরবর্তী সরকারের পদক্ষেপ সম্পর্কে জানতে চাওয়ার পর ওই বিবৃতি আসে। ঢাকার কর্মকর্তারা বলেন, সরকারের তরফে ওয়াশিংটনকে অবহিতকরণ ছাড়াও হামলার তদন্তের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র সরকারও নিয়মিতভাবে খোঁজ-খবর রাখছে। ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে বাংলাদেশের আসন্ন বৈঠকে বার্নিকাটের গাড়িতে হামলার প্রসঙ্গ এলে সরকার কিভাবে বিষয়টিকে অ্যাড্রেস করবে বা তুলে ধরার প্রস্তুতি নিচ্ছে? জানতে চাইলে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম এমপি বলেন, আলাদা করে এটি অ্যাড্রেস করার কিছু নেই।
বাংলাদেশে থাকা সকল বিদেশির নিরাপত্তা বিধান করা আমাদের সরকারের দায়িত্ব। আন্তর্জাতিক কনভেনশন, আইন ও নীতি অনুযায়ী আমাদের এটি করতে হয়। আমরাও বিদেশে আমাদের কূটনীতিকদের সেফটি, সিকিউরিটির জন্য সেভাবেই বলি। বার্নিকাটের ওপর হামলার ঘটনাটিকে দুঃখজনক উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, হামলার বিষয়ে আমরা তদন্ত শুরু করেছি। বিষয়টি এখনও তদন্তাধীন। আমরা এ নিয়ে যা করছি সরাসরি মার্কিন দূতাবাস ও যুক্তরাষ্ট্র সরকারকে অবহিত করে রাখছি। উল্লেখ্য, গত বছর ঢাকায় টিকফা ফোরামের সর্বশেষ বৈঠকটি হয়েছিল। এতে নেতৃত্ব দিতে বাংলাদেশ সফরে এসেছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক সহকারী বাণিজ্য প্রতিনিধি মার্ক লিন্সকট। তার সঙ্গে ছিলেন স্টেট ডিপার্টমেন্টের ভারপ্রাপ্ত উপ-সহকারী মন্ত্রী শ্যন বি স্টেইন এবং ঢাকাস্থ মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাটসহ ১৫ সদস্যের প্রতিনিধি দল। ব্যতিক্রম বা আচমকা কিছু না ঘটলে এবারের বৈঠকে লিন্সকটই নেতৃত্ব দেবেন। ঢাকায় টিকফার তৃতীয় বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে পণ্যের শুল্ক ও কোটামুক্ত প্রবেশাধিকার চেয়েছিল বাংলাদেশ। ডব্লিউটিও’র নীতি অনুয়ায়ী স্বল্পোন্নত রাষ্ট্রগুলো যে সুবিধা পায় কিংবা আফ্রিকার দেশগুলো যে সুবিধা পায় সেটিই চেয়েছিল বাংলাদেশ। যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের সেবা খাতের প্রবেশাধিকার সহজীকরণের অনুরোধও ছিল। নার্স, মিডওয়াইফসহ অন্যান্য সেবা খাতে মোড-৪ এর আওতায় সেই সুবিধা চায় বাংলাদেশ। তবে স্থগিত থাকা জিএসপি সুবিধা পুনর্বহাল নিয়ে গেল বছর কোনো আলোচনাই করেনি ঢাকা।
যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে পণ্য ও সেবার প্রবেশাধিকার সহজীকরণ ছাড়াও পণ্যের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করা, টেকনোলজি ট্রান্সফার, ডিজিটাল ইকোনমি, ভৌত অবকাঠামো নির্মাণসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে মার্কিন বিনিয়োগ বাড়ানোই ছিল বাংলাদেশের অগ্রাধিকার। এবারের বৈঠকে বিনিয়োগ ও মোড-৪ এর আওতায় দক্ষজনশক্তি রপ্তানীর বিষয়ে জোর থাকবে জানিয়ে এক কর্মকর্তা বলেন, দীর্ঘ সময় ধরে এইচওয়ানবি ভিসাসহ স্কীল মাইগ্রেশনে যুক্তরাষ্ট্র সরকার ভারতীয়দের এমন সুবিধা দিয়ে আসছে। বাংলাদেশীদের জন্য সুবিধাটি চালুর অনুরোধ জানানো হবে। তাছাড়া বিনিয়োগ বাড়ানোর বিষয়েও তাগিদ থাকবে। গেল বছরে ঢাকার বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রের তরফে বাংলাদেশে মার্কিন পণ্য প্রবেশে শুল্ক ও অশুল্ক বাধা নিরসন, ওষুধ আমদানি প্রক্রিয়া, মেধাস্বত্ব সংরক্ষণ, আঞ্চলিক যোগাযোগ ব্যবস্থা ও এনার্জি সেক্টরে বিনিয়োগ, চুক্তি অব্যাহত রাখা, সরকারি ক্রয়পদ্ধতি ও লেবার ইস্যুতে জোর ছিল। এবার তা-ই থাকছে বলে ধারণা মিলেছে। গত বছরের ন্যায় আসন্ন ওয়াশিংটন বৈঠকে বাণিজ্য সচিব শুভাশীষ বসু বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেবেন। সঙ্গে থাকছেন শ্রম ও কর্মসংস্থান, পররাষ্ট্র ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং বিভিন্ন বিভাগ, সংস্থা ও ব্যুরোর সদস্যরা।
সেখানে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ ইস্যুতে দুই দেশের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট যাবতীয় বিষয়ে বিস্তৃত আলোচনা হবে। ২০১৩ সলের ২৫শে নভেম্বর বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সহযোগিতা বিষয়ে নিয়মিত আলোচনার জন্য টিকফা চুক্তি সই হয়। ওই চুক্তির আওতায় এটি চতুর্থ বৈঠক। আর ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে টিকফার এটি দ্বিতীয় পর্যালোচনা বৈঠক। আগের একাধিক বৈঠকে অংশ নেয়া সরকারি কর্মকর্তারা বলছেন, যদিও এটি বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও শ্রম খাত নিয়ে আলোচনার ফোরাম তথাপি তাতে সাম্প্রতিক ঘটনাগুলো বিশেষত বাণিজ্য ও বিনিয়োগের পরিবেশ-পরিস্থিতির সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত প্রসঙ্গগুলো স্থান পায়। ঘটনা-দুর্ঘটনা তো আছেই, খোদ রাষ্ট্রদূতের গাড়িতে হামলার বিষয়টি তা-ও বৈঠকের এক দেড় মাস আগের ঘটনা, যা তদন্তাধীন সেটি আসবে না এমনটি মনে করার কোনো কারণ নেই। আসন্ন বৈঠকে যোগদানের প্রস্তুতিতে থাকা সরকারি একজন কর্মকর্তা মানবজমিনকে বলেন- আলোচনায় কী কী বিষয় আসতে পারে তা নিয়ে সম্ভাব্য একটি ছক তৈরি করা হয়। সেটি ধরে আমরা বরাবরই প্রস্তুতি নিই। তাছাড়া বাংলাদেশ দূতাবাস বা মিশন থেকেও আমরা ইনপুট পাই। মিশন যেভাবে ধারণা দেয় সেভাবেই প্রস্তুতি সম্পন্ন হয় এবং বৈঠকের আগে মিশনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বৈঠক হয়। ওয়াশিংটন বৈঠকে বার্নিকাট প্রসঙ্গ আসতে পারে ধরেই আমরা জবাবের জন্য তৈরি হচ্ছি। যা ঘটনা আমরা তা-ই বলবো।
তদন্তের বিষয়ে আমরা নিয়মিতভাবে মার্কিন প্রশাসন ও দূতাবাসকে অবহিত করছি। ওয়াশিংটন বৈঠকে কথা উঠলে এ নিয়ে বিস্তারিত তথ্য হালনাগাদ করা হবে। ৪ঠা আগস্ট রাতের অনাকাঙ্ক্ষিত ওই ঘটনার সময় রাষ্ট্রদূতের প্রটেকশনে থাকা পুলিশ সদস্যরা যে ভূমিকা রেখেছিলেন তাতে দূতাবাস খুশি দাবি করে ওই কর্মকর্তা বলেন, যুক্তরাষ্ট্র বিবৃতিতে রাষ্ট্রদূতকে রক্ষায় প্রটেকশন পুলিশের তাৎক্ষণিক পদক্ষেপের ভূয়সী প্রশংসা করা হয়েছে। ঘটনার ১২ দিন পর সরকারের তরফে আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দিয়ে হামলার নিন্দা জানানো হয়েছে। যদিও ওয়াশিংটনে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতকে স্টেট ডিপার্টমেন্টে ডেকে নিয়ে হামলা পরবর্তী সরকারের পদক্ষেপ সম্পর্কে জানতে চাওয়ার পর ওই বিবৃতি আসে। ঢাকার কর্মকর্তারা বলেন, সরকারের তরফে ওয়াশিংটনকে অবহিতকরণ ছাড়াও হামলার তদন্তের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র সরকারও নিয়মিতভাবে খোঁজ-খবর রাখছে। ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে বাংলাদেশের আসন্ন বৈঠকে বার্নিকাটের গাড়িতে হামলার প্রসঙ্গ এলে সরকার কিভাবে বিষয়টিকে অ্যাড্রেস করবে বা তুলে ধরার প্রস্তুতি নিচ্ছে? জানতে চাইলে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম এমপি বলেন, আলাদা করে এটি অ্যাড্রেস করার কিছু নেই।
বাংলাদেশে থাকা সকল বিদেশির নিরাপত্তা বিধান করা আমাদের সরকারের দায়িত্ব। আন্তর্জাতিক কনভেনশন, আইন ও নীতি অনুযায়ী আমাদের এটি করতে হয়। আমরাও বিদেশে আমাদের কূটনীতিকদের সেফটি, সিকিউরিটির জন্য সেভাবেই বলি। বার্নিকাটের ওপর হামলার ঘটনাটিকে দুঃখজনক উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, হামলার বিষয়ে আমরা তদন্ত শুরু করেছি। বিষয়টি এখনও তদন্তাধীন। আমরা এ নিয়ে যা করছি সরাসরি মার্কিন দূতাবাস ও যুক্তরাষ্ট্র সরকারকে অবহিত করে রাখছি। উল্লেখ্য, গত বছর ঢাকায় টিকফা ফোরামের সর্বশেষ বৈঠকটি হয়েছিল। এতে নেতৃত্ব দিতে বাংলাদেশ সফরে এসেছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক সহকারী বাণিজ্য প্রতিনিধি মার্ক লিন্সকট। তার সঙ্গে ছিলেন স্টেট ডিপার্টমেন্টের ভারপ্রাপ্ত উপ-সহকারী মন্ত্রী শ্যন বি স্টেইন এবং ঢাকাস্থ মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাটসহ ১৫ সদস্যের প্রতিনিধি দল। ব্যতিক্রম বা আচমকা কিছু না ঘটলে এবারের বৈঠকে লিন্সকটই নেতৃত্ব দেবেন। ঢাকায় টিকফার তৃতীয় বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে পণ্যের শুল্ক ও কোটামুক্ত প্রবেশাধিকার চেয়েছিল বাংলাদেশ। ডব্লিউটিও’র নীতি অনুয়ায়ী স্বল্পোন্নত রাষ্ট্রগুলো যে সুবিধা পায় কিংবা আফ্রিকার দেশগুলো যে সুবিধা পায় সেটিই চেয়েছিল বাংলাদেশ। যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের সেবা খাতের প্রবেশাধিকার সহজীকরণের অনুরোধও ছিল। নার্স, মিডওয়াইফসহ অন্যান্য সেবা খাতে মোড-৪ এর আওতায় সেই সুবিধা চায় বাংলাদেশ। তবে স্থগিত থাকা জিএসপি সুবিধা পুনর্বহাল নিয়ে গেল বছর কোনো আলোচনাই করেনি ঢাকা।
যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে পণ্য ও সেবার প্রবেশাধিকার সহজীকরণ ছাড়াও পণ্যের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করা, টেকনোলজি ট্রান্সফার, ডিজিটাল ইকোনমি, ভৌত অবকাঠামো নির্মাণসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে মার্কিন বিনিয়োগ বাড়ানোই ছিল বাংলাদেশের অগ্রাধিকার। এবারের বৈঠকে বিনিয়োগ ও মোড-৪ এর আওতায় দক্ষজনশক্তি রপ্তানীর বিষয়ে জোর থাকবে জানিয়ে এক কর্মকর্তা বলেন, দীর্ঘ সময় ধরে এইচওয়ানবি ভিসাসহ স্কীল মাইগ্রেশনে যুক্তরাষ্ট্র সরকার ভারতীয়দের এমন সুবিধা দিয়ে আসছে। বাংলাদেশীদের জন্য সুবিধাটি চালুর অনুরোধ জানানো হবে। তাছাড়া বিনিয়োগ বাড়ানোর বিষয়েও তাগিদ থাকবে। গেল বছরে ঢাকার বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রের তরফে বাংলাদেশে মার্কিন পণ্য প্রবেশে শুল্ক ও অশুল্ক বাধা নিরসন, ওষুধ আমদানি প্রক্রিয়া, মেধাস্বত্ব সংরক্ষণ, আঞ্চলিক যোগাযোগ ব্যবস্থা ও এনার্জি সেক্টরে বিনিয়োগ, চুক্তি অব্যাহত রাখা, সরকারি ক্রয়পদ্ধতি ও লেবার ইস্যুতে জোর ছিল। এবার তা-ই থাকছে বলে ধারণা মিলেছে। গত বছরের ন্যায় আসন্ন ওয়াশিংটন বৈঠকে বাণিজ্য সচিব শুভাশীষ বসু বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেবেন। সঙ্গে থাকছেন শ্রম ও কর্মসংস্থান, পররাষ্ট্র ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং বিভিন্ন বিভাগ, সংস্থা ও ব্যুরোর সদস্যরা।
No comments