বিএনপির দাবি সংবিধানসম্মত নয়: কাদের
আওয়ামী
লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের নির্বাচনের আগে সরকারের পদত্যাগ ও
খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবির বিষয়ে বলেছেন, প্রথম বিষয়টি সংবিধানসম্মত নয়।
আর দ্বিতীয় বিষয়টি আইনি বিষয়। তারা যদি মামলা মোকাবিলা করে আইনি প্রক্রিয়ায়
বেগম জিয়াকে মুক্ত করে আনতে পারে, ওয়েলকাম। সরকার যদি বাধা দিতো, সরকার
যদি বিচার বিভাগকে কোনো প্রকারে প্রভাবিত করতে চাইতো তাহলে বেগম জিয়া
এতগুলো মামলা থেকে জামিন পেতো না।
প্রায় ৩০টি মামলায় তিনি জামিন পেয়েছেন, সরকার যদি হস্তক্ষেপ করতো তাহলে কীভাবে এসব মামলা থেকে জামিন পেলেন। শনিবার বিকালে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ধানমন্ডি রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলটির সম্পাদকম-লীর জরুরি সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, সেই মামলার জন্যও আপনারা আইনি লিগ্যাল ব্যাটলে যান।
আমি গ্যারান্টি দিয়ে বলতে পারি সরকারের পক্ষ থেকে মামলার ব্যাপারে বেগম জিয়ার মুক্তির বিষয়ে আমাদের পক্ষ থেকে লিগ্যাল ব্যাটলে কোনো প্রকার বাধা, কোনো প্রকার হস্তক্ষেপ আমাদের পক্ষ থেকে হবে না। খালেদা জিয়াকে রাজপথে আন্দোলনের মাধ্যমে মুক্ত করা হবে বিএনপি নেতাদের এমন বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, সরকারের দশ বছর হয়ে গেল, এই দশ বছরে বারে বারে আন্দোলনের ডাক দিয়েছে, সবই সর্বাত্মক আন্দোলনের ডাক ছোটখাটো আন্দোলনের ডাক নয়, বেগম খালেদা জিয়াও সর্বাত্মক আন্দোলনের ডাক দিয়েছিলেন এর সঙ্গে বাস্তবতা কতটুকু এটা আপনারা জানেন।
দশ বছরে একটা দিনও সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করার মতো কোনো আন্দোলন বিএনপি নামক বিরোধী দল করতে পারেনি। আমরা চাপ অনুভব করেছি এমন কোনো আন্দোলন বিএনপি করতে পারেনি। বাংলাদেশের ইতিহাসে এত ব্যর্থ অপজিশন, এত ব্যর্থ বিরোধী দল বাংলাদেশে আসেনি। এই ব্যর্থতার জন্য বিএনপির টপ টু বটম সকল নেতার পদত্যাগ করা উচিত। কাদের বলেন, ফখরুল ইসলাম, মওদুদ আহমদ, মোশাররফ, রাস্তায় দাঁড়িয়ে মাইক দিয়ে কয়েকজনকে নিয়ে আওয়াজ দিলেই কি সরকার হটে যাবে? এই সরকারের গণভিত খুবই শক্তিশালী, এই সরকারের গণভিত বাংলাদেশের মাটির অনেক গভীরে প্রথিত।
আমাদের শিকড় অনেক গভীরে, আমরা হঠাৎ করে এসে জনসমর্থনহীনভাবে সরকারে আসিনি। এটা যেন তারা ভুলে না যায়। জনগণের রায়ের ওপর আস্থা নেই বলে সরকার ইভিএমে নির্বাচন করার ষড়যন্ত্র করছেÑ বিএনপির এমন অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে কাদের বলেন, ইভিএম আমাদের নতুন কোনো দাবি নয়। সারা দুনিয়ায় আধুনিক, স্বচ্ছ এবং স্বল্পসময়ে ভোট প্রদান, গণনা এবং ফলাফল।
ওবায়দুল কাদের বলেন, জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি আমরা নিতে শুরু করেছি। এ মাসেই আমাদের কার্যক্রম পুরোপুরি শুরু করবো। জোট নিয়েও আমরা পরোক্ষভাবে আলাপ-আলোচনা করেছি। যারা আমাদের এতদিনের শরিক তাদের বিষয় নিয়ে কথা বলেছি। অনেকে আসতে চাচ্ছে তাদের সঙ্গেও আমরা কথাবার্তা বলতে শুরু করেছি। তিনি বলেন, আমাদের জোটে আলাপ-আলোচনা চলছে, এ মাসের শেষ দিকে ফাইনাল সেপ দেবো।
বেশিদূর গেলে অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত যেতে পারে। আমাদের জোটের জন্য ৬৫-৭৫ সিট ছেড়ে দেয়ার চিন্তাভাবনা আছে। এখানেও কথা আছে এটা কোনো বাইন্ডিং বিষয় না। ভালো প্রার্থী হলে আমরা এক্সসেপ্ট করবো। উইনেবল প্রার্থীকে আমরা মনোনয়ন দেবো।
সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, ডা. দীপু মনি, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আবদুর রহমান, প্রচার সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, এনামুল হক শামীম, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, কৃষিবিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, আন্তর্জাতিক সম্পাদক শাম্মী আহমেদ, ত্রাণ বিষয়ক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, উপ-দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া প্রমুখ।
প্রায় ৩০টি মামলায় তিনি জামিন পেয়েছেন, সরকার যদি হস্তক্ষেপ করতো তাহলে কীভাবে এসব মামলা থেকে জামিন পেলেন। শনিবার বিকালে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ধানমন্ডি রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলটির সম্পাদকম-লীর জরুরি সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, সেই মামলার জন্যও আপনারা আইনি লিগ্যাল ব্যাটলে যান।
আমি গ্যারান্টি দিয়ে বলতে পারি সরকারের পক্ষ থেকে মামলার ব্যাপারে বেগম জিয়ার মুক্তির বিষয়ে আমাদের পক্ষ থেকে লিগ্যাল ব্যাটলে কোনো প্রকার বাধা, কোনো প্রকার হস্তক্ষেপ আমাদের পক্ষ থেকে হবে না। খালেদা জিয়াকে রাজপথে আন্দোলনের মাধ্যমে মুক্ত করা হবে বিএনপি নেতাদের এমন বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, সরকারের দশ বছর হয়ে গেল, এই দশ বছরে বারে বারে আন্দোলনের ডাক দিয়েছে, সবই সর্বাত্মক আন্দোলনের ডাক ছোটখাটো আন্দোলনের ডাক নয়, বেগম খালেদা জিয়াও সর্বাত্মক আন্দোলনের ডাক দিয়েছিলেন এর সঙ্গে বাস্তবতা কতটুকু এটা আপনারা জানেন।
দশ বছরে একটা দিনও সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করার মতো কোনো আন্দোলন বিএনপি নামক বিরোধী দল করতে পারেনি। আমরা চাপ অনুভব করেছি এমন কোনো আন্দোলন বিএনপি করতে পারেনি। বাংলাদেশের ইতিহাসে এত ব্যর্থ অপজিশন, এত ব্যর্থ বিরোধী দল বাংলাদেশে আসেনি। এই ব্যর্থতার জন্য বিএনপির টপ টু বটম সকল নেতার পদত্যাগ করা উচিত। কাদের বলেন, ফখরুল ইসলাম, মওদুদ আহমদ, মোশাররফ, রাস্তায় দাঁড়িয়ে মাইক দিয়ে কয়েকজনকে নিয়ে আওয়াজ দিলেই কি সরকার হটে যাবে? এই সরকারের গণভিত খুবই শক্তিশালী, এই সরকারের গণভিত বাংলাদেশের মাটির অনেক গভীরে প্রথিত।
আমাদের শিকড় অনেক গভীরে, আমরা হঠাৎ করে এসে জনসমর্থনহীনভাবে সরকারে আসিনি। এটা যেন তারা ভুলে না যায়। জনগণের রায়ের ওপর আস্থা নেই বলে সরকার ইভিএমে নির্বাচন করার ষড়যন্ত্র করছেÑ বিএনপির এমন অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে কাদের বলেন, ইভিএম আমাদের নতুন কোনো দাবি নয়। সারা দুনিয়ায় আধুনিক, স্বচ্ছ এবং স্বল্পসময়ে ভোট প্রদান, গণনা এবং ফলাফল।
ওবায়দুল কাদের বলেন, জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি আমরা নিতে শুরু করেছি। এ মাসেই আমাদের কার্যক্রম পুরোপুরি শুরু করবো। জোট নিয়েও আমরা পরোক্ষভাবে আলাপ-আলোচনা করেছি। যারা আমাদের এতদিনের শরিক তাদের বিষয় নিয়ে কথা বলেছি। অনেকে আসতে চাচ্ছে তাদের সঙ্গেও আমরা কথাবার্তা বলতে শুরু করেছি। তিনি বলেন, আমাদের জোটে আলাপ-আলোচনা চলছে, এ মাসের শেষ দিকে ফাইনাল সেপ দেবো।
বেশিদূর গেলে অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত যেতে পারে। আমাদের জোটের জন্য ৬৫-৭৫ সিট ছেড়ে দেয়ার চিন্তাভাবনা আছে। এখানেও কথা আছে এটা কোনো বাইন্ডিং বিষয় না। ভালো প্রার্থী হলে আমরা এক্সসেপ্ট করবো। উইনেবল প্রার্থীকে আমরা মনোনয়ন দেবো।
সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, ডা. দীপু মনি, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আবদুর রহমান, প্রচার সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, এনামুল হক শামীম, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, কৃষিবিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, আন্তর্জাতিক সম্পাদক শাম্মী আহমেদ, ত্রাণ বিষয়ক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, উপ-দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া প্রমুখ।
No comments