৯ মাসেও খোঁজ মেলেনি মারুফ জামানের by মারুফ কিবরিয়া
নয়
মাস কেটে গেলেও কোনো খোঁজ মেলেনি সাবেক রাষ্ট্রদূত মারুফ জামানের।
পরিবারের পক্ষ থেকে বারবার অভিযোগ তোলার পরও তাকে খুঁজে বের করতে পারেনি
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। মারুফ জামানের পরিবার জানায়, পুলিশ এসবি ডিবি
এমনকি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে নিখোঁজের বিষয়ে জানানো হলেও এত দিনে তার
হদিস পায়নি কেউ।
এ বিষয়ে গতকাল মারুফ জামানের মেয়ে সামিহা জামান মানবজমিনকে বলেন, ৯ মাস কেটে গেছে। আব্বুর কোনো খোঁজ মেলেনি। আমরা পরিবারের পক্ষ থেকে একাধিকবার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। কিন্তু কেউ কোনো খোঁজ দিতে পারেনি। আমরা এখনো জানি না, কারা কেন আমার আব্বুকে নিয়ে গেছে।
এর আগে গত ৪ঠা ডিসেম্বর দুপুরে বেলজিয়াম ফেরত ছোট মেয়ে সামিহা জামানকে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে এগিয়ে আনতে গিয়ে আর ফেরেননি সাবেক এই রাষ্ট্রদূত। পরে ওইদিন সন্ধ্যায় তিন যুবক তার ধানমন্ডির বাসায় এসে ল্যাপটপ, সিপিইউ, স্মার্টফোন নিয়ে যায়। পরিবারের বরাতে জানা গেছে, একটি ‘বেনামি’ ফোন মারুফ জামানের পরিচয় দিয়ে জানায় সন্ধ্যায় তিনজন লোক বাসায় গেলে তাদের যেন ল্যাপটপ, সিপিইউ আর স্মার্টফোন দিয়ে দেয়। ৪ঠা ডিসেম্বর বাবা মারুফ জামানকে ফোনে কল করে না পাওয়ায় চাচা রিফাতকে ফোন দিয়েছিলেন সামিহা জামান। তখন চাচাই সামিহা জামানকে বিমানবন্দর থেকে বাসায় নিয়ে ফেরেন। এরপর ৫ই ডিসেম্বর দুুপুরে ধানমন্ডি থানায় সামিহা জামান একটি সাধারণ ডায়েরি করেন (যার নং -২১৩)। ওই দিনই পুলিশ রাজধানীর ৩০০ ফিট এলাকা থেকে মারুফ জামানের গাড়িটি উদ্ধার করে।
এ ঘটনার দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও কোনো তদন্ত হচ্ছে না বলে অভিযোগ মারুফ জামানের পরিবারের। এদিকে সাবেক এ রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে কারো কোনো শত্রুতা রয়েছে কি না জানতে চাইলে তার মেয়ে সামিহা জামান বলেন, আব্বুর সঙ্গে কারো কোনো শত্রুতা নেই। আব্বু তো বাসায়ই থাকতেন সবসময়। বাইরে কাজের মধ্যে শুধু টুকটাক ব্যাংকে যেতেন বা বাসার জরুরি কোনো কাজ থাকলে সেটা সেরে আসতেন। তাছাড়া আব্বুর বাইরে কোনো কাজ ছিল না। তাহলে শত্রুতা থাকার কথা নয়। আমার প্রশ্ন একটাই, এতদিন হয়ে গেল আব্বুর নিখোঁজের বিষয়ে কেউ কেন এগিয়ে আসছে না। আমাদের কেউ কোনো সাহায্য করছে না। কেউ সাহায্য করতে চায় না। আমার মনে হয় আব্বুকে সবাই ভুলে গেছে। বাবাকে ফেরত পাওয়ার আকুতি জানিয়ে সামিহা জামান আরো বলেন, আব্বুকে কারা কেন নিয়ে গেছে সেটা আমি জানতে চাই না। কিছুই চাই না। শুধু আব্বুকে ফেরত চাই। আমি চাই আমার বাবা ফিরে আসুক।
মারুফ জামানের নিখোঁজের তদন্তের বিষয়ে জানতে চাইলে ধানমন্ডি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল লতিফ মানবজমিনকে জানান, পুলিশের পক্ষ থেকে চেষ্টা চালানো হচ্ছে। তাকে খোঁজার জন্য যা যা করণীয় সবই করা হচ্ছে। তিনি বলেন, আমরা আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছি। ঘটনার পর পর মারুফ জামানের বাসা থেকে নেয়া সিসিটিভি ফুটেজ নিয়ে তদন্ত শুরু করেছি। মারুফ জামানকে খুঁজছি। কিন্তু এখনো কোনো খোঁজ পাইনি। পরিবারের অভিযোগের ব্যাপারে ওসি বলেন, পরিবারের পক্ষ থেকে আমরা কোনো অভিযোগ পাইনি। তার পরও তাকে খোঁজার ব্যাপারে জোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। উল্লেখ্য, মারুফ জামান ১৯৭৭ সালে সেনাবাহিনীতে (ষষ্ঠ শর্ট কোর্স) ক্যাপ্টেন পদে যোগদান করেন। ১৯৮২ সালে সেনাবাহিনী থেকে আত্তীকরণ হয়ে পররাষ্ট্র ক্যাডারে যোগ দেন। এরপর যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশ হাইকমিশনে ফাস্ট সেক্রেটারি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৭ সালে তিনি কাতারের রাষ্ট্রদূতের দায়িত্বে ছিলেন। ২০০৮ সালের ৬ই ডিসেম্বর থেকে ২০০৯ সালের ১৫ই সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তিনি ভিয়েতনামের রাষ্ট্রদূতের দায়িত্বে ছিলেন। এরপর দেশে ফিরে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব স্ট্যাটেজিক স্টাডিজের (বিআইএসএস) মহাপরিচালকের দায়িত্ব পালন করেন। সবশেষ ২০১৩ সালে অতিরিক্ত সচিব পদে পদোন্নতি পেয়ে অবসরে যান।
এ বিষয়ে গতকাল মারুফ জামানের মেয়ে সামিহা জামান মানবজমিনকে বলেন, ৯ মাস কেটে গেছে। আব্বুর কোনো খোঁজ মেলেনি। আমরা পরিবারের পক্ষ থেকে একাধিকবার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। কিন্তু কেউ কোনো খোঁজ দিতে পারেনি। আমরা এখনো জানি না, কারা কেন আমার আব্বুকে নিয়ে গেছে।
এর আগে গত ৪ঠা ডিসেম্বর দুপুরে বেলজিয়াম ফেরত ছোট মেয়ে সামিহা জামানকে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে এগিয়ে আনতে গিয়ে আর ফেরেননি সাবেক এই রাষ্ট্রদূত। পরে ওইদিন সন্ধ্যায় তিন যুবক তার ধানমন্ডির বাসায় এসে ল্যাপটপ, সিপিইউ, স্মার্টফোন নিয়ে যায়। পরিবারের বরাতে জানা গেছে, একটি ‘বেনামি’ ফোন মারুফ জামানের পরিচয় দিয়ে জানায় সন্ধ্যায় তিনজন লোক বাসায় গেলে তাদের যেন ল্যাপটপ, সিপিইউ আর স্মার্টফোন দিয়ে দেয়। ৪ঠা ডিসেম্বর বাবা মারুফ জামানকে ফোনে কল করে না পাওয়ায় চাচা রিফাতকে ফোন দিয়েছিলেন সামিহা জামান। তখন চাচাই সামিহা জামানকে বিমানবন্দর থেকে বাসায় নিয়ে ফেরেন। এরপর ৫ই ডিসেম্বর দুুপুরে ধানমন্ডি থানায় সামিহা জামান একটি সাধারণ ডায়েরি করেন (যার নং -২১৩)। ওই দিনই পুলিশ রাজধানীর ৩০০ ফিট এলাকা থেকে মারুফ জামানের গাড়িটি উদ্ধার করে।
এ ঘটনার দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও কোনো তদন্ত হচ্ছে না বলে অভিযোগ মারুফ জামানের পরিবারের। এদিকে সাবেক এ রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে কারো কোনো শত্রুতা রয়েছে কি না জানতে চাইলে তার মেয়ে সামিহা জামান বলেন, আব্বুর সঙ্গে কারো কোনো শত্রুতা নেই। আব্বু তো বাসায়ই থাকতেন সবসময়। বাইরে কাজের মধ্যে শুধু টুকটাক ব্যাংকে যেতেন বা বাসার জরুরি কোনো কাজ থাকলে সেটা সেরে আসতেন। তাছাড়া আব্বুর বাইরে কোনো কাজ ছিল না। তাহলে শত্রুতা থাকার কথা নয়। আমার প্রশ্ন একটাই, এতদিন হয়ে গেল আব্বুর নিখোঁজের বিষয়ে কেউ কেন এগিয়ে আসছে না। আমাদের কেউ কোনো সাহায্য করছে না। কেউ সাহায্য করতে চায় না। আমার মনে হয় আব্বুকে সবাই ভুলে গেছে। বাবাকে ফেরত পাওয়ার আকুতি জানিয়ে সামিহা জামান আরো বলেন, আব্বুকে কারা কেন নিয়ে গেছে সেটা আমি জানতে চাই না। কিছুই চাই না। শুধু আব্বুকে ফেরত চাই। আমি চাই আমার বাবা ফিরে আসুক।
মারুফ জামানের নিখোঁজের তদন্তের বিষয়ে জানতে চাইলে ধানমন্ডি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল লতিফ মানবজমিনকে জানান, পুলিশের পক্ষ থেকে চেষ্টা চালানো হচ্ছে। তাকে খোঁজার জন্য যা যা করণীয় সবই করা হচ্ছে। তিনি বলেন, আমরা আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছি। ঘটনার পর পর মারুফ জামানের বাসা থেকে নেয়া সিসিটিভি ফুটেজ নিয়ে তদন্ত শুরু করেছি। মারুফ জামানকে খুঁজছি। কিন্তু এখনো কোনো খোঁজ পাইনি। পরিবারের অভিযোগের ব্যাপারে ওসি বলেন, পরিবারের পক্ষ থেকে আমরা কোনো অভিযোগ পাইনি। তার পরও তাকে খোঁজার ব্যাপারে জোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। উল্লেখ্য, মারুফ জামান ১৯৭৭ সালে সেনাবাহিনীতে (ষষ্ঠ শর্ট কোর্স) ক্যাপ্টেন পদে যোগদান করেন। ১৯৮২ সালে সেনাবাহিনী থেকে আত্তীকরণ হয়ে পররাষ্ট্র ক্যাডারে যোগ দেন। এরপর যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশ হাইকমিশনে ফাস্ট সেক্রেটারি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৭ সালে তিনি কাতারের রাষ্ট্রদূতের দায়িত্বে ছিলেন। ২০০৮ সালের ৬ই ডিসেম্বর থেকে ২০০৯ সালের ১৫ই সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তিনি ভিয়েতনামের রাষ্ট্রদূতের দায়িত্বে ছিলেন। এরপর দেশে ফিরে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব স্ট্যাটেজিক স্টাডিজের (বিআইএসএস) মহাপরিচালকের দায়িত্ব পালন করেন। সবশেষ ২০১৩ সালে অতিরিক্ত সচিব পদে পদোন্নতি পেয়ে অবসরে যান।
No comments