সব স্বৈরাচারই নিজেকে গণতান্ত্রিক দাবি করে
জাতীয়
সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি) আয়োজিত গোলটেবিল আলোচনায় বক্তারা বলেছেন,
স্বৈরাচার বেশিদিন ক্ষমতায় টিকতে পারে না। এটা ঐতিহাসিক সত্য। আইয়ুব খান
টিকেছিল ১০ বছর, এরশাদ আরো কম। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারকেও সরে দাঁড়াতে
হবে। জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘গণতন্ত্র ন্যায় বিচার : প্রেক্ষিত ও করণীয়’
শীর্ষক আলোচনায় প্রধান অতিথি ছিলেন সাবেক প্রেসিডেন্ট ও বিকল্প ধারা
বাংলাদেশের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরী। প্রধান আলোচক
ছিলেন গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন।
অধ্যাপক বদরুদ্দোজা চৌধুরী বলেন, তবে আমরা এক স্বৈরাচারের পর আরেকটা নির্বাচিত স্বৈরাচার চাই না। যাতে জনগণের ক্ষমতা হরণ হয়। তাই আমরা ভারসাম্যের রাজনীতির কথা বলছি। জনগণকে নিয়ে ঐক্যের কথা বলছি। এতে আমরা মুক্তিযুদ্ধবিরোধীদের সঙ্গে নেবো না। স্বৈরাচারকেও মানবো না।
সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবি জানিয়ে বদরুদ্দোজা চৌধুরী আরো বলেন, গণতন্ত্রের ভিত্তি হচ্ছে নির্বাচন। নিরপেক্ষ নির্বাচন দিতে হবে। সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সংসদ ভেঙে দিতে হবে। তারা ক্ষমতায় থাকলে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না। নির্বাচন কমিশনকে নিরপেক্ষ হতে হবে। এখন আবার ইভিএমের নামে ষড়যন্ত্র হচ্ছে। ইভিএমে দু’ধরনের ষড়যন্ত্র হতে পারে। প্রথমত, ভোট কারচুপি ও দ্বিতীয়ত, সবার মনোযোগ সেদিকে রেখে অন্য ষড়যন্ত্র করা। আর পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে যদি শান্তি মিশনে আমাদের সেনাবাহিনীকে ব্যবহার করা হয়, তাহলে দেশের নির্বাচনে কেন তাদেরকে রাখা হবে না। নির্বাচনে সেনা মোতায়েন করতে হবে। তাদেরকে মাঠে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দিতে হবে।
তিনি আরো বলেন, সংবাদপত্র ও টেলিভিশনকে নিরপেক্ষ রাখতে হবে। সব বন্দি সাংবাদিককে মুক্ত করে দিতে হবে। এখন সরকারবিরোধী কিছু বললেই বলা হয় বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। আমরা ষড়যন্ত্রের অংশীদার নই। স্বৈরাচারকে মেনে নেবো না। ষড়যন্ত্রের সরকারকে মেনে নেবো না। ষড়যন্ত্র বলে আমাদের দিকে যেন আর আঙ্গুল তোলা না হয়।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগকে স্বৈরাচারী সরকার উল্লেখ করে প্রধান আলোচকের বক্তব্যে গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন বলেন, একটা মজার ব্যাপার হচ্ছে সব স্বৈরাচারই নিজেকে গণতান্ত্রিক বলে দাবি করে। আইয়ুব খান থেকে এরশাদ পর্যন্ত সবাই নিজেকে গণতান্ত্রিক দাবি করেছিল। সব সরকারই একই কথা বলে। বলে যে জনগণের জন্য বেহেশত বানিয়ে দিয়েছি। তাহলে কেন জনগণকে ভয়। আসলে সব করেও স্বৈরাচার পার পায়নি। তা আমি আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বলতে পারি।
তিনি বলেন, এই প্রজাতন্ত্রের মালিক জনগণ। উত্তরাধিকার সূত্রে কেউ না। এখনো নয়, ভবিষ্যতেও নয়। যে স্বপ্ন দেখে ১৯৭১ সালে লাখো লাখো মানুষ জীবন দিয়েছে তা ভুলতে দেয়া যাবে না। জনগণ হিসেবে রাষ্ট্রের মালিকানা নিতে গেলে ভোট দিতে হবে। ভোটের প্রক্রিয়াকেও পাহারা দিতে হবে।
তিনি আরো বলেন, অনেকে ক্ষমতায় চিরস্থায়ী হতে চায়। অনেককে তা বলতেও দেখেছি। কিন্তু তা তো হয় না। যারা দুই, তিন, চার নাম্বারি করেছে তারা ইতিহাসের আঁস্তাকুড়ে নিক্ষিপ্ত হয়েছে।
সম্প্রতি চলমান ঐক্যপ্রক্রিয়া নিয়ে তিনি বলেন, আমাদের এই দলগুলো বা ঐক্যপ্রক্রিয়া নিয়ে দ্বিমত বা অপপ্রচার করার সুযোগ নেই। সবাই তো সুষ্ঠু নির্বাচন চায়। কে চায় না বলুন। যে সুষ্ঠু নির্বাচন চায় না তাকে পাবনায় পাঠাতে হবে। সবার মধ্যে একটা ঐক্য তো হয়েই আছে। ঐক্যের মানে একদল নয়। ঐক্য হলো মৌলিক কথা নিয়ে একমত থাকা। ঐক্যের বিকল্প নেই। মাঠে নামতে হবে। মাঠে নেমেই মাঠ গরম করতে হবে তা মনে করি না। জনসভা করে মানুষকে যুক্তি দিয়ে বিষয়টি তুলে ধরতে হবে বলে মত প্রকাশ করেন এই প্রবীণ আইনজ্ঞ।
সভাপতির বক্তব্যে জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব বলেন, স্বৈরাচারের পতনের জন্য রক্ত দিতে হবে। জীবন দিতে হবে। ত্যাগ ছাড়া হবে না। আমরা রাস্তায় নামবো। মার্চ করবো। মার্চে বাধা আসলে লংমার্চ করবো। সমাবেশে বাধা দিলে মহাসমাবেশ করবো। মিছিলে বাধা দিলে বিক্ষোভ মিছিল হবে।
তিনি আরো বলেন, যুক্তফ্রন্ট ও গণফোরামের মধ্যে যে ঐক্য হয়েছে তাকে বৃহত্তর ঐক্যের দিকে নিয়ে যেতে হবে। তাতে স্বৈরাচার ও স্বাধীনতাবিরোধীদের ছাড়া সবাইকে আহ্বান জানাই। বি. চৌধুরী, ড. কামাল বা মান্নার বাসায় গ্রেপ্তার করতে গেলে বা কোনো নেতাকর্মীর গায়ে হাত দেয়া হলে পরিণতি ভয়াবহ হবে।
নির্বাচন কমিশন সরকারের একটা টুলসে পরিণত হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আইন পাসের আগে ইভিএম কেনা হচ্ছে কেন। ম্যানুয়ালি না জিততে পারলে ইভিএমে জেতার জন্য। অস্ট্রেলিয়া, ইতালিতে ইভিএমের জালিয়াতি ধরা পড়েছে। এই আলোচনায় উপস্থিত আছেন এমন একজন নির্বাচন কমিশনে তা পরীক্ষা করে দেখেন। তিনি ৫ বার ৫ প্রতীকের ৫টা বোতামে চাপ দিলেও প্রতিবারই উঠে নৌকা। আওয়ামী লীগ সেভাবেই প্রয়োজনীয় আসনে জিততে চায়। এখন মডেল নির্বাচন করতে চায় সরকার। হেলমেটধারীদের দিয়ে বাক্স বদলের নির্বাচন। জেনেছি ৫০ হাজার আনসারকে নাকি সিল মারার জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে।
তিনি এই সরকারকে জনবিচ্ছিন্ন, সাম্প্রদায়িক ও অগণতান্ত্রিক উল্লেখ করে বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বলে কীভাবে এত জুলুম-নির্যাতন চালানো হয়। এত ঘুষ খায়। একটা রাজনৈতিক দলের অঙ্গ সংগঠন (ছাত্রলীগ) কীভাবে গণভবনে সমাবেশ করে। তিনি একই সঙ্গে আন্দোলন ও নির্বাচনের প্রস্তুতি চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানান।
আলোচনায় অংশ নিয়ে নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ন্যায় বিচার কী। বিচারই তো নেই। পুলিশ যে দুর্নীতিবাজ, তা স্বীকৃত। বাংলাদেশে সবচেয়ে বড় মিথ্যুক কে? তা বললে এখন রাষ্ট্রদ্রোহী বানানো হবে। নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার ইভিএম প্রত্যাখ্যান করেছেন। সরকার এখন ছলেবলে, কৌশলে ক্ষমতায় থাকতে চায়। ইভিএমে এক সঙ্গে টাকা ও ভোট লুটের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। তারা সব প্রতারণা করবে।
অনুষ্ঠানে জেএসডির পক্ষ থেকে ১০ দফা প্রস্তাবনা উপস্থাপন করেন জেএসডির সাধারণ সম্পাদক আবদুল মালেক রতন। জেএসডির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মোহাম্মদ স্বপনের সঞ্চালনায় গোলটেবিল আলোচনায় আরো বক্তব্য রাখেন, জেএসডির সহ-সভাপতি তানিয়া রব, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. সিরাজ মিয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক মোশারফ হোসেন, বিকল্প ধারা সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট শাহ আহমেদ বাদল, গণফোরামের সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাক আহমেদ, নাগরিক ঐক্যের নির্বাহী সদস্য মুমিনুল ইসলাম।
অধ্যাপক বদরুদ্দোজা চৌধুরী বলেন, তবে আমরা এক স্বৈরাচারের পর আরেকটা নির্বাচিত স্বৈরাচার চাই না। যাতে জনগণের ক্ষমতা হরণ হয়। তাই আমরা ভারসাম্যের রাজনীতির কথা বলছি। জনগণকে নিয়ে ঐক্যের কথা বলছি। এতে আমরা মুক্তিযুদ্ধবিরোধীদের সঙ্গে নেবো না। স্বৈরাচারকেও মানবো না।
সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবি জানিয়ে বদরুদ্দোজা চৌধুরী আরো বলেন, গণতন্ত্রের ভিত্তি হচ্ছে নির্বাচন। নিরপেক্ষ নির্বাচন দিতে হবে। সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সংসদ ভেঙে দিতে হবে। তারা ক্ষমতায় থাকলে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না। নির্বাচন কমিশনকে নিরপেক্ষ হতে হবে। এখন আবার ইভিএমের নামে ষড়যন্ত্র হচ্ছে। ইভিএমে দু’ধরনের ষড়যন্ত্র হতে পারে। প্রথমত, ভোট কারচুপি ও দ্বিতীয়ত, সবার মনোযোগ সেদিকে রেখে অন্য ষড়যন্ত্র করা। আর পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে যদি শান্তি মিশনে আমাদের সেনাবাহিনীকে ব্যবহার করা হয়, তাহলে দেশের নির্বাচনে কেন তাদেরকে রাখা হবে না। নির্বাচনে সেনা মোতায়েন করতে হবে। তাদেরকে মাঠে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দিতে হবে।
তিনি আরো বলেন, সংবাদপত্র ও টেলিভিশনকে নিরপেক্ষ রাখতে হবে। সব বন্দি সাংবাদিককে মুক্ত করে দিতে হবে। এখন সরকারবিরোধী কিছু বললেই বলা হয় বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। আমরা ষড়যন্ত্রের অংশীদার নই। স্বৈরাচারকে মেনে নেবো না। ষড়যন্ত্রের সরকারকে মেনে নেবো না। ষড়যন্ত্র বলে আমাদের দিকে যেন আর আঙ্গুল তোলা না হয়।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগকে স্বৈরাচারী সরকার উল্লেখ করে প্রধান আলোচকের বক্তব্যে গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন বলেন, একটা মজার ব্যাপার হচ্ছে সব স্বৈরাচারই নিজেকে গণতান্ত্রিক বলে দাবি করে। আইয়ুব খান থেকে এরশাদ পর্যন্ত সবাই নিজেকে গণতান্ত্রিক দাবি করেছিল। সব সরকারই একই কথা বলে। বলে যে জনগণের জন্য বেহেশত বানিয়ে দিয়েছি। তাহলে কেন জনগণকে ভয়। আসলে সব করেও স্বৈরাচার পার পায়নি। তা আমি আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বলতে পারি।
তিনি বলেন, এই প্রজাতন্ত্রের মালিক জনগণ। উত্তরাধিকার সূত্রে কেউ না। এখনো নয়, ভবিষ্যতেও নয়। যে স্বপ্ন দেখে ১৯৭১ সালে লাখো লাখো মানুষ জীবন দিয়েছে তা ভুলতে দেয়া যাবে না। জনগণ হিসেবে রাষ্ট্রের মালিকানা নিতে গেলে ভোট দিতে হবে। ভোটের প্রক্রিয়াকেও পাহারা দিতে হবে।
তিনি আরো বলেন, অনেকে ক্ষমতায় চিরস্থায়ী হতে চায়। অনেককে তা বলতেও দেখেছি। কিন্তু তা তো হয় না। যারা দুই, তিন, চার নাম্বারি করেছে তারা ইতিহাসের আঁস্তাকুড়ে নিক্ষিপ্ত হয়েছে।
সম্প্রতি চলমান ঐক্যপ্রক্রিয়া নিয়ে তিনি বলেন, আমাদের এই দলগুলো বা ঐক্যপ্রক্রিয়া নিয়ে দ্বিমত বা অপপ্রচার করার সুযোগ নেই। সবাই তো সুষ্ঠু নির্বাচন চায়। কে চায় না বলুন। যে সুষ্ঠু নির্বাচন চায় না তাকে পাবনায় পাঠাতে হবে। সবার মধ্যে একটা ঐক্য তো হয়েই আছে। ঐক্যের মানে একদল নয়। ঐক্য হলো মৌলিক কথা নিয়ে একমত থাকা। ঐক্যের বিকল্প নেই। মাঠে নামতে হবে। মাঠে নেমেই মাঠ গরম করতে হবে তা মনে করি না। জনসভা করে মানুষকে যুক্তি দিয়ে বিষয়টি তুলে ধরতে হবে বলে মত প্রকাশ করেন এই প্রবীণ আইনজ্ঞ।
সভাপতির বক্তব্যে জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব বলেন, স্বৈরাচারের পতনের জন্য রক্ত দিতে হবে। জীবন দিতে হবে। ত্যাগ ছাড়া হবে না। আমরা রাস্তায় নামবো। মার্চ করবো। মার্চে বাধা আসলে লংমার্চ করবো। সমাবেশে বাধা দিলে মহাসমাবেশ করবো। মিছিলে বাধা দিলে বিক্ষোভ মিছিল হবে।
তিনি আরো বলেন, যুক্তফ্রন্ট ও গণফোরামের মধ্যে যে ঐক্য হয়েছে তাকে বৃহত্তর ঐক্যের দিকে নিয়ে যেতে হবে। তাতে স্বৈরাচার ও স্বাধীনতাবিরোধীদের ছাড়া সবাইকে আহ্বান জানাই। বি. চৌধুরী, ড. কামাল বা মান্নার বাসায় গ্রেপ্তার করতে গেলে বা কোনো নেতাকর্মীর গায়ে হাত দেয়া হলে পরিণতি ভয়াবহ হবে।
নির্বাচন কমিশন সরকারের একটা টুলসে পরিণত হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আইন পাসের আগে ইভিএম কেনা হচ্ছে কেন। ম্যানুয়ালি না জিততে পারলে ইভিএমে জেতার জন্য। অস্ট্রেলিয়া, ইতালিতে ইভিএমের জালিয়াতি ধরা পড়েছে। এই আলোচনায় উপস্থিত আছেন এমন একজন নির্বাচন কমিশনে তা পরীক্ষা করে দেখেন। তিনি ৫ বার ৫ প্রতীকের ৫টা বোতামে চাপ দিলেও প্রতিবারই উঠে নৌকা। আওয়ামী লীগ সেভাবেই প্রয়োজনীয় আসনে জিততে চায়। এখন মডেল নির্বাচন করতে চায় সরকার। হেলমেটধারীদের দিয়ে বাক্স বদলের নির্বাচন। জেনেছি ৫০ হাজার আনসারকে নাকি সিল মারার জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে।
তিনি এই সরকারকে জনবিচ্ছিন্ন, সাম্প্রদায়িক ও অগণতান্ত্রিক উল্লেখ করে বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বলে কীভাবে এত জুলুম-নির্যাতন চালানো হয়। এত ঘুষ খায়। একটা রাজনৈতিক দলের অঙ্গ সংগঠন (ছাত্রলীগ) কীভাবে গণভবনে সমাবেশ করে। তিনি একই সঙ্গে আন্দোলন ও নির্বাচনের প্রস্তুতি চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানান।
আলোচনায় অংশ নিয়ে নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ন্যায় বিচার কী। বিচারই তো নেই। পুলিশ যে দুর্নীতিবাজ, তা স্বীকৃত। বাংলাদেশে সবচেয়ে বড় মিথ্যুক কে? তা বললে এখন রাষ্ট্রদ্রোহী বানানো হবে। নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার ইভিএম প্রত্যাখ্যান করেছেন। সরকার এখন ছলেবলে, কৌশলে ক্ষমতায় থাকতে চায়। ইভিএমে এক সঙ্গে টাকা ও ভোট লুটের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। তারা সব প্রতারণা করবে।
অনুষ্ঠানে জেএসডির পক্ষ থেকে ১০ দফা প্রস্তাবনা উপস্থাপন করেন জেএসডির সাধারণ সম্পাদক আবদুল মালেক রতন। জেএসডির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মোহাম্মদ স্বপনের সঞ্চালনায় গোলটেবিল আলোচনায় আরো বক্তব্য রাখেন, জেএসডির সহ-সভাপতি তানিয়া রব, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. সিরাজ মিয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক মোশারফ হোসেন, বিকল্প ধারা সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট শাহ আহমেদ বাদল, গণফোরামের সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাক আহমেদ, নাগরিক ঐক্যের নির্বাহী সদস্য মুমিনুল ইসলাম।
No comments