জাতিসংঘের প্রতিবেদনে যুক্তরাষ্ট্র বৃটেনের সমর্থন, মিয়ানমারের পাশে চীন
রাখাইনে
রোহিঙ্গা মুসলিমদের বিরুদ্ধে চালানো নৃশংস সেনা অভিযানের বিষয়ে জাতিসংঘের
দেয়া তদন্ত প্রতিবেদনের প্রতি সমর্থন জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটি বলেছে,
মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে রোহিঙ্গা মুসলিমদের তীব্র মানবাধিকার
লঙ্ঘনের প্রমাণ ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। জাতিসংঘের তদন্ত প্রতিবেদন তাতে নতুন
সংযোজন। এতে মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনীর নৃশংসতার অভিযোগ আরো দৃঢ় হয়েছে।
ওদিকে তদন্ত প্রতিবেদনকে সাধুবাদ জানিয়ে বৃটেন মানবাধিকার লঙ্ঘনকারীদের
কোনো ছাড় না দেয়ার আহ্বান জানিয়েছে। তবে বিশ্ব সম্প্রদায়ের অব্যাহত চাপের
মুখেও মিয়ানমারের পক্ষেই অবস্থান নিয়েছে চীন। জাতিসংঘের তদন্তে যখন বলা
হচ্ছে সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলিমদের ওপর মিয়ানমারের সেনাবাহিনী গণহত্যা
চালিয়েছে, তখন চীন উল্টো সুর ধরেছে। তারা বলেছে, রোহিঙ্গা ইস্যুতে
মিয়ানমারের ওপর চাপ সৃষ্টি করা হলে তা সংকট সমাধানে সহায়ক হবে না।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, রোহিঙ্গা নির্যাতন নিয়ে জাতিসংঘের তদন্ত প্রতিবেদনের বিষয়ে মঙ্গলবার বিবৃতি দিয়েছে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। বিবৃতিতে জাতিসংঘের দেয়া প্রতিবেদনের প্রতি সমর্থন জানায় যুক্তরাষ্ট্র। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র বলেন, আসলেই রাখাইনে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে গণহত্যা বা মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত হয়েছে কিনা, সে বিষয়ে প্রাপ্ত তথ্য-উপাত্ত পর্যালোচনা ও সংশ্লিষ্ট আইনি বিষয়গুলো বিশ্লেষণ করার পরই যুক্তরাষ্ট্র সিদ্ধান্ত নেবে।এর আগে সোমবার জাতিসংঘের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশন রোহিঙ্গা ইস্যুতে তাদের প্রথম তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করে। এতে রোহিঙ্গাদের ওপর মিয়ানমারের কর্মকর্তাদের চালানো নির্যাতনের জন্য গণহত্যার অভিযোগে তাদের বিচারের মুখোমুখি করার আহ্বান জানানো হয়েছে। মিয়ানমারের বিরুদ্ধে অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা আরোপ, কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে টার্গেটেড অবরোধ দেয়া এবং সন্দেহভাজনদের বিচারের ব্যবস্থা করা অথবা তাদেরকে হেগে অবস্থিত আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের মুখোমুখি করার জন্য ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশন জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের কাছে সুপারিশ করেছে। এর প্রেক্ষিতে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে মিয়ানমার বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ার আশঙ্কা জোরালো হয়েছে। কিন্তু মিয়ানমারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে চীনের। মিয়ানমারের সেনাবাহিনী ও কর্মকর্তারা দাবি করে, তারা রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান পরিচালনা করেছে। আর মিয়ানমারের এ দাবির প্রতি সমর্থন রয়েছে চীনের। এর আগেও রোহিঙ্গা ইস্যুতে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে একটি প্রস্তাব উত্থাপন হয়েছিল। কিন্তু সেই প্রস্তাব আটকে দেয় চীন ও রাশিয়া। জাতিসংঘ ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশনের সর্বশেষ প্রতিবেদনের বিষয়ে চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হুয়া চুনিংয়ের কাছে সাংবাদিকরা জানতে চান। তিনি মঙ্গলবার নিয়মিত ব্রিফিং করছিলেন। এ সময় তিনি বলেন, রাখাইনে রোহিঙ্গা ইস্যুটি ঐতিহাসিক, ধর্মীয় ও জাতিগত দিক থেকে অতি জটিল।
তাই আমি মনে করি এ বিষয়ে একতরফা সমালোচনা অথবা চাপ প্রয়োগ করা সমস্যা সমাধানে প্রকৃতপক্ষে কোনো সহায়ক হবে না।
এদিকে, রাখাইনে মানবাধিকার লঙ্ঘনকারীদের কোনো ছাড় না দেয়ার আহ্বান জানিয়েছে বৃটেন। দেশটি বলেছে, রাখাইনে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে। আর মানবাধিকার লঙ্ঘনকারীদের কোনোভাবেই দায়মুক্তি দেয়া যাবে না। বৃটেনের এশিয়া অঞ্চল বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মার্ক ফিল্ড এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন। তিনি জাতিসংঘের তদন্ত প্রতিবেদনের প্রশংসা করে বলেন, ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশনের চূড়ান্ত প্রতিবেদন সেপ্টেম্বরে অনুষ্ঠিতব্য জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের অধিবেশনে উত্থাপনের বিষয়ে তার দেশ অন্যদের সঙ্গে আলোচনা করবে।
উল্লেখ্য, এক বছর আগে মিয়ানমারের সেনাদের নৃশংস দমন-পীড়নে রাখাইন থেকে কমপক্ষে ৭ লাখ রোহিঙ্গা পালিয়ে এসে বাংলাদেশে আশ্রয় নেন। তারা এখনো বাংলাদেশেই অবস্থান করছেন। এ পর্যন্ত তাদের ফেরত নেয়া নিয়ে অনেক দেন-দরবার হয়েছে। কিন্তু কোনো অগ্রগতি দেখা যাচ্ছে না। এ বিষয়ে চীনের ওই মুখপাত্র বলেন, এরই মধ্যে মিয়ানমার ও বাংলাদেশের মধ্যে আলোচনায় ইতিবাচক অগ্রগতি হয়েছে। একটি চুক্তি হয়েছে দু’বছরের মধ্যে স্বেচ্ছায় রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবর্তন নিয়ে। হুয়া চুনিং বলেন, আলোচনা ও শলাপরামর্শের মাধ্যমে রাখাইনের এই সমস্যা সমাধানে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উচিত মিয়ানমার ও বাংলাদেশকে নিয়ে যথাযথ গঠনমূলক ভূমিকা অবলম্বন করা।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, রোহিঙ্গা নির্যাতন নিয়ে জাতিসংঘের তদন্ত প্রতিবেদনের বিষয়ে মঙ্গলবার বিবৃতি দিয়েছে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। বিবৃতিতে জাতিসংঘের দেয়া প্রতিবেদনের প্রতি সমর্থন জানায় যুক্তরাষ্ট্র। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র বলেন, আসলেই রাখাইনে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে গণহত্যা বা মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত হয়েছে কিনা, সে বিষয়ে প্রাপ্ত তথ্য-উপাত্ত পর্যালোচনা ও সংশ্লিষ্ট আইনি বিষয়গুলো বিশ্লেষণ করার পরই যুক্তরাষ্ট্র সিদ্ধান্ত নেবে।এর আগে সোমবার জাতিসংঘের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশন রোহিঙ্গা ইস্যুতে তাদের প্রথম তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করে। এতে রোহিঙ্গাদের ওপর মিয়ানমারের কর্মকর্তাদের চালানো নির্যাতনের জন্য গণহত্যার অভিযোগে তাদের বিচারের মুখোমুখি করার আহ্বান জানানো হয়েছে। মিয়ানমারের বিরুদ্ধে অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা আরোপ, কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে টার্গেটেড অবরোধ দেয়া এবং সন্দেহভাজনদের বিচারের ব্যবস্থা করা অথবা তাদেরকে হেগে অবস্থিত আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের মুখোমুখি করার জন্য ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশন জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের কাছে সুপারিশ করেছে। এর প্রেক্ষিতে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে মিয়ানমার বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ার আশঙ্কা জোরালো হয়েছে। কিন্তু মিয়ানমারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে চীনের। মিয়ানমারের সেনাবাহিনী ও কর্মকর্তারা দাবি করে, তারা রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান পরিচালনা করেছে। আর মিয়ানমারের এ দাবির প্রতি সমর্থন রয়েছে চীনের। এর আগেও রোহিঙ্গা ইস্যুতে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে একটি প্রস্তাব উত্থাপন হয়েছিল। কিন্তু সেই প্রস্তাব আটকে দেয় চীন ও রাশিয়া। জাতিসংঘ ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশনের সর্বশেষ প্রতিবেদনের বিষয়ে চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হুয়া চুনিংয়ের কাছে সাংবাদিকরা জানতে চান। তিনি মঙ্গলবার নিয়মিত ব্রিফিং করছিলেন। এ সময় তিনি বলেন, রাখাইনে রোহিঙ্গা ইস্যুটি ঐতিহাসিক, ধর্মীয় ও জাতিগত দিক থেকে অতি জটিল।
তাই আমি মনে করি এ বিষয়ে একতরফা সমালোচনা অথবা চাপ প্রয়োগ করা সমস্যা সমাধানে প্রকৃতপক্ষে কোনো সহায়ক হবে না।
এদিকে, রাখাইনে মানবাধিকার লঙ্ঘনকারীদের কোনো ছাড় না দেয়ার আহ্বান জানিয়েছে বৃটেন। দেশটি বলেছে, রাখাইনে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে। আর মানবাধিকার লঙ্ঘনকারীদের কোনোভাবেই দায়মুক্তি দেয়া যাবে না। বৃটেনের এশিয়া অঞ্চল বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মার্ক ফিল্ড এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন। তিনি জাতিসংঘের তদন্ত প্রতিবেদনের প্রশংসা করে বলেন, ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশনের চূড়ান্ত প্রতিবেদন সেপ্টেম্বরে অনুষ্ঠিতব্য জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের অধিবেশনে উত্থাপনের বিষয়ে তার দেশ অন্যদের সঙ্গে আলোচনা করবে।
উল্লেখ্য, এক বছর আগে মিয়ানমারের সেনাদের নৃশংস দমন-পীড়নে রাখাইন থেকে কমপক্ষে ৭ লাখ রোহিঙ্গা পালিয়ে এসে বাংলাদেশে আশ্রয় নেন। তারা এখনো বাংলাদেশেই অবস্থান করছেন। এ পর্যন্ত তাদের ফেরত নেয়া নিয়ে অনেক দেন-দরবার হয়েছে। কিন্তু কোনো অগ্রগতি দেখা যাচ্ছে না। এ বিষয়ে চীনের ওই মুখপাত্র বলেন, এরই মধ্যে মিয়ানমার ও বাংলাদেশের মধ্যে আলোচনায় ইতিবাচক অগ্রগতি হয়েছে। একটি চুক্তি হয়েছে দু’বছরের মধ্যে স্বেচ্ছায় রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবর্তন নিয়ে। হুয়া চুনিং বলেন, আলোচনা ও শলাপরামর্শের মাধ্যমে রাখাইনের এই সমস্যা সমাধানে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উচিত মিয়ানমার ও বাংলাদেশকে নিয়ে যথাযথ গঠনমূলক ভূমিকা অবলম্বন করা।
No comments