ঐক্যের কাবিন চূড়ান্তে বৈঠক: ঐক্যপ্রক্রিয়ায় একমত ড. কামাল বি. চৌধুরী, সেপ্টেম্বর থেকে কর্মসূচি
রাজধানীর বেইলী রোডে ড. কামাল হোসেনের বাড়িতে কয়েকটি দলের নেতাদের বৈঠক ছবি: নাসির উদ্দিন |
জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে যুক্ত ফ্রন্টের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন।
গত রাতে ড. কামাল হোসেনের বেইলী রোডের বাসায় এ বৈঠক হয়। বৈঠকে জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে বৃহত্তর ঐক্যের বিষয়ে আলোচনা করেন নেতারা। বৈঠকে আলোচনার ভিত্তিতে অধ্যাপক বি. চৌধুরী ও ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে ঐক্য প্রক্রিয়া পরিচালনার সিদ্ধান্ত হয়। এ ছাড়া কর্মসূচি প্রণয়নে ৪ সদস্যের একটি সাব-কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী ২২শে সেপ্টেম্বর নাগরিক সমাবেশ থেকে কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
বৈঠক শেষে বি. চৌধুরী বলেন, আমাদের যৌথ নেতৃত্বে ঐক্য প্রক্রিয়া এগিয়ে যাবে। ড. কামাল বলেন, জাতীয় ঐক্য গড়তে সবার সহযোগিতা লাগবে। ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, আগামী নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ যাতে হয় সেজন্য জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়া। সেপ্টেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে ঐক্য প্রক্রিয়ার আন্দোলন শুরু হবে। এক প্রশ্নে তিনি বলেন, নির্বাচনকালীন সরকারে গিয়ে আমরা অজ্ঞাবহ হবো না। জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে বিএনপির সঙ্গে আলোচনা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, এক্ষেত্রে জামায়াতকে বাদ দিয়ে তাদের আসতে হবে।
বৈঠকে যুক্তফ্রন্টের পক্ষ থেকে সাতটি প্রস্তাব তুলে ধরা হয়। প্রস্তাবের মধ্যে রয়েছে ১. জাতির এই ক্রাান্তিলগ্নে জাতীয় স্বার্থে জামায়াতে ইসলামী ও অন্যান্য স্বাধীনতাবিরোধী দল ব্যাতিরেকে সকল সমমনা অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক ও মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের দলসমূহের ঐক্য জরুরি। ২. বাক, ব্যক্তি, সংবাদপত্র, টেলিভিশন, সভা-সমিতির স্বাধীনতা নিশ্চিত করা। ৩. আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা-বিচার বিভাগের স্বাধীনতা। ৪. নিরপেক্ষ গ্রহণযোগ্য নির্বাচন সম্পন্ন করা। ৫. রাজনৈতিক স্বেচ্ছাচারিতা বন্ধ করার জন্য সংসদ ও সরকারের ভারসাম্য নিশ্চিতকরণ। ৬. নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পূর্বে রাজনৈতিক দলসমূহের সাথে আলোচনার মাধ্যমে নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণা ও নির্বাচনের পূর্বে সংসদ ভেঙ্গে দেওয়া এবং প্রধানমন্ত্রী-মন্ত্রিসভা বাতিল ঘোষণা। ৭. এই মূহুর্তে থেকে নির্বাচন শেষ না হওয়া পর্যন্ত কোনো দলের কর্মীকে গ্রেপ্তার করা যাবে না এবং তফসিল ঘোষণার পূর্বে সকল ছাত্র-ছাত্রী ও রাজনৈতিক বন্দীদের মুক্তি দিতে হবে।
বৈঠকে বিকল্প ধারা বাংলাদেশ-এর প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরী, গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি) সভাপতি আ.স.ম আবদুর রব, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, ডাকসুর সাবেক ভিপি সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমেদ, বিকল্পধারার মহাসচিব মেজর অব. আবদুল মান্নান, যুগ্ম মহাসচিব মাহী বি. চৌধুরী, জেএসডি সাধারণ সম্পাদক আবদুল মালেক রতন, গণফোরাম সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসিন মন্টুসহ গণফোরাম নেতারা অংশ নেন।
জাতীয় নির্বাচনের আগে বৃহত্তর রাজনৈতিক ঐক্য গড়তে বেশ কিছুদিন ধরে কাজ করছেন যুক্তফ্রন্ট ও গণফোরাম নেতারা। এ প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে গত ১৯শে আগস্ট বিকল্প ধারার মহাসচিব মেজর অব. আবদুল মান্নানের বাসায় বৈঠক করেন যুক্তফ্রন্ট ও গণফোরাম নেতারা। এ বৈঠকে আরও কয়েকজন রাজনৈতিক নেতা অংশ নেন। ওই বৈঠকেই যুক্তফ্রন্টের সঙ্গে গণফোরামের ঐক্যের সিদ্ধান্ত হয়। এ ঐক্যকে বৃহত্তর জাতীয় ঐক্যে রূপ দিতে পরবর্তী করণীয় ঠিক করতে অন্য রাজনৈতিক দল এবং সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা করারও সিদ্ধান্ত হয়। এ কার্যক্রমের অংশ হিসেবে গতকালের বৈঠকটি হয়।
এর আগে ঐক্য প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত নেতারা জানিয়েছিলেন আগামী ২২শে সেপ্টেম্বর সোহ্রাওয়ার্দী উদ্যানে মহাসমাবেশ করে জাতীয় ঐক্যের ঘোষণা দেয়া হবে। এর আগে আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলন করে ঐক্য প্রক্রিয়ার রূপরেখা তুলে ধরা হবে। ২২শে সেপ্টেম্বর সমাবেশের বিষয়টি এখনও বিবেচনাধীন রয়েছে। সার্বিক প্রক্রিয়া পরিকল্পনামতো হলে এ দিনের সমাবেশ থেকেই বৃহৎ রাজনৈতিক ও নির্বাচনী ঐক্যের ঘোষণা আসতে পারে। যদিও যুক্তফ্রন্ট এবং গণফোরামের বাইরে অন্য দলগুলোর মধ্যে কারা ঐক্য প্রক্রিয়ায় যুক্ত হচ্ছেন তা পরিষ্কার হয়নি। জাতীয় ঐক্যের উদ্যোক্তাসূত্র বলছে, রাজপথের প্রধান বিরোধী দল বিএনপি এ প্রক্রিয়ায় যুক্ত হতে পারেন। তবে ২০ দলীয় জোটও আলাদাভাবে সক্রিয় থাকবে। দলগুলোকে জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ায় যুক্ত করতে কাজ করছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। সূত্র বলছে, ঐক্যের বিষয়ে তিনি বিএনপি’র নেতৃত্বের সঙ্গেও আলোচনা করছেন।
ঐক্যের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য চূড়ান্ত হলে একটি লিখিত সমঝোতা ও অঙ্গীকারের ভিত্তিতে জাতীয় নির্বাচনের আগেই রূপ পেতে পারে বৃহৎ রাজনৈতিক জোটের। ঐক্য প্রক্রিয়ার বিষয়ে উদ্যোক্তারা কয়েকটি বাম রাজনৈতিক দলের সঙ্গেও যোগাযোগ করেছেন। ওই দলগুলোও জাতীয় ঐক্যে অনেকটা সম্মতি দিয়েছে। এ প্রক্রিয়ার সঙ্গে আগে থেকেই আলোচনায় থাকা কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী এখনও জোটে যাওয়ার বিষয়ে অবস্থান পরিষ্কার করেননি। তাকেও জোটে রাখতে নেতাদের আগ্রহ রয়েছে। যুক্তফ্রন্ট ও গণফোরামের নেতারা ঐক্য প্রক্রিয়া শুরুর মধ্যেই আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকেও জোট শরিক বাড়ানোর আলোচনা শুরু করেছে। দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দলের নেতার সঙ্গে সম্প্রতি বৈঠক করেছেন। কয়েকটি দলের নেতার সঙ্গে তার টেলিফোন আলাপও হয়েছে। অন্যদিকে সরকারের শরিক জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ আলাদা রাজনৈতিক জোট গঠনের কথা বলে আসছেন। তিনি বলছেন, বিএনপি নির্বাচনে এলে জাতীয় পার্টি আওয়ামী লীগের জোটসঙ্গী হয়ে নির্বাচন করবে। আর বিএনপি না এলে আলাদা জোট করে তিনশ’ আসনে প্রার্থী দেবেন।
গত রাতে ড. কামাল হোসেনের বেইলী রোডের বাসায় এ বৈঠক হয়। বৈঠকে জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে বৃহত্তর ঐক্যের বিষয়ে আলোচনা করেন নেতারা। বৈঠকে আলোচনার ভিত্তিতে অধ্যাপক বি. চৌধুরী ও ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে ঐক্য প্রক্রিয়া পরিচালনার সিদ্ধান্ত হয়। এ ছাড়া কর্মসূচি প্রণয়নে ৪ সদস্যের একটি সাব-কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী ২২শে সেপ্টেম্বর নাগরিক সমাবেশ থেকে কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
বৈঠক শেষে বি. চৌধুরী বলেন, আমাদের যৌথ নেতৃত্বে ঐক্য প্রক্রিয়া এগিয়ে যাবে। ড. কামাল বলেন, জাতীয় ঐক্য গড়তে সবার সহযোগিতা লাগবে। ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, আগামী নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ যাতে হয় সেজন্য জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়া। সেপ্টেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে ঐক্য প্রক্রিয়ার আন্দোলন শুরু হবে। এক প্রশ্নে তিনি বলেন, নির্বাচনকালীন সরকারে গিয়ে আমরা অজ্ঞাবহ হবো না। জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে বিএনপির সঙ্গে আলোচনা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, এক্ষেত্রে জামায়াতকে বাদ দিয়ে তাদের আসতে হবে।
বৈঠকে যুক্তফ্রন্টের পক্ষ থেকে সাতটি প্রস্তাব তুলে ধরা হয়। প্রস্তাবের মধ্যে রয়েছে ১. জাতির এই ক্রাান্তিলগ্নে জাতীয় স্বার্থে জামায়াতে ইসলামী ও অন্যান্য স্বাধীনতাবিরোধী দল ব্যাতিরেকে সকল সমমনা অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক ও মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের দলসমূহের ঐক্য জরুরি। ২. বাক, ব্যক্তি, সংবাদপত্র, টেলিভিশন, সভা-সমিতির স্বাধীনতা নিশ্চিত করা। ৩. আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা-বিচার বিভাগের স্বাধীনতা। ৪. নিরপেক্ষ গ্রহণযোগ্য নির্বাচন সম্পন্ন করা। ৫. রাজনৈতিক স্বেচ্ছাচারিতা বন্ধ করার জন্য সংসদ ও সরকারের ভারসাম্য নিশ্চিতকরণ। ৬. নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পূর্বে রাজনৈতিক দলসমূহের সাথে আলোচনার মাধ্যমে নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণা ও নির্বাচনের পূর্বে সংসদ ভেঙ্গে দেওয়া এবং প্রধানমন্ত্রী-মন্ত্রিসভা বাতিল ঘোষণা। ৭. এই মূহুর্তে থেকে নির্বাচন শেষ না হওয়া পর্যন্ত কোনো দলের কর্মীকে গ্রেপ্তার করা যাবে না এবং তফসিল ঘোষণার পূর্বে সকল ছাত্র-ছাত্রী ও রাজনৈতিক বন্দীদের মুক্তি দিতে হবে।
বৈঠকে বিকল্প ধারা বাংলাদেশ-এর প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরী, গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি) সভাপতি আ.স.ম আবদুর রব, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, ডাকসুর সাবেক ভিপি সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমেদ, বিকল্পধারার মহাসচিব মেজর অব. আবদুল মান্নান, যুগ্ম মহাসচিব মাহী বি. চৌধুরী, জেএসডি সাধারণ সম্পাদক আবদুল মালেক রতন, গণফোরাম সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসিন মন্টুসহ গণফোরাম নেতারা অংশ নেন।
জাতীয় নির্বাচনের আগে বৃহত্তর রাজনৈতিক ঐক্য গড়তে বেশ কিছুদিন ধরে কাজ করছেন যুক্তফ্রন্ট ও গণফোরাম নেতারা। এ প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে গত ১৯শে আগস্ট বিকল্প ধারার মহাসচিব মেজর অব. আবদুল মান্নানের বাসায় বৈঠক করেন যুক্তফ্রন্ট ও গণফোরাম নেতারা। এ বৈঠকে আরও কয়েকজন রাজনৈতিক নেতা অংশ নেন। ওই বৈঠকেই যুক্তফ্রন্টের সঙ্গে গণফোরামের ঐক্যের সিদ্ধান্ত হয়। এ ঐক্যকে বৃহত্তর জাতীয় ঐক্যে রূপ দিতে পরবর্তী করণীয় ঠিক করতে অন্য রাজনৈতিক দল এবং সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা করারও সিদ্ধান্ত হয়। এ কার্যক্রমের অংশ হিসেবে গতকালের বৈঠকটি হয়।
এর আগে ঐক্য প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত নেতারা জানিয়েছিলেন আগামী ২২শে সেপ্টেম্বর সোহ্রাওয়ার্দী উদ্যানে মহাসমাবেশ করে জাতীয় ঐক্যের ঘোষণা দেয়া হবে। এর আগে আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলন করে ঐক্য প্রক্রিয়ার রূপরেখা তুলে ধরা হবে। ২২শে সেপ্টেম্বর সমাবেশের বিষয়টি এখনও বিবেচনাধীন রয়েছে। সার্বিক প্রক্রিয়া পরিকল্পনামতো হলে এ দিনের সমাবেশ থেকেই বৃহৎ রাজনৈতিক ও নির্বাচনী ঐক্যের ঘোষণা আসতে পারে। যদিও যুক্তফ্রন্ট এবং গণফোরামের বাইরে অন্য দলগুলোর মধ্যে কারা ঐক্য প্রক্রিয়ায় যুক্ত হচ্ছেন তা পরিষ্কার হয়নি। জাতীয় ঐক্যের উদ্যোক্তাসূত্র বলছে, রাজপথের প্রধান বিরোধী দল বিএনপি এ প্রক্রিয়ায় যুক্ত হতে পারেন। তবে ২০ দলীয় জোটও আলাদাভাবে সক্রিয় থাকবে। দলগুলোকে জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ায় যুক্ত করতে কাজ করছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। সূত্র বলছে, ঐক্যের বিষয়ে তিনি বিএনপি’র নেতৃত্বের সঙ্গেও আলোচনা করছেন।
ঐক্যের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য চূড়ান্ত হলে একটি লিখিত সমঝোতা ও অঙ্গীকারের ভিত্তিতে জাতীয় নির্বাচনের আগেই রূপ পেতে পারে বৃহৎ রাজনৈতিক জোটের। ঐক্য প্রক্রিয়ার বিষয়ে উদ্যোক্তারা কয়েকটি বাম রাজনৈতিক দলের সঙ্গেও যোগাযোগ করেছেন। ওই দলগুলোও জাতীয় ঐক্যে অনেকটা সম্মতি দিয়েছে। এ প্রক্রিয়ার সঙ্গে আগে থেকেই আলোচনায় থাকা কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী এখনও জোটে যাওয়ার বিষয়ে অবস্থান পরিষ্কার করেননি। তাকেও জোটে রাখতে নেতাদের আগ্রহ রয়েছে। যুক্তফ্রন্ট ও গণফোরামের নেতারা ঐক্য প্রক্রিয়া শুরুর মধ্যেই আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকেও জোট শরিক বাড়ানোর আলোচনা শুরু করেছে। দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দলের নেতার সঙ্গে সম্প্রতি বৈঠক করেছেন। কয়েকটি দলের নেতার সঙ্গে তার টেলিফোন আলাপও হয়েছে। অন্যদিকে সরকারের শরিক জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ আলাদা রাজনৈতিক জোট গঠনের কথা বলে আসছেন। তিনি বলছেন, বিএনপি নির্বাচনে এলে জাতীয় পার্টি আওয়ামী লীগের জোটসঙ্গী হয়ে নির্বাচন করবে। আর বিএনপি না এলে আলাদা জোট করে তিনশ’ আসনে প্রার্থী দেবেন।
No comments