যে প্রক্রিয়ায় পাস হয় সংবিধান সংশোধনী বিল by এমরান হোসাইন শেখ
সংসদে
আইন প্রণয়ন বা সংশোধনের সঙ্গে সংবিধান সংশোধনীতে কিছুটা পার্থক্য রয়েছে।
অন্যান্য বিল পাসে যেসব প্রক্রিয়া রয়েছে সংবিধান সংশোধনে সেসব প্রক্রিয়ার
পাশাপাশি প্রয়োজন পড়ে বিভক্তি ভোটের। সংবিধান সংশোধন করতে হলে অন্তত দুই
দফা বিভক্তি ভোট লাগে।
জাতীয় সংসদের কার্যপ্রণালী বিধিতে বলা রয়েছে, যেসব বিধান সংশোধনীর জন্য সংসদে দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতার প্রয়োজন রয়েছে সেখানেই বিভক্তি ভোটের প্রশ্ন রয়েছে। আর কেবল সংবিধান সংশোধনেই প্রয়োজন পড়ে দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতার। অন্যান্য আইন সংশোধনের সময় স্পিকার ‘হ্যাঁ’ বা ‘না’-এর ফলাফল মৌখিকভাবে উল্লেখ করলেও সংবিধান সংশোধনের সময় পক্ষে-বিপক্ষে কত ভোট পড়েছে তা প্রকাশ্যে ঘোষণা করতে হয়।
সংসদের কার্যপ্রণালী বিধি পর্যালোচনা ও সংসদ সচিবালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করে জানা গেছে, সংবিধানের ১৪২ ও সংসদের কার্যপ্রণালী বিধির ৯৯ ধারায় সংবিধান সংশোধনের কথা বলা হয়েছে।
সংবিধানে ১৪২ (আ) ধারায় বলা আছে, ‘সংসদের মোট সদস্য সংখ্যার অন্যূন দুই-তৃতীয়াংশ ভোটে গৃহীত না হইলে অনুরূপ কোন বিলে সম্মতিদানের জন্য তাহা রাষ্ট্রপতির নিকট উপস্থপিত হইবে না।’
সংসদের কার্যপ্রণালী বিধির ৯৯ (খ) ধারায় বলা হয়েছে, ‘সংসদের মোট সদস্য-সংখ্যার অন্যূন দুই-তৃতীয়াংশ ভোটে গৃহীত না হইলে অনুরূপ কোন বিল বা তাহার অংশ গৃহীত হইয়াছে বলিয়া ঘোষিত হইবে না এবং সম্মতিদানের জন্য তাহা রাষ্ট্রপতির নিকট পেশ করা হইবে না।’
বিধির ৯৯ (গ) ধারায় বলা হয়েছে, ‘অনুরূপ বিলের উপর ভোট গ্রহণ কেবল বিভক্তি ভোটের দ্বারা হইবে।’
প্রসঙ্গত, সংবিধান সংশোধনীর যে দফাগুলো সংশোধন করা হবে এবং সংশোধনী পাসের বিষয়টি বিভক্ত ভোটে দিতে হবে। তবে বিভক্তি ভোটের আগে এর বিষয়ে সংসদ কক্ষে কণ্ঠভোটে (‘হ্যাঁ‘- ‘না’) ভোটের আয়োজন করা হবে।
সংবিধান সংশোধনের সময় সাধারণ আইনের মতো দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী বিলটি প্রথমে বিবেচনার জন্য সংসদে উত্থাপন করেন। পরে এই বিলটির বিষয়ে কোনও সদস্যদের যাচাই-বাছাই কমিটিতে পাঠানোর প্রস্তাব বা বিলের ওপর সংশোধনী প্রস্তাব থাকলে সংসদ সদস্যরা তা উপস্থাপন করবেন। এই দুটি বিষয়ই সাধারণ আইন পাশের মতো ‘হ্যাঁ’-‘না’ ভোটে নিষ্পত্তি হয়।
এরপর সংশোধনীর দফা বা তফশিলগুলো ভোটে দেওয়া হবে। এই দফাগুলো বিভক্তি ভোটে পাসের বিধান রয়েছে। তবে স্পিকার চাইলে প্রত্যেক দফা আলাদাভাবে ভোটের দেওয়ার কথা রয়েছে। তবে সংসদ সদস্যদের সন্মেতিতে দফা বা তফসিলগুলো একত্রে ভোটে দিতে পারেন।
বিভক্তি ভোটে যাওয়ার আগে স্পিকার ভোট নেওয়ার জন্য সংসদের লবিগুলো নির্ধারণ করে তা হাউজকে জানিয়ে দেন। এক্ষেত্রে ‘হ্যাঁ’ ও ‘না’ ভোটের জন্য লবি পৃথক করা হয়। ভোটাররা তাদের নম্বর অনুসারে যে লবিতে গিয়ে ভোট দেবেন সেটাও জানিয়ে দেওয়া হয়। সংসদ সদস্যদের জাতীয় আসনের নম্বরকে তার নিজের ভোটার নম্বর হিসেবেই চিহ্নিত করা হয়।
ভোট হওয়ার আগে স্পিকার লবিগুলো (ভোটের স্থান) খালি করার জন্য দুই মিনিট সময় ধরে ঘণ্টা বাজান। ঘণ্টা বাজানো শেষ হওয়ার পর স্পিকার বিলের দফা কণ্ঠ ভোটে দেন। কণ্ঠ ভোটের পর ‘হ্যাঁ’ পক্ষের সংসদ সদস্যদের ‘হ্যাঁ’ লবি এবং ‘না’ পক্ষের সংসদ সদস্যদের ‘না’ লবিতে যাওয়ার নির্দেশনা দেন। সবাই লবিতে প্রবেশ করলে দরজা বন্ধ করে দেওয়া হয়। পরে স্পিকারের দফতরে ভোটের ফলাফল পৌঁছালে দরজা খুলে দেওয়া হয়। এ সময় স্পিকার ভোটের ফলাফল প্রকাশ্যে ঘোষণা করেন। বিলের দফাগুলো সংশোধনীর পর বিল পাসের বিষয়ও একই প্রক্রিয়ায় শেষ হয়।
জাতীয় সংসদের কার্যপ্রণালী বিধিতে বলা রয়েছে, যেসব বিধান সংশোধনীর জন্য সংসদে দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতার প্রয়োজন রয়েছে সেখানেই বিভক্তি ভোটের প্রশ্ন রয়েছে। আর কেবল সংবিধান সংশোধনেই প্রয়োজন পড়ে দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতার। অন্যান্য আইন সংশোধনের সময় স্পিকার ‘হ্যাঁ’ বা ‘না’-এর ফলাফল মৌখিকভাবে উল্লেখ করলেও সংবিধান সংশোধনের সময় পক্ষে-বিপক্ষে কত ভোট পড়েছে তা প্রকাশ্যে ঘোষণা করতে হয়।
সংসদের কার্যপ্রণালী বিধি পর্যালোচনা ও সংসদ সচিবালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করে জানা গেছে, সংবিধানের ১৪২ ও সংসদের কার্যপ্রণালী বিধির ৯৯ ধারায় সংবিধান সংশোধনের কথা বলা হয়েছে।
সংবিধানে ১৪২ (আ) ধারায় বলা আছে, ‘সংসদের মোট সদস্য সংখ্যার অন্যূন দুই-তৃতীয়াংশ ভোটে গৃহীত না হইলে অনুরূপ কোন বিলে সম্মতিদানের জন্য তাহা রাষ্ট্রপতির নিকট উপস্থপিত হইবে না।’
সংসদের কার্যপ্রণালী বিধির ৯৯ (খ) ধারায় বলা হয়েছে, ‘সংসদের মোট সদস্য-সংখ্যার অন্যূন দুই-তৃতীয়াংশ ভোটে গৃহীত না হইলে অনুরূপ কোন বিল বা তাহার অংশ গৃহীত হইয়াছে বলিয়া ঘোষিত হইবে না এবং সম্মতিদানের জন্য তাহা রাষ্ট্রপতির নিকট পেশ করা হইবে না।’
বিধির ৯৯ (গ) ধারায় বলা হয়েছে, ‘অনুরূপ বিলের উপর ভোট গ্রহণ কেবল বিভক্তি ভোটের দ্বারা হইবে।’
প্রসঙ্গত, সংবিধান সংশোধনীর যে দফাগুলো সংশোধন করা হবে এবং সংশোধনী পাসের বিষয়টি বিভক্ত ভোটে দিতে হবে। তবে বিভক্তি ভোটের আগে এর বিষয়ে সংসদ কক্ষে কণ্ঠভোটে (‘হ্যাঁ‘- ‘না’) ভোটের আয়োজন করা হবে।
সংবিধান সংশোধনের সময় সাধারণ আইনের মতো দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী বিলটি প্রথমে বিবেচনার জন্য সংসদে উত্থাপন করেন। পরে এই বিলটির বিষয়ে কোনও সদস্যদের যাচাই-বাছাই কমিটিতে পাঠানোর প্রস্তাব বা বিলের ওপর সংশোধনী প্রস্তাব থাকলে সংসদ সদস্যরা তা উপস্থাপন করবেন। এই দুটি বিষয়ই সাধারণ আইন পাশের মতো ‘হ্যাঁ’-‘না’ ভোটে নিষ্পত্তি হয়।
এরপর সংশোধনীর দফা বা তফশিলগুলো ভোটে দেওয়া হবে। এই দফাগুলো বিভক্তি ভোটে পাসের বিধান রয়েছে। তবে স্পিকার চাইলে প্রত্যেক দফা আলাদাভাবে ভোটের দেওয়ার কথা রয়েছে। তবে সংসদ সদস্যদের সন্মেতিতে দফা বা তফসিলগুলো একত্রে ভোটে দিতে পারেন।
বিভক্তি ভোটে যাওয়ার আগে স্পিকার ভোট নেওয়ার জন্য সংসদের লবিগুলো নির্ধারণ করে তা হাউজকে জানিয়ে দেন। এক্ষেত্রে ‘হ্যাঁ’ ও ‘না’ ভোটের জন্য লবি পৃথক করা হয়। ভোটাররা তাদের নম্বর অনুসারে যে লবিতে গিয়ে ভোট দেবেন সেটাও জানিয়ে দেওয়া হয়। সংসদ সদস্যদের জাতীয় আসনের নম্বরকে তার নিজের ভোটার নম্বর হিসেবেই চিহ্নিত করা হয়।
ভোট হওয়ার আগে স্পিকার লবিগুলো (ভোটের স্থান) খালি করার জন্য দুই মিনিট সময় ধরে ঘণ্টা বাজান। ঘণ্টা বাজানো শেষ হওয়ার পর স্পিকার বিলের দফা কণ্ঠ ভোটে দেন। কণ্ঠ ভোটের পর ‘হ্যাঁ’ পক্ষের সংসদ সদস্যদের ‘হ্যাঁ’ লবি এবং ‘না’ পক্ষের সংসদ সদস্যদের ‘না’ লবিতে যাওয়ার নির্দেশনা দেন। সবাই লবিতে প্রবেশ করলে দরজা বন্ধ করে দেওয়া হয়। পরে স্পিকারের দফতরে ভোটের ফলাফল পৌঁছালে দরজা খুলে দেওয়া হয়। এ সময় স্পিকার ভোটের ফলাফল প্রকাশ্যে ঘোষণা করেন। বিলের দফাগুলো সংশোধনীর পর বিল পাসের বিষয়ও একই প্রক্রিয়ায় শেষ হয়।
No comments