বাংলাদেশ ব্যাংক ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারছে না -সাক্ষাৎকারে ড. আতিউর রহমান by এমএম মাসুদ
আর্থিক
খাতের শৃঙ্খলা রক্ষায় বাংলাদেশ ব্যাংক ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারছে না।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর আতিউর রহমান এ মন্তব্য করেছেন। তিনি
বলেছেন, বাংলাদেশ ব্যাংক আইনের ৯ নম্বর ধারা বলে কাজ করতে পারছে না, যা
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের দুর্বলতা। কেন্দ্রীয় ব্যাংক তার নিজস্ব সাহস-শক্তি নিয়ে
আগাতে পারছে না। তাকে স্বাধীনভাবে কাজ করার সুযোগ দিতে হবে। এজন্য
কেন্দ্রীয় ব্যাংককে শক্তিশালী করা উচিত। সম্প্রতি দেশের সার্বিক অর্থনীতি
নিয়ে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন। বাংলাদেশ ব্যাংকের ২০০৩ সালের সংশোধনী
আইন নিয়ে আতিউর রহমান বলেন, এই আইন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের স্ট্যাটাসটা অনেক
উপরে নিয়ে গেছে। সংশোধিত ৯ নম্বর ধারা অনুযায়ী, সরকার বাংলাদেশ ব্যাংককে
সময় সময় নির্দেশ দিতে পারবে না। এর আগে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে সরকার সময় সময়
নির্দেশ দিতে পারতো। তিনি বলেন, সরকার বাংলাদেশ ব্যাংককে অনুরোধ করতে পারে।
সেটা নেবেন কি নেবেন না তা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিজস্ব ব্যাপার। এই বেসিক
কনসেপ্ট-এ গোলমাল হয়ে গেছে। তিনি বলেন, আমার সময় আমি ওটা অনুসরণের চেষ্টা
করেছি। নীতির প্রশ্নে আমি অটল থেকেছি।
তিনি জানান, অর্থমন্ত্রী মাঝে মাঝে লিখতেন কেন্দ্রীয় ব্যাংককে নির্দেশ দেয়া হলো যে, এই এই করতে হবে। আমি ওর মধ্যে লিখতাম- কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সংশোধনী আইন ৯ নম্বর ধারা বলে, এমন নির্দেশনার কোনো সুযোগ নেই। তবে সরকার যদি সত্যি মনে করে, কোন কোন জায়গায় তাদের সহযোগিতা করা দরকার কেন্দ্রীয় ব্যাংক পূর্ণ সহযোগিতা করতে রাজি আছে। এবং আমি করেছিও তাই।
যেমন কৃষি ঋণ প্রদানে জোর দেয়া কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মূল দায়িত্বের মধ্যে পড়ে না। কিন্তু কেন্দ্রীয় ব্যাংক তা করেছে। কারণ এতে করে কৃষিপণ্যের উৎপাদন বাড়ে। খাদ্যের দাম কমে। ফলে জিনিসপত্রের দাম স্থিতিশীল থাকে। এবং এটা হয়েও ছিল। এতে করে কার লাভ? সরকারের লাভ হয়েছে। দেশ উপকৃত হয়েছে। আমার সময় ৭ বছর মূল্যস্ফীতি স্থিতিশীল ছিল।
আতিউর রহমান বলেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ৩টি ধর্ম থাকে। সুদ হার নিয়ন্ত্রণ। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ ও মুদ্রা বিনিময় হার স্থিতিশীল রাখা। এই ৩টি নিয়ন্ত্রণ করতে পারলে সুদ হার কমতে থাকে। আস্তে আস্তে মূল্যস্ফীতি কমে। আর মুদ্রা বিনিময় হার স্থিতিশীল থাকে। এই ৩টি এক সঙ্গে কেউ নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না। এটা খুবই কঠিন কাজ। তবে আমার সময় এটা সম্ভব হয়েছিল। দেখা গেছে, ৭ বছর এই ৩টি বিষয় স্থিতিশীল ছিল। বর্তমানে এই ৩টি জিনিসে গোলমাল হয়ে গেছে।
৯ নম্বর ধারা বলে যেটা ভালো মনে করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক সেটা করতে পারছে না। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এটা দুর্বলতাই বলবো। কেন্দ্রীয় ব্যাংক তার নিজস্ব সাহস শক্তি নিয়ে আগাতে পারছে না। কেন্দ্রীয় ব্যাংককে শক্তিশালী করা উচিত। তাকে স্বাধীনভাবে কাজ করার সুযোগ দিতে হবে। এতে কোনো হস্তক্ষেপ করা যাবে না। ক্ষমতা যেটা আছে সেটা যেন পরিপালনের সুযোগ পায়।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের উদ্দেশ্যে সাবেক এই গভর্নর বলেন, যেসব ব্যাংক আইন ভঙ্গ করবে তাকে আইন পরিপালনের ব্যবস্থা করবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। কেউ না মানলে তার বিরুদ্ধে শাস্তির ব্যবস্থা করবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। অযথা সার্কুলার জারি করে পুঁজিবাজারে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরির কোনো মানে হয় না। কারণ ব্যাংক ব্যবস্থা স্থিতিশীল থাকলে পুঁজিবাজার শান্ত থাকে। ২০১০ সালের পর পুঁজিবাজার একটা স্থিতিশীল অবস্থায় ছিল বলে তিনি মনে করেন। বলা হয়ে থাকে ব্যাংক খাতে তারল্য সংকট। এটা কোথা থেকে এলো এই তারল্য সংকট। আমার সময় এমন কোনো খবর ছিল না।
তিনি বলেন, ব্যাংক মেলা ছিল। এখন নেই। মোবাইল ব্যাংকিং বিপ্লব হয়েছে। অথচ এটা নিয়ে অনেকেই বিরোধিতা করছে। কিন্তু বাস্তবতা এখন ভিন্ন। সব মিলিয়ে সার্বিক অর্থনীতি আগামীতে চ্যালেঞ্জে পড়বে। এর মধ্যে মূল্যস্ফীতি বাড়বে। জিনিসপত্রের দাম বাড়া শুরু করেছে। মুদ্রার বিনিময় হার বাড়বে। ইতিমধ্যেই বাড়া শুরু করেছে। সুদ হার বাড়বে। ইতিমধ্যেই দুই অঙ্কে চলে এসেছে সুদ হার। এর জন্য ক্ষুদ্র ও কৃষি ঋণে জোর দিতে হবে। এতে কৃষি উৎপাদন বাড়বে। জিনিসপত্রের দাম কমে আসবে। দেশ উপকৃত হবে।
তিনি জানান, অর্থমন্ত্রী মাঝে মাঝে লিখতেন কেন্দ্রীয় ব্যাংককে নির্দেশ দেয়া হলো যে, এই এই করতে হবে। আমি ওর মধ্যে লিখতাম- কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সংশোধনী আইন ৯ নম্বর ধারা বলে, এমন নির্দেশনার কোনো সুযোগ নেই। তবে সরকার যদি সত্যি মনে করে, কোন কোন জায়গায় তাদের সহযোগিতা করা দরকার কেন্দ্রীয় ব্যাংক পূর্ণ সহযোগিতা করতে রাজি আছে। এবং আমি করেছিও তাই।
যেমন কৃষি ঋণ প্রদানে জোর দেয়া কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মূল দায়িত্বের মধ্যে পড়ে না। কিন্তু কেন্দ্রীয় ব্যাংক তা করেছে। কারণ এতে করে কৃষিপণ্যের উৎপাদন বাড়ে। খাদ্যের দাম কমে। ফলে জিনিসপত্রের দাম স্থিতিশীল থাকে। এবং এটা হয়েও ছিল। এতে করে কার লাভ? সরকারের লাভ হয়েছে। দেশ উপকৃত হয়েছে। আমার সময় ৭ বছর মূল্যস্ফীতি স্থিতিশীল ছিল।
আতিউর রহমান বলেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ৩টি ধর্ম থাকে। সুদ হার নিয়ন্ত্রণ। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ ও মুদ্রা বিনিময় হার স্থিতিশীল রাখা। এই ৩টি নিয়ন্ত্রণ করতে পারলে সুদ হার কমতে থাকে। আস্তে আস্তে মূল্যস্ফীতি কমে। আর মুদ্রা বিনিময় হার স্থিতিশীল থাকে। এই ৩টি এক সঙ্গে কেউ নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না। এটা খুবই কঠিন কাজ। তবে আমার সময় এটা সম্ভব হয়েছিল। দেখা গেছে, ৭ বছর এই ৩টি বিষয় স্থিতিশীল ছিল। বর্তমানে এই ৩টি জিনিসে গোলমাল হয়ে গেছে।
৯ নম্বর ধারা বলে যেটা ভালো মনে করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক সেটা করতে পারছে না। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এটা দুর্বলতাই বলবো। কেন্দ্রীয় ব্যাংক তার নিজস্ব সাহস শক্তি নিয়ে আগাতে পারছে না। কেন্দ্রীয় ব্যাংককে শক্তিশালী করা উচিত। তাকে স্বাধীনভাবে কাজ করার সুযোগ দিতে হবে। এতে কোনো হস্তক্ষেপ করা যাবে না। ক্ষমতা যেটা আছে সেটা যেন পরিপালনের সুযোগ পায়।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের উদ্দেশ্যে সাবেক এই গভর্নর বলেন, যেসব ব্যাংক আইন ভঙ্গ করবে তাকে আইন পরিপালনের ব্যবস্থা করবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। কেউ না মানলে তার বিরুদ্ধে শাস্তির ব্যবস্থা করবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। অযথা সার্কুলার জারি করে পুঁজিবাজারে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরির কোনো মানে হয় না। কারণ ব্যাংক ব্যবস্থা স্থিতিশীল থাকলে পুঁজিবাজার শান্ত থাকে। ২০১০ সালের পর পুঁজিবাজার একটা স্থিতিশীল অবস্থায় ছিল বলে তিনি মনে করেন। বলা হয়ে থাকে ব্যাংক খাতে তারল্য সংকট। এটা কোথা থেকে এলো এই তারল্য সংকট। আমার সময় এমন কোনো খবর ছিল না।
তিনি বলেন, ব্যাংক মেলা ছিল। এখন নেই। মোবাইল ব্যাংকিং বিপ্লব হয়েছে। অথচ এটা নিয়ে অনেকেই বিরোধিতা করছে। কিন্তু বাস্তবতা এখন ভিন্ন। সব মিলিয়ে সার্বিক অর্থনীতি আগামীতে চ্যালেঞ্জে পড়বে। এর মধ্যে মূল্যস্ফীতি বাড়বে। জিনিসপত্রের দাম বাড়া শুরু করেছে। মুদ্রার বিনিময় হার বাড়বে। ইতিমধ্যেই বাড়া শুরু করেছে। সুদ হার বাড়বে। ইতিমধ্যেই দুই অঙ্কে চলে এসেছে সুদ হার। এর জন্য ক্ষুদ্র ও কৃষি ঋণে জোর দিতে হবে। এতে কৃষি উৎপাদন বাড়বে। জিনিসপত্রের দাম কমে আসবে। দেশ উপকৃত হবে।
No comments