গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব নিয়ে ভাবছে বিইআরসি by ফরিদ উদ্দিন আহমেদ
বাসাবাড়ি
বাদ দিয়ে আবারো গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছে কোম্পানিগুলো।
বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)’র কাছে গ্যাস বিতরণ
কোম্পানিগুলো আনুষ্ঠানিকভাবে গ্যাসের দাম বৃদ্ধির প্রস্তাব জমা দেয় গত ২০শে
মার্চ। কিন্তু প্রস্তাবের পর বিইআরসি এখন পর্যন্ত গ্যাসের দাম বাড়ানোর
বিষয়ে কোনো গণশুনানির সিদ্ধান্তই নেয়নি বলে সূত্র জানিয়েছে। অথচ জাতীয়
গ্রিডে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) যুক্ত করার জন্য প্রস্তুতি প্রায়
শেষের দিকে। প্রথম দফায় জাতীয় গ্রিডে ৫০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস যুক্ত হচ্ছে
মে’র প্রথম সপ্তাহে। তিতাস গ্যাস বিতরণ কোম্পানির এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন,
আবাসিক ছাড়া অন্য সব খাতেই গ্যাসের দাম বাড়ানো হচ্ছে। তবে আবাসিক গ্রাহকের
আশান্বিত হওয়ার কিছু নেই। এলএনজি আমদানি আরো বাড়লে আবাসিক গ্রাহকদের
গ্যাসের দামও বাড়বে। নতুন প্রস্তাবনায় বিদ্যুৎ, সারকারখানা, শিল্প,
ক্যাপটিভে গ্যাসের দাম দ্বিগুণ করার প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। সিএনজিতে ২০
শতাংশ দাম বাড়ানোর কথা বলা হয়েছে। প্রতি ঘনমিটার শিল্পে ১৬ টাকা, বিদ্যুতে
১০ টাকা, সারে ১২ টাকা ৮০ পয়সা, সিএনজিতে ৪০ টাকা থেকে ৪৮, ক্যাপটিভে ১৬
টাকা এবং চা শিল্পে ১২ টাকা ৮০ পয়সা নতুন দাম প্রস্তাব করা হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মীর মশিউর রহমান মানবজমিনকে বলেন, তারা গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধির প্রস্তাব বিইআরসিতে জমা দিয়েছেন ২০শে মার্চ। তিনি আরো জানান, সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী এই প্রস্তাব তৈরি করেছেন তারা। এখন বিইআরসিই সিদ্ধান্ত নেবে কত টাকা দাম বাড়ানো হবে। তিনি বলেন, এই মুহূর্তে বাসাবাড়ির জন্য গ্যাসের দাম বৃদ্ধির কোনো প্রস্তাব দেয়া হয়নি।
সূত্র জানায়, প্রথম দফায় যুক্ত হবে ৫০০ মিলিয়ন ঘনফুট এলএনজি। এজন্য মহেশখালীর টার্মিনাল থেকে চট্টগ্রাম পর্যন্ত পাইপলাইন নির্মাণের কাজ প্রায় চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। এক্সিলেরেটর এনার্জি বাংলাদেশ লিমিটেডের (ইইবিএল) মাধ্যমে বাস্তবায়িত ভাসমান টার্মিনাল থেকে এই গ্যাস গরম করে প্রাকৃতিক গ্যাসে রূপান্তরিত করে জাতীয় গ্রিডে যুক্ত করা হবে। চলতি মাসের শেষের দিকে ভাসমান এলএনজি টার্মিনালটি বাংলাদেশে এসে পৌঁছবে। যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ কোম্পানি এক্সিলেরেটর এনার্জি এই ভাসমান টার্মিনালটি স্থাপন করবে কক্সবাজারের মহেশখালীতে।
পেট্রোবাংলা সূত্র জানায়, এলএনজি আমদানি ও টার্মিনাল স্থাপনে জ্বালানি নিরাপত্তা তহবিল থেকে অর্থসংস্থানে অনুমোদন দেয়া হয়েছে গত দু’মাস আগেই। টার্মিনাল স্থাপনের কাজও এগিয়ে চলেছে। আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে জাতীয় গ্রিডে এলএনজি থেকে গ্যাস সরবরাহ করা সম্ভব হবে। গ্যাস বিতরণ কোম্পানিগুলো বিইআরসি’র কাছে গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব করলেও বিইআরসি এখনো কোনো গণশুনানির সিদ্ধান্ত নেয়নি। ফলে এই নিয়ে পেট্রোবাংলা খুব চিন্তায় আছে বলে সূত্র জানিয়েছে।
এ বিষয়ে পেট্রোবাংলার পরিচালক (অর্থ) মো. তৌহিদুল হাসনাত খান মানবজমিনকে বলেন, গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব গত মাসেই দেয়া হয়েছে বিইআরসি’র কাছে। বিইআরসি আরো কিছু তথ্য-উপাত্ত চেয়েছে। আমরা তা দু-এক দিনের মধ্যে সরবরাহ করবো।
এ প্রসঙ্গে বিইআরসি’র সদস্য মিজানুর রহমান মানবজমিনকে বলেন, দাম বাড়ানোর প্রস্তাব পাওয়ার পর নিয়ম অনুযায়ী অনেক প্রক্রিয়ায় আগাতে হয়। এজন্য দীর্ঘ সময় লাগে। জাতীয় গ্রিডে গ্যাস সরবরাহ হলেও সিদ্ধান্ত না হওয়া পর্যন্ত আগের দামে বিল দিবেন গ্রাহকরা। তিনি বলেন, গণশুনানির জন্য আরো দেড় থেকে দু’মাস সময় লাগতে পারে।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মীর মশিউর রহমান মানবজমিনকে বলেন, তারা গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধির প্রস্তাব বিইআরসিতে জমা দিয়েছেন ২০শে মার্চ। তিনি আরো জানান, সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী এই প্রস্তাব তৈরি করেছেন তারা। এখন বিইআরসিই সিদ্ধান্ত নেবে কত টাকা দাম বাড়ানো হবে। তিনি বলেন, এই মুহূর্তে বাসাবাড়ির জন্য গ্যাসের দাম বৃদ্ধির কোনো প্রস্তাব দেয়া হয়নি।
সূত্র জানায়, প্রথম দফায় যুক্ত হবে ৫০০ মিলিয়ন ঘনফুট এলএনজি। এজন্য মহেশখালীর টার্মিনাল থেকে চট্টগ্রাম পর্যন্ত পাইপলাইন নির্মাণের কাজ প্রায় চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। এক্সিলেরেটর এনার্জি বাংলাদেশ লিমিটেডের (ইইবিএল) মাধ্যমে বাস্তবায়িত ভাসমান টার্মিনাল থেকে এই গ্যাস গরম করে প্রাকৃতিক গ্যাসে রূপান্তরিত করে জাতীয় গ্রিডে যুক্ত করা হবে। চলতি মাসের শেষের দিকে ভাসমান এলএনজি টার্মিনালটি বাংলাদেশে এসে পৌঁছবে। যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ কোম্পানি এক্সিলেরেটর এনার্জি এই ভাসমান টার্মিনালটি স্থাপন করবে কক্সবাজারের মহেশখালীতে।
পেট্রোবাংলা সূত্র জানায়, এলএনজি আমদানি ও টার্মিনাল স্থাপনে জ্বালানি নিরাপত্তা তহবিল থেকে অর্থসংস্থানে অনুমোদন দেয়া হয়েছে গত দু’মাস আগেই। টার্মিনাল স্থাপনের কাজও এগিয়ে চলেছে। আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে জাতীয় গ্রিডে এলএনজি থেকে গ্যাস সরবরাহ করা সম্ভব হবে। গ্যাস বিতরণ কোম্পানিগুলো বিইআরসি’র কাছে গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব করলেও বিইআরসি এখনো কোনো গণশুনানির সিদ্ধান্ত নেয়নি। ফলে এই নিয়ে পেট্রোবাংলা খুব চিন্তায় আছে বলে সূত্র জানিয়েছে।
এ বিষয়ে পেট্রোবাংলার পরিচালক (অর্থ) মো. তৌহিদুল হাসনাত খান মানবজমিনকে বলেন, গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব গত মাসেই দেয়া হয়েছে বিইআরসি’র কাছে। বিইআরসি আরো কিছু তথ্য-উপাত্ত চেয়েছে। আমরা তা দু-এক দিনের মধ্যে সরবরাহ করবো।
এ প্রসঙ্গে বিইআরসি’র সদস্য মিজানুর রহমান মানবজমিনকে বলেন, দাম বাড়ানোর প্রস্তাব পাওয়ার পর নিয়ম অনুযায়ী অনেক প্রক্রিয়ায় আগাতে হয়। এজন্য দীর্ঘ সময় লাগে। জাতীয় গ্রিডে গ্যাস সরবরাহ হলেও সিদ্ধান্ত না হওয়া পর্যন্ত আগের দামে বিল দিবেন গ্রাহকরা। তিনি বলেন, গণশুনানির জন্য আরো দেড় থেকে দু’মাস সময় লাগতে পারে।
No comments