মাদক: ৩ মাসে ১৩ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা by আল আমিন
মাদক
কেনাবেচায় জড়িত পুলিশের কতিপয় সদস্য। ইতিমধ্যে কিছু সদস্যের বিরুদ্ধে
অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। গত মার্চ
মাসে পুলিশের সদর দপ্তরে অপরাধ সভায় ডিএমপি তেজগাঁও জোনের ডিসি বিপ্লব
কুমার সরকার মাদকের বিরুদ্ধে শক্তভাবে অবস্থান নেয়ার জন্য পুলিশের আইজির
প্রতি আহ্বান জানান। পুলিশ সদরদপ্তর সূত্র জানিয়েছে, চলতি বছরের তিন মাসে
মাদকের কারবারের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ১৩ পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে
ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। ২৬ জন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে। পুলিশ সদর
দপ্তরের ডিসিপ্লিন অ্যান্ড প্রফেশনালার্স স্টান্ডার্ড (ডিঅ্যান্ডপিএস)
সূত্রে জানা গেছে চলতি বছরের ২২শে ফেব্রুয়ারি কুমিল্লার কোতোয়ালি মডেল
থানায় মালখানা থেকে মাদক সরানোর অভিযোগ ওঠে মালখানার দায়িত্বে থাকা এসআই
আহসান হাবিব এবং থানার ইন্সপেক্টর (অপারেশন) তপন বকশীর বিরুদ্ধে। পরে তাদের
সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। ৭ই মার্চ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার টিআলী মোড়
থেকে দুটি প্রাইভেটকারে তল্লাশি চালিয়ে বিপুল পরিমাণ গাঁজা উদ্ধার করে
পুলিশের একটি দল। পরে তারা মাত্র ৪০ কেজি গাঁজা থানায় জমা দিয়ে বাকি গাঁজা
থানার পাশের একটি ঝোপে লুকিয়ে রাখে। বিষয়টি জেলার ডিবি পুলিশের একটি দল
জানতে পারলে সেই ঝোপ থেকে গাঁজাগুলো উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় কসবা থানার
এসআই শ্যামল মজুমদার, মনির হোসেন, এএসআই ফারুক, সালাউদ্দিন ও কনস্টেবল
শাহজাহান ও কাশেম নামে ছয় সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
গত গত ৮ই মার্চ নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার এএসআই সোহরাওয়ার্দী রুবেলের বাসা থেকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ডিবি পুলিশের একটি দল প্রায় ৫০ হাজার ইয়াবা উদ্ধার করে। নারায়ণগঞ্জে ইয়াবা ব্যবসায়ীদের সঙ্গে সখ্য থাকার অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ তার বাসায় অভিযান চালায়। এ ছাড়াও বিভিন্ন মাদক ব্যবসায়ীদের ধরে তাদের কাছে যেসব মাদক পাওয়া যেত সেইসব মাদক থানায় জমা দিত না এএসআই রুবেল।
গত ১৫ই মার্চ বরিশালের উজিরপুরের শিকারপুর গ্রামে শামীম নামে এক যুবককে বিপুল পরিমাণের ইয়াবা ট্যাবলেটসহ গ্রেপ্তার করেন এএসআই আমিনুল। ওই ইয়াবা ট্যাবলেটগুলো অন্যস্থানে বিক্রয় করে দেন আমিনুল এবং ৩০ হাজার টাকার বিনিময়ে শামীমকে ছেড়ে দেয়া হয়। এ ঘটনায় আমিনুলকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
ডিএন্ডপিএস সূত্রে জানা গেছে, মাদকের কারবারে জড়িত থাকার অভিযোগে কুমিল্লায় দুই জন, ব্রাক্ষণবাড়িয়ার ছয় জন, নারায়ণগঞ্জে দুই জন, বরিশালে এক জন, চট্টগ্রামে এক জন ও কক্সবাজারে এক জনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এদের বিরুদ্ধে নিয়ম অনুযায়ী বিভাগীয় শাস্তিসহ ফৌজদারি মামলা করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
জানা গেছে, পুলিশের বিরুদ্ধে নানামুখী অভিযোগের মধ্যে মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িয়ে যাওয়ার অভিযোগ রয়েছে। এই অপরাধের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ছে মাঠপর্যায় থেকে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। অভিযুক্ত পুলিশ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে নানামুখী শাস্তির ব্যবস্থা করলেও এই অপরাধপ্রবণতা থামানো যাচ্ছে না।
সূত্র জানায়, চলতি বছরের ৩১শে জানুয়ারি মাদক দমনে পুলিশ সদর দপ্তর থেকে একটি বিশেষ নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। কীভাবে মাদক দমন করা যাবে তা উল্লেখ ছাড়াও মাদকের কারবারে পুলিশ সদস্য জড়িত থাকলে কঠোর শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে বলে জানানো হয়েছে। ওই নির্দেশনায় প্রত্যেক জেলার এসপির কার্যালয় থেকে একটি বিশেষ টিমকে মাঠ পর্যায়ে সার্বক্ষণিক নজরদারি করতে বলা হয়েছে। যাতে কোনো পুলিশ কর্মকর্তা মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িয়ে না হয়ে পড়ে।
কেন পুলিশ মাদকে জড়াচ্ছে বিষয়টি জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাধ বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. জিয়া রহমান জানান, পুলিশ মাদকে জড়াচ্ছে এটা একটা অপরাধ। এটা নতুন কিছু নয়। পুলিশের মধ্যে এই অপরাধ প্রবণতা আগেও ছিল। এখনও আছে। তিনি বলেন, পুলিশের বিভিন্ন বিষয় দেশের গণমাধ্যমগুলোতে আসার কারণে এই অপরাধ সম্বন্ধে জানা যাচ্ছে। এই অপরাধ থেকে বের হয়ে আসতে হলে পুলিশের মধ্যে স্বচ্ছতা আনতে হবে। মাদকের সঙ্গে যত বড়ই পুলিশের কর্মকর্তা জড়িত থাকুক না কেন তার বিরুদ্ধে দ্রুত শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে।
এ বিষয়ে পুলিশ সদর দপ্তরের (মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন) বিভাগের এআইজি সহেলী ফেরদৌস মানবজমিনকে জানান, মাদক, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিষয়ে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছে পুলিশ। যেসব পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে মাদক ব্যবসার অভিযোগ পাওয়া যাবে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আসা মাত্রই আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করছি। এক্ষেত্রে কোনো ছাড় দেয়া হবে না।
গত গত ৮ই মার্চ নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার এএসআই সোহরাওয়ার্দী রুবেলের বাসা থেকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ডিবি পুলিশের একটি দল প্রায় ৫০ হাজার ইয়াবা উদ্ধার করে। নারায়ণগঞ্জে ইয়াবা ব্যবসায়ীদের সঙ্গে সখ্য থাকার অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ তার বাসায় অভিযান চালায়। এ ছাড়াও বিভিন্ন মাদক ব্যবসায়ীদের ধরে তাদের কাছে যেসব মাদক পাওয়া যেত সেইসব মাদক থানায় জমা দিত না এএসআই রুবেল।
গত ১৫ই মার্চ বরিশালের উজিরপুরের শিকারপুর গ্রামে শামীম নামে এক যুবককে বিপুল পরিমাণের ইয়াবা ট্যাবলেটসহ গ্রেপ্তার করেন এএসআই আমিনুল। ওই ইয়াবা ট্যাবলেটগুলো অন্যস্থানে বিক্রয় করে দেন আমিনুল এবং ৩০ হাজার টাকার বিনিময়ে শামীমকে ছেড়ে দেয়া হয়। এ ঘটনায় আমিনুলকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
ডিএন্ডপিএস সূত্রে জানা গেছে, মাদকের কারবারে জড়িত থাকার অভিযোগে কুমিল্লায় দুই জন, ব্রাক্ষণবাড়িয়ার ছয় জন, নারায়ণগঞ্জে দুই জন, বরিশালে এক জন, চট্টগ্রামে এক জন ও কক্সবাজারে এক জনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এদের বিরুদ্ধে নিয়ম অনুযায়ী বিভাগীয় শাস্তিসহ ফৌজদারি মামলা করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
জানা গেছে, পুলিশের বিরুদ্ধে নানামুখী অভিযোগের মধ্যে মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িয়ে যাওয়ার অভিযোগ রয়েছে। এই অপরাধের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ছে মাঠপর্যায় থেকে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। অভিযুক্ত পুলিশ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে নানামুখী শাস্তির ব্যবস্থা করলেও এই অপরাধপ্রবণতা থামানো যাচ্ছে না।
সূত্র জানায়, চলতি বছরের ৩১শে জানুয়ারি মাদক দমনে পুলিশ সদর দপ্তর থেকে একটি বিশেষ নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। কীভাবে মাদক দমন করা যাবে তা উল্লেখ ছাড়াও মাদকের কারবারে পুলিশ সদস্য জড়িত থাকলে কঠোর শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে বলে জানানো হয়েছে। ওই নির্দেশনায় প্রত্যেক জেলার এসপির কার্যালয় থেকে একটি বিশেষ টিমকে মাঠ পর্যায়ে সার্বক্ষণিক নজরদারি করতে বলা হয়েছে। যাতে কোনো পুলিশ কর্মকর্তা মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িয়ে না হয়ে পড়ে।
কেন পুলিশ মাদকে জড়াচ্ছে বিষয়টি জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাধ বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. জিয়া রহমান জানান, পুলিশ মাদকে জড়াচ্ছে এটা একটা অপরাধ। এটা নতুন কিছু নয়। পুলিশের মধ্যে এই অপরাধ প্রবণতা আগেও ছিল। এখনও আছে। তিনি বলেন, পুলিশের বিভিন্ন বিষয় দেশের গণমাধ্যমগুলোতে আসার কারণে এই অপরাধ সম্বন্ধে জানা যাচ্ছে। এই অপরাধ থেকে বের হয়ে আসতে হলে পুলিশের মধ্যে স্বচ্ছতা আনতে হবে। মাদকের সঙ্গে যত বড়ই পুলিশের কর্মকর্তা জড়িত থাকুক না কেন তার বিরুদ্ধে দ্রুত শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে।
এ বিষয়ে পুলিশ সদর দপ্তরের (মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন) বিভাগের এআইজি সহেলী ফেরদৌস মানবজমিনকে জানান, মাদক, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিষয়ে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছে পুলিশ। যেসব পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে মাদক ব্যবসার অভিযোগ পাওয়া যাবে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আসা মাত্রই আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করছি। এক্ষেত্রে কোনো ছাড় দেয়া হবে না।
No comments