দখল উৎসব আখাউড়ায়
পঞ্চান্ন
জনের দল। তন্তর-ভাটামাথা, ধরখার গ্রামের প্রভাবশালী সবাইকে এ দলভুক্ত করা
হয়েছে। প্রতিজনে টাকা দিয়ে ২০/২৫ লাখ টাকার ফান্ড করেছেন। এই ফান্ড ব্যবহার
হচ্ছে কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের পূর্বপাশে ভাটামাথা বাজার লাগোয়া সরকারি ও
ব্যক্তির জায়গা দখলে। সেখানে মার্কেট করার পরিকল্পনা তাদের। ভাটামাথা
গ্রামের হাশিমপুরের মো: নূর মিয়া, ৯ নং ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য ও বাছির
আহমেদ নেতৃত্ব দিচ্ছেন এই দখলের। আর আড়াল থেকে সহায়তা দিচ্ছেন আখাউড়া
উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ভাটামাথা গ্রামের মুরাদ হোসেন ভূইয়া। এ নিয়ে
ভাটামাথা গ্রামে বিরাজ করছে উত্তেজনা। আদালত আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির দিকে
খেয়াল রাখার কথা বললেও আখাউড়া থানার ওসি নির্বিকার। সড়ক বিভাগ তাদের জায়গা
দখলের বিরুদ্ধে আখাউড়া থানায় মামলা করতে গেলেও থানার ওসি মোশাররফ হোসেন
তরফদার মামলাটি ফিরিয়ে দেন। ওই ইউনিয়নের ধরখার এলাকায় থাকা ফাঁড়ির পুলিশও
নিরব। স্থানীয় লোকজন জানিয়েছেন- যে কোনো সময় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ বাধতে পারে এ
ঘটনায়। গত এক সপ্তাহ ধরে চলছে মাটি ভরাট কাজ।
সরজমিন দেখা গেছে, মহাসড়কের পাশে সড়ক বিভাগের ১০ শতক এবং পার্শ্ববর্তী ব্যক্তি মালিকানাধীন সাড়ে ১৫ শতক জায়গা মাটি ফেলে ভরাট করা হচ্ছে। নিজের ট্রাক্টরে করে মাটি সরবরাহ করছেন ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শেখ ইয়াকুব রহমান খোকন। খোকন জানান- জায়গাটিতে গরুর বাজার করা হবে। খাসের এই জায়গা রোডসের সঙ্গে কথা বলেই ভরাট করা হচ্ছে। তিনি শুধু মাটি সরবরাহ করছেন। ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক বাছির মিয়া অবশ্য জানান, বাজারে আসা-যাওয়ার জন্যে তারা একটি রাস্তা করছেন। একটি রাস্তার জন্যে অনুমান একশ’ ফুট প্রস্থে কেন মাটি ফেলা হচ্ছে- এ প্রশ্নে তার উত্তর কিছু মাটি ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়েছে। তবে সড়ক বিভাগের লিখিত অনুমতি না থাকার কথাও স্বীকার করেন বাছির। সড়ক বিভাগের পরের জায়গাটির মালিক মো: এনামুল কবির, আবদুস সালামসহ ৩০ জন। তাদের মালিকানাধীন জায়গাও মাটি ভরাট করে দখল করা হচ্ছে। আর তা অসহায় হয়ে দেখছেন জায়গার মালিকরা। ভয়ে কিছু বলার সাহস পাচ্ছেন না। জায়গার মালিক মুক্তিযোদ্ধা নারায়ণ সেন, মিন্টু চন্দ্র পাল ও আবদুল মতিন মিয়া বলেন, এনিয়ে কথা বলায় আমাদের হত্যার হুমকি দেয়া হয়েছে। থানায় গিয়ে ওসিকে তারা নিরাপত্তাহীনতার কথা জানিয়ে এসেছেন। ভাটামাথা বাজার কমিটির সভাপতি আবদুস সালাম জানান- ১৯৮২ সালে তন্তর মৌজার সাবেক ৪৫১ দাগের এ জায়গাটি ক্রয় করেন তারা। এরপর সেখান থেকে মাটি কেটে পার্শ্ববর্তী বাজারে মাটি ভরাট করে দোকানভিটি করেন। পরে জলাশয় হওয়া ওই জায়গায় মাছ চাষ করতে থাকেন। এ ভাবে ৩৫ বছর ধরে তাদের ভোগদখলে থাকা জায়গাটি দখল করতে গত নভেম্বরে তৎপর হয় ভাটামাথা গ্রামের নূর মিয়া, মো. হাফিজুল ইসলাম, মো. আবদু মিয়া, মো. বাবুল মিয়া ও মো. ইয়াছিন মিয়া। তারা ড্রেজার দিয়ে মাটি ভরাট করার চেষ্টা চালায়। এরপরই ২০১৭ সালের ২৮শে নভেম্বর অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১৪৪ ধারা জারি চেয়ে মামলা করেন জায়গার মালিকদের একজন মো. এনামুল কবির। আদালত আখাউড়া থানার ওসিকে শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখার ব্যবস্থা গ্রহণ করতে এবং এ বিষয়ে একটি প্রতিবেদন দেয়ার নির্দেশ দেয়। ২৪শে ডিসেম্বর ধরখার ফাঁড়ির এসআই মো. দেলোয়ার হোসেন সরজমিন তদন্ত করে আদালতে একটি প্রতিবেদন দেন। যাতে জায়গাটি এনামুল কবির গংয়ের দখলে রয়েছে এবং মো. নূর মিয়া গং তাদের মালিকানার স্বপক্ষে কোনো কাগজপত্র দেখাতে পারেনি বলে বলা হয়। পাশাপাশি ধরখার ইউনিয়ন ভূমি অফিসও এ বিষয়ে সরজমিন তদন্ত করে এ বছরের ১১ই জানুয়ারি আদালতে একটি প্রতিবেদন দেয়। যাতে মো: বাবরু মিয়া, মো. আবরু মিয়া ও মো. আবদু মিয়ার কাছ থেকে সাড়ে ১৫ শতক ভূমি ক্রয় করে রেজিস্ট্রি দলিলমূলে আবু তাহের, আবদুস সালামসহ ৩০ জন মালিক হন বলে উল্লেখ করা হয়। অন্যদিকে নূর মিয়া গং জায়গার অন্য ওয়ারিশদের কাছ থেকে বায়নাপত্র দলিল সূত্রে সোয়া ৬ শতক জায়গার মালিকানা দাবি করলেও তারা এ সংক্রান্ত কোন কাগজপত্র দেখাতে পারেনি বলে ভূমি অফিসের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। তারপরও সড়ক বিভাগের জায়গার পাশাপাশি আবদুস সালামদের জায়গা মাটি ভরাট করে দখলে মত্ত নূর মিয়া ও তার লোকজন। ভাটামাথা বাজার কমিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. বিল্লাল হোসেন বলেন- দেশে কোনো আইন-কানুন আছে বলে মনে হয় না। তা না হলে আমাদের ৩৫ বছর আগে কেনা জায়গা এভাবে দখল করে। এ বিষয়ে আখাউড়া উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান মুরাদ হোসেন ভূঁইয়া বলেন, এটা আমার গ্রামের দরবার। আমি এটা মিটমাট করার চেষ্টা করছি। কিন্তু এক পক্ষ না আসায় তা সম্ভব হয়নি। তবে এর সঙ্গে আমার কোন সংশ্লিষ্টতা নেই।ব্রাহ্মণবাড়িয়া সড়ক ও জনপথের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু এহতেশাম রাশেদ বলেন একজন আমাকে ফোন করে বলেছিলো তারা গ্রামে যাওয়ার রাস্তা করছে। তখন আমি বলেছি এখানে কোন মার্কেট, বাজার বা স্থাপনা হলে আমি ছাড়ব না। তিনি আরো বলেন- আমরা এ ব্যাপারে আখাউড়া থানায় মামলা দিয়েছিলাম। কিন্তু থানা মামলা নেয়নি। আখাউড়া থানার ওসি মোশাররফ হোসেন তরফদার বলেন-আইনশৃঙ্খলা যে খারাপ সেটা আমরা কয়েকদিন ধরেই দেখছি। আমরা কন্ট্রোলে রাখার চেষ্টা করছি।
সরজমিন দেখা গেছে, মহাসড়কের পাশে সড়ক বিভাগের ১০ শতক এবং পার্শ্ববর্তী ব্যক্তি মালিকানাধীন সাড়ে ১৫ শতক জায়গা মাটি ফেলে ভরাট করা হচ্ছে। নিজের ট্রাক্টরে করে মাটি সরবরাহ করছেন ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শেখ ইয়াকুব রহমান খোকন। খোকন জানান- জায়গাটিতে গরুর বাজার করা হবে। খাসের এই জায়গা রোডসের সঙ্গে কথা বলেই ভরাট করা হচ্ছে। তিনি শুধু মাটি সরবরাহ করছেন। ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক বাছির মিয়া অবশ্য জানান, বাজারে আসা-যাওয়ার জন্যে তারা একটি রাস্তা করছেন। একটি রাস্তার জন্যে অনুমান একশ’ ফুট প্রস্থে কেন মাটি ফেলা হচ্ছে- এ প্রশ্নে তার উত্তর কিছু মাটি ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়েছে। তবে সড়ক বিভাগের লিখিত অনুমতি না থাকার কথাও স্বীকার করেন বাছির। সড়ক বিভাগের পরের জায়গাটির মালিক মো: এনামুল কবির, আবদুস সালামসহ ৩০ জন। তাদের মালিকানাধীন জায়গাও মাটি ভরাট করে দখল করা হচ্ছে। আর তা অসহায় হয়ে দেখছেন জায়গার মালিকরা। ভয়ে কিছু বলার সাহস পাচ্ছেন না। জায়গার মালিক মুক্তিযোদ্ধা নারায়ণ সেন, মিন্টু চন্দ্র পাল ও আবদুল মতিন মিয়া বলেন, এনিয়ে কথা বলায় আমাদের হত্যার হুমকি দেয়া হয়েছে। থানায় গিয়ে ওসিকে তারা নিরাপত্তাহীনতার কথা জানিয়ে এসেছেন। ভাটামাথা বাজার কমিটির সভাপতি আবদুস সালাম জানান- ১৯৮২ সালে তন্তর মৌজার সাবেক ৪৫১ দাগের এ জায়গাটি ক্রয় করেন তারা। এরপর সেখান থেকে মাটি কেটে পার্শ্ববর্তী বাজারে মাটি ভরাট করে দোকানভিটি করেন। পরে জলাশয় হওয়া ওই জায়গায় মাছ চাষ করতে থাকেন। এ ভাবে ৩৫ বছর ধরে তাদের ভোগদখলে থাকা জায়গাটি দখল করতে গত নভেম্বরে তৎপর হয় ভাটামাথা গ্রামের নূর মিয়া, মো. হাফিজুল ইসলাম, মো. আবদু মিয়া, মো. বাবুল মিয়া ও মো. ইয়াছিন মিয়া। তারা ড্রেজার দিয়ে মাটি ভরাট করার চেষ্টা চালায়। এরপরই ২০১৭ সালের ২৮শে নভেম্বর অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১৪৪ ধারা জারি চেয়ে মামলা করেন জায়গার মালিকদের একজন মো. এনামুল কবির। আদালত আখাউড়া থানার ওসিকে শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখার ব্যবস্থা গ্রহণ করতে এবং এ বিষয়ে একটি প্রতিবেদন দেয়ার নির্দেশ দেয়। ২৪শে ডিসেম্বর ধরখার ফাঁড়ির এসআই মো. দেলোয়ার হোসেন সরজমিন তদন্ত করে আদালতে একটি প্রতিবেদন দেন। যাতে জায়গাটি এনামুল কবির গংয়ের দখলে রয়েছে এবং মো. নূর মিয়া গং তাদের মালিকানার স্বপক্ষে কোনো কাগজপত্র দেখাতে পারেনি বলে বলা হয়। পাশাপাশি ধরখার ইউনিয়ন ভূমি অফিসও এ বিষয়ে সরজমিন তদন্ত করে এ বছরের ১১ই জানুয়ারি আদালতে একটি প্রতিবেদন দেয়। যাতে মো: বাবরু মিয়া, মো. আবরু মিয়া ও মো. আবদু মিয়ার কাছ থেকে সাড়ে ১৫ শতক ভূমি ক্রয় করে রেজিস্ট্রি দলিলমূলে আবু তাহের, আবদুস সালামসহ ৩০ জন মালিক হন বলে উল্লেখ করা হয়। অন্যদিকে নূর মিয়া গং জায়গার অন্য ওয়ারিশদের কাছ থেকে বায়নাপত্র দলিল সূত্রে সোয়া ৬ শতক জায়গার মালিকানা দাবি করলেও তারা এ সংক্রান্ত কোন কাগজপত্র দেখাতে পারেনি বলে ভূমি অফিসের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। তারপরও সড়ক বিভাগের জায়গার পাশাপাশি আবদুস সালামদের জায়গা মাটি ভরাট করে দখলে মত্ত নূর মিয়া ও তার লোকজন। ভাটামাথা বাজার কমিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. বিল্লাল হোসেন বলেন- দেশে কোনো আইন-কানুন আছে বলে মনে হয় না। তা না হলে আমাদের ৩৫ বছর আগে কেনা জায়গা এভাবে দখল করে। এ বিষয়ে আখাউড়া উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান মুরাদ হোসেন ভূঁইয়া বলেন, এটা আমার গ্রামের দরবার। আমি এটা মিটমাট করার চেষ্টা করছি। কিন্তু এক পক্ষ না আসায় তা সম্ভব হয়নি। তবে এর সঙ্গে আমার কোন সংশ্লিষ্টতা নেই।ব্রাহ্মণবাড়িয়া সড়ক ও জনপথের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু এহতেশাম রাশেদ বলেন একজন আমাকে ফোন করে বলেছিলো তারা গ্রামে যাওয়ার রাস্তা করছে। তখন আমি বলেছি এখানে কোন মার্কেট, বাজার বা স্থাপনা হলে আমি ছাড়ব না। তিনি আরো বলেন- আমরা এ ব্যাপারে আখাউড়া থানায় মামলা দিয়েছিলাম। কিন্তু থানা মামলা নেয়নি। আখাউড়া থানার ওসি মোশাররফ হোসেন তরফদার বলেন-আইনশৃঙ্খলা যে খারাপ সেটা আমরা কয়েকদিন ধরেই দেখছি। আমরা কন্ট্রোলে রাখার চেষ্টা করছি।
No comments