রহস্যময় বৈঠক by চৌধুরী মুমতাজ আহমদ
জীবনের
নিরাপত্তা নিয়ে সংশয়ে ছিলেন রোকেয়া বেগম। তাই বাসা ছেড়ে দিয়ে চলে যেতে
চেয়েছিলেন অন্য কোথাও। বাসা পাল্টানোর আগেই যে সন্দেহটা তিনি করছিলেন সেটাই
সত্যি হয়ে যায়। যেদিন বাসা ছাড়ার কথা ছিল সেদিনই বাসা থেকে তার ও তার ছেলে
রোকনের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। বাসা ছাড়ার আগেই ঘাতকের ছুরি তার ও তার
ছেলের জীবনটাই কেড়ে নেয়। বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, ক’দিন ধরেই আতঙ্কের
মাঝে ছিলেন রোকেয়া বেগম। স্থানীয়দের তার সে আতঙ্কের কথা জানিয়েও ছিলেন।
বৈঠকও হয় এ নিয়ে। সেখানেই বাসা ছেড়ে দেয়ার প্রস্তাব দেয়া হয় রোকেয়া বেগমকে।
সে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বাসার মালিক সালমান আহমদ, ওই এলাকার বাসিন্দা ও
মহানগর আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক আবদুর রহমান জামিল, খাঁপাড়া সন্ত্রাস
প্রতিরোধ ও উন্নয়ন কমিটির সদস্য আলী হায়দারসহ স্থানীয় মুরব্বিরা।
স্থানীয় কিছু উচ্ছৃঙ্খল তরুণ বাসায় ঢুকে রোকেয়া বেগমকে মারধর করে মোবাইল ফোন, স্বর্ণালঙ্কার ছিনিয়ে নিয়ে যাওয়ার পর এ বৈঠক বসেছিলো। বাসায় হামলাকারী হিসেবে উঠে আসে তিন তরুণের নাম। এরা হলো- তানিম, শিপলু ও সুমন। এর মধ্যে তানিম হচ্ছে রোকেয়া বেগমের বাসার গৃহকর্মী তানিয়ার ভাই। মোবাইল চুরির অভিযোগে সপ্তাহ দুয়েক আগে তানিয়াকে বিদায় দিয়েছিলেন রোকেয়া বেগম। এর জেরেই তার বাসায় হামলা হয় বলে জানা গেছে। তানিম, শিপলু, সুমনের কিছুদিন আগেও ছাত্রদলের ক্যাডার হিসেবে পরিচয় থাকলেও এখন তারা ছাত্রলীগের নাম ভাঙিয়ে চলছে। একটি সূত্র বলছে, এদের মাথার উপর ছাতা হয়ে আছেন আওয়ামী লীগ নেতা আবদুর রহমান জামিল। সে সূত্রেই আবদুর রহমান জামিল রোকেয়া বেগমের বাসায় বৈঠকে গিয়েছিলেন বলে ওই সূত্রটি বলছে।
তবে আরেকটি সূত্র বলছে তানিম, শিপলু, সুমনের মাথায় ছায়া হয়ে আছেন তাদের মতোই নব্য এক যুবলীগ নেতা। যিনি কিছুদিন আগেও স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মী হিসেবে সরকারবিরোধী আন্দোলনে মাঠে ছিলেন। তবে পরে নিজের সুবিধার কথা বিবেচনা করে হঠাৎই তিনি যুবলীগ নেতা বনে যান। অর্থমন্ত্রীর ছবি জুড়ে দিয়ে যুবলীগের পরিচয়ে তিনি বিভিন্ন উৎসবে-পার্বণে নগরীতে তোরণও নির্মাণ করেছেন। নতুন এ পরিচয়ে যুবলীগ নেতা জমশেদ সিরাজের সবচেয়ে বড় অবলম্বন হচ্ছেন তার বড় ভাই সিলেট নগরীর ১৯ নং ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাবেদ সিরাজ। সিলেট নগরীর রায়নগর এলাকার বাসিন্দা বিপ্লব রায় ওরফে বিকুল হত্যা মামলায়ও আলোচনায় উঠে এসেছিল এই জমসেদ সিরাজের নাম। আবদুর রহমান জামিলের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তার মোবাইল ফোন বারবারই বন্ধ পাওয়া যায়। তবে পুলিশ ঠিকই ইতিমধ্যে এ বিষয়ে তার সঙ্গে আলাপ সেরে নিয়েছে। গত রোববার নগরীর মিরাবাজার খাঁপাড়া মিতালি ১৫/জি বাসার ভেতর থেকে বিউটিশিয়ান রোকেয়া বেগম ও তার ছেলে এসএসসি পরীক্ষার্থী রবিউল ইসলাম রোকনের রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। উদ্ধার করা হয় রোকেয়া বেগমের শিশুকন্যা রাইসাকে। ঘটনার পর থেকেই খোঁজ মিলছে না রোকেয়া বেগমের গৃহকর্মী তানিয়ার। এ ঘটনায় মঙ্গলবার রাতে নাজমুল হাসান নামের এক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে পুলিশ।
স্থানীয় কিছু উচ্ছৃঙ্খল তরুণ বাসায় ঢুকে রোকেয়া বেগমকে মারধর করে মোবাইল ফোন, স্বর্ণালঙ্কার ছিনিয়ে নিয়ে যাওয়ার পর এ বৈঠক বসেছিলো। বাসায় হামলাকারী হিসেবে উঠে আসে তিন তরুণের নাম। এরা হলো- তানিম, শিপলু ও সুমন। এর মধ্যে তানিম হচ্ছে রোকেয়া বেগমের বাসার গৃহকর্মী তানিয়ার ভাই। মোবাইল চুরির অভিযোগে সপ্তাহ দুয়েক আগে তানিয়াকে বিদায় দিয়েছিলেন রোকেয়া বেগম। এর জেরেই তার বাসায় হামলা হয় বলে জানা গেছে। তানিম, শিপলু, সুমনের কিছুদিন আগেও ছাত্রদলের ক্যাডার হিসেবে পরিচয় থাকলেও এখন তারা ছাত্রলীগের নাম ভাঙিয়ে চলছে। একটি সূত্র বলছে, এদের মাথার উপর ছাতা হয়ে আছেন আওয়ামী লীগ নেতা আবদুর রহমান জামিল। সে সূত্রেই আবদুর রহমান জামিল রোকেয়া বেগমের বাসায় বৈঠকে গিয়েছিলেন বলে ওই সূত্রটি বলছে।
তবে আরেকটি সূত্র বলছে তানিম, শিপলু, সুমনের মাথায় ছায়া হয়ে আছেন তাদের মতোই নব্য এক যুবলীগ নেতা। যিনি কিছুদিন আগেও স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মী হিসেবে সরকারবিরোধী আন্দোলনে মাঠে ছিলেন। তবে পরে নিজের সুবিধার কথা বিবেচনা করে হঠাৎই তিনি যুবলীগ নেতা বনে যান। অর্থমন্ত্রীর ছবি জুড়ে দিয়ে যুবলীগের পরিচয়ে তিনি বিভিন্ন উৎসবে-পার্বণে নগরীতে তোরণও নির্মাণ করেছেন। নতুন এ পরিচয়ে যুবলীগ নেতা জমশেদ সিরাজের সবচেয়ে বড় অবলম্বন হচ্ছেন তার বড় ভাই সিলেট নগরীর ১৯ নং ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাবেদ সিরাজ। সিলেট নগরীর রায়নগর এলাকার বাসিন্দা বিপ্লব রায় ওরফে বিকুল হত্যা মামলায়ও আলোচনায় উঠে এসেছিল এই জমসেদ সিরাজের নাম। আবদুর রহমান জামিলের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তার মোবাইল ফোন বারবারই বন্ধ পাওয়া যায়। তবে পুলিশ ঠিকই ইতিমধ্যে এ বিষয়ে তার সঙ্গে আলাপ সেরে নিয়েছে। গত রোববার নগরীর মিরাবাজার খাঁপাড়া মিতালি ১৫/জি বাসার ভেতর থেকে বিউটিশিয়ান রোকেয়া বেগম ও তার ছেলে এসএসসি পরীক্ষার্থী রবিউল ইসলাম রোকনের রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। উদ্ধার করা হয় রোকেয়া বেগমের শিশুকন্যা রাইসাকে। ঘটনার পর থেকেই খোঁজ মিলছে না রোকেয়া বেগমের গৃহকর্মী তানিয়ার। এ ঘটনায় মঙ্গলবার রাতে নাজমুল হাসান নামের এক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে পুলিশ।
No comments