ঝুঁকিপূর্ণ বিদ্যালয়ের বারান্দায় ক্লাস
নাসিরনগর
উপজেলার প্রাথমিক শিক্ষার বেহাল দশা! ২৫টি অতি পুরনো ঝুঁকিপূর্ণ ও
পরিত্যক্ত বিদ্যালয়ের ভেতরে বারান্দায় চলছে ক্লাস। যেকোনো সময় ঘটতে পারে বড়
ধরনের দুর্ঘটনা। সম্প্রতি বেনীপাড়া, চিতনা, শ্যামপুর সরকারি প্রাথমিক
বিদ্যালয়গুলো পরিদর্শনে গিয়ে এমন চিত্র দেখা গেছে। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা
অফিস সূত্রে জানা গেছে, অত্র উপজেলায় মোট ১২৬টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়
রয়েছে। দীর্ঘদিন যাবৎ ২৫টি বিদ্যালয়কে অতি ঝুঁকিপূর্ণ বিদ্যালয় হিসেবে
চিহ্নিত করা হয়েছে। তার মাঝে পরিত্যক্ত হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে ৮টি
বিদ্যালয়কে। এ বিদ্যালয়গুলোতেই চলছে পাঠদান। অতি পুরনো ও ঝুঁকিপূর্ণ
বিদ্যালয়গুলোর মধ্যে রয়েছে দুর্গাপুর, বাড়ৈচিড়া, পূর্ববালিখোলা, কুটুই,
বালিখোলা দক্ষিণ, দাঁতমণ্ডল, আন্দ্রাবহ, উড়িয়াইন, চিতনা, গুনিয়াউক,
চাতলপাড়, ভিটাডুবী, ফেদিয়ারকান্দি, চটিপাড়া, সূচীউড়া শ্যামপুর, জেঠাগ্রাম,
নূরপুর, বেনীপাড়া, ভাটপাড়া, সিংহগ্রাম উত্তর, ফান্দাউক পূর্ব, ফান্দাউক
পশ্চিম, বেলুয়া, কোয়রপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। পরিত্যক্ত
বিদ্যালয়গুলোর মধ্যে রয়েছে দুর্গাপুর, বেনীপাড়া, চিতনা, শ্যামপুর,
খাগালিয়া, কুটুই, বাঘি, বাড়ৈচিড়া, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। উপজেলা শিক্ষা
কর্মকর্তা উম্মে সালমার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, ১২০টি সরকারি
প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ১২০ জন প্রধান শিক্ষক থাকার কথা থাকলেও রয়েছেন ৬৪ জন।
৫৬টি পদ শূন্য রয়েছে। সহকারী শিক্ষক ৬১৫ জন থাকার কথা থাকলেও কর্মরত আছেন
৫৬৬টি জন। সহকারী শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে ৪৯টি। সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা
ছয়জন থাকার কথা থাকলেও রয়েছে মাত্র দুজন। পদ শূন্য রয়েছে ৪টি। তিনি বলেন যে
সমস্ত বিদ্যালয় নতুন জাতীয়করণ হয়েছে এ বিদ্যালয়গুলোতেই বেশির ভাগ প্রধান
শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে। উম্মে সালমা আরো জানান, অতি পুরনো ঝুঁকিপূর্ণ ও
পরিত্যক্ত বিদ্যালয়গুলোর ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে বারবার
লিখলেও কোনোরূপ ব্যবস্থা গ্রহণ করছে না কর্তৃপক্ষ। তিনি বলেন, ইতিমধ্যে
দুর্গাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টিকে নতুন করে ভবন নির্মাণের নির্দেশনা
দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
No comments