রাতের ঢাকায় বেপরোয়া গতি by আল-আমিন
গতির
নেশা। ভয়ঙ্কর গতির নেশা। রাতের ফাঁকা সড়কে মোটরবাইক ও কার নিয়ে কিছু তরুণ
এই গতির নেশার প্রতিযোগিতায় নামে। এই নেশায় যারা মত্ত তারা অধিকাংশই ধনীর
দুলাল। কোনো কিছুতেই তোয়াক্কা নেই তাদের। গতি উঠাতেই হবে। বিপদের ঝুঁকি
থাকলেও গতির প্রতি দুরন্ত ভালোবাসা তাদের। এটা তাদের কাছে নিছক একটা
বিনোদন। কিন্তু এই গতির নেশায় প্রায়ই ঘটে নানা দুর্ঘটনা। প্রাণ যায় সাধারণ
মানুষের।
প্রচণ্ড গতিতে মোটরবাইক ও কার চালানোর সময় তাদের মনে ভয় তো দূরের কথা, ওই সময় তারা উচ্চস্বরে হাসে, চিৎকার করে, বাঁশি বাজায়, ইংরেজি বা হিন্দি গান গায়। শুধু তা-ই নয়, গতির প্রতিযোগিতায় একে অপরকে ছাড়িয়ে যাবার জন্য কিছু তরুণ ফেসবুকে নিজস্ব পেজ খুলেছে। গতির ভিডিও চিত্রগুলো তাদের ফেসবুকে আপলোডও করছে। মানসিক রোগ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ‘ছোট থেকে যেসব তরুণ একটু আডভেঞ্চারপ্রিয় হয়, তারা বিকল্প কিছু করে আনন্দ লাভ করার চেষ্টা করে। তবে এটা কোনো মানসিক সমস্যা নয়। এসব তরুণকে মারধর না করে পারিবারিক ও প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার মাধ্যমে শান্তভাবে কাউন্সিলিং করে বুঝাতে হবে যে, জীবন রক্ষা, জীবনের প্রতি দায়বদ্ধতার জন্য অনেক রোমাঞ্চকর বিষয় বিসর্জন দিতে হয়।’ শুধু তরুণরা যে গতির নেশায় মাতে তা নয়। ঢাকার রাস্তায় রাতে বেশির ভাগ পরিবহনের গতিই থাকে বেপরোয়া। খালি রাস্তা পেয়ে চালকরা গাড়ি চালান যাচ্ছেতাই।
ঢাকা মহানগর উত্তরের ট্রাফিক পুলিশের ডিসি প্রবীর কুমার রায় মানবজমিনকে জানান, রাত ১টার পর ট্রাফিক পুলিশ থাকে না। রাতে সাজেন্টের সংখ্যাও কম থাকে। এ কারণে কিছু তরুণ রাস্তায় বাইক ও কার নিয়ে গতির নেশায় মেতে ওঠে। পুলিশের টহল বাড়ায় এই বিকৃত প্রতিযোগিতা অনেকটা কমে গেছে। এই গতির নেশা বন্ধ করার জন্য আরো টহল বাড়ানোর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। সরজমিন গত তিনদিন রাতে ঢাকার বনানী থেকে উত্তরা, বিজয় সরণি থেকে মিরপুর গোলচত্বর ও হাতিরঝিল এলাকায় ঘুরে প্রতিযোগিতার এ দৃশ্য লক্ষ করা গেছে। বিজয় সরণির উড়োজাহাজ ক্রসিং থেকে মিরপুর গোলচত্বর পর্যন্ত এই গতির নেশা কম দেখা গেলেও বনানী থেকে উত্তরা এবং হাতিরঝিল এলাকায় প্রকটভাবে দেখা গেছে। এ সময় ট্রাফিক পুলিশ, সাজেন্ট এবং থানা পুলিশের তেমন টহল ছিল না। এতে কিছু তরুণ সড়ক ফাঁকা পেয়ে ইচ্ছামতো কার ও বাইক রেসিং করেছে। সড়কের বিভিন্ন ক্রসিংগুলোতেও তারা গাড়ির গতি না কমিয়ে একই গতিতে গাড়ি চালায়। সাধারণ গাড়িচালক, যাত্রী ও রাস্তা পার হওয়া মানুষ তাদের এ কাণ্ডে বিরক্ত ও উষ্মা প্রকাশ করেন। তবে কারও কিছু করার থাকে না। উচ্চগতিতে তারা শাঁ শাঁ করে এলাকা পার হয়ে যায়। বৃহস্পতিবার রাত ১টায় খিলক্ষেত রেলক্রসিংয়ে একটি প্রাইভেট কার ও কয়েকটি মোটরবাইককে উচ্চগতিতে আসা যাওয়া করতে দেখা যায়। ওই কার ও মোটরবাইকগুলো চালাচ্ছিল কয়েকজন তরুণ। উচ্চগতিতে তারা গাড়ি চালানোর সময় চিৎকার ও গান গাইছিল। উচ্চগতিতে প্রায় ১ ঘণ্টা গাড়ি চালিয়ে তারা খিলক্ষেত ক্রসিংয়ের একপাশে গাড়িতে বসে ধূমপান করে। তাদের সঙ্গে এ প্রতিবেদকের কথা হয়। এক তরুণ নিজেকে রুম্মান মাহমুদ বলে পরিচয় দেন। তিনি থাকেন বনানী ৫ নম্বর রোড এলাকায় পরিবারের সঙ্গে। তার বাবা ডায়মন্ডের ব্যবসা করেন। তার অন্য বন্ধুদের বাসা গুলশান ও বনানী এলাকায়। রুম্মান একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। রুম্মান জানান, প্রত্যেক সপ্তাহে একদিন তারা কার রেসিংয়ে যোগ দেন। এ এলাকায় তাদের কয়েকটি গ্রুপ রয়েছে। তাদের গ্রুপের নাম স্টার রেসিং। তাদের দলে ৬ জন আছেন। এটি গুলশান ও বনানী এলাকাকেন্দ্রিক। অন্য গ্রুপের নাম হলো বিডি রেসিং, ফ্লাশ ওয়াটার রেসিং, ওয়ানডারফুল রেসিং, অলবিডি রেসিং, ঢাকা-১০০ রেসিং ও হারকিউলিস রেসিং। তারা নিজস্ব ফেসবুকে একটি করে ফ্যানপেইজ খুলেছে। গাড়িতে উচ্চগতি কেন তোলা হয় প্রশ্ন করা হলে রুম্মান জানান, এটা আমাদের কাছে আনন্দের বিষয়। মনে ফুর্তি আসে। বিনোদনও বটে। এটার মাধ্যমে অন্যকেও আনন্দ দেয়া হয়।
উত্তরা এলাকায় নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সার্জেন্ট জানান, যারা বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালান তাদের পিছু নেয়া হয়। উচ্চগতিতে গাড়ি চালালে ট্রান্সপোর্ট আইনে মামলা করা হয়। কিন্তু কোনো লাভ হয় না। কিন্তু পরের দিনই আবার তারা রাস্তায় নেমে পড়ে গাড়ি নিয়ে। সাধারণ গাড়ি স্পোর্টস কারে রূপান্তর করে তারা গতির প্রতিযোগিতা শুরু করে।
গত শুক্রবার রাতে হাতিরঝিলের গুলশান লিংক ব্রিজের কাছে গিয়ে দেখা যায়, কয়েকজন তরুণ মোটরসাইকেল নিয়ে উচ্চগতিতে যাতায়াত করছে। তবে ওই মোটরসাইকেলের পেছনে দুজনকে বসে থাকতে দেখা গেছে। পেছনের জন চালককে আরো গতি তোলার ব্যাপারে উৎসাহ দিচ্ছিল। একক মোটরবাইকধারীদের শারীরিক কসরৎ করতে দেখা গেছে। কেউ মোটরবাইককে উঁচুতে তুলে ধরেছে। প্রায় ৩০ মিনিট পর তারা গুলশান ব্রিজের পাশে বিশ্রাম নিচ্ছিলেন। একজনের সঙ্গে কথা হয় এই প্রতিবেদকের। শাহরিয়ার হাসান চঞ্চল নামে ওই চালক জানান, তারা সপ্তাহে এক থেকে দুদিন এই বাইক নিয়ে উচ্চগতি ও কসরৎ করে। তাদের কাছে এটা একটা বিনোদন এবং শরীরচর্চার বিষয়। তারা এতে মানসিক শান্তি পায়। তাদের দুর্ঘটনার ভয় হয় কিনা প্রশ্ন করা হলে ওই তরুণ জানান, গতি তোলা ও কসরৎ করা তাদের কাছে রোমাঞ্চকর।
তরুণদের উচ্চগতিতে গাড়ি চালানোর বিষয়টি জানতে চাইলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মানসিক রোগ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান আব্দুল্লাহ আল মামুন মানবজমিনকে জানান, তরুণরা রোমাঞ্চকর কিছু করতে চায়। কিছু তরুণ বাড়তি আনন্দ পেতে এই গতির নেশা তোলে। কিন্তু অধিক আনন্দ পেতে গিয়ে তাদের মৃত্যুও হতে পারে- এটা তারা ভুলে যান। তিনি আরো জানান, এটা কোনো মানসিক সমস্যা নয়। শুধু আনন্দ পেতে গিয়ে তারা এই কাজ করেন। তাদের জীবনের দায়িত্বের ব্যাপারে সচেতন করতে পরিবার ও প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের যথাযথ ভূমিকা পালন করতে হবে।
এ বিষয়ে ‘নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা)’ আন্দোলনের চেয়ারম্যান ইলিয়াস কাঞ্চন মানবজমিনকে জানান, ঢাকার যারা রেসিং করে থাকে অধিকাংশই ধনীর দুলাল। যারা উন্মাদের মতো গাড়ি চালান তারা একেবারও ভাবেন না পাশের গাড়িগুলো এবং পথচারীরা তাদের গাড়ির গতি দেখে ভয় পান। অনেকেই আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে ওঠেন। এদের বিরুদ্ধে পুলিশকে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানান তিনি।
প্রচণ্ড গতিতে মোটরবাইক ও কার চালানোর সময় তাদের মনে ভয় তো দূরের কথা, ওই সময় তারা উচ্চস্বরে হাসে, চিৎকার করে, বাঁশি বাজায়, ইংরেজি বা হিন্দি গান গায়। শুধু তা-ই নয়, গতির প্রতিযোগিতায় একে অপরকে ছাড়িয়ে যাবার জন্য কিছু তরুণ ফেসবুকে নিজস্ব পেজ খুলেছে। গতির ভিডিও চিত্রগুলো তাদের ফেসবুকে আপলোডও করছে। মানসিক রোগ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ‘ছোট থেকে যেসব তরুণ একটু আডভেঞ্চারপ্রিয় হয়, তারা বিকল্প কিছু করে আনন্দ লাভ করার চেষ্টা করে। তবে এটা কোনো মানসিক সমস্যা নয়। এসব তরুণকে মারধর না করে পারিবারিক ও প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার মাধ্যমে শান্তভাবে কাউন্সিলিং করে বুঝাতে হবে যে, জীবন রক্ষা, জীবনের প্রতি দায়বদ্ধতার জন্য অনেক রোমাঞ্চকর বিষয় বিসর্জন দিতে হয়।’ শুধু তরুণরা যে গতির নেশায় মাতে তা নয়। ঢাকার রাস্তায় রাতে বেশির ভাগ পরিবহনের গতিই থাকে বেপরোয়া। খালি রাস্তা পেয়ে চালকরা গাড়ি চালান যাচ্ছেতাই।
ঢাকা মহানগর উত্তরের ট্রাফিক পুলিশের ডিসি প্রবীর কুমার রায় মানবজমিনকে জানান, রাত ১টার পর ট্রাফিক পুলিশ থাকে না। রাতে সাজেন্টের সংখ্যাও কম থাকে। এ কারণে কিছু তরুণ রাস্তায় বাইক ও কার নিয়ে গতির নেশায় মেতে ওঠে। পুলিশের টহল বাড়ায় এই বিকৃত প্রতিযোগিতা অনেকটা কমে গেছে। এই গতির নেশা বন্ধ করার জন্য আরো টহল বাড়ানোর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। সরজমিন গত তিনদিন রাতে ঢাকার বনানী থেকে উত্তরা, বিজয় সরণি থেকে মিরপুর গোলচত্বর ও হাতিরঝিল এলাকায় ঘুরে প্রতিযোগিতার এ দৃশ্য লক্ষ করা গেছে। বিজয় সরণির উড়োজাহাজ ক্রসিং থেকে মিরপুর গোলচত্বর পর্যন্ত এই গতির নেশা কম দেখা গেলেও বনানী থেকে উত্তরা এবং হাতিরঝিল এলাকায় প্রকটভাবে দেখা গেছে। এ সময় ট্রাফিক পুলিশ, সাজেন্ট এবং থানা পুলিশের তেমন টহল ছিল না। এতে কিছু তরুণ সড়ক ফাঁকা পেয়ে ইচ্ছামতো কার ও বাইক রেসিং করেছে। সড়কের বিভিন্ন ক্রসিংগুলোতেও তারা গাড়ির গতি না কমিয়ে একই গতিতে গাড়ি চালায়। সাধারণ গাড়িচালক, যাত্রী ও রাস্তা পার হওয়া মানুষ তাদের এ কাণ্ডে বিরক্ত ও উষ্মা প্রকাশ করেন। তবে কারও কিছু করার থাকে না। উচ্চগতিতে তারা শাঁ শাঁ করে এলাকা পার হয়ে যায়। বৃহস্পতিবার রাত ১টায় খিলক্ষেত রেলক্রসিংয়ে একটি প্রাইভেট কার ও কয়েকটি মোটরবাইককে উচ্চগতিতে আসা যাওয়া করতে দেখা যায়। ওই কার ও মোটরবাইকগুলো চালাচ্ছিল কয়েকজন তরুণ। উচ্চগতিতে তারা গাড়ি চালানোর সময় চিৎকার ও গান গাইছিল। উচ্চগতিতে প্রায় ১ ঘণ্টা গাড়ি চালিয়ে তারা খিলক্ষেত ক্রসিংয়ের একপাশে গাড়িতে বসে ধূমপান করে। তাদের সঙ্গে এ প্রতিবেদকের কথা হয়। এক তরুণ নিজেকে রুম্মান মাহমুদ বলে পরিচয় দেন। তিনি থাকেন বনানী ৫ নম্বর রোড এলাকায় পরিবারের সঙ্গে। তার বাবা ডায়মন্ডের ব্যবসা করেন। তার অন্য বন্ধুদের বাসা গুলশান ও বনানী এলাকায়। রুম্মান একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। রুম্মান জানান, প্রত্যেক সপ্তাহে একদিন তারা কার রেসিংয়ে যোগ দেন। এ এলাকায় তাদের কয়েকটি গ্রুপ রয়েছে। তাদের গ্রুপের নাম স্টার রেসিং। তাদের দলে ৬ জন আছেন। এটি গুলশান ও বনানী এলাকাকেন্দ্রিক। অন্য গ্রুপের নাম হলো বিডি রেসিং, ফ্লাশ ওয়াটার রেসিং, ওয়ানডারফুল রেসিং, অলবিডি রেসিং, ঢাকা-১০০ রেসিং ও হারকিউলিস রেসিং। তারা নিজস্ব ফেসবুকে একটি করে ফ্যানপেইজ খুলেছে। গাড়িতে উচ্চগতি কেন তোলা হয় প্রশ্ন করা হলে রুম্মান জানান, এটা আমাদের কাছে আনন্দের বিষয়। মনে ফুর্তি আসে। বিনোদনও বটে। এটার মাধ্যমে অন্যকেও আনন্দ দেয়া হয়।
উত্তরা এলাকায় নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সার্জেন্ট জানান, যারা বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালান তাদের পিছু নেয়া হয়। উচ্চগতিতে গাড়ি চালালে ট্রান্সপোর্ট আইনে মামলা করা হয়। কিন্তু কোনো লাভ হয় না। কিন্তু পরের দিনই আবার তারা রাস্তায় নেমে পড়ে গাড়ি নিয়ে। সাধারণ গাড়ি স্পোর্টস কারে রূপান্তর করে তারা গতির প্রতিযোগিতা শুরু করে।
গত শুক্রবার রাতে হাতিরঝিলের গুলশান লিংক ব্রিজের কাছে গিয়ে দেখা যায়, কয়েকজন তরুণ মোটরসাইকেল নিয়ে উচ্চগতিতে যাতায়াত করছে। তবে ওই মোটরসাইকেলের পেছনে দুজনকে বসে থাকতে দেখা গেছে। পেছনের জন চালককে আরো গতি তোলার ব্যাপারে উৎসাহ দিচ্ছিল। একক মোটরবাইকধারীদের শারীরিক কসরৎ করতে দেখা গেছে। কেউ মোটরবাইককে উঁচুতে তুলে ধরেছে। প্রায় ৩০ মিনিট পর তারা গুলশান ব্রিজের পাশে বিশ্রাম নিচ্ছিলেন। একজনের সঙ্গে কথা হয় এই প্রতিবেদকের। শাহরিয়ার হাসান চঞ্চল নামে ওই চালক জানান, তারা সপ্তাহে এক থেকে দুদিন এই বাইক নিয়ে উচ্চগতি ও কসরৎ করে। তাদের কাছে এটা একটা বিনোদন এবং শরীরচর্চার বিষয়। তারা এতে মানসিক শান্তি পায়। তাদের দুর্ঘটনার ভয় হয় কিনা প্রশ্ন করা হলে ওই তরুণ জানান, গতি তোলা ও কসরৎ করা তাদের কাছে রোমাঞ্চকর।
তরুণদের উচ্চগতিতে গাড়ি চালানোর বিষয়টি জানতে চাইলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মানসিক রোগ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান আব্দুল্লাহ আল মামুন মানবজমিনকে জানান, তরুণরা রোমাঞ্চকর কিছু করতে চায়। কিছু তরুণ বাড়তি আনন্দ পেতে এই গতির নেশা তোলে। কিন্তু অধিক আনন্দ পেতে গিয়ে তাদের মৃত্যুও হতে পারে- এটা তারা ভুলে যান। তিনি আরো জানান, এটা কোনো মানসিক সমস্যা নয়। শুধু আনন্দ পেতে গিয়ে তারা এই কাজ করেন। তাদের জীবনের দায়িত্বের ব্যাপারে সচেতন করতে পরিবার ও প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের যথাযথ ভূমিকা পালন করতে হবে।
এ বিষয়ে ‘নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা)’ আন্দোলনের চেয়ারম্যান ইলিয়াস কাঞ্চন মানবজমিনকে জানান, ঢাকার যারা রেসিং করে থাকে অধিকাংশই ধনীর দুলাল। যারা উন্মাদের মতো গাড়ি চালান তারা একেবারও ভাবেন না পাশের গাড়িগুলো এবং পথচারীরা তাদের গাড়ির গতি দেখে ভয় পান। অনেকেই আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে ওঠেন। এদের বিরুদ্ধে পুলিশকে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানান তিনি।
No comments