ট্রাম্পের জন্য ৭ পরামর্শ
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে সাতটি বিষয়ে মনোযোগ দেওয়ার সুপারিশ করেছে দেশটির পরামর্শ ও পরিকল্পনাকারী সরকারি প্রতিষ্ঠান ন্যাশনাল ইন্টেলিজেন্স কাউন্সিল। নতুন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ক্ষমতা গ্রহণের পরের চার বছরে তাঁকে কী ধরনের পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হতে পারে, সে সম্পর্কে ধারণা দিতেই প্রতিবেদন তৈরি করে থাকে ন্যাশনাল ইন্টেলিজেন্স কাউন্সিল। ডোনাল্ড ট্রাম্পের জন্যও করণীয় বিষয়ক প্রতিবেদন তৈরি করেছে সংস্থাটি। তাতে যেসব বিষয়ে সুপারিশ করা হয়েছে তা হলো:
গরিব দেশের সুবিধা, ধনীর অসুবিধা
চীন ও রাশিয়ার মতো সম্পদশালী দেশে কর্মক্ষম জনগোষ্ঠী কমে আসছে। কিন্তু দক্ষিণ এশিয়া ও আফ্রিকার উন্নয়নশীল দেশগুলোতে কর্মক্ষম জনগোষ্ঠী বাড়ছে। এর কারণ অর্থনৈতিক উন্নয়ন, কর্মসংস্থান, নগরায়ণ ও অভিবাসন।
বদলে যাচ্ছে বিশ্ব অর্থনীতি
ভবিষ্যতেও বিশ্বজুড়ে দুর্বল অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অব্যাহত থাকবে। দারিদ্র্য বিমোচনের উদ্যোগকে হুমকির মুখে ফেলবে এই নিম্ন প্রবৃদ্ধি। ২০০৮-০৯ সালের অর্থনৈতিক মন্দার প্রভাবে বড় বড় অর্থনীতির দেশে কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীর পরিমাণ বাড়বে; উৎপাদনব্যবস্থাও বিঘ্নিত হতে পারে। এদিকে চীন তার অর্থনীতির কাঠামো বদলে ফেলবে। রপ্তানি ও বিনিয়োগনির্ভর অর্থনীতি থেকে বেরিয়ে এসে চীন ভোক্তানির্ভর অর্থনীতির দিকে ঝুঁকে পড়বে।
প্রযুক্তির বিপত্তি
তথ্যপ্রযুক্তি খাতের ব্যাপক অগ্রসরতা পরিবর্তনকে ত্বরান্বিত করবে। আবার নতুন নতুন সুযোগ তৈরি করবে। এর ফলে বিজয়ী ও বিজেতার মধ্যে নির্মম পার্থক্য তৈরি করবে। কেননা, স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতি ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স) শিল্প খাতের পরিবর্তনকে এত দ্রুততর করবে; অর্থনীতির গতিও এর সঙ্গে তাল মেলাতে পারবে না। এর ফলে শ্রমিকদের সুযোগগুলো নষ্ট হবে।
জাতীয়তাবাদী চেতনা
বিশ্বব্যাপী বাম ও ডানপন্থীদের মধ্যে রাজনৈতিক ব্যবধান বাড়বে, যা উদারীকরণকে ব্যাহত করবে। কিছু রাজনীতিবিদ জাতীয়তাবাদকে উসকে দিয়ে রাজনীতিকে নিয়ন্ত্রণ করবেন। ধর্মীয় প্রভাব ধারাবাহিকভাবে বাড়বে; এমনকি এই শক্তি অনেক দেশের সরকারের চেয়েও বেশি ক্ষমতাশালী হয়ে উঠবে।
সুশাসন কঠিনতর হবে
জনগণ সরকারের কাছে নিরাপত্তা ও সুশাসন চাইবে। কিন্তু দুর্বল রাজস্ব আদায়, পারস্পরিক অবিশ্বাস ও মেরুকরণের পাশাপাশি এত বেশি সমসাময়িক ইস্যু সামনে এসে যাবে; যা সরকারের পারদর্শিতাকে ব্যাহত করবে। তথ্যপ্রযুক্তি জনগণের কাছে আরও বেশি সহজলভ্য হবে; যা রাজনৈতিক কর্মসূচিতে অনুঘটক হয়ে কাজ করবে। এতে বেসরকারি সংস্থা (এনজিও), করপোরেট প্রতিষ্ঠান ও ক্ষমতাশালী ব্যক্তিদের জন্য বৈশ্বিক ইস্যুগুলো মোকাবিলা করা কঠিন হবে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় সাময়িক ব্যবস্থা নেওয়ার সংখ্যা বাড়বে।
সংঘাতের ধরন
ক্ষমতাশালী দেশগুলোর স্বার্থের জন্য সংঘাতের ঝুঁকি বাড়বে। সন্ত্রাসবাদের হুমকি বাড়বে; দুর্বল দেশগুলোতে অস্থিতিশীলতা অব্যাহত থাকবে; তথ্যপ্রযুক্তির বিপত্তি বাড়বে। তথ্যপ্রযুক্তিকেন্দ্রিক সন্ত্রাসবাদ বাড়বে।
পরিবেশ, জলবায়ু ও স্বাস্থ্য
বিশ্বজুড়ে এ ধরনের সমস্যা আরও বাড়বে, যা মোকাবিলায় সামগ্রিক ব্যবস্থা নেওয়ার তাগিদ বাড়াবে। আবার পারস্পরিক সহযোগিতার ক্ষেত্র তৈরি করাও তুলনামূলক কঠিন হবে। চরম আবহাওয়া, পানি, ভূমি ও খাদ্যনিরাপত্তার বিষয়গুলো বিভিন্ন দেশকে আরও ধ্বংসের মুখে ঠেলে দেবে। জলবায়ু নিয়ে মানুষের দুশ্চিন্তা বাড়বে।
গরিব দেশের সুবিধা, ধনীর অসুবিধা
চীন ও রাশিয়ার মতো সম্পদশালী দেশে কর্মক্ষম জনগোষ্ঠী কমে আসছে। কিন্তু দক্ষিণ এশিয়া ও আফ্রিকার উন্নয়নশীল দেশগুলোতে কর্মক্ষম জনগোষ্ঠী বাড়ছে। এর কারণ অর্থনৈতিক উন্নয়ন, কর্মসংস্থান, নগরায়ণ ও অভিবাসন।
বদলে যাচ্ছে বিশ্ব অর্থনীতি
ভবিষ্যতেও বিশ্বজুড়ে দুর্বল অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অব্যাহত থাকবে। দারিদ্র্য বিমোচনের উদ্যোগকে হুমকির মুখে ফেলবে এই নিম্ন প্রবৃদ্ধি। ২০০৮-০৯ সালের অর্থনৈতিক মন্দার প্রভাবে বড় বড় অর্থনীতির দেশে কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীর পরিমাণ বাড়বে; উৎপাদনব্যবস্থাও বিঘ্নিত হতে পারে। এদিকে চীন তার অর্থনীতির কাঠামো বদলে ফেলবে। রপ্তানি ও বিনিয়োগনির্ভর অর্থনীতি থেকে বেরিয়ে এসে চীন ভোক্তানির্ভর অর্থনীতির দিকে ঝুঁকে পড়বে।
প্রযুক্তির বিপত্তি
তথ্যপ্রযুক্তি খাতের ব্যাপক অগ্রসরতা পরিবর্তনকে ত্বরান্বিত করবে। আবার নতুন নতুন সুযোগ তৈরি করবে। এর ফলে বিজয়ী ও বিজেতার মধ্যে নির্মম পার্থক্য তৈরি করবে। কেননা, স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতি ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স) শিল্প খাতের পরিবর্তনকে এত দ্রুততর করবে; অর্থনীতির গতিও এর সঙ্গে তাল মেলাতে পারবে না। এর ফলে শ্রমিকদের সুযোগগুলো নষ্ট হবে।
জাতীয়তাবাদী চেতনা
বিশ্বব্যাপী বাম ও ডানপন্থীদের মধ্যে রাজনৈতিক ব্যবধান বাড়বে, যা উদারীকরণকে ব্যাহত করবে। কিছু রাজনীতিবিদ জাতীয়তাবাদকে উসকে দিয়ে রাজনীতিকে নিয়ন্ত্রণ করবেন। ধর্মীয় প্রভাব ধারাবাহিকভাবে বাড়বে; এমনকি এই শক্তি অনেক দেশের সরকারের চেয়েও বেশি ক্ষমতাশালী হয়ে উঠবে।
সুশাসন কঠিনতর হবে
জনগণ সরকারের কাছে নিরাপত্তা ও সুশাসন চাইবে। কিন্তু দুর্বল রাজস্ব আদায়, পারস্পরিক অবিশ্বাস ও মেরুকরণের পাশাপাশি এত বেশি সমসাময়িক ইস্যু সামনে এসে যাবে; যা সরকারের পারদর্শিতাকে ব্যাহত করবে। তথ্যপ্রযুক্তি জনগণের কাছে আরও বেশি সহজলভ্য হবে; যা রাজনৈতিক কর্মসূচিতে অনুঘটক হয়ে কাজ করবে। এতে বেসরকারি সংস্থা (এনজিও), করপোরেট প্রতিষ্ঠান ও ক্ষমতাশালী ব্যক্তিদের জন্য বৈশ্বিক ইস্যুগুলো মোকাবিলা করা কঠিন হবে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় সাময়িক ব্যবস্থা নেওয়ার সংখ্যা বাড়বে।
সংঘাতের ধরন
ক্ষমতাশালী দেশগুলোর স্বার্থের জন্য সংঘাতের ঝুঁকি বাড়বে। সন্ত্রাসবাদের হুমকি বাড়বে; দুর্বল দেশগুলোতে অস্থিতিশীলতা অব্যাহত থাকবে; তথ্যপ্রযুক্তির বিপত্তি বাড়বে। তথ্যপ্রযুক্তিকেন্দ্রিক সন্ত্রাসবাদ বাড়বে।
পরিবেশ, জলবায়ু ও স্বাস্থ্য
বিশ্বজুড়ে এ ধরনের সমস্যা আরও বাড়বে, যা মোকাবিলায় সামগ্রিক ব্যবস্থা নেওয়ার তাগিদ বাড়াবে। আবার পারস্পরিক সহযোগিতার ক্ষেত্র তৈরি করাও তুলনামূলক কঠিন হবে। চরম আবহাওয়া, পানি, ভূমি ও খাদ্যনিরাপত্তার বিষয়গুলো বিভিন্ন দেশকে আরও ধ্বংসের মুখে ঠেলে দেবে। জলবায়ু নিয়ে মানুষের দুশ্চিন্তা বাড়বে।
No comments