মগবাজার-মৌচাক ফ্লাইওভারে সৌদির অতিরিক্ত অর্থায়ন
রাজধানীর মগবাজার-মৌচাক ফ্লাইওভার প্রকল্পে অতিরিক্ত অর্থায়ন করছে সৌদি আরব। সৌদি ফান্ডের মাধ্যমে ঋণ সহায়তা দিচ্ছে দেশটি। বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সরকার ও সৌদি আরবের মধ্যে একটি চুক্তি হয়েছে। রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ মেজবাহউদ্দিন এবং সৌদি এক্সপোর্ট প্রোগ্রামের মহাপরিচালক আহমেদ এম আলগানান। এ সময় বাংলাদেশে নিযুক্ত সৌদি রাষ্ট্রদূত ও সৌদি ফান্ডের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। নতুন অংশ নির্মাণে সৌদি আরব অতিরিক্ত অর্থায়ন হিসেবে দিচ্ছে ৫০ মিলিয়ন সৌদি রিয়াল বা ১ কোটি ৫০ লাখ মার্কিন ডলার। সৌদি ফান্ডের শর্ত অনুযায়ী এ ঋণের বার্ষিক লোন চার্জ দিতে হবে ২ শতাংশ। ৫ বছরের গ্রেস পিরিয়ডসহ ২৫ বছরে এই ঋণ পরিশোধ করতে হবে সরকারকে। চুক্তি শেষে মেজবাহউদ্দিন বলেন, সৌদ আরব ও বাংলাদেশ পরস্পরের পরীক্ষিত বন্ধু। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সৌদি সফরের পর দুই দেশের সম্পর্ক আরও শক্তিশালী হয়েছে। এই চুক্তির আওতায় অতিরিক্ত অর্থ এফডিসি থেকে সোনারগাঁও হোটেল পর্যন্ত ফ্লাইওভার নির্মাণে ব্যয় হবে। এটি যানজট নিরসনে সহায়তা করবে। এম আহমদ আলগানান বলেন, ঢাকা শহরের ট্রাফিক ব্যবস্থা আমি নিজে দেখেছি। আশা করি এ প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে নগরবাসী উপকৃত হবেন। যানজট কমে আসবে। তিনি জানান, ১৯৭৫ সাল থেকে সংস্থাটি বাংলাদেশের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে বিশেষত সড়ক পরিবহন, বিদ্যুৎ ও স্বাস্থ্য খাতের উন্নয়নে আর্থিক সহায়তা প্রদান করে আসছে।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, এ অর্থ দিয়ে এফডিসি গেট থেকে কারওয়ান বাজারের সোনারগাঁও হোটেল পর্যন্ত নির্মাণ করা হবে নতুন ফ্লাইওভার। এর দৈর্ঘ্য হচ্ছে ৪৫০ মিটার। এ অংশটি নির্মিত হলে এফসিডিসি রেলক্রসিং এরিয়ে সহজ যাতায়াত স্থাপিত হবে। আরও জানানো হয়, ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকার মগবাজার-মৌচাক-মালিবাগ-শান্তিনগর ও তেজগাঁও এলাকার যানজট নিরসন করে অবাধ যান চলাচল নিশ্চিত করতে ২০১১ সালে এ প্রকল্পটি গ্রহণ করা হয়। সে সময় ব্যয় ধরা হয়েছিল ৭৭২ কোটি ৭০ লাখ টাকা। পরবর্তীকালে প্রথম সংশোধনীর মাধ্যমে প্রায় ৪৪৬ কোটি টাকা বাড়িয়ে মোট ব্যয় ধরা হয় ১ হাজার ২১৮ কোটি ৯০ লাখ টাকা। বর্তমানে নতুন অংশ যুক্ত হওয়ায় অতিরিক্ত অর্থের প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়। এ পরিপ্রেক্ষিতে সৌদি আরব অর্থ সহায়তা বাড়িয়েছে। এ প্রকল্পে ইতিমধ্যেই ২৫০ মিলিয়ন সৌদি রিয়েল বা ৬ কোটি ৮৩ লাখ মার্কিন ডলার দিয়েছে সৌদি ফান্ড। সূত্র জানায়, ঢাকায় গত কয়েক দশকে দ্রুত জনসংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে নগরীর পরিবহন ব্যবস্থা এ অধিক জনসংখ্যার ভার বহন করতে পারছে না। ব্যাপক যানজটের কারণে অসহনীয় নগরীর মানুষের জীবন। এ অবস্থায় ঢাকা ট্রান্সপোর্ট কো-অর্ডিনেশন বোর্ড ঢাকার কৌশলগত পরিবহন পরিকল্পনার একটি সমীক্ষা পরিচালনা করে। এছাড়া আরবান ট্রান্সপোর্ট প্রজেক্ট তাদের ১৯৯৯ সালের সমীক্ষায় ঢাকা মহানগরীর ২০টি পয়েন্টে ফ্লাইওভার/ইন্টারসেকশন আন্ডারপাস, বাস বে-বাস টার্মিনাল ও পার্কিং এরিয়া নির্মাণের প্রস্তাব করে। এসব প্রস্তাবের ভিত্তিতেই মগবাজার-মৌচাক ফ্লাইওভারটি নির্মাণ করা হচ্ছে।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, এ অর্থ দিয়ে এফডিসি গেট থেকে কারওয়ান বাজারের সোনারগাঁও হোটেল পর্যন্ত নির্মাণ করা হবে নতুন ফ্লাইওভার। এর দৈর্ঘ্য হচ্ছে ৪৫০ মিটার। এ অংশটি নির্মিত হলে এফসিডিসি রেলক্রসিং এরিয়ে সহজ যাতায়াত স্থাপিত হবে। আরও জানানো হয়, ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকার মগবাজার-মৌচাক-মালিবাগ-শান্তিনগর ও তেজগাঁও এলাকার যানজট নিরসন করে অবাধ যান চলাচল নিশ্চিত করতে ২০১১ সালে এ প্রকল্পটি গ্রহণ করা হয়। সে সময় ব্যয় ধরা হয়েছিল ৭৭২ কোটি ৭০ লাখ টাকা। পরবর্তীকালে প্রথম সংশোধনীর মাধ্যমে প্রায় ৪৪৬ কোটি টাকা বাড়িয়ে মোট ব্যয় ধরা হয় ১ হাজার ২১৮ কোটি ৯০ লাখ টাকা। বর্তমানে নতুন অংশ যুক্ত হওয়ায় অতিরিক্ত অর্থের প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়। এ পরিপ্রেক্ষিতে সৌদি আরব অর্থ সহায়তা বাড়িয়েছে। এ প্রকল্পে ইতিমধ্যেই ২৫০ মিলিয়ন সৌদি রিয়েল বা ৬ কোটি ৮৩ লাখ মার্কিন ডলার দিয়েছে সৌদি ফান্ড। সূত্র জানায়, ঢাকায় গত কয়েক দশকে দ্রুত জনসংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে নগরীর পরিবহন ব্যবস্থা এ অধিক জনসংখ্যার ভার বহন করতে পারছে না। ব্যাপক যানজটের কারণে অসহনীয় নগরীর মানুষের জীবন। এ অবস্থায় ঢাকা ট্রান্সপোর্ট কো-অর্ডিনেশন বোর্ড ঢাকার কৌশলগত পরিবহন পরিকল্পনার একটি সমীক্ষা পরিচালনা করে। এছাড়া আরবান ট্রান্সপোর্ট প্রজেক্ট তাদের ১৯৯৯ সালের সমীক্ষায় ঢাকা মহানগরীর ২০টি পয়েন্টে ফ্লাইওভার/ইন্টারসেকশন আন্ডারপাস, বাস বে-বাস টার্মিনাল ও পার্কিং এরিয়া নির্মাণের প্রস্তাব করে। এসব প্রস্তাবের ভিত্তিতেই মগবাজার-মৌচাক ফ্লাইওভারটি নির্মাণ করা হচ্ছে।
No comments