ফের শীর্ষে মোহামেডান
আগের দিন হারের শংকা নিয়ে থামতে হয়েছিল মোহামেডানকে। অনেকেই ধারণা করেছিলেন, বৃষ্টিই মোহামেডানের হার পিছিয়ে দিল। একদিনের জন্য পয়েন্ট টেবিলে দ্বিতীয় স্থানেও নেমে গিয়েছিল তারা। নতুন দিনের আলোয় মুশফিকুর রহিমরা ফিরে পেলেন নিজেদের। প্রাইম ব্যাংককে ২২৫ রানের লক্ষ্য দিয়েও ৮২ রানের বড় ব্যবধানে জিতেছে মুশফিকের মোহামেডান। ১২ পয়েন্ট নিয়ে প্রাইম দোলেশ্বরকে টপকে আবারও তারা উঠে গেছে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে। মঙ্গলবার প্রথমে ব্যাট করে ২২৪ রানে অলআউট হয় মোহামেডান। জবাবে এক উইকেট হারিয়ে ৬.২ ওভারে ৪২ রান তুলেছিল প্রাইম ব্যাংক। বৃষ্টি ওখানেই খেলা থামিয়ে দেয়। কাল রিজার্ভ ডে’তে প্রাইম ব্যাংক সেখান থেকেই শুরু করে। ওই এক উইকেট হারিয়েই ১১৩ রান তুলে ফেলে তারা। এরপরই চিত্রটা পাল্টে দেন পেসার শুভাশীষ রায় ও স্পিনার নাঈম ইসলাম জুনিয়র। মেহেদী মারুফ ও সাব্বির রহমান দারুণ ব্যাটিং করছিলেন। পাঁচ রানের ব্যবধানে মেহেদী ৪৮ এবং সাব্বির ৪১ রান করে আউট হন। ১১৩/১ থেকে ১০ ওভারের ব্যবধানে হয়ে যায় ১৪২/১০!
২৯ রানের ব্যবধানে নয় উইকেট হারায় বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। আট ব্যাটসম্যান দুই অংকের রান করতে পারেননি। আগের ম্যাচে সেঞ্চুরি করা উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান নূরুল হাসান সোহান আউট হন ৫ রান করে, শ্রীলংকান ব্যাটসম্যান শেহান জয়সুরিয়া আউট হন ৪ করে। বাকিদের অবস্থাও অভিন্ন। প্রাইম ব্যাংকের ব্যাটিং লাইনআপে ধস নামিয়েছেন মোহামেডানের দুই বোলার। মাত্র ৪.৪ ওভারে ২১ রান দিয়ে নাঈম ইসলাম জুনিয়র নিয়েছেন চার উইকেট। শুভাশীষ ১০ ওভারে ৪৯ রানে নিয়েছেন তিন উইকেট। দুটি উইকেট নেন আরিফুল হক, একটি নাঈম ইসলাম। এ নিয়ে তিনবার ম্যাচসেরা হলেন নাঈম ইসলাম জুনিয়র। তবে আম্পায়াররা তার বোলিং অ্যাকশন নিয়ে আগেই সন্দেহ প্রকাশ করেছেন। আগের দিন ৪১ রানে পাঁচ উইকেট হারানোর পরও নাজমুল হোসেন মিলন ও হাবিবুর রহমানের হাফ সেঞ্চুরিতে ২২৪ রান করে মোহামেডান। তিনটি উইকেট নেন মোহাম্মদ আজিম। এ নিয়ে আট ম্যাচে সমান আটটি করে জয় ও হার প্রাইম ব্যাংকের।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
আবাহনী ২৭৬/৬, ৫০ ওভারে (তামিম ইকবাল ৫৫, লিটন ৩৭, শান্ত ২২, রজত ভাটিয়া ৯০*, মোসাদ্দেক ৪৭। মেহেদী ২/৩২, ফারুক ১/১২)। গাজী গ্রুপ ২৪৪, ৪৮.১ ওভারে (শামসুর রহমান ১৩৬, অলক কাপালী ১৫, ফারুক ২৯, শরীফ ২৫। তাসকিন ৪/৩২, ভাটিয়া ২/৪৬)। ফল : আবাহনী ৩২ রানে জয়ী। ম্যান অব দ্য ম্যাচ : তাসকিন আহমেদ (আবাহনী)।
মোহামেডান ২২৪, ৪৯.২ ওভারে (নাঈম ইসলাম ২৫, মিঠুন মানহাস ৩৫, মিলন ৬৪, হাবিবুর ৫০, নাঈম ইসলাম জুনিয়ার ১১, এনামুল জুনিয়র ১২। আজিম ৩/৪০, রুবেল ২/৪০, মনির ২/৩৩)। প্রাইম ব্যাংক ১৪২, ৩২.৪ ওভারে (মারুফ ৪৮, শানাজ ১৬, সাব্বির ৪১। শুভাশীষ ৩/৪৯, নাঈম ইসলাম জুনিয়র ৪/২১, আরিফুল ২/২৭)। ফল : মোহামেডান ৮২ রানে জয়ী। ম্যান অব দ্য ম্যাচ : নাঈম ইসলাম জুনিয়র (মোহামেডান)।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
আবাহনী ২৭৬/৬, ৫০ ওভারে (তামিম ইকবাল ৫৫, লিটন ৩৭, শান্ত ২২, রজত ভাটিয়া ৯০*, মোসাদ্দেক ৪৭। মেহেদী ২/৩২, ফারুক ১/১২)। গাজী গ্রুপ ২৪৪, ৪৮.১ ওভারে (শামসুর রহমান ১৩৬, অলক কাপালী ১৫, ফারুক ২৯, শরীফ ২৫। তাসকিন ৪/৩২, ভাটিয়া ২/৪৬)। ফল : আবাহনী ৩২ রানে জয়ী। ম্যান অব দ্য ম্যাচ : তাসকিন আহমেদ (আবাহনী)।
মোহামেডান ২২৪, ৪৯.২ ওভারে (নাঈম ইসলাম ২৫, মিঠুন মানহাস ৩৫, মিলন ৬৪, হাবিবুর ৫০, নাঈম ইসলাম জুনিয়ার ১১, এনামুল জুনিয়র ১২। আজিম ৩/৪০, রুবেল ২/৪০, মনির ২/৩৩)। প্রাইম ব্যাংক ১৪২, ৩২.৪ ওভারে (মারুফ ৪৮, শানাজ ১৬, সাব্বির ৪১। শুভাশীষ ৩/৪৯, নাঈম ইসলাম জুনিয়র ৪/২১, আরিফুল ২/২৭)। ফল : মোহামেডান ৮২ রানে জয়ী। ম্যান অব দ্য ম্যাচ : নাঈম ইসলাম জুনিয়র (মোহামেডান)।
No comments