ইংলিশ মিডিয়ামে পড়াশোনার সাতকাহন by জিলফুল মুরাদ শানু
মডেল: সাগর, ফারিহা, নয়ন, ঈনা ও বিজয় |
ইংরেজি মাধ্যমে শিক্ষার মান ও পরিবেশ অনেক ভালো। এখান থেকে পড়াশোনা শেষ করলে দেশের বাইরে যাওয়া অনেক সহজ...
বাংলা মাধ্যমে পড়াশোনার পাশাপাশি দেশের প্রচলিত শিক্ষা ব্যবস্থার বাহিরে নতুন এক সংস্করণ ইংরেজি মাধ্যম। পড়াশোনার গুণগত মান ও বিশ্বজনীন গ্রহণযোগ্য শিক্ষা ব্যবস্থার কারণে ইংরেজি মাধ্যম এখন অনেকেরই কাছে অধিকতর পছন্দনীয় শিক্ষা মাধ্যম। এর সনদপত্রের মান আন্তর্জাতিকভাবে একই হওয়ায় উচ্চ শিক্ষার জন্য এ মাধ্যমের গ্রহণযোগ্যতাও অনেক বেশি।
বাংলাদেশে সাধারণত ১৫-১৬ বছর বয়স পার করলে 'ও' লেভেল (অর্ডিনারি লেভেল) পরীক্ষায় অংশ নিতে পারে। 'এ' লেভেল (অ্যাডভান্স লেভেল) বা ও লেভেল-এর সকল পরীক্ষা দুটি বোর্ডের অধীনে অনুষ্ঠিত হয়। ইউনিভার্সিটি অব ক্যামব্রিজ ও ইউনিভার্সিটি অব লন্ডন বা এডেক্সেল। দুটি বোর্ডেরই মান প্রায় এক। তবে সেশন ও পাঠ্যসূচি আলাদা। এডেক্সেলের সেশন শুরু হয় মে-জুন আর ক্যামব্রিজ-এর সেশন শুরু হয় অক্টোবর-নভেম্বর ও মে-জুন মাসে। মে-জুন সেশনের জন্য জানুয়ারিতে ফর্ম নিতে হয়। বাংলাদেশের ইংরেজি মাধ্যমের সকল পরীক্ষা ও ফলাফল বৃটিশ কাউন্সিল নিয়ন্ত্রণ করে। 'ও' লেভেল শেষ হওয়ার পর 'এ' লেভেলের জন্য প্রস্তুতি নিতে হয়।
বাংলাদেশে কিছু স্কুলে জিসিই (জেনারেল সার্টিফিকেট অব এডুকেশন) সিলেবাস অনুযায়ী 'ও লেভেলের' জন্য তাদের ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াশোনা করায়। শিক্ষার্থীরা দুই ভাবে এ মাধ্যমে পড়াশোনা সম্পন্ন করতে পারে। 'বৃটিশ কাউন্সিল অনুমোদিত কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হয়ে সেই প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে অথবা বৃটিশ কাউন্সিলে সরাসরি যোগাযোগ করে জিসিএসই সিলেবাস অনুযায়ী প্রস্তুতি নিয়ে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারে। ব্যক্তিগত নিবন্ধনের জন্য একটি বিস্তারিত ফর্ম আছে যা ঢাকা এবং চট্টগ্রামের ব্রিটিশ কাউন্সিল অফিসে পাওয়া যায় এবং সিলেটেও তথ্য অনুসন্ধান কেন্দ্র রয়েছে। এছাড়া স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের ওয়েবসাইট থেকেও পাওয়া যায়।
প্রতি কোর্সের জন্য ব্যয় পরীক্ষা বোর্ড কর্তৃক নির্ধারিত হয়। সাধারণত প্রতি কোর্সের জন্য গড়ে প্রায় ৫০০০ টাকা দিতে হয়। এ সংক্রান্ত আরও বিবরণ নিবন্ধন ফরমে এবং পরীক্ষা সংক্রান্ত তথ্যে বিস্তারিত দেয়া থাকে। পরীক্ষার ফি বাংলাদেশের স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের যে কোনো শাখায় জমা দিতে হয়। এক সেশনের ফি কখনও অন্য সেশনে গ্রহণযোগ্য হয় না।
ইংরেজি মাধ্যমে পড়াশোনা বাংলাদেশে খুব বেশিদিনের না হলেও এর জনপ্রিয়তা দ্রুত বিস্তার লাভ করেছে। এ বিষয়ে বৃটিশ কাউন্সিল বাংলাদেশ এর একজন পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অফিসার শোয়েব তানাকা বলেন, 'শুধু ঢাকাতেই প্রায় ১৫০ টিরও বেশি নিবন্ধিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আছে যারা বৃটিশ কাউন্সিলের সিলেবাস অনুযায়ী পাঠদান করে যাচ্ছে। সারা দেশে 'ও' লেভেল এবং 'এ' লেভেলে ১৫ হাজারেরও বেশি শিক্ষার্থী অধ্যয়ন করছে এবং তারা প্রশংসনীয় ফলাফলও অর্জন করছে যা দেশের মেধাবী নেতৃত্ব তৈরি করছে। অক্সফোর্ড ইন্টারন্যাশনাল স্কুল-এর 'ও' লেভেলের শিক্ষার্থী রাইহান হাওলাদারের অভিভাবক মায়মুনা ঈশা বলেন, ইংরেজি মাধ্যমে শিক্ষার মান ও পরিবেশ অনেক ভালো। এখান থেকে পড়াশোনা শেষ করলে দেশের বাইরে যাওয়া অনেক সহজ এবং ছাত্রছাত্রীরাও অনেক অগ্রসর হয়।
বাংলা মাধ্যমে পড়াশোনার পাশাপাশি দেশের প্রচলিত শিক্ষা ব্যবস্থার বাহিরে নতুন এক সংস্করণ ইংরেজি মাধ্যম। পড়াশোনার গুণগত মান ও বিশ্বজনীন গ্রহণযোগ্য শিক্ষা ব্যবস্থার কারণে ইংরেজি মাধ্যম এখন অনেকেরই কাছে অধিকতর পছন্দনীয় শিক্ষা মাধ্যম। এর সনদপত্রের মান আন্তর্জাতিকভাবে একই হওয়ায় উচ্চ শিক্ষার জন্য এ মাধ্যমের গ্রহণযোগ্যতাও অনেক বেশি।
বাংলাদেশে সাধারণত ১৫-১৬ বছর বয়স পার করলে 'ও' লেভেল (অর্ডিনারি লেভেল) পরীক্ষায় অংশ নিতে পারে। 'এ' লেভেল (অ্যাডভান্স লেভেল) বা ও লেভেল-এর সকল পরীক্ষা দুটি বোর্ডের অধীনে অনুষ্ঠিত হয়। ইউনিভার্সিটি অব ক্যামব্রিজ ও ইউনিভার্সিটি অব লন্ডন বা এডেক্সেল। দুটি বোর্ডেরই মান প্রায় এক। তবে সেশন ও পাঠ্যসূচি আলাদা। এডেক্সেলের সেশন শুরু হয় মে-জুন আর ক্যামব্রিজ-এর সেশন শুরু হয় অক্টোবর-নভেম্বর ও মে-জুন মাসে। মে-জুন সেশনের জন্য জানুয়ারিতে ফর্ম নিতে হয়। বাংলাদেশের ইংরেজি মাধ্যমের সকল পরীক্ষা ও ফলাফল বৃটিশ কাউন্সিল নিয়ন্ত্রণ করে। 'ও' লেভেল শেষ হওয়ার পর 'এ' লেভেলের জন্য প্রস্তুতি নিতে হয়।
বাংলাদেশে কিছু স্কুলে জিসিই (জেনারেল সার্টিফিকেট অব এডুকেশন) সিলেবাস অনুযায়ী 'ও লেভেলের' জন্য তাদের ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াশোনা করায়। শিক্ষার্থীরা দুই ভাবে এ মাধ্যমে পড়াশোনা সম্পন্ন করতে পারে। 'বৃটিশ কাউন্সিল অনুমোদিত কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হয়ে সেই প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে অথবা বৃটিশ কাউন্সিলে সরাসরি যোগাযোগ করে জিসিএসই সিলেবাস অনুযায়ী প্রস্তুতি নিয়ে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারে। ব্যক্তিগত নিবন্ধনের জন্য একটি বিস্তারিত ফর্ম আছে যা ঢাকা এবং চট্টগ্রামের ব্রিটিশ কাউন্সিল অফিসে পাওয়া যায় এবং সিলেটেও তথ্য অনুসন্ধান কেন্দ্র রয়েছে। এছাড়া স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের ওয়েবসাইট থেকেও পাওয়া যায়।
প্রতি কোর্সের জন্য ব্যয় পরীক্ষা বোর্ড কর্তৃক নির্ধারিত হয়। সাধারণত প্রতি কোর্সের জন্য গড়ে প্রায় ৫০০০ টাকা দিতে হয়। এ সংক্রান্ত আরও বিবরণ নিবন্ধন ফরমে এবং পরীক্ষা সংক্রান্ত তথ্যে বিস্তারিত দেয়া থাকে। পরীক্ষার ফি বাংলাদেশের স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের যে কোনো শাখায় জমা দিতে হয়। এক সেশনের ফি কখনও অন্য সেশনে গ্রহণযোগ্য হয় না।
ইংরেজি মাধ্যমে পড়াশোনা বাংলাদেশে খুব বেশিদিনের না হলেও এর জনপ্রিয়তা দ্রুত বিস্তার লাভ করেছে। এ বিষয়ে বৃটিশ কাউন্সিল বাংলাদেশ এর একজন পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অফিসার শোয়েব তানাকা বলেন, 'শুধু ঢাকাতেই প্রায় ১৫০ টিরও বেশি নিবন্ধিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আছে যারা বৃটিশ কাউন্সিলের সিলেবাস অনুযায়ী পাঠদান করে যাচ্ছে। সারা দেশে 'ও' লেভেল এবং 'এ' লেভেলে ১৫ হাজারেরও বেশি শিক্ষার্থী অধ্যয়ন করছে এবং তারা প্রশংসনীয় ফলাফলও অর্জন করছে যা দেশের মেধাবী নেতৃত্ব তৈরি করছে। অক্সফোর্ড ইন্টারন্যাশনাল স্কুল-এর 'ও' লেভেলের শিক্ষার্থী রাইহান হাওলাদারের অভিভাবক মায়মুনা ঈশা বলেন, ইংরেজি মাধ্যমে শিক্ষার মান ও পরিবেশ অনেক ভালো। এখান থেকে পড়াশোনা শেষ করলে দেশের বাইরে যাওয়া অনেক সহজ এবং ছাত্রছাত্রীরাও অনেক অগ্রসর হয়।
No comments