‘হারানো’ স্মৃতি ফিরতে পারে
স্মৃতিভ্রংশ রোগ আলঝেইমারে আক্রান্ত ব্যক্তিরা মস্তিষ্কে জমা হওয়া স্মৃতি না-ও ‘হারাতে’ পারেন। যেটা হতে পারে তা হলো, এ নিয়ে সাধারণভাবে কিছু জটিলতার শিকার হতে পারেন তাঁরা। আর চিকিৎসায় তাঁদের সুস্থ করেও তোলা যেতে পারে। বিজ্ঞানীরা গবেষণা করে এমনটাই জানাচ্ছেন। গবেষকেরা বলছেন, তাঁরা এমন এক সম্ভাব্য চিকিৎসাপদ্ধতি বের করতে সক্ষম হয়েছেন, যার সাহায্যে একদিন স্মৃতিভ্রংশের ভয়াবহতাকে সারিয়ে তোলা যেতে পারে। জাপানের এ চিকিৎসক গবেষক দলের নেতা নোবেল পুরস্কার বিজয়ী সুসুমু তোনগাওয়া বলেন, ইঁদুরের ওপর পরীক্ষা চালিয়ে তাঁরা দেখেছেন, নীল আলোর সাহায্যে এর মস্তিষ্কের নির্দিষ্ট কিছু জায়গা উদ্দীপ্ত করে বিজ্ঞানীরা প্রাণীটির হারানো স্মৃতিকে ফেরাতে সক্ষম হয়েছেন। গত বুধবার গবেষণার এ ফলাফল প্রকাশিত হয় যুক্তরাজ্যভিত্তিক বিজ্ঞান সাময়িকী ন্যাচার-এ। এতে প্রমাণ উপস্থাপন করে বলা হয়, আলঝেইমার রোগে একজন ব্যক্তির নির্দিষ্ট স্মৃতি ধ্বংস হয়ে যায় না;
বরং এ অসুস্থতার কারণে স্মৃতিশক্তি অপ্রাপ্য হয়ে ওঠে। তোনগাওয়া বলেন, স্মৃতিশক্তির ব্যাপারে মানুষ ও ইঁদুরের মস্তিষ্ক অভিন্ন নীতিপ্রবণ। তাই প্রাণীটির ওপর গবেষণায় ইঙ্গিত পাওয়া গেছে, আলঝেইমারে আক্রান্ত রোগীদের রোগের প্রাথমিক স্তরে হলেও মস্তিষ্কে স্মৃতি রক্ষিত থাকতে পারে। অর্থাৎ, তাঁদের সুস্থ করে তোলা সম্ভব হতে পারে। তোনগাওয়ার গবেষক দল ইঁদুরের দেহে জিনগত পরিবর্তন এনে আলঝেইমারে আক্রান্ত রোগীর লক্ষণ ফুটিয়ে তোলেন। পরে তা নিরাময়ে চিকিৎসা পদ্ধতি প্রয়োগ করেন। আলঝেইমার মস্তিষ্কের একধরনের ক্ষয়িষ্ণু অবস্থা, যাতে বিশ্বজুড়ে কোটি কোটি মানুষ আক্রান্ত। গবেষণাটি পরিচালনা করে আরআইকেইএন-এমআইটি সেন্টার ফর নিউরাল সার্কিট জেনেটিকস। এর পরিচালক তোনগাওয়া বলেন, আলঝেইমার রোগীদের জন্য এই গবেষণা এক সুখবর বয়ে আনবে। তবে এ ব্যাপারে এখনো অনেকটা কাজ বাকি আছে।
No comments