ইরানের অবরোধমুক্তি- সংঘাতের বিপরীতে শান্তি ও কূটনীতির জয়
ইরানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রসহ পরাশক্তিগুলোর পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ চুক্তির শর্ত পূরণ হওয়ায় দেশটির বিরুদ্ধে এক যুগব্যাপী চলা অর্থনৈতিক অবরোধ উঠে গেল ১৬ জানুয়ারি। ইরান পেল অর্থনৈতিক বিকাশের সম্পূর্ণ সুযোগ আর যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা পেল ইরানের দিক থেকে শান্তির আশ্বাস। মধ্যপ্রাচ্যের একদিকে যখন যুদ্ধ, তখন অন্যদিকে শান্তির এই বিজয় বিশ্বকে কিছুটা নিরাপদই করল। পারমাণবিক অস্ত্রমুক্ত পৃথিবী গড়ার যে সার্বজনীন দাবি, ইরানের অনুকরণে সেই দাবি ক্রমেই অন্যান্য দেশের বেলাতেও প্রযোজ্য হওয়া উচিত।
গত বছরের জুলাই মাসে ইরানের সঙ্গে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের পাঁচ সদস্যের নিরস্ত্রীকরণ চুক্তি হয়। এ সপ্তাহে জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক পারমাণবিক শক্তি সংস্থা (আইএইএ) বিশ্বকে জানায় যে ইরান সেই চুক্তির সব শর্ত পূরণ করেছে। এরপরই যুক্তরাষ্ট্র ইরানের ওপর থেকে অবরোধ তুলে নেওয়ার ঘোষণা দেয়। ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি ইরানের সংসদে জানান, এখন বিনিয়োগকারীরা ফিরে আসবে, তেলের বিক্রি দ্বিগুণ হবে এবং ইরান সমৃদ্ধ হতে থাকবে। এই সুবাদে বিশ্বের বিভিন্ন ব্যাংকে আটক থাকা ইরানের ১০০ বিলিয়ন ডলারের সম্পদও ধীরে ধীরে ফিরে আসবে।
সংঘাতের বিরুদ্ধে ধৈর্যশীল কূটনীতির জয় হিসেবে ইরানের অবরোধমুক্তিকে স্বাগত জানাতেই হয়। কিন্তু একই সময়ে যুক্তরাষ্ট্র নতুন করে ইরানের মিসাইল কর্মসূচির সঙ্গে জড়িত ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞার তালিকাভুক্ত করেছে। ইরান-যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কে বৈরিতার এই নতুন খাতটি যাতে প্রশস্ত না হয়, তা দেখার দায়িত্ব জাতিসংঘেরও।
আশির দশকে সাদ্দামের আক্রমণের মুখে ইরানের বিপ্লবী সরকার শাহের আমলের পারমাণবিক কর্মসূচি আবার চালু করেছিল। এখন সেই ইরাক ইরানের ওপরই অনেকটা নির্ভরশীল। এখন পারমাণবিক উচ্চাশার বদলে অর্থনৈতিক উচ্চাভিলাষই ইরানের জন্য যুক্তিযুক্ত। এখন পশ্চিমাদের উচিত ইরানকে অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিকভাবে কোণঠাসা রাখার নীতি একেবারেই পরিত্যাগ করা। মধ্যপ্রাচ্যে শান্তির জন্যই এটা প্রয়োজন। যুক্তরাষ্ট্রও যে ইসরায়েল ও সৌদি আরবের আপত্তি সত্ত্বেও ইরানের সঙ্গে শান্তিপূর্ণ সম্পর্ক রচনা করল, তাও মধ্যপ্রাচ্যের বাস্তবতা বদলের ইঙ্গিত।
গত বছরের জুলাই মাসে ইরানের সঙ্গে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের পাঁচ সদস্যের নিরস্ত্রীকরণ চুক্তি হয়। এ সপ্তাহে জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক পারমাণবিক শক্তি সংস্থা (আইএইএ) বিশ্বকে জানায় যে ইরান সেই চুক্তির সব শর্ত পূরণ করেছে। এরপরই যুক্তরাষ্ট্র ইরানের ওপর থেকে অবরোধ তুলে নেওয়ার ঘোষণা দেয়। ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি ইরানের সংসদে জানান, এখন বিনিয়োগকারীরা ফিরে আসবে, তেলের বিক্রি দ্বিগুণ হবে এবং ইরান সমৃদ্ধ হতে থাকবে। এই সুবাদে বিশ্বের বিভিন্ন ব্যাংকে আটক থাকা ইরানের ১০০ বিলিয়ন ডলারের সম্পদও ধীরে ধীরে ফিরে আসবে।
সংঘাতের বিরুদ্ধে ধৈর্যশীল কূটনীতির জয় হিসেবে ইরানের অবরোধমুক্তিকে স্বাগত জানাতেই হয়। কিন্তু একই সময়ে যুক্তরাষ্ট্র নতুন করে ইরানের মিসাইল কর্মসূচির সঙ্গে জড়িত ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞার তালিকাভুক্ত করেছে। ইরান-যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কে বৈরিতার এই নতুন খাতটি যাতে প্রশস্ত না হয়, তা দেখার দায়িত্ব জাতিসংঘেরও।
আশির দশকে সাদ্দামের আক্রমণের মুখে ইরানের বিপ্লবী সরকার শাহের আমলের পারমাণবিক কর্মসূচি আবার চালু করেছিল। এখন সেই ইরাক ইরানের ওপরই অনেকটা নির্ভরশীল। এখন পারমাণবিক উচ্চাশার বদলে অর্থনৈতিক উচ্চাভিলাষই ইরানের জন্য যুক্তিযুক্ত। এখন পশ্চিমাদের উচিত ইরানকে অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিকভাবে কোণঠাসা রাখার নীতি একেবারেই পরিত্যাগ করা। মধ্যপ্রাচ্যে শান্তির জন্যই এটা প্রয়োজন। যুক্তরাষ্ট্রও যে ইসরায়েল ও সৌদি আরবের আপত্তি সত্ত্বেও ইরানের সঙ্গে শান্তিপূর্ণ সম্পর্ক রচনা করল, তাও মধ্যপ্রাচ্যের বাস্তবতা বদলের ইঙ্গিত।
No comments