ভারতীয় ঋণের শর্ত এবার আরও কঠিন by রাহীদ এজাজ
প্রকল্পের
পণ্য আমদানির হার, পরামর্শক নিয়োগ এবং কর ও ভ্যাট মওকুফ নিয়ে ছয় মাসের
দর-কষাকষির পর ভারতের সঙ্গে দ্বিতীয় ঋণ চুক্তি সই করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ।
এবারের চুক্তির শর্ত কিছুটা কঠিন। এবার ১৩টি প্রকল্পের জন্য ২০০ কোটি ডলার
ঋণ দিচ্ছে ভারত।
পররাষ্ট্র ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) কর্মকর্তারা সম্প্রতি প্রথম আলোকে বলেন, গত জুনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঢাকা সফরের সময় সই হওয়া সমঝোতা স্মারকে বলা হয়েছিল, প্রথম চুক্তির শর্তে দ্বিতীয় চুক্তি হবে। পরে ভারত চুক্তির যে খসড়া পাঠায়, তাতে দেখা যায় যে শর্তগুলো প্রথম চুক্তির তুলনায় কঠিন। প্রথমবার (২০১০ সালে) চুক্তি সইয়ের পর প্রকল্প চূড়ান্ত হয়েছিল। আর এবার প্রকল্প চূড়ান্ত হওয়ার পর চুক্তি সই হতে যাচ্ছে।
তিন শর্ত নিয়ে দর-কষাকষি: নতুন ঋণে ভারত প্রয়োজনীয় পণ্য ও সেবার ন্যূনতম ৭৫ শতাংশ সে দেশ থেকে আমদানির শর্ত জুড়ে দেয়। বাংলাদেশ তা ৬০ শতাংশ করার প্রস্তাব দিলে ভারত মানেনি। পরে দুই দেশ ৬৫ শতাংশে রাজি হয়। প্রকল্পে ব্যবস্থাপনা পরামর্শক নিয়োগের ক্ষেত্রে ভারত শুরু থেকেই নিজেদের নাগরিকদের রাখার প্রস্তাব দেয়। তবে বাংলাদেশ সব প্রকল্পে ঢালাওভাবে পরামর্শক নিয়োগে আপত্তি জানায়। এখন পরামর্শকের ৭৫ শতাংশ ভারতের ও ২৫ শতাংশ বাংলাদেশের নাগরিক হবে বলে ঠিক হয়েছে। খসড়া প্রস্তাবে সব পণ্য ও সেবা সংগ্রহের ক্ষেত্রেও প্রকল্প-সংশ্লিষ্ট ভারতীয় ব্যক্তিদের কর ও ভ্যাট মওকুফের প্রস্তাব দেয় নয়াদিল্লি। বাংলাদেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী, এ ধরনের কর ও ভ্যাট মওকুফের সুযোগ নেই। শেষ পর্যন্ত সরকারের নিজস্ব অর্থায়ন থেকে প্রকল্পের ভ্যাট ও পরামর্শক কর পরিশোধ করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
** ২০০ কোটি ডলারের ঋণ চুক্তি সই হচ্ছে
** ৭৫ শতাংশ পণ্য আসবে ভারত থেকে
** আইন মন্ত্রণালয়ের সম্মতির অপেক্ষা
ইআরডির কর্মকর্তারা জানান, ভারতের এক্সিম ব্যাংকের দেওয়া প্রথম ঋণ চুক্তির ক্ষেত্রে শুরুতে ভারত ৮৫ শতাংশ পণ্য ও সেবা সে দেশ থেকে নেওয়ার শর্ত জুড়ে দেয়। দীর্ঘ দর-কষাকষির পর ভৌত অবকাঠামো নির্মাণে ৬৫ শতাংশ ও অন্যান্য প্রকল্পে ৭৫ শতাংশ ভারত থেকে নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। এ ছাড়া কর ও ভ্যাট মওকুফ করা হয়নি প্রথম ঋণ চুক্তিতে।
জানতে চাইলে সাবেক পররাষ্ট্রসচিব মো. তৌহিদ হোসেন গতকাল সোমবার প্রথম আলোকে বলেন, ‘এ ধরনের চুক্তিতে কেনাকাটার প্রকল্পে ভারত থেকে পণ্য আমদানি প্রয়োজনে ৯০ শতাংশ হতে পারে। কিন্তু ভৌত অবকাঠামো নির্মাণে ভারত থেকে পণ্য আমদানির হার ৬৫ শতাংশ হওয়াটা বাঞ্ছনীয় নয়। কারণ অতীতের মতো এবারও প্রস্তাবিত প্রকল্প বাস্তবায়নে ইট, বালু, সিমেন্টসহ বিভিন্ন পণ্য ভারত থেকে আমদানির কথা রয়েছে। অথচ আমরাই এখন আন্তর্জাতিক মানের সিমেন্ট, ইটসহ অবকাঠামো নির্মাণের পণ্য উৎপাদন করি। কাজেই এসব পণ্য ভারত থেকে নেওয়ার কোনো যুক্তি দেখি না।’
১৩ প্রকল্প: দ্বিতীয় চুক্তির আওতায় বাস্তবায়িত হবে পার্বতীপুর-কাউনিয়া পর্যন্ত মিটার গেজ লাইনকে ডাবল গেজে রূপান্তর; খুলনা-দর্শনা ডাবল লাইন নির্মাণ; সৈয়দপুর রেল কারখানা উন্নয়ন; বড়পুকুরিয়া-বগুড়া-কালিয়াকৈর ৪০০ কেভি বিদ্যুৎ লাইন নির্মাণ; বিআরটিসির জন্য ৫০০ ট্রাক ও ৫০০ বাস (৩০০ দ্বিতল ও ২০০ আর্টিকুলেটেড) কেনা; সড়ক ও জনপদ বিভাগের জন্য যন্ত্রপাতি কেনা; চারটি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল এবং জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট স্থাপন; ৪৯টি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট ও শিক্ষক প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট স্থাপন, আশুগঞ্জ নৌ কনটেইনার বন্দর স্থাপন এবং আশুগঞ্জ বন্দর-ডারকার-আখাউড়া স্থলবন্দর সড়ক উন্নয়ন। এ ছাড়া তথ্য প্রযুক্তি খাতের আরও দুটি প্রকল্প রয়েছে।
জানতে চাইলে গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) নির্বাহী পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান গতকাল প্রথম আলোকে বলেন, ভারত রপ্তানি বাড়ানোর জন্য এ ধরনের ঋণ দেয়। ফলে প্রকল্পের ক্ষেত্রে তাদের অগ্রাধিকার থাকাটা স্বাভাবিক। তবে দ্বিতীয় ঋণ চুক্তিতে কয়েকটি সামাজিক প্রকল্প অন্তর্ভুক্তির বিষয়টি ইতিবাচক। এ ধরনের ঋণের দর-কষাকষি সমন্বিতভাবে করতে হবে, যাতে করে প্রকল্প বাস্তবায়নের ফলে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আর্থিক সুফল নিশ্চিত করা যায়। পাশাপাশি পুরো প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা থাকতে হবে। তা না হলে ঋণের ব্যাপারে প্রশ্ন থেকে যায়।
প্রথম চুক্তির অগ্রগতি: ২০১০ সালের আগস্টে ঢাকায় বাংলাদেশ ও ভারত ১০০ কোটি ডলারের ঋণ চুক্তি সই করে। এই চুক্তির আওতায় ১৫টি প্রকল্প চূড়ান্ত করা হয়। গত ৩০ ডিসেম্বরের এক পরিসংখ্যানে দেখা এখন পর্যন্ত সাতটি প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়েছে। পুরোপুরি বাস্তবায়িত হওয়া সাতটি প্রকল্পের সবগুলোই কেনাকাটার। এর মধ্যে আছে বিআরটিসির জন্য একতলা ও দোতলা বাস, রেলের ইঞ্জিন, ওয়াগন ও কনটেইনার। যে আটটি প্রকল্প এখনো শেষ হয়নি, তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে নতুন যন্ত্রপাতি সরবরাহের মাধ্যমে বাংলাদেশ মান নিয়ন্ত্রণ সংস্থার (বিএসটিআই) আধুনিকায়ন, অ্যাপ্রোচ রেললাইনসহ দ্বিতীয় ভৈরব ও দ্বিতীয় তিতাস সেতু এবং একাধিক রেললাইন নির্মাণ ও সংস্কার।
এ বিষয়ে ইআরডির অতিরিক্ত সচিব আসিফ উজ জামান গত রোববার প্রথম আলোকে বলেন, ‘দুই দেশের কর্মকর্তাদের কয়েক দফা বৈঠকের পর চুক্তির শর্ত চূড়ান্ত হয়েছে। দুই পক্ষই পণ্যের উৎসসহ কয়েকটি বিষয়ে কিছুটা ছাড় দিয়ে মাঝামাঝি একটি অবস্থানে এসেছে। এখন আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত পাওয়ার পর চুক্তিটি সই হবে।’
ভারতের রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জি ২০১৩ সালের মার্চে ঢাকা সফরের সময় ১০০ কোটি ডলারের ঋণ থেকে ২০ কোটি ডলার অনুদান হিসেবে দেওয়ার ঘোষণা দেন।
পররাষ্ট্র ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) কর্মকর্তারা সম্প্রতি প্রথম আলোকে বলেন, গত জুনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঢাকা সফরের সময় সই হওয়া সমঝোতা স্মারকে বলা হয়েছিল, প্রথম চুক্তির শর্তে দ্বিতীয় চুক্তি হবে। পরে ভারত চুক্তির যে খসড়া পাঠায়, তাতে দেখা যায় যে শর্তগুলো প্রথম চুক্তির তুলনায় কঠিন। প্রথমবার (২০১০ সালে) চুক্তি সইয়ের পর প্রকল্প চূড়ান্ত হয়েছিল। আর এবার প্রকল্প চূড়ান্ত হওয়ার পর চুক্তি সই হতে যাচ্ছে।
তিন শর্ত নিয়ে দর-কষাকষি: নতুন ঋণে ভারত প্রয়োজনীয় পণ্য ও সেবার ন্যূনতম ৭৫ শতাংশ সে দেশ থেকে আমদানির শর্ত জুড়ে দেয়। বাংলাদেশ তা ৬০ শতাংশ করার প্রস্তাব দিলে ভারত মানেনি। পরে দুই দেশ ৬৫ শতাংশে রাজি হয়। প্রকল্পে ব্যবস্থাপনা পরামর্শক নিয়োগের ক্ষেত্রে ভারত শুরু থেকেই নিজেদের নাগরিকদের রাখার প্রস্তাব দেয়। তবে বাংলাদেশ সব প্রকল্পে ঢালাওভাবে পরামর্শক নিয়োগে আপত্তি জানায়। এখন পরামর্শকের ৭৫ শতাংশ ভারতের ও ২৫ শতাংশ বাংলাদেশের নাগরিক হবে বলে ঠিক হয়েছে। খসড়া প্রস্তাবে সব পণ্য ও সেবা সংগ্রহের ক্ষেত্রেও প্রকল্প-সংশ্লিষ্ট ভারতীয় ব্যক্তিদের কর ও ভ্যাট মওকুফের প্রস্তাব দেয় নয়াদিল্লি। বাংলাদেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী, এ ধরনের কর ও ভ্যাট মওকুফের সুযোগ নেই। শেষ পর্যন্ত সরকারের নিজস্ব অর্থায়ন থেকে প্রকল্পের ভ্যাট ও পরামর্শক কর পরিশোধ করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
** ২০০ কোটি ডলারের ঋণ চুক্তি সই হচ্ছে
** ৭৫ শতাংশ পণ্য আসবে ভারত থেকে
** আইন মন্ত্রণালয়ের সম্মতির অপেক্ষা
ইআরডির কর্মকর্তারা জানান, ভারতের এক্সিম ব্যাংকের দেওয়া প্রথম ঋণ চুক্তির ক্ষেত্রে শুরুতে ভারত ৮৫ শতাংশ পণ্য ও সেবা সে দেশ থেকে নেওয়ার শর্ত জুড়ে দেয়। দীর্ঘ দর-কষাকষির পর ভৌত অবকাঠামো নির্মাণে ৬৫ শতাংশ ও অন্যান্য প্রকল্পে ৭৫ শতাংশ ভারত থেকে নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। এ ছাড়া কর ও ভ্যাট মওকুফ করা হয়নি প্রথম ঋণ চুক্তিতে।
জানতে চাইলে সাবেক পররাষ্ট্রসচিব মো. তৌহিদ হোসেন গতকাল সোমবার প্রথম আলোকে বলেন, ‘এ ধরনের চুক্তিতে কেনাকাটার প্রকল্পে ভারত থেকে পণ্য আমদানি প্রয়োজনে ৯০ শতাংশ হতে পারে। কিন্তু ভৌত অবকাঠামো নির্মাণে ভারত থেকে পণ্য আমদানির হার ৬৫ শতাংশ হওয়াটা বাঞ্ছনীয় নয়। কারণ অতীতের মতো এবারও প্রস্তাবিত প্রকল্প বাস্তবায়নে ইট, বালু, সিমেন্টসহ বিভিন্ন পণ্য ভারত থেকে আমদানির কথা রয়েছে। অথচ আমরাই এখন আন্তর্জাতিক মানের সিমেন্ট, ইটসহ অবকাঠামো নির্মাণের পণ্য উৎপাদন করি। কাজেই এসব পণ্য ভারত থেকে নেওয়ার কোনো যুক্তি দেখি না।’
১৩ প্রকল্প: দ্বিতীয় চুক্তির আওতায় বাস্তবায়িত হবে পার্বতীপুর-কাউনিয়া পর্যন্ত মিটার গেজ লাইনকে ডাবল গেজে রূপান্তর; খুলনা-দর্শনা ডাবল লাইন নির্মাণ; সৈয়দপুর রেল কারখানা উন্নয়ন; বড়পুকুরিয়া-বগুড়া-কালিয়াকৈর ৪০০ কেভি বিদ্যুৎ লাইন নির্মাণ; বিআরটিসির জন্য ৫০০ ট্রাক ও ৫০০ বাস (৩০০ দ্বিতল ও ২০০ আর্টিকুলেটেড) কেনা; সড়ক ও জনপদ বিভাগের জন্য যন্ত্রপাতি কেনা; চারটি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল এবং জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট স্থাপন; ৪৯টি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট ও শিক্ষক প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট স্থাপন, আশুগঞ্জ নৌ কনটেইনার বন্দর স্থাপন এবং আশুগঞ্জ বন্দর-ডারকার-আখাউড়া স্থলবন্দর সড়ক উন্নয়ন। এ ছাড়া তথ্য প্রযুক্তি খাতের আরও দুটি প্রকল্প রয়েছে।
জানতে চাইলে গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) নির্বাহী পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান গতকাল প্রথম আলোকে বলেন, ভারত রপ্তানি বাড়ানোর জন্য এ ধরনের ঋণ দেয়। ফলে প্রকল্পের ক্ষেত্রে তাদের অগ্রাধিকার থাকাটা স্বাভাবিক। তবে দ্বিতীয় ঋণ চুক্তিতে কয়েকটি সামাজিক প্রকল্প অন্তর্ভুক্তির বিষয়টি ইতিবাচক। এ ধরনের ঋণের দর-কষাকষি সমন্বিতভাবে করতে হবে, যাতে করে প্রকল্প বাস্তবায়নের ফলে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আর্থিক সুফল নিশ্চিত করা যায়। পাশাপাশি পুরো প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা থাকতে হবে। তা না হলে ঋণের ব্যাপারে প্রশ্ন থেকে যায়।
প্রথম চুক্তির অগ্রগতি: ২০১০ সালের আগস্টে ঢাকায় বাংলাদেশ ও ভারত ১০০ কোটি ডলারের ঋণ চুক্তি সই করে। এই চুক্তির আওতায় ১৫টি প্রকল্প চূড়ান্ত করা হয়। গত ৩০ ডিসেম্বরের এক পরিসংখ্যানে দেখা এখন পর্যন্ত সাতটি প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়েছে। পুরোপুরি বাস্তবায়িত হওয়া সাতটি প্রকল্পের সবগুলোই কেনাকাটার। এর মধ্যে আছে বিআরটিসির জন্য একতলা ও দোতলা বাস, রেলের ইঞ্জিন, ওয়াগন ও কনটেইনার। যে আটটি প্রকল্প এখনো শেষ হয়নি, তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে নতুন যন্ত্রপাতি সরবরাহের মাধ্যমে বাংলাদেশ মান নিয়ন্ত্রণ সংস্থার (বিএসটিআই) আধুনিকায়ন, অ্যাপ্রোচ রেললাইনসহ দ্বিতীয় ভৈরব ও দ্বিতীয় তিতাস সেতু এবং একাধিক রেললাইন নির্মাণ ও সংস্কার।
এ বিষয়ে ইআরডির অতিরিক্ত সচিব আসিফ উজ জামান গত রোববার প্রথম আলোকে বলেন, ‘দুই দেশের কর্মকর্তাদের কয়েক দফা বৈঠকের পর চুক্তির শর্ত চূড়ান্ত হয়েছে। দুই পক্ষই পণ্যের উৎসসহ কয়েকটি বিষয়ে কিছুটা ছাড় দিয়ে মাঝামাঝি একটি অবস্থানে এসেছে। এখন আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত পাওয়ার পর চুক্তিটি সই হবে।’
ভারতের রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জি ২০১৩ সালের মার্চে ঢাকা সফরের সময় ১০০ কোটি ডলারের ঋণ থেকে ২০ কোটি ডলার অনুদান হিসেবে দেওয়ার ঘোষণা দেন।
No comments