কারাগার থেকে মুক্তির পরই র্যাবের অভিযানে নিহত!
গাজীপুরে
‘জঙ্গিদের’ একটি আস্তানায় অভিযানে দুই ‘জঙ্গি’ নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে
র্যাব। রোববার রাত ২টায় র্যাবের উপ-পরিচালক মেজর রুম্মান মাহমুদ
যুগান্তরকে দুই ‘জঙ্গির’ লাশ উদ্ধারের কথা নিশ্চিত করেছেন।
তবে নিহতদের নাম মিনহাজ ও মাহবুব বলে জানানো হলেও তাদের পরিচয় সোমবার বেলা ৩টায়ও নিশ্চিত করতে পারেনি আইনশৃংখলা বাহিনী।
এদিকে অভিযানের আগে রোববার রাতে মিনহাজুল ও মাহবুব নামে ওই দুই ‘জঙ্গি’ কাশিমপুর কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছিলেন। মুক্তির পর কারাফটক থেকে তাদের র্যাব ধরে নিয়ে গিয়েছিল বলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক গোয়েন্দা কর্মকর্তা জানিয়েছেলেন।
অবশ্য অভিযানে নিহত দুজন তারা কি না, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
যুগান্তর অনলাইন থেকে সোমবার বেলা ৩টায় র্যাবের মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার মুফতি মাহমুদ খানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়া দুজন র্যাবের অভিযানে নিহত হননি। তারা জীবিত আছেন। এবিষয়ে র্যাব-১ এর সঙ্গে যোগাযোগের পরামর্শ দেন তিনি।
পরে র্যাব-১ এর কর্মকর্তা লে. কর্নেল তুহিন মো. মাসুদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, রোববার রাতে মুক্তি পাওয়া দুজন জীবিত আছেন।তাদের নাম মিনহাজ ও মাহবুব বলে জানান তিনি। তবে গাজিপুরে র্যাবের অভিযানে নিহতরা ওই দুজন (জেল থেকে মুক্তি পাওয়া) নন।
এদিকে সোমবার বেলা ৩টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত নিহতদের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি না হওয়ায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে কোনো তথ্য প্রকাশ করেনি।
এ ঘটনায় এখনও মামলাও হয়নি বলে জানান জয়দেবপুর থানার ওসি মো. খন্দকার রেজাউল হাসান রেজা।
রাতেই ঘটনাস্থলে র্যাবের মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক মুফতি মাহমুদ খান অভিযানের বিষয়ে সাংবাদিকদের বলেন, জঙ্গি আস্তানা থেকে তিনটি বোমাসহ বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক উদ্ধার করা হয়েছে।এসময় দুই জঙ্গি নিহত হয়েছেন। তারা নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জেএমবির সদস্য।
তিনি জানান, রোববার রাত সাড়ে ১০টার দিকে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে গাজীপুর বাইপাস চৌরাস্তা থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে ভোগড়া মোড়সংলগ্ন যোগিতলা গ্রামের একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে এ অভিযান শুরু হয়। এ সময় র্যাবকে লক্ষ্য করে বোমা হামলা চালায় জঙ্গিরা। আত্মরক্ষার্থে র্যাব পাল্টা গুলি করে। এ সময় বোমার আঘাতে র্যাবের এক সদস্য আহত হন।
এর আগে র্যাব-১ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল তুহিন মোহাম্মদ মাসুদ জানান, যোগিতলার ওই পরিত্যক্ত বাড়িটির পাশে একটি মসজিদ আছে। মুসল্লিরা প্রায়ই সেখানে নতুন নতুন লোকদের আসতে দেখতেন। বিষয়টি তারা র্যাবকে জানান। র্যাবের গোয়েন্দারা এ তথ্য পেয়ে ওই বাড়িটির ওপর নজরদারি শুরু করেন। পাশাপাশি কারা এ বাড়িতে আসা যাওয়া করেন তাদের প্রযুক্তির আওতায় নিয়ে আসেন।
তিনি আরও জানান, বাড়িটিতে রোববার ২-৩ জন লোক এসে অবস্থান করছেন- এমন তথ্য নিশ্চিত হয়ে র্যাবের টিম সেখানে ছুটে যায়। এ সময় র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে জঙ্গিরা পরিত্যক্ত বাড়ির ভেতর থেকে বলতে থাকেন, ‘আপনারা কারা এখান থেকে চলে যান। না গেলে আমরা চ্যালেঞ্জ করব।’
অভিযানে অংশ নেয়া একজন র্যাব কর্মকর্তা বলেন, ভেতর থেকে লোকজনের আওয়াজ পেলে র্যাব সদস্যরা পুরোদমে প্রস্তুতি নিয়ে সামনের দিকে এগোতে থাকেন। এ সময় র্যাবের ওপর বোমা নিক্ষেপ করে জঙ্গিরা। র্যাব পাল্টা গুলি চালায়।
র্যাবের গোয়েন্দা বিভাগের প্রধান লে. কর্নেল আবুল কালাম আজাদ যুগান্তরকে বলেন, এলাকার লোকজনের কাছে পাওয়া আগের তথ্য হাতে নিয়ে র্যাব গোয়েন্দা নজরদারি শুরু করে। প্রাপ্ত তথ্যের সত্যতা যাচাইয়ের জন্য কিছু বিষয় পর্যালোচনাও করে। একপর্যায়ে পরিত্যক্ত ওই বাড়ির পাশে থাকা মসজিদে র্যাবের কয়েকজন সদস্য সাদা পোশাকে কিছুদিন ধরে নামাজ পড়তে যান। এ ধরনের কৌশলের পর সেই বাড়িতে নতুন নতুন লোক আসার বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে পরে প্রযুক্তিগত তদন্ত শুরু করে। পরিত্যক্ত বাড়িতে আসা লোকজন আসলে জঙ্গি নাকি অন্য কেউ তা নিশ্চিতের পর রোববার অভিযান চালানো হয়।
বৃহস্পতিবার প্রায় ১৫ ঘণ্টা মিরপুরের শাহ আলী থানার একটি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তিন জেএমবি সদস্যকে গ্রেফতারের পাশাপাশি ১৬টি ‘হাতে তৈরি গ্রেনেড’ ও বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক উদ্ধার করে পুলিশ।
এদিকে জেএমবির আস্তানার সন্ধান পাওয়ার কথা জানিয়ে শনিবার গভীর রাতে চট্টগ্রামের হাটহাজারীর একটি বাসায় অভিযান শুরু করে পুলিশ। ভোর পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে সেখান থেকে একটি অত্যাধুনিক এমকে-১১ স্নাইপার রাইফেল, ২৫০ রাউন্ড গুলি, দুই কেজি জেল বিস্ফোরক, ১৪টি সেনা পোশাক, বোমা তৈরির বিপুল পরিমাণ সরঞ্জাম উদ্ধার করেছে ডিবি পুলিশ।
তবে নিহতদের নাম মিনহাজ ও মাহবুব বলে জানানো হলেও তাদের পরিচয় সোমবার বেলা ৩টায়ও নিশ্চিত করতে পারেনি আইনশৃংখলা বাহিনী।
এদিকে অভিযানের আগে রোববার রাতে মিনহাজুল ও মাহবুব নামে ওই দুই ‘জঙ্গি’ কাশিমপুর কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছিলেন। মুক্তির পর কারাফটক থেকে তাদের র্যাব ধরে নিয়ে গিয়েছিল বলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক গোয়েন্দা কর্মকর্তা জানিয়েছেলেন।
অবশ্য অভিযানে নিহত দুজন তারা কি না, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
যুগান্তর অনলাইন থেকে সোমবার বেলা ৩টায় র্যাবের মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার মুফতি মাহমুদ খানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়া দুজন র্যাবের অভিযানে নিহত হননি। তারা জীবিত আছেন। এবিষয়ে র্যাব-১ এর সঙ্গে যোগাযোগের পরামর্শ দেন তিনি।
পরে র্যাব-১ এর কর্মকর্তা লে. কর্নেল তুহিন মো. মাসুদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, রোববার রাতে মুক্তি পাওয়া দুজন জীবিত আছেন।তাদের নাম মিনহাজ ও মাহবুব বলে জানান তিনি। তবে গাজিপুরে র্যাবের অভিযানে নিহতরা ওই দুজন (জেল থেকে মুক্তি পাওয়া) নন।
এদিকে সোমবার বেলা ৩টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত নিহতদের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি না হওয়ায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে কোনো তথ্য প্রকাশ করেনি।
এ ঘটনায় এখনও মামলাও হয়নি বলে জানান জয়দেবপুর থানার ওসি মো. খন্দকার রেজাউল হাসান রেজা।
রাতেই ঘটনাস্থলে র্যাবের মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক মুফতি মাহমুদ খান অভিযানের বিষয়ে সাংবাদিকদের বলেন, জঙ্গি আস্তানা থেকে তিনটি বোমাসহ বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক উদ্ধার করা হয়েছে।এসময় দুই জঙ্গি নিহত হয়েছেন। তারা নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জেএমবির সদস্য।
তিনি জানান, রোববার রাত সাড়ে ১০টার দিকে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে গাজীপুর বাইপাস চৌরাস্তা থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে ভোগড়া মোড়সংলগ্ন যোগিতলা গ্রামের একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে এ অভিযান শুরু হয়। এ সময় র্যাবকে লক্ষ্য করে বোমা হামলা চালায় জঙ্গিরা। আত্মরক্ষার্থে র্যাব পাল্টা গুলি করে। এ সময় বোমার আঘাতে র্যাবের এক সদস্য আহত হন।
এর আগে র্যাব-১ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল তুহিন মোহাম্মদ মাসুদ জানান, যোগিতলার ওই পরিত্যক্ত বাড়িটির পাশে একটি মসজিদ আছে। মুসল্লিরা প্রায়ই সেখানে নতুন নতুন লোকদের আসতে দেখতেন। বিষয়টি তারা র্যাবকে জানান। র্যাবের গোয়েন্দারা এ তথ্য পেয়ে ওই বাড়িটির ওপর নজরদারি শুরু করেন। পাশাপাশি কারা এ বাড়িতে আসা যাওয়া করেন তাদের প্রযুক্তির আওতায় নিয়ে আসেন।
তিনি আরও জানান, বাড়িটিতে রোববার ২-৩ জন লোক এসে অবস্থান করছেন- এমন তথ্য নিশ্চিত হয়ে র্যাবের টিম সেখানে ছুটে যায়। এ সময় র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে জঙ্গিরা পরিত্যক্ত বাড়ির ভেতর থেকে বলতে থাকেন, ‘আপনারা কারা এখান থেকে চলে যান। না গেলে আমরা চ্যালেঞ্জ করব।’
অভিযানে অংশ নেয়া একজন র্যাব কর্মকর্তা বলেন, ভেতর থেকে লোকজনের আওয়াজ পেলে র্যাব সদস্যরা পুরোদমে প্রস্তুতি নিয়ে সামনের দিকে এগোতে থাকেন। এ সময় র্যাবের ওপর বোমা নিক্ষেপ করে জঙ্গিরা। র্যাব পাল্টা গুলি চালায়।
র্যাবের গোয়েন্দা বিভাগের প্রধান লে. কর্নেল আবুল কালাম আজাদ যুগান্তরকে বলেন, এলাকার লোকজনের কাছে পাওয়া আগের তথ্য হাতে নিয়ে র্যাব গোয়েন্দা নজরদারি শুরু করে। প্রাপ্ত তথ্যের সত্যতা যাচাইয়ের জন্য কিছু বিষয় পর্যালোচনাও করে। একপর্যায়ে পরিত্যক্ত ওই বাড়ির পাশে থাকা মসজিদে র্যাবের কয়েকজন সদস্য সাদা পোশাকে কিছুদিন ধরে নামাজ পড়তে যান। এ ধরনের কৌশলের পর সেই বাড়িতে নতুন নতুন লোক আসার বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে পরে প্রযুক্তিগত তদন্ত শুরু করে। পরিত্যক্ত বাড়িতে আসা লোকজন আসলে জঙ্গি নাকি অন্য কেউ তা নিশ্চিতের পর রোববার অভিযান চালানো হয়।
বৃহস্পতিবার প্রায় ১৫ ঘণ্টা মিরপুরের শাহ আলী থানার একটি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তিন জেএমবি সদস্যকে গ্রেফতারের পাশাপাশি ১৬টি ‘হাতে তৈরি গ্রেনেড’ ও বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক উদ্ধার করে পুলিশ।
এদিকে জেএমবির আস্তানার সন্ধান পাওয়ার কথা জানিয়ে শনিবার গভীর রাতে চট্টগ্রামের হাটহাজারীর একটি বাসায় অভিযান শুরু করে পুলিশ। ভোর পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে সেখান থেকে একটি অত্যাধুনিক এমকে-১১ স্নাইপার রাইফেল, ২৫০ রাউন্ড গুলি, দুই কেজি জেল বিস্ফোরক, ১৪টি সেনা পোশাক, বোমা তৈরির বিপুল পরিমাণ সরঞ্জাম উদ্ধার করেছে ডিবি পুলিশ।
No comments