অখণ্ড ভারত কোনো অবাস্তব কল্পনা নয়
বিজেপির
আদর্শিক অভিভাবক বলে পরিচিত আরএসএস দাবি করেছে ‘অখণ্ড ভারত’ কোনো অবাস্তব
কল্পনা নয়। সম্প্রতি ভারতের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও বিজেপির সাধারণ সম্পাদক
রাম মাধব বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তান নিয়ে অখণ্ড ভারত প্রতিষ্ঠার পক্ষে মত
দেন। এরপর তা নিয়ে তোলপাড় চলছে এ উপমহাদেশের রাজনীতিতে। রাম মাধব বা
আরএসএস-এর পক্ষে থাকলেও কিন্তু ক্ষমতাসীন বিজেপি এ বিতর্ক থেকে নিজেদের
দূরে রেখেছে। তারা বলছে, ওটা রাম মাধবের ব্যক্তিগত অভিমত। এর সঙ্গে বিজেপির
সম্পর্ক নেই।
ভারতের বিরোধী দল কংগ্রেস আবার এই ভাবনাকে ভারতের কূটনীতির জন্য চরম বিপর্যয় বলেই মনে করছে। কিন্তু কেন অখণ্ড ভারত নিয়ে আচমকা এই বিতর্ক?
আল-জাজিরা টেলিভিশন চ্যানেলে অখণ্ড ভারত নিয়ে মুখ খুলে যিনি তোলপাড় ফেলে দিয়েছেন, বিজেপির সেই সাধারণ সম্পাদক রাম মাধব দলের খুব ক্ষমতাশালী একজন নীতিনির্ধারক হিসেবেই পরিচিত। বহু বছর আরএসএসের মুখপাত্রের দায়িত্ব পালন করার পর সংঘই তাকে বিজেপিতে পাঠিয়েছে দল আর আরএসএসের মধ্যে সমন্বয় রাখার দায়িত্ব দিয়ে। এমন কী কাশ্মীরে পিডিপির সঙ্গে সমঝোতা কিংবা বাংলাদেশে বিএনপির সঙ্গে দলের যোগাযোগও সামলান তিনি। এহেন রাম মাধবকেই জিজ্ঞেস করা হয়েছিল অখণ্ড ভারত নিয়ে এখন আরএসএসের মনোভাব কী? উত্তরে তিনি স্পষ্ট বলেন, মাত্র ৬০ বছর আগে ঐতিহাসিক কারণে যে ভৌগোলিক ভূখণ্ডগুলো আলাদা হয়েছিল, আরএসএস বিশ্বাস করে মানুষের ইচ্ছাতেই তা আবার এক হয়ে অখণ্ড ভারত গড়ে উঠতে পারে। তিনি আরও বলেন, একজন আরএসএস সদস্য হিসেবে আমিও তা মনে করি। তবে তার মানে এই নয় যে, এর জন্য আমরা কোনো দেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করব বা কোনো দেশ দখল করে নেব। সপ্তাহ তিনেক আগে রেকর্ড করা এই সাক্ষাৎকার প্রচারিত হওয়ার পরই তা নিয়ে হইচই পড়ে যায়। ঘটনাচক্রে ঠিক সে সময়ই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আচমকা পাকিস্তান সফরে গিয়েছিলেন। তাই অনেকেই বলতে শুরু করেন মোদির উদ্যোগকে ভেস্তে দিতেই আরএসএস এমন একটা অন্তর্ঘাতমূলক মন্তব্য করেছে। মি. মাধব নিজে সাফাই দিয়ে বলেন, ইন্টারভিউটা অনেক আগে রেকর্ড করা। আর এরপর বিজেপি’র পক্ষ থেকে এখন আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হলো অখণ্ড ভারত প্রশ্নে সরকারের অবস্থান কিন্তু সম্পূর্ণ আলাদা। দলের জাতীয় মুখপাত্র এম জে আকবর বলেন, ভারত ও পাকিস্তান কিন্তু দুটো সার্বভৌম দেশ হিসেবেই পরস্পরের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে থাকে। আর সেটাই বাস্তব। সাবেক প্রধানমন্ত্রী বাজপেয়ীজি লাহোর গিয়েও ঠিক এ কথাটাই বলেছিলেন। রাম মাধবের কোনো ব্যক্তিগত মত থাকতেই পারে, কিন্তু আমি মনে করি না সরকারের অবস্থান নিয়ে এখানে কোনো ব্যাখ্যা দেয়ার দরকার আছে। বিজেপি দূরত্ব বজায় রাখতে চাইলেও কেন রাম মাধব এ কথা বললেন তা নিয়ে অবশ্য তুমুল জল্পনাকল্পনা শুরু হয়ে গেছে। বিজেপির শরিক ও ক্যাবিনেট মন্ত্রী রামবিলাস পাসোয়ানও এর মধ্যে বলে ফেলেছেন, অখণ্ড ভারত খুবই সম্ভব। আবার আরএসএসের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে অখণ্ড ভারত আসলে একটা কালচারাল কনসেপ্ট বা সাংস্কৃতিক ভাবনা, রাজনৈতিক নয়। সংঘের প্রবীণ নেতা এমজি বৈদ্যর কথায়, ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশ ও পাকিস্তান একদিন আবার জুড়তেই পারে, ইতিহাসে এর অনেক দৃষ্টান্ত আছে। দুই জার্মানি একদিন এক হয়েছে, ভিয়েতনাম দু’ভাগ হয়েও আবার জুড়েছে, অনেকে দুই কোরিয়ারও মিলন চান। ফলে ভারতও কেন নয়? কিন্তু আমি মনে করি এখানে পদক্ষেপটা নিতে হবে মুসলিমদের, বিশেষ করে ভারতীয় মুসলিমদের। কংগ্রেস নেতা মনীষ তিওয়ারি যদিও মনে করছেন অখণ্ড ভারতের প্রসঙ্গ তুললে সেটা বাংলাদেশ বা পাকিস্তানে শুধু দক্ষিণপন্থি শক্তি বা মৌলবাদীদেরই উস্কানি দেবে। ফলে তার মতে, ভারতের কূটনীতির জন্য এর চেয়ে খারাপ কিছু আর হতে পারে না। ভারত জুড়ে আরএসএসের অজস্র শাখায় প্রভাতী অনুশীলনের সময় আজও অখণ্ড ভারতেরই জয়গান গাওয়া হয়। ভারতের সঙ্গে পাকিস্তান ও বাংলাদেশের মিলন যতই অবাস্তব ও অসম্ভব শোনাক, সংঘের নেতারা এখনও যে সেই স্বপ্নে বিভোর, রাম মাধবের সাক্ষাৎকার সেটাই আরও একবার সামনে এনে দিলো।
দুঃখপ্রকাশ রাম মাধবের
ওদিকে কলকাতা প্রতিনিধি জানান, ভারতীয় জনতা পার্টির অন্যতম নীতি-নির্ধারক হিসেবে পরিচিত সাধারণ সম্পাদক রাম মাধবের ‘অখণ্ড ভারত’ তত্ত্বে সায় নেই দলের। আল-জাজিরাকে দেয়া সাক্ষাৎকারে রাম মাধব বলেছিলেন, বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও ভারত মিলে একদিন আবার মানুষের ইচ্ছাতেই এক অখণ্ড ভারত গড়ে তোলা সম্ভব। এ নিয়ে ভারতজুড়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। প্রতিবেশী দেশগুলোতেও আলোচনা শুরু হয়েছে। কংগ্রেস নেতা মণীশ তিওয়ারি বলেছেন, অখণ্ড ভারতের প্রসঙ্গ তুললে সেটা বাংলাদেশ বা পাকিস্তানে শুধু দক্ষিণপন্থি শক্তি বা মৌলবাদীদেরই উসকানি দেবে। ফলে তার মতে ভারতের কূটনীতির জন্য এর চেয়ে খারাপ কিছু আর হতে পারে না। তবে বিজেপি’র পক্ষ থেকে এটা রাম মাধবের ব্যক্তিগত মত জানানোর কিছুক্ষণের মধ্যেই রাম মাধব এক টিভি সাক্ষাৎকারে তার বক্তব্য ভুল প্রেক্ষিতে ধরায় দুঃখপ্রকাশ করেছেন। তিনি সংশোধন করে বলেছেন, দক্ষিণ এশিয়ার সাংস্কৃতিক সংযুক্তির প্রেক্ষাপটেই তিনি অখণ্ড ভারতের কথা বলেছিলেন। তিনি আরও জানান, জোর করে সীমানা নির্ধারণের কথা তিনি বলেননি। এদিন বিজেপি’র পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হয়েছে, অখণ্ড ভারতের প্রশ্নে সরকারের অবস্থান কিন্তু সম্পূর্ণ আলাদা। বিজেপি’র জাতীয় মুখপাত্র এমজে আকবর বলেছেন, ভারত ও পাকিস্তান কিন্তু দু’টো সার্বভৌম দেশ হিসেবেই পরস্পরের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে থাকে। আর সেটাই বাস্তব। সাবেক প্রধানমন্ত্রী বাজপেয়ীজি লাহোর গিয়েও ঠিক এ কথাটাই বলেছিলেন। রাম মাধবের কোনো ব্যক্তিগত মত থাকতেই পারে, কিন্তু আমি মনে করি না সরকারের অবস্থান নিয়ে এখানে কোনো ব্যাখ্যা দেয়ার দরকার আছে। কিন্তু রাম মাধব জানিয়ে দিয়েছেন, তার মতে সমর্থন রয়েছে দলের নেপথ্য শক্তি হিসেবে পরিচিত রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের। তাই রাম মাধবের বিতর্কিত মন্তব্য থেকে বিজেপি দূরে থাকতে চাইলেও আরএসএস জানিয়েছে, ‘অখণ্ড ভারত’ কোনো অবাস্তব কল্পনা নয়। অবশ্য তাদের মতে, অখণ্ড ভারত আসলে একটা কালচারাল কনসেপ্ট বা সাংস্কৃতিক ভাবনা, রাজনৈতিক নয়।
আরএসএস’র প্রবীণ নেতা এমজি বৈদ্য বলেছেন, ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশ ও পাকিস্তান একদিন আবার মিলতেই পারে, ইতিহাসে এর অনেক দৃষ্টান্ত আছে। দুই জার্মানি একদিন এক হয়েছে, ভিয়েতনাম দু’ভাগ হয়েও আবার এক হয়েছে, অনেকে দুই কোরিয়ারও মিলন চান। ফলে ভারতও কেন নয়? তবে তিনি মনে করেন, এখানে পদক্ষেপটা নিতে হবে মুসলিমদেরই, বিশেষ করে ভারতীয় মুসলিমদের।
ভারতের বিরোধী দল কংগ্রেস আবার এই ভাবনাকে ভারতের কূটনীতির জন্য চরম বিপর্যয় বলেই মনে করছে। কিন্তু কেন অখণ্ড ভারত নিয়ে আচমকা এই বিতর্ক?
আল-জাজিরা টেলিভিশন চ্যানেলে অখণ্ড ভারত নিয়ে মুখ খুলে যিনি তোলপাড় ফেলে দিয়েছেন, বিজেপির সেই সাধারণ সম্পাদক রাম মাধব দলের খুব ক্ষমতাশালী একজন নীতিনির্ধারক হিসেবেই পরিচিত। বহু বছর আরএসএসের মুখপাত্রের দায়িত্ব পালন করার পর সংঘই তাকে বিজেপিতে পাঠিয়েছে দল আর আরএসএসের মধ্যে সমন্বয় রাখার দায়িত্ব দিয়ে। এমন কী কাশ্মীরে পিডিপির সঙ্গে সমঝোতা কিংবা বাংলাদেশে বিএনপির সঙ্গে দলের যোগাযোগও সামলান তিনি। এহেন রাম মাধবকেই জিজ্ঞেস করা হয়েছিল অখণ্ড ভারত নিয়ে এখন আরএসএসের মনোভাব কী? উত্তরে তিনি স্পষ্ট বলেন, মাত্র ৬০ বছর আগে ঐতিহাসিক কারণে যে ভৌগোলিক ভূখণ্ডগুলো আলাদা হয়েছিল, আরএসএস বিশ্বাস করে মানুষের ইচ্ছাতেই তা আবার এক হয়ে অখণ্ড ভারত গড়ে উঠতে পারে। তিনি আরও বলেন, একজন আরএসএস সদস্য হিসেবে আমিও তা মনে করি। তবে তার মানে এই নয় যে, এর জন্য আমরা কোনো দেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করব বা কোনো দেশ দখল করে নেব। সপ্তাহ তিনেক আগে রেকর্ড করা এই সাক্ষাৎকার প্রচারিত হওয়ার পরই তা নিয়ে হইচই পড়ে যায়। ঘটনাচক্রে ঠিক সে সময়ই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আচমকা পাকিস্তান সফরে গিয়েছিলেন। তাই অনেকেই বলতে শুরু করেন মোদির উদ্যোগকে ভেস্তে দিতেই আরএসএস এমন একটা অন্তর্ঘাতমূলক মন্তব্য করেছে। মি. মাধব নিজে সাফাই দিয়ে বলেন, ইন্টারভিউটা অনেক আগে রেকর্ড করা। আর এরপর বিজেপি’র পক্ষ থেকে এখন আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হলো অখণ্ড ভারত প্রশ্নে সরকারের অবস্থান কিন্তু সম্পূর্ণ আলাদা। দলের জাতীয় মুখপাত্র এম জে আকবর বলেন, ভারত ও পাকিস্তান কিন্তু দুটো সার্বভৌম দেশ হিসেবেই পরস্পরের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে থাকে। আর সেটাই বাস্তব। সাবেক প্রধানমন্ত্রী বাজপেয়ীজি লাহোর গিয়েও ঠিক এ কথাটাই বলেছিলেন। রাম মাধবের কোনো ব্যক্তিগত মত থাকতেই পারে, কিন্তু আমি মনে করি না সরকারের অবস্থান নিয়ে এখানে কোনো ব্যাখ্যা দেয়ার দরকার আছে। বিজেপি দূরত্ব বজায় রাখতে চাইলেও কেন রাম মাধব এ কথা বললেন তা নিয়ে অবশ্য তুমুল জল্পনাকল্পনা শুরু হয়ে গেছে। বিজেপির শরিক ও ক্যাবিনেট মন্ত্রী রামবিলাস পাসোয়ানও এর মধ্যে বলে ফেলেছেন, অখণ্ড ভারত খুবই সম্ভব। আবার আরএসএসের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে অখণ্ড ভারত আসলে একটা কালচারাল কনসেপ্ট বা সাংস্কৃতিক ভাবনা, রাজনৈতিক নয়। সংঘের প্রবীণ নেতা এমজি বৈদ্যর কথায়, ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশ ও পাকিস্তান একদিন আবার জুড়তেই পারে, ইতিহাসে এর অনেক দৃষ্টান্ত আছে। দুই জার্মানি একদিন এক হয়েছে, ভিয়েতনাম দু’ভাগ হয়েও আবার জুড়েছে, অনেকে দুই কোরিয়ারও মিলন চান। ফলে ভারতও কেন নয়? কিন্তু আমি মনে করি এখানে পদক্ষেপটা নিতে হবে মুসলিমদের, বিশেষ করে ভারতীয় মুসলিমদের। কংগ্রেস নেতা মনীষ তিওয়ারি যদিও মনে করছেন অখণ্ড ভারতের প্রসঙ্গ তুললে সেটা বাংলাদেশ বা পাকিস্তানে শুধু দক্ষিণপন্থি শক্তি বা মৌলবাদীদেরই উস্কানি দেবে। ফলে তার মতে, ভারতের কূটনীতির জন্য এর চেয়ে খারাপ কিছু আর হতে পারে না। ভারত জুড়ে আরএসএসের অজস্র শাখায় প্রভাতী অনুশীলনের সময় আজও অখণ্ড ভারতেরই জয়গান গাওয়া হয়। ভারতের সঙ্গে পাকিস্তান ও বাংলাদেশের মিলন যতই অবাস্তব ও অসম্ভব শোনাক, সংঘের নেতারা এখনও যে সেই স্বপ্নে বিভোর, রাম মাধবের সাক্ষাৎকার সেটাই আরও একবার সামনে এনে দিলো।
দুঃখপ্রকাশ রাম মাধবের
ওদিকে কলকাতা প্রতিনিধি জানান, ভারতীয় জনতা পার্টির অন্যতম নীতি-নির্ধারক হিসেবে পরিচিত সাধারণ সম্পাদক রাম মাধবের ‘অখণ্ড ভারত’ তত্ত্বে সায় নেই দলের। আল-জাজিরাকে দেয়া সাক্ষাৎকারে রাম মাধব বলেছিলেন, বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও ভারত মিলে একদিন আবার মানুষের ইচ্ছাতেই এক অখণ্ড ভারত গড়ে তোলা সম্ভব। এ নিয়ে ভারতজুড়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। প্রতিবেশী দেশগুলোতেও আলোচনা শুরু হয়েছে। কংগ্রেস নেতা মণীশ তিওয়ারি বলেছেন, অখণ্ড ভারতের প্রসঙ্গ তুললে সেটা বাংলাদেশ বা পাকিস্তানে শুধু দক্ষিণপন্থি শক্তি বা মৌলবাদীদেরই উসকানি দেবে। ফলে তার মতে ভারতের কূটনীতির জন্য এর চেয়ে খারাপ কিছু আর হতে পারে না। তবে বিজেপি’র পক্ষ থেকে এটা রাম মাধবের ব্যক্তিগত মত জানানোর কিছুক্ষণের মধ্যেই রাম মাধব এক টিভি সাক্ষাৎকারে তার বক্তব্য ভুল প্রেক্ষিতে ধরায় দুঃখপ্রকাশ করেছেন। তিনি সংশোধন করে বলেছেন, দক্ষিণ এশিয়ার সাংস্কৃতিক সংযুক্তির প্রেক্ষাপটেই তিনি অখণ্ড ভারতের কথা বলেছিলেন। তিনি আরও জানান, জোর করে সীমানা নির্ধারণের কথা তিনি বলেননি। এদিন বিজেপি’র পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হয়েছে, অখণ্ড ভারতের প্রশ্নে সরকারের অবস্থান কিন্তু সম্পূর্ণ আলাদা। বিজেপি’র জাতীয় মুখপাত্র এমজে আকবর বলেছেন, ভারত ও পাকিস্তান কিন্তু দু’টো সার্বভৌম দেশ হিসেবেই পরস্পরের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে থাকে। আর সেটাই বাস্তব। সাবেক প্রধানমন্ত্রী বাজপেয়ীজি লাহোর গিয়েও ঠিক এ কথাটাই বলেছিলেন। রাম মাধবের কোনো ব্যক্তিগত মত থাকতেই পারে, কিন্তু আমি মনে করি না সরকারের অবস্থান নিয়ে এখানে কোনো ব্যাখ্যা দেয়ার দরকার আছে। কিন্তু রাম মাধব জানিয়ে দিয়েছেন, তার মতে সমর্থন রয়েছে দলের নেপথ্য শক্তি হিসেবে পরিচিত রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের। তাই রাম মাধবের বিতর্কিত মন্তব্য থেকে বিজেপি দূরে থাকতে চাইলেও আরএসএস জানিয়েছে, ‘অখণ্ড ভারত’ কোনো অবাস্তব কল্পনা নয়। অবশ্য তাদের মতে, অখণ্ড ভারত আসলে একটা কালচারাল কনসেপ্ট বা সাংস্কৃতিক ভাবনা, রাজনৈতিক নয়।
আরএসএস’র প্রবীণ নেতা এমজি বৈদ্য বলেছেন, ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশ ও পাকিস্তান একদিন আবার মিলতেই পারে, ইতিহাসে এর অনেক দৃষ্টান্ত আছে। দুই জার্মানি একদিন এক হয়েছে, ভিয়েতনাম দু’ভাগ হয়েও আবার এক হয়েছে, অনেকে দুই কোরিয়ারও মিলন চান। ফলে ভারতও কেন নয়? তবে তিনি মনে করেন, এখানে পদক্ষেপটা নিতে হবে মুসলিমদেরই, বিশেষ করে ভারতীয় মুসলিমদের।
No comments