বর্ষবরণে জমকালো আয়োজন নেই
নিরাপত্তার
কারণে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে থার্টিফার্স্ট নাইটের উৎসবে। আইনশৃঙ্খলা
রক্ষার স্বার্থে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর
পৃথকভাবে নানা উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। উন্মুক্ত স্থানে অনুষ্ঠান, মানুষের
চলাচল ও মদ বিক্রির ক্ষেত্রে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে
এসব ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। অন্যদিকে, নানা আশঙ্কায় গত বছর থেকেই
থার্টিফার্স্ট নাইট উপলক্ষে অনাগ্রহী হয়ে পড়েছিলেন অনুষ্ঠান আয়োজকরা। এবারও
অনুষ্ঠান আয়োজনের সংখ্যা আরও কমেছে।
বর্ষবরণকে সামনে রেখে গতকাল অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলন করেন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খন্দকার রাকিবুর রহমান। সম্মেলনে তিনি জানান, থার্টিফার্স্ট নাইট উপলক্ষে দেশে অতীতে উন্মাদনা ছিল। ঘরে থাকা তরুণ-তরুণীরা ওই রাতে আনন্দ উন্মাদনায় মেতে উঠতেন। গত বছর থেকে এটি অনেকটা নিয়ন্ত্রণে এসেছে দাবি করে তিনি বলেন, এবার মাদকের অপব্যবহার ও যুবসমাজের উচ্ছৃঙ্খলতা রোধে ঢাকাসহ সারা দেশের নিরাপত্তার জন্য বেশ কিছু কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। মহাপরিচালক বলেন, সারা দেশের হোটেল, রেস্তোরাঁ ও ক্লাবের বারগুলোতে ৩১শে ডিসেম্বর সন্ধ্যা থেকে ১লা জানুয়ারি সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত মদ বিক্রি বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তবে বিদেশিদের কাছে মদ বিক্রি করা যাবে বলে জানান তিনি।
একইভাবে ঢাকা মহানগর পুলিশের কমিশনার (ডিএমপি) মো. আছাদুজ্জামান মিয়া জানান, ইংরেজি নববর্ষের থার্টিফার্স্ট নাইট উপলক্ষে রাজধানীতে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থার উদ্যোগ গ্রহণ করছে পুলিশ। সব ধরনের বিশৃঙ্খলা ও নাশকতা প্রতিরোধে সতর্ক থাকবে পুলিশ। নিরাপত্তার স্বার্থে নববর্ষের প্রাক্কালে ৩১শে ডিসেম্বর রাত ৮টার মধ্যে রাজধানীবাসীকে নিজ নিজ বাসায় ফিরে যাওয়ার আহ্বান জানান তিনি। গতকাল দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে নববর্ষের সার্বিক দিক তুলে ধরার জন্য আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া জানান, পূর্ববর্তী বছরগুলোর অভিজ্ঞতার আলোকে দেখা যায় যে, নববর্ষের আনন্দ উদযাপনের নামে কিছু উচ্ছৃঙ্খল ব্যক্তি নিজস্ব সংস্কৃতি, মূল্যবোধ ঐতিহ্যবিরোধী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হয়ে থাকে। আনন্দের নামে পটকাবাজি, আতশবাজি, অশোভন আচরণ, বেপরোয়া গাড়ি ও মোটরসাইকেল চালানোর মাধ্যমে রাস্তায় প্রতিবন্ধকতা অথবা দুর্ঘটনা ঘটিয়ে অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির উদ্ভব ঘটায়। এসব নৈতিক মূল্যবোধ পরিপন্থি কর্মকাণ্ডে একদিকে যেমন সাধারণ মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত করে, অন্যদিকে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির আশঙ্কা সৃষ্টি করে।
আছাদুজ্জামান মিয়া আরও জানান, ঢাকাবাসীর সার্বিক নিরাপত্তার স্বার্থ বিবেচনা করে আসন্ন নববর্ষের রাতে ও পরের দিন কঠোর নিরাপত্তা বলয় গড়ে তুলবে। বিভিন্ন স্থানে যান এবং জন নিয়ন্ত্রণ করবে। নববর্ষের রাতে আতশবাজিতে সবাইকে বিরত থাকতে বলা হচ্ছে। উন্মুক্ত স্থানে, রাস্তার মোড়ে, ফ্লাইওভার বা প্রকাশ্যে কোনো ধরনের সমাবেশ বা উৎসব করা যাবে না।
থার্টিফার্স্ট নাইট উপলক্ষে রেডিসন ব্লু ওয়াটার গার্ডেন হোটেলে এবার মাত্র একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। রেডিসনের কর্মকর্তা মোহাম্মদ নওরোজ জানান, থার্টিফার্স্ট নাইট উপলক্ষে গত বছর দুটি ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টের আয়োজন ছিল। কিন্তু এবার রূপকথা প্রোডকাশন ডিজে পার্টির আয়োজন করেছে। রাত ৯টা থেকে নিচতলার হলরুমে শুরু হবে এ পার্টি। তবে পার্টি উপলক্ষে টিকিট বিক্রি কেমন হবে এ নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন আয়োজক কর্তৃপক্ষ। গত বছর সিম্ফনি অব ২০১৫ নামে রেডিসনে একটি পার্টির আয়োজন করেছিল ইমেজ ডট। ইমেজ ডটের পরিচালক হাবীবুল্লাহ মামুন জানান, গত বছর রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে ভালো ব্যবসা হয়নি। এবার রাজনৈতিক কারণ ছাড়াও জঙ্গি তৎপরতায় মানুষ শঙ্কিত। যে কারণে এবার ইমেজ ডটসহ অনেকেই থার্টিফার্স্ট নাইটে পার্টির আয়োজন করেননি।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর ও ডিএমপির এ নির্দেশনা সম্পর্কে এখনও ভালোভাবে অবগত নয় হোটেল কর্তৃপক্ষ। হোটেলের বার সম্পর্কে রেডিসনের কর্মকর্তা মোহাম্মদ নওরোজ বলেন, সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত তাদের বার খোলা থাকবে। সেখানে হোটেলের গেস্ট ছাড়া কারও কাছে মদ বিক্রি করা হবে না। এ বিষয়ে প্যানপ্যাসিফিক হোটেল সোনারগাঁওয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা সালমান কবির জানান, সাধারণত যেভাবে অন্যান্য সময়ে বার খোলা থাকে সেভাবেই থার্টিফার্স্ট নাইটে বার খোলা থাকবে। বার বন্ধ রাখার বিষয়ে তিনি অবগত নন জানিয়ে বলেন, কোনো নির্দেশনা থাকলে তা অবশ্যয়ই মানা হবে। হোটেল সোনারগাঁওতে থার্টিফার্স্ট উপলক্ষে বিশেষ কোনো পার্টির আয়োজন নেই বলে জানান সালমান কবির। তিনি বলেন, ব্যালকনিতে একটি পার্টি হবে। এটি বিশেষ কোনো পার্টি না। গুলশানের হোটেল দ্য ওয়েস্টিনে এবার একটি পার্টির আয়োজন করেছে টাম্পের্ড। ওয়েস্টিন হোটেলের সার্ভিস ইনচার্জ তারান্নো জানান, এছাড়া অন্য কোনো পার্টির আয়োজন নেই।
বর্ষবরণকে সামনে রেখে গতকাল অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলন করেন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খন্দকার রাকিবুর রহমান। সম্মেলনে তিনি জানান, থার্টিফার্স্ট নাইট উপলক্ষে দেশে অতীতে উন্মাদনা ছিল। ঘরে থাকা তরুণ-তরুণীরা ওই রাতে আনন্দ উন্মাদনায় মেতে উঠতেন। গত বছর থেকে এটি অনেকটা নিয়ন্ত্রণে এসেছে দাবি করে তিনি বলেন, এবার মাদকের অপব্যবহার ও যুবসমাজের উচ্ছৃঙ্খলতা রোধে ঢাকাসহ সারা দেশের নিরাপত্তার জন্য বেশ কিছু কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। মহাপরিচালক বলেন, সারা দেশের হোটেল, রেস্তোরাঁ ও ক্লাবের বারগুলোতে ৩১শে ডিসেম্বর সন্ধ্যা থেকে ১লা জানুয়ারি সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত মদ বিক্রি বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তবে বিদেশিদের কাছে মদ বিক্রি করা যাবে বলে জানান তিনি।
একইভাবে ঢাকা মহানগর পুলিশের কমিশনার (ডিএমপি) মো. আছাদুজ্জামান মিয়া জানান, ইংরেজি নববর্ষের থার্টিফার্স্ট নাইট উপলক্ষে রাজধানীতে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থার উদ্যোগ গ্রহণ করছে পুলিশ। সব ধরনের বিশৃঙ্খলা ও নাশকতা প্রতিরোধে সতর্ক থাকবে পুলিশ। নিরাপত্তার স্বার্থে নববর্ষের প্রাক্কালে ৩১শে ডিসেম্বর রাত ৮টার মধ্যে রাজধানীবাসীকে নিজ নিজ বাসায় ফিরে যাওয়ার আহ্বান জানান তিনি। গতকাল দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে নববর্ষের সার্বিক দিক তুলে ধরার জন্য আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া জানান, পূর্ববর্তী বছরগুলোর অভিজ্ঞতার আলোকে দেখা যায় যে, নববর্ষের আনন্দ উদযাপনের নামে কিছু উচ্ছৃঙ্খল ব্যক্তি নিজস্ব সংস্কৃতি, মূল্যবোধ ঐতিহ্যবিরোধী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হয়ে থাকে। আনন্দের নামে পটকাবাজি, আতশবাজি, অশোভন আচরণ, বেপরোয়া গাড়ি ও মোটরসাইকেল চালানোর মাধ্যমে রাস্তায় প্রতিবন্ধকতা অথবা দুর্ঘটনা ঘটিয়ে অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির উদ্ভব ঘটায়। এসব নৈতিক মূল্যবোধ পরিপন্থি কর্মকাণ্ডে একদিকে যেমন সাধারণ মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত করে, অন্যদিকে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির আশঙ্কা সৃষ্টি করে।
আছাদুজ্জামান মিয়া আরও জানান, ঢাকাবাসীর সার্বিক নিরাপত্তার স্বার্থ বিবেচনা করে আসন্ন নববর্ষের রাতে ও পরের দিন কঠোর নিরাপত্তা বলয় গড়ে তুলবে। বিভিন্ন স্থানে যান এবং জন নিয়ন্ত্রণ করবে। নববর্ষের রাতে আতশবাজিতে সবাইকে বিরত থাকতে বলা হচ্ছে। উন্মুক্ত স্থানে, রাস্তার মোড়ে, ফ্লাইওভার বা প্রকাশ্যে কোনো ধরনের সমাবেশ বা উৎসব করা যাবে না।
থার্টিফার্স্ট নাইট উপলক্ষে রেডিসন ব্লু ওয়াটার গার্ডেন হোটেলে এবার মাত্র একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। রেডিসনের কর্মকর্তা মোহাম্মদ নওরোজ জানান, থার্টিফার্স্ট নাইট উপলক্ষে গত বছর দুটি ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টের আয়োজন ছিল। কিন্তু এবার রূপকথা প্রোডকাশন ডিজে পার্টির আয়োজন করেছে। রাত ৯টা থেকে নিচতলার হলরুমে শুরু হবে এ পার্টি। তবে পার্টি উপলক্ষে টিকিট বিক্রি কেমন হবে এ নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন আয়োজক কর্তৃপক্ষ। গত বছর সিম্ফনি অব ২০১৫ নামে রেডিসনে একটি পার্টির আয়োজন করেছিল ইমেজ ডট। ইমেজ ডটের পরিচালক হাবীবুল্লাহ মামুন জানান, গত বছর রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে ভালো ব্যবসা হয়নি। এবার রাজনৈতিক কারণ ছাড়াও জঙ্গি তৎপরতায় মানুষ শঙ্কিত। যে কারণে এবার ইমেজ ডটসহ অনেকেই থার্টিফার্স্ট নাইটে পার্টির আয়োজন করেননি।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর ও ডিএমপির এ নির্দেশনা সম্পর্কে এখনও ভালোভাবে অবগত নয় হোটেল কর্তৃপক্ষ। হোটেলের বার সম্পর্কে রেডিসনের কর্মকর্তা মোহাম্মদ নওরোজ বলেন, সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত তাদের বার খোলা থাকবে। সেখানে হোটেলের গেস্ট ছাড়া কারও কাছে মদ বিক্রি করা হবে না। এ বিষয়ে প্যানপ্যাসিফিক হোটেল সোনারগাঁওয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা সালমান কবির জানান, সাধারণত যেভাবে অন্যান্য সময়ে বার খোলা থাকে সেভাবেই থার্টিফার্স্ট নাইটে বার খোলা থাকবে। বার বন্ধ রাখার বিষয়ে তিনি অবগত নন জানিয়ে বলেন, কোনো নির্দেশনা থাকলে তা অবশ্যয়ই মানা হবে। হোটেল সোনারগাঁওতে থার্টিফার্স্ট উপলক্ষে বিশেষ কোনো পার্টির আয়োজন নেই বলে জানান সালমান কবির। তিনি বলেন, ব্যালকনিতে একটি পার্টি হবে। এটি বিশেষ কোনো পার্টি না। গুলশানের হোটেল দ্য ওয়েস্টিনে এবার একটি পার্টির আয়োজন করেছে টাম্পের্ড। ওয়েস্টিন হোটেলের সার্ভিস ইনচার্জ তারান্নো জানান, এছাড়া অন্য কোনো পার্টির আয়োজন নেই।
No comments