'লাভ জিহাদে'র শিকার হিন্দু নারী ফিরে যেতে চান মুসলিম স্বামীর কাছে
গত বছরের জুলাই মাসে ভারতের উত্তরপ্রদেশ রাজ্যের শাহারানপুরে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার পর সারা ভারতে 'লাভ জিহাদের' প্রবল প্রচারণা শুরু হয়েছিল। বলা হচ্ছিল, ২২ বছরের এক হিন্দু শিক্ষিকাকে অপহরণ করে মাদ্রাসায় নিয়ে ১০ জনে ধর্ষণ করে। পরে ওই নারীকে ইসলামে ধর্মান্তরিত করা হয। গোরক্ষপুরের এমপি যোগী অদিত্যনাথের মতো বিজেপি নেতারা জোর গলায় বলতে থাকেন, জোরপূর্বক ধর্মান্তরের অন্তত একটি উদাহরণ আমাদের হাতের কাছেই আছে। তারা বলতে থাকেন, মুসলিম তরুণরা হিন্দু মেয়েদের প্রেমের ফাঁদে ফেলে ধর্মান্তরিত করছে।
কিন্তু ঘটনার এক বছরেরও বেশি সময় পর শনিবার ওই তরুণী পুলিশের কাছে গিয়ে বলেন, তিনি তার মুসলিম প্রেমিকের বাড়ি ফিরতে চান। তিনি আরো বলেন, হিন্দু রাজনীতিবিদের তাকে বাধ্য করেছিল মিথ্যা কথা বলতে।
তিনি বলেন, বিজেপি নেতা বিনীত আগারওয়াল তার 'ধর্ষক'দের বিরুদ্ধে সাক্ষী দিতে তার পরিবারকে অর্থ দিয়েছিল। ওই অর্থ পেয়ে তার পরিবার তার স্বামীর বিরুদ্ধে স্বাক্ষী দিয়েছিল।
জেলা পুলিশ কর্মকর্তা পুস্পন্দ্রে সিং বলেন, ১৫ অক্টোবর কথিত গণধর্ষকদের এলাহাবাদ হাইকোর্টে হাজির করা হয়েছিল। তখন ওই তরুণী বলেন, তিনি কালিম নামের তার মুসলিম প্রেমিকের সাথে থাকতে চান।
ওই তরুণী বলেন, তিনি প্রাপ্তবয়স্কা, কাজেই তিনি তার পছন্দ করার স্বাধীনতার প্রয়োগ করতেই পারেন।
ওই তরুণীর আইনজীবী কৃষ্ণ কুমার টাইমস অব ইন্ডিয়াকে বলেন, যে ১০ জনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা দায়ের করা হয়েছিল, তারা জামিনে রয়েছে। তারা সবাই নির্দোষ খালাপ পাবেন বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে চাইলে বিজেপির এমপি যোগী অদিত্যনাথ টাইমস অব ইন্ডিয়াকে বলেন, তিনি মামলাটির সর্বশেষ অবস্থা জানেন না। তিনি সব তথ্য না পাওয়া পর্যন্ত কোনো মন্তব্য করবেন না বলেও জানান।
সূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া
কিন্তু ঘটনার এক বছরেরও বেশি সময় পর শনিবার ওই তরুণী পুলিশের কাছে গিয়ে বলেন, তিনি তার মুসলিম প্রেমিকের বাড়ি ফিরতে চান। তিনি আরো বলেন, হিন্দু রাজনীতিবিদের তাকে বাধ্য করেছিল মিথ্যা কথা বলতে।
তিনি বলেন, বিজেপি নেতা বিনীত আগারওয়াল তার 'ধর্ষক'দের বিরুদ্ধে সাক্ষী দিতে তার পরিবারকে অর্থ দিয়েছিল। ওই অর্থ পেয়ে তার পরিবার তার স্বামীর বিরুদ্ধে স্বাক্ষী দিয়েছিল।
জেলা পুলিশ কর্মকর্তা পুস্পন্দ্রে সিং বলেন, ১৫ অক্টোবর কথিত গণধর্ষকদের এলাহাবাদ হাইকোর্টে হাজির করা হয়েছিল। তখন ওই তরুণী বলেন, তিনি কালিম নামের তার মুসলিম প্রেমিকের সাথে থাকতে চান।
ওই তরুণী বলেন, তিনি প্রাপ্তবয়স্কা, কাজেই তিনি তার পছন্দ করার স্বাধীনতার প্রয়োগ করতেই পারেন।
ওই তরুণীর আইনজীবী কৃষ্ণ কুমার টাইমস অব ইন্ডিয়াকে বলেন, যে ১০ জনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা দায়ের করা হয়েছিল, তারা জামিনে রয়েছে। তারা সবাই নির্দোষ খালাপ পাবেন বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে চাইলে বিজেপির এমপি যোগী অদিত্যনাথ টাইমস অব ইন্ডিয়াকে বলেন, তিনি মামলাটির সর্বশেষ অবস্থা জানেন না। তিনি সব তথ্য না পাওয়া পর্যন্ত কোনো মন্তব্য করবেন না বলেও জানান।
সূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া
No comments