গোলকধাঁধায় নির্বাচন কমিশন
বিধিমালা
হাতে না পাওয়ায় আসন্ন পৌর নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করতে পারছে না নির্বাচন
কমিশন (ইসি)। সংশোধিত স্থানীয় সরকার আইনেই দলীয়ভাবে এ নির্বাচন করতে চায়
ইসি। এজন্য তড়িঘড়ি করে সংশোধিত আইনের আলোকে বিধিমালা ও আচরণবিধি সংশোধন করে
তা মন্ত্রণালয়ে ভেটিংয়ের জন্য পাঠানো হয়। তবে রাজনৈতিক দলগুলোকে এড়িয়ে
ইসির তৈরি এ বিধিমালা থেকে বেশ কিছু জিনিস বাদ দেয় আইন মন্ত্রণালয়। পরে
স্থানীয় সরকার আইনটির অধ্যাদেশ বাতিল করে সংসদে আইন হিসেবে পাস করতে চায়
সরকার। ফলে ইসির সংশোধিত বিধিমালা ফের পরিবর্তন আনতে হবে। এতে ডিসেম্বরের
মধ্যে পৌর নির্বাচন অনুষ্ঠানের যে পরিকল্পনা তা ভেস্তে যেতে বসেছেন। আগামী
জানুয়ারিতে চলতি বছরে হালনাগাদ করা খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ হবে। হালনাগাদ
তালিকার ভোটারদের অন্তর্ভুক্তি নিয়েও জটিলতায় পড়তে হতে পারে ইসিকে। ইসির
কর্মকর্তারা জানান, ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচনযোগ্য পৌরসভাগুলোতে ভোট শেষ
করতে হবে বিষয়টি এমন নয়। যেসব পৌরসভার মেয়াদ শেষ হচ্ছে সেগুলো মূলত
ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারির মধ্যে ভোট করলেই চলবে। কিন্তু জানুয়ারিতে খসড়া
ভোটার তালিকা প্রকাশ হলে তাদের পৌর নির্বাচনে অন্তর্ভুক্তি নিয়ে জটিলতা
তৈরি হতে পারে। ওই কর্মকর্তা আরও জানান, ফেব্রুয়ারিতে ইউনিয়ন পরিষদ
নির্বাচনের অনুষ্ঠানের কথাও ভাবছে ইসি। ফলে প্রথম ধাপে পৌর নির্বাচন বিলম্ব
হলে তা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকেও পিছিয়ে দিতে পারে বলে ইসি কর্মকর্তারা
জানিয়েছেন।
গত রোববার স্থানীয় সরকার মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন জানান, ১৮ই নভেম্বর স্থানীয় সরকার আইনের সংশোধনী সংসদে পাস হবে। ফলে এ আইন অনুযায়ী বিধিমালা ও আচরণবিধি তৈরি করতে ইসির আরও সময়ের প্রয়োজন। নিয়ম অনুযায়ী বিধি আইন মন্ত্রণালয় থেকে ভেটিং করে আনতে হয়। ফলে চলতি সপ্তাহে নির্বাচন কমিশন তফসিল ঘোষণার যে পরিকল্পনা করেছিল তা বাস্তবায়ন করা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। এ বিষয়ে গতকাল কথা বলতে রাজি হননি কোন নির্বাচন কমিশনার। এতদিন ধরে স্থানীয় নির্বাচন নির্দলীয়ভাবে হলেও সম্প্রতি আইন সংশোধনের উদ্যোগ নেয় সরকার। এর ফলে রাজনৈতিক নেতাদের সংসদ নির্বাচনের মতোই নৌকা, ধানের শীষ, লাঙলের মতো প্রতীকে স্থানীয় নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার সুযোগ সৃষ্টি হয়। ডিসেম্বরে পৌরসভা নির্বাচন করার বাধ্যবাধকতা থাকায় এ ক্ষেত্রে সংসদ বসার জন্য অপেক্ষা না করে অধ্যাদেশ জারি করে আইন কার্যকর হয়। সংশোধিত আইন অনুযায়ী, মেয়র, সাধারণ ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে দল মনোনীত প্রার্থীরা দলীয় প্রতীকে অংশ নেবেন। দলের বাইরে কেউ ভোট করতে চাইলে তাকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে হবে। ইসি ও মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, স্থানীয় সরকার আইনের সংশোধনী অধ্যাদেশ আকার জারি করা হয়েছিল। বর্তমানে ওই অধ্যাদেশটি বাতিল করে আইন আকারে সংশোধনী পাস করতে চায় সরকার। সংশোধনী আইন আকারে পাস হলে স্থানীয় সরকারের সব স্তরে (সিটি, পৌর, উপজেলা, ইউপি) মেয়র বা চেয়ারম্যান পদে দলীয় ও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে অংশ নেয়ার সুযোগ থাকবে। কাউন্সিলর, সদস্য, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান বা ভাইস চেয়ারম্যান পদে আগের মতো নির্দলীয়ভাবে প্রার্থিতার সুযোগ থাকবে। সামনে ডিসেম্বরে নির্বাচন উপযোগী ২৪৫ পৌরসভায় মোট পদ থাকবে প্রায় ৩৭৬০। এর মধ্যে সাধারণ কাউন্সিলর পদ ২ হাজার ৬৪০টি ও সংরক্ষিত ৮৮০টি। সব পদ দলীয় হলে প্রতিটি পদে নাম, প্রতীকসহ ব্যালট ছাপাতে হবে। কাউন্সিলর বাদ পড়লে শুধু মেয়রদের ২৪০টি পদে দলীয় প্রতীক থাকবে। নির্বাচনে ভোটগ্রহণের কেন্দ্র ও ভোটার তালিকা প্রস্তুত করতে মাঠপর্যায়ে চিঠি দিয়েছে ইসি।
গত রোববার স্থানীয় সরকার মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন জানান, ১৮ই নভেম্বর স্থানীয় সরকার আইনের সংশোধনী সংসদে পাস হবে। ফলে এ আইন অনুযায়ী বিধিমালা ও আচরণবিধি তৈরি করতে ইসির আরও সময়ের প্রয়োজন। নিয়ম অনুযায়ী বিধি আইন মন্ত্রণালয় থেকে ভেটিং করে আনতে হয়। ফলে চলতি সপ্তাহে নির্বাচন কমিশন তফসিল ঘোষণার যে পরিকল্পনা করেছিল তা বাস্তবায়ন করা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। এ বিষয়ে গতকাল কথা বলতে রাজি হননি কোন নির্বাচন কমিশনার। এতদিন ধরে স্থানীয় নির্বাচন নির্দলীয়ভাবে হলেও সম্প্রতি আইন সংশোধনের উদ্যোগ নেয় সরকার। এর ফলে রাজনৈতিক নেতাদের সংসদ নির্বাচনের মতোই নৌকা, ধানের শীষ, লাঙলের মতো প্রতীকে স্থানীয় নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার সুযোগ সৃষ্টি হয়। ডিসেম্বরে পৌরসভা নির্বাচন করার বাধ্যবাধকতা থাকায় এ ক্ষেত্রে সংসদ বসার জন্য অপেক্ষা না করে অধ্যাদেশ জারি করে আইন কার্যকর হয়। সংশোধিত আইন অনুযায়ী, মেয়র, সাধারণ ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে দল মনোনীত প্রার্থীরা দলীয় প্রতীকে অংশ নেবেন। দলের বাইরে কেউ ভোট করতে চাইলে তাকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে হবে। ইসি ও মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, স্থানীয় সরকার আইনের সংশোধনী অধ্যাদেশ আকার জারি করা হয়েছিল। বর্তমানে ওই অধ্যাদেশটি বাতিল করে আইন আকারে সংশোধনী পাস করতে চায় সরকার। সংশোধনী আইন আকারে পাস হলে স্থানীয় সরকারের সব স্তরে (সিটি, পৌর, উপজেলা, ইউপি) মেয়র বা চেয়ারম্যান পদে দলীয় ও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে অংশ নেয়ার সুযোগ থাকবে। কাউন্সিলর, সদস্য, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান বা ভাইস চেয়ারম্যান পদে আগের মতো নির্দলীয়ভাবে প্রার্থিতার সুযোগ থাকবে। সামনে ডিসেম্বরে নির্বাচন উপযোগী ২৪৫ পৌরসভায় মোট পদ থাকবে প্রায় ৩৭৬০। এর মধ্যে সাধারণ কাউন্সিলর পদ ২ হাজার ৬৪০টি ও সংরক্ষিত ৮৮০টি। সব পদ দলীয় হলে প্রতিটি পদে নাম, প্রতীকসহ ব্যালট ছাপাতে হবে। কাউন্সিলর বাদ পড়লে শুধু মেয়রদের ২৪০টি পদে দলীয় প্রতীক থাকবে। নির্বাচনে ভোটগ্রহণের কেন্দ্র ও ভোটার তালিকা প্রস্তুত করতে মাঠপর্যায়ে চিঠি দিয়েছে ইসি।
No comments